স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে এসে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠতে কোনো দ্বিধাবোধ করেননি অনেক মানুষ। এমনকি শহীদ মিনারের পুরো সিড়ি জুড়ে ছিল জুতার ছড়াছড়ি। বিষয়টিকে খুব লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতায় সকালে খালি পায়ে প্রভাত করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আসে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে। কিন্তু এবার দেখা গেলো রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার জুতার আধিক্য। অনেকেই শহীদ মিনারের সিড়ি দখল করে জুতা রেখে উপরে উঠেছে। আবার অনেককেই দেখা গেলো জুতাসহ শহীদ মিনারে উঠে ফুল দিচ্ছে। ছবি তুলছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদেরকেই দেখা গেছে বেশি।
বিষয়টি নিয়ে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। উপস্থিত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, এই দিনটি আমাদের অনেক গৌরবের। অনেক ত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এই দিনটিতে আমরা সেই সব বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সবাই শহীদ মিনারে একত্রিত হই। কিন্তু শহীদ মিনারে অনেকেই জুতা নিয়ে উঠে ফুল দেয়া আর ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিষয়টি একেবারেই অনৈতিক। আমাদের নৈতিকতাবোধ বাড়াতে হবে। তা না হলে স্বাধীনতার প্রকৃত অর্জন আমরা কখনই পাবো না।
এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সহকারী সচিব জাহিদ হোসেন লুসিড জানান, বিষয়টি লজ্জাজনক। বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ, মাইকে ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ বিশেষ করে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেরা এবং শিক্ষার্থীদের যেভাবে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত।
তিনি জানান, বিষয়টি নিজের নৈতিকতার। আগামী দিবসগুলোতে জুতা বাইরে রেখে শহীদ মিনার ক্যাম্পাসে প্রবেশের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন