নঈম নিজাম
সবকিছুর দাম বাড়ছে, মানুষের জীবন ছাড়া। বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় কার? ভবন মালিক, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, ফায়ার সার্ভিস? রাজউক? নাকি আমাদের পুরো সিস্টেমের? কমবেশি সবার অবহেলার নিষ্ঠুর খেসারত দিতে হলো। কোনোভাবে এত মৃত্যু, এত আগুন মেনে নিতে পারছি না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে/ তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।’’ দোজখের আগুনের বিভীষিকা দুনিয়ার মানুষকে দেখতে হলো। অসহায় নারী ও শিশুর আর্তনাদ শোনার কেউ ছিল না। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করল ৭৫ জনকে। বেঁচে থাকার আনন্দ দেখেছি তাদের চোখে-মুখে। মৃত্যু ও জীবনকে পাশাপাশি দেখেছে তারা। হয়তো সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে, এমন নরক যন্ত্রণা মানুষের জীবনে যেন আর না আসে। শুক্রবার ছুটির দিনে স্বজনহারাদের আহাজারিতে ভারাক্রান্ত ছিল ঢাকা মেডিকেল। জীবিতরা বাকি জীবন বাঁচবে শুধুই অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে। ঘুমের ঘোরে তাদের চোখে ভাসবে আগুনের ভয়াবহ লেলিহান শিখা ছুটে আসছে। সন্তানহারা বাবা-মায়েরা বয়ে বেড়াবেন নিষ্ঠুর স্মৃতি। তাদের চোখের জলের স্রোত কোনো দিন থামবে না। অসহ্য একটা কষ্ট সারা জীবন বয়ে বেড়াবেন।
একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য খেতে গিয়েছিলেন। আগুনে পুড়ে মারা গেলেন সবাই। ইতালি যাওয়ার কথা ছিল তাদের। পাসপোর্ট পড়ে আছে। তাদের আর যাওয়া হবে না ইতালি। অবুঝ সন্তানের খাওয়ার বায়না মেটাতে দুই সন্তানকে নিয়ে মা গিয়েছিলেন রেস্টুরেন্টে। কেউই আর ফিরলেন না। বুয়েটের দুজন মেধাবী ছাত্রছাত্রী মৃত্যুবরণ করল। তারাও গিয়েছিল অন্য সবার মতো। সাংবাদিকতায় আসা মেয়েটিও আর ফিরবে না সহকর্মীদের মাঝে। স্বপ্নগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুকভাঙা কষ্ট নিয়ে সন্তান হারানো বাবা-মায়েরা সারা জীবন অপেক্ষা করবেন। তাদের সন্তানরা আর ফিরবে না। কবি রফিক আজাদ লিখেছেন, ... ‘‘পাখি উড়ে চলে গেলে পাখির পালক পড়ে থাকে।’’ একদিন আমরা কেউই থাকব না। চলে যাব এই দুনিয়া থেকে। তারপরও আগুনে পুড়ে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে এতগুলো মানুষকে কেন আগুনে পুড়ে চলে যেতে হবে চিরতরে? কোন অনিয়মের ফাঁদে সর্বনাশ হলো অর্ধশত পরিবারের? এই ভয়াবহতার দায় কার?
জনঅরণ্যর ইটপাথরের নিষ্ঠুরতার এই শহরে বারবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। আগুনের ভয়াবহ লেলিহান শিখা কেড়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন। তারপরও কেউ কোনো শিক্ষা নেয় না। প্রথম কিছুদিন কথা হয়। হইচই হয় কমবেশি। তারপর সবাই নিয়ম-অনিয়মের বেড়াজালে ভুলে যায় সবকিছু। পুরান ঢাকার বছর বছর আগুন দুর্ঘটনা কাউকে শিক্ষা দেয়নি। দুর্ঘটনা রোধে বাড়েনি মনিটরিং। ভবন মালিক, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, রাজউকের অতি লোভ সব শেষ করে দিচ্ছে। যত্রতত্র বহুতল ভবনের নামে গড়ে উঠছে অগ্নিকূপ। ১০ থেকে ৪৫ তলার অনুমতি মিলছে পরিবেশ বিবেচনা না করেই। নিয়মনীতির বালাই নেই। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। দায়িত্ববানদের অনিয়মে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। বেইলি রোডের আগুনে পোড়া ভবনে কোনো ফায়ার এক্সিট ছিল না। ত্রুটি ছিল বিভিন্ন তলায়। মানুষের বেরোনোর পর্যাপ্ত পথ ছিল না। যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন তারাও বিরানি আর ভাত বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। মানুষের জীবন নিয়ে ভাবেননি। নিজেদের রক্ষার কথাও চিন্তা করেননি। হিংসার দুনিয়াতে সবার সবকিছু আছে। শুধু মানুষকে রক্ষার কথা ভাবেন না কেউ। ব্যবসার সঙ্গে নেন না নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। মনিটরিংয়ের দায়িত্বরত সংস্থাগুলোর লোকজন পয়সা পেলেই চলে। কোনো কিছু দেখার প্রয়োজন মনে করে না। পরিবেশের ছাড়পত্র প্রদানকারীরা কোথাও যান না। রাজউকের কোনো ভালো কাজের সুনাম নেই। নির্মাণাধীন ভবনে তারা যান তোলা তুলতে। মানুষকে হয়রানি করতে। ভবন মালিকরাও থাকেন জোড়াতালিতে। অস্বস্তিকর পরিবেশ কেউ দূর করে না। দায় সবাইকে নিতে হবে। অনুমতি প্রদানকারী সিটি করপোরেশনকেও।
বেইলি রোডের ঘটনার রেশ ধরে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। জানি দুই দিন পর সবাই সব ভুলে যাবে। তদন্ত কমিটি লোকদেখানো একটা রিপোর্ট দেবে। ভবন মালিক কমবেশি দায়ী হবে। রাজউক, পরিবেশ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন আড়াল হবে। রেস্টুরেন্টের অনুমতি প্রদানকারীদের ব্যর্থতা, অনিয়মে জড়িত থাকার রিপোর্টও হারিয়ে যাবে। অতীত ভীষণ নিষ্ঠুর। বঙ্গবাজার, চুড়িহাট্টা, নিমতলীর বিভীষিকার রেশ এখনো কাটেনি। পুরান ঢাকার বাসাবাড়ি থেকে কেমিক্যাল গোডাউন এখনো পুরোপুরি উচ্ছেদ হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো আগের মতোই দাঁড়িয়ে আছে। মনিটর করার কেউ নেই। আর নেই বলেই ঢাকাজুড়ে বাণিজ্যিক ভবন আর পুরাতন মার্কেটগুলোর বেহাল দশা। সবাই ভবন গড়েন, ব্যবসা-বাণিজ্যর জন্য ভাড়া দেন, নিয়ম মানেন না। সিটি করপোরেশন কোনো কিছুর খবর রাখে না। রেস্টুরেন্ট অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। পরিবেশ অধিদফতর দিয়েছিল ছাড়পত্র। কী করে সবাই অনুমতি দিলেন? তাজরীন গার্মেন্ট, রানা প্লাজা বড় শিক্ষা দিয়েছিল। তারপরও কেউই ঠিক হননি। সেই দিন একজন বললেন, মিডিয়ার বহর নিয়ে সিটি করপোরেশন খাল উদ্ধার অভিযানে নামে। দাবি করে খাল উদ্ধার করেছি। কিছুদিন পর দেখা যায় সেই খাল আবার দখল হয়ে গেছে। কেন এমন হয়? খাল উদ্ধারের পর সিটি করপোরেশন একটা হাঁটাপথ অথবা যান চলাচলের মতো সড়ক তৈরি করলে চিরতরে বন্ধ হয় দখল। এ কাজটি তারা করতে পারে না। বছর বছর লোকদেখানো উদ্ধার অভিযান করে সাময়িক বাহবা নেয়। তারপর সব আগের মতো হয়ে যায়।
বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের ঝড়োগতি দেশকে নতুন মাত্রা দিয়েছে বিশ্বে। এখন প্রতিষ্ঠানের পেছনের মানুষগুলোর পরিবর্তন জরুরি। মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট থাকলে চলবে না। মানুষকে রক্ষা করতে হবে। শহরকে বাঁচাতে হবে। যেখানে-সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। আশপাশের পরিবেশ, আগুন নেভানোর ব্যবস্থা বিবেচনায় আনতে হবে। বড় দুর্ঘটনার পর জানতে পারি সেই গাড়ির ফিটনেস ছিল না। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর পর প্রকাশ পায় সেই হাসপাতাল এতদিন চলেছিল অনুমোদন ছাড়া। ভয়াবহ আগুনে মৃত্যুর মিছিলের পর খবর বের হয় ভবনের নকশার ত্রুটি ছিল। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা ছিল না। দুর্ঘটনার আগে কোনো কিছু বের হয় না। জানি আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ। তারপরও নিয়ম বাস্তবায়ন কঠিন কিছু নয়। দূষণমুক্ত শহর গড়া অসম্ভব নয়। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেওয়া মানুষ দরকার। যা আমাদের এখন কম রয়েছে।
নিয়ম সঠিকভাবে তৈরি হলে সবাই মানবে। বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো হলে চলবে না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের একটি দুবাই। ২৪ ঘণ্টা মানুষের ঢল লেগেই থাকে। দুবাই থেকে সারা দুনিয়াতে যাওয়া যায়। অথচ সেই বিমানবন্দরের বাথরুমগুলো সব সময় ঝকঝকে তকতকে থাকে। কী করে সম্ভব? কোনো রহস্য নেই এখানে। শুধু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সারাক্ষণ কাজ করছেন নীরবে। কোনো ঝামেলা নেই। উচ্চবাচ্য নেই। যার যার কাজ করে বাড়ি ফিরছেন। কেউ কাউকে দোষারোপ করছেন না। শাহজালালের সাধারণ বাথরুমগুলোতে যাওয়ার পরিবেশ নেই। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর কথা না-ই বললাম। এখানেও রক্ষণাবেক্ষণে লোক আছে। তারা তাদের কাজ করে না ঠিকভাবে। অথচ এ মানুষগুলো বিদেশ গিয়ে একই কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করছে। বাংলাদেশে মনিটরিং নেই বলেই সমস্যা হচ্ছে। অন্য কিছু নয়। সঠিকভাবে সবকিছুর মনিটরিং হলে মানুষের মনভাবনায় পরিবর্তন আসবে।
মানসিকতার পরিবর্তন না আনলে সমস্যা থেকেই যাবে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে সমস্যার অভাব নেই। নিয়ম না মানলে সমাধান আসবে না। সেবা খাতগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সারা দুনিয়াতে বড়দিন, ঈদ, পূজা-পার্বণে জিনিসপত্রের দাম কমে। ছাড় দেন ব্যবসায়ীরা। লাভ করেন কম। আমাদের ব্যবসায়ীরা হাঁটেন আরেক পথে। ধর্মীয় উৎসবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন। রমজান এলে লম্বা টুপি লাগিয়ে মুনাফা লুটেন। বুট, খেজুর, চিনি, তেল, লবণের দাম হুট করে বেড়ে যায়। এভাবে মানুষকে জিম্মি করা ব্যবসায়ীরা ভাবেন না এই ভন্ডামির কারণে ইহকাল পরকাল সব যাবে। দুনিয়া আখেরাত বরবাদ হবে। তারা ভুলে যান সৃষ্টিকর্তা ওপর থেকে সব দেখছেন। পবিত্র কোরআনে বলা আছে, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনেবুঝে সত্যকে গোপন করো না (সুরা আল বাকারা, আয়াত ৪২)। শরীরের সব খানে ক্ষত থাকলে মলম কত স্থানে লাগাবেন? এই দেশের হাসপাতালে চিকিৎসক ইউটিউব দেখে খতনা করান। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কিছু মানুষ কাজ করার সুযোগ পেলে মগের মুল্লুক বানিয়ে ফেলেন। ব্যাংকের রক্ষক হয়ে ওঠেন ভক্ষক। ঠিকাদার কাজ পেয়ে বাজে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেন। মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী কমিশন নিয়ে লিখে দেন সব ঠিক আছে। মানুষের জীবন নিয়ে কাজ করা হাসপাতালগুলো এখন ব্যবসার আখড়া। সরকারি হাসপাতালের কেনাকাটার পুরোটাই ফাঁকি। বেসরকারি হাসপাতালে হয় শুধুই ব্যবসা। নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে আল্লাহর ফেরেশতা কাউকে সোজা করতে পারবে না।
উন্নত সমৃদ্ধির পথে হাঁটা এই বাংলাদেশকে ঠিকভাবে ধরে রাখতে মেশিনের পেছনের মানুষগুলোকে ঠিক হতে হবে। সৃষ্টিকর্তা দুনিয়াটা গড়েছেন সুন্দর ও স্বাভাবিকতার জন্য। যুদ্ধবাজ, হিংসুটে মানুষ দুনিয়াটাকে অস্বাভাবিক করে রেখেছে। ১৮ কোটি মানুষের দেশ এমনিতে শত সমস্যায় জর্জরিত। নাগরিক ও ব্যক্তি সচেতনতা না বাড়লে রাষ্ট্রযন্ত্র হবে আরও অসহায়। চারপাশের সমস্যা দেখলে আমরা ভেঙে পড়ি। ভাবনায় আসে কোনো দিন কিছু স্বাভাবিক হবে না। শত সংকটেও বাঁচতে হয় আশার আলো নিয়ে। বাস্তবতায় থাকতে হবে। লোভকে বিসর্জন দিতে হবে। আলোর পথ খুঁজে নিতে হবে। সামাজিক সংকটগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা তৈরি করতে হবে। সেবা খাতগুলোকে আনতে হবে শৃঙ্খলায়। সেবা খাতে সমস্যা থাকলে ঝামেলার অবসান হবে না। অনিয়মে বারবার ঘটবে দুর্ঘটনা। মানুষের জীবন যাবে। প্রাণহানি বাড়বে। তাজরীন গার্মেন্ট ও নিমতলী, চুড়িহাট্টা, সজিব ফ্যাক্টরি, বনানীর মতো দুর্ঘটনা আলোড়ন তুলবে। কোনো কিছুর স্থায়ী সমাধান আসবে না। মালিকরা বীমা পাবেন। নিরীহ শ্রমিকরা প্রাণ হারাবেন। পরিবার নিঃস্ব হবে। অতি লাভ, অতি লোভ আর নয়। সচেতনতা, সতর্কতা বাড়াতে হবে।
সবকিছু এক দিনে ঠিক হবে বলছি না। সময় লাগবে। নেতিবাচক অবস্থান থেকে বেরিয়ে আলোর পথ খুঁজতে হবে। নেলসন ম্যান্ডেলার আত্মজীবনীতে লেখা একটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে। আফ্রিকান ঝোসা সম্প্রদায়ের বিখ্যাত কবি স্যামুয়েল এমখাওয়ারি একবার সংসারবিবাগি হলেন। তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন দূরে কোথাও। বাউন্ডুলে এই কবি এক বছর পর বাড়ি ফিরলেন। দেখলেন তার স্ত্রী কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। বাড়ি ত্যাগের সময় স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন বলে তার মনে পড়ছিল না। তাই সন্তানের খবর শুনে বিস্মিত হলেন। শুধু বিস্ময় নয়, ক্ষুব্ধও হলেন। তীব্র ক্ষোভ থেকে সিদ্ধান্ত নিলেন শিশু ও তার মাকে খুন করবেন। সবকিছু শেষ করে দেবেন চিরতরে। ভোজালি হাতে প্রবেশ করলেন বেডরুমে। চোখে-মুখে আগুনের ফুলকি। শিশুর দিকে তাকালেন খুনির চোখে। দেখলেন ফুটফুটে শিশুটি তার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। কবি খেয়াল করলেন শিশুটি হুবহু তার চেহারা পেয়েছে। নিজের ছায়া দেখে চমকে উঠলেন। তারপর শিশুটির দিকে তাকালেন অপার বিস্ময়ে। বললেন, ও জিনজিলে! তুমি ভালোভাবে এ পৃথিবীতে এসেছো? স্যামুয়েল এমখাওয়ারি শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। কোলে নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করলেন। কবিতার ছন্দে শিশুটির নাম রাখলেন জিনজিশওয়া। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসা এক মানব শিশু।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন