ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তরা-বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর ও দক্ষিণখানে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকায় এনা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। তবে গার্মেন্টস মালিকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নিয়েছেন শ্রমিকরা। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন।
এরআগে নিপা গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান কসরু চোধুরী শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কাজে ফিরে যান। সরকারের যে বেতন কাঠামো ঠিক করেছে সে অনুযায়ী আপনাদের বেতন দেওয়া হবে। আমি যদি সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী বেতন দিতে না পারি তাহলে আমার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেব। যদি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেই সেক্ষেত্রে আমার ফ্যাক্টরিতে কর্মরত শ্রমিকদের অগ্রিম এক মাসের বেতনও দেওয়া হবে।
পুলিশের উওরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য যে বেতন কাঠামো তৈরি করেছে সেটা নজরদারির জন্য আমরা আপনাদের (শ্রমিক) সঙ্গে রয়েছি। ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও করলে আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকবো না। এ ব্যাপারে যে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, যদি আপনাদের বেতন নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে কোনও ঝামেলা থাকলে তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে হবে। সেজন্য জনগণকে হয়রানি করা যাবে না।এসময় পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষে ৭ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন