![](https://www.jugantor.com/assets/news_photos/2021/04/18/image-412649-1618690320.jpg)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ২২-২৩ এপ্রিল ‘ভার্চুয়াল লিডার্স সামিট’ আয়োজন করতে যাচ্ছেন। বিশ্বের ৪০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে তিনি এ ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভার্চুয়াল সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে বাংলাদেশে এসেছিলেন জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
মার্কিন প্রশাসনের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কারণ কপ-২১ সম্মেলনে (২০১৫) যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করলেও ট্রাম্প প্রশাসন ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। কপ-২১-এ বিশ্বের ১৯৩টি দেশ বিশ্বের উষ্ণতা কমানো তথা কার্বনডাই-অক্সাইড হ্রাস করার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের কপ আলোচনায় ফিরে যাওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ছয় বছর আগে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, কার্বন নিঃসরণকারী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। কাজটি নিঃসন্দেহে সহজ নয়। এর সঙ্গে বেশকিছু বিষয় জড়িত- উন্নত বিশ্ব কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সাহায্য, জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় ‘টেকনোলজি ট্রান্সফার’, উন্নত বিশ্বের নিজের কার্বন নিঃসরণ হার কমানো ইত্যাদি। এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লিমা কপ-২০ সম্মেলনে প্রতিটি দেশকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও কাঠামো উপস্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ এটা করেছে। কিন্তু সব দেশ এটা করতে পেরেছে কিনা, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। চীন ও ভারতের মতো দেশের কার্বন নিঃসরণ নিয়েও কথা আছে। কারণ দেশ দুটি সাম্প্রতিককালে বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশে পরিণত হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ক’টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিবছর ১৪ মিলিমিটার করে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গত ২০ বছরে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ সেন্টিমিটার। বাংলাদেশের ১৭ ভাগ এলাকা সমুদ্রের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে আগামীতে। আইপিসিসির রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের কথা। অনেকের মনে থাকার কথা, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর পরিবেশের ব্যাপারে বিশ্ব জনমতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ২০১২ সালের জানুয়ারিতে এন্টার্কটিকায় গিয়েছিলেন। আমাদের তৎকালীন পরিবেশমন্ত্রীকেও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেখানে। সেটা ঠিক আছে। কারণ পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে গেলে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদের অন্যতম বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পরপর দু’বার বন্যা ও পরে ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরে’র আঘাতের সম্মুখীন হয়। এরপর ২০০৯ সালের মে মাসে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’। এর ফলে দেশে ব্যাপক খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি দেখা দেয়। ওই সময় দেশে খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে যায়। অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সিডরের পর দেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি বারবার বিশ্বসভায় আলোচিত হচ্ছে। সিডরের ক্ষতি ছিল গোর্কির চেয়েও বেশি। মানুষ কম মারা গেলেও সিডরের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছিল ব্যাপক। সিডরে ৩০ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল ৯টি জেলা। ২০০ উপজেলার ১ হাজার ৮৭১টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৬৫ পরিবারের ৮৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৬ জন মানুষ সিডরের আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। মারা গিয়েছিল ৩ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ। তবে অর্থনৈতিক ক্ষতি ছিল ব্যাপক। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। ‘সিডর’ ও ‘আইলা’র পর ২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বাংলাদেশে আঘাত করেছিল। যদিও এতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব আমরা পাইনি।
‘সিডর’ ও ‘আইলা’র আঘাত আমরা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আইলার আঘাতের পর খুলনার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছায় যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করা সম্ভব হয়নি। জলাবদ্ধতা কোথাও কোথাও ১ মিটার থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত। ‘আইলা’য় ৮০ ভাগ ফলজ ও বনজ গাছ মরে গিয়েছিল। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে আজ নোনা জলের আগ্রাসন। সুপেয় পানির বড় অভাব ওইসব অঞ্চলে। এরপর ‘মহাসেন’ আমাদের আবারও ক্ষতিগ্রস্ত করে দিয়ে গিয়েছিল। পরে আঘাত করল ‘তিতলি’।
আমাদের মন্ত্রী, সচিব কিংবা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা বিদেশ সফর ও সম্মেলনে অংশ নিতে ভালোবাসেন। কানকুন, ডারবান, কাতার, কিংবা এরও আগে কোপেনহেগেনে (কপ সম্মেলন) আমাদের পরিবেশমন্ত্রী গেছেন। আমাদের কয়েকজন সংসদ সদস্য কোপেনহেগেনে প্লাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিশ্ব জনমত আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। আমরা পরিবেশ রক্ষায় তাতে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা পাইনি।
বলা ভালো, বাংলাদেশ এককভাবে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে না। বাংলাদেশ এককভাবে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ও তা সামগ্রিকভাবে বিশ্বের উষ্ণতা রোধ করতে খুব একটা প্রভাব রাখবে না। এ জন্য বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্তর্জাতিক আসরে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বিদেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এ সাহায্যের ওপর নির্ভর করা ঠিক নয়। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। গেলবার যে বন্যা হলো, তা আবার আমাদের সে কথাটাই স্মরণ করিয়ে দিল। বন্যা, অতি বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এখন এ দেশে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ‘সিডর’ ও ‘আইলা’র আঘাতে আমাদের যা ক্ষতি হয়েছিল, সেই ক্ষতি সারাতে সরকারের বড়সড় উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হলেও সেখানেও ‘রাজনীতি’ ঢুকে গিয়েছিল। দলীয় বিবেচনায় টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ভাবতে অবাক লাগে, যেসব এনজিও জলবায়ু নিয়ে কাজ করেনি, যাদের কোনো অভিজ্ঞতাও নেই, শুধু দলীয় বিবেচনায় তাদের নামে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। জলবায়ু তহবিলের অর্থ যাওয়া উচিত ওইসব অঞ্চলে- যেখানে ঘূর্ণিঝড়, প্লাবনের আঘাত বেশি আর মানুষ ‘যুদ্ধ’ করে বেঁচে থাকে। অথচ দেখা গেছে, জলবায়ুর জন্য বরাদ্দকৃত টাকা দেওয়া হয়েছিল ময়মনসিংহ পৌরসভাকে, মানিকগঞ্জের একটি প্রকল্পে এবং নীলফামারী তিস্তা বহুমুখী সমাজকল্যাণ সংস্থাকে। সিরাজগঞ্জের প্রগতি সংস্থাও পেয়েছিল থোক বরাদ্দ। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের একটিরও জলবায়ু সংক্রান্ত কাজের কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।
আমাদের জন্য তাই প্যারিস চুক্তির (২০১৫) গুরুত্ব ছিল অনেক। বাংলাদেশ পরিবেশগত নানা সমস্যায় আক্রান্ত। বাংলাদেশের একার পক্ষে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই বাংলাদেশ আজ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সুতরাং বৈশ্বিকভাবে যদি পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির হার কমানো না যায়, তাহলে বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করাও সম্ভব হবে না। তাই একটি চুক্তি অত্যন্ত জরুরি ছিল। সেই সঙ্গে আরও প্রয়োজন জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় বৈদেশিক সাহায্যের পূর্ণ প্রতিশ্রুতি এবং সেই সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তরের একটা ‘কমিটমেন্ট’। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে আমাদের যেতে হবে। সোলার বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, স্থানীয়ভাবে তাদের কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। সুতরাং আর্থিক সাহায্যের প্রশ্নটি অত্যন্ত জরুরি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বারবার সাহায্যের কথা বললেও সেই সাহায্য কখনোই পাওয়া যায়নি।
কপ-২১-এর পর আরও বেশ কয়েকটি ‘কপ’ (Conference of the Parties (COP) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমন COP22 (মারাকাস, মরক্কো, ২০১৬), COP23 (বন, জার্মানি, ২০১৭), COP 24 (কাতকোভিচ, পোল্যান্ড, ২০১৮), COP25 (মাদ্রিদ, স্পেন, ২০১৯)। আর ঈঙচ২৬ অনুষ্ঠিত হবে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে, চলতি বছরের নভেম্বরে। লক্ষণীয়, প্রতিটি সম্মেলনেই ভালো ভালো কথা বলা হয়; কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন হয় না। এ ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে ‘কপ’ আলোচনা থেকে বের করেই আনেননি, বরং তিনি বিশ্বাস করতেন বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কার্বনডাই-অক্সাইড উদ্গীরণ কোনোভাবেই দায়ী নয়। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা যেখানে তত্ত্ব ও উপাত্ত সহকারে দেখিয়েছেন, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কার্বনডাই-অক্সাইডের উদ্গীরণই দায়ী, সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাকে অস্বীকার করেছিলেন। সারা বিশ্বেই যখন দাবি উঠেছিল জীবাশ্ম জ্বালানির (তেল, গ্যাস, কয়লা) ব্যবহার কমিয়ে আনার, তখন ট্রাম্প বড় বড় তেল/গ্যাস উত্তোলনকারী বহুজাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষে কাজ করেছিলেন।
এখন জো বাইডেন আবার ফিরে এলেন মূলধারায়। ফলে তার ‘লিডার্স সামিটে’র গুরুত্ব বেশি। যুক্তরাষ্ট্র বড় অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের উষ্ণতা কমানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, সেই সঙ্গে চীনকে বড় উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু তার ডাকা এই ‘ভার্চুয়াল সামিট’ নিয়েও কথা আছে। তিনি এমন অনেক দেশকে আমন্ত্রণ জানাননি, যে দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেমন- হাইতি, ইয়েমেন, কিরিবাতি, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান। সংবাদ সাময়িকী ‘টাইম’ ২০১৯ সালে যে ছয়টি অঞ্চল উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে উল্লেখ করেছিল (সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯) তার মধ্যে রয়েছে এসব দেশ ও অঞ্চল। শুধু নাইজেরিয়া ও আরব আমিরাতকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। টাইমের প্রতিবেদনে এ দেশ দুটি ছিল। প্রতিবছরই Climate Change Vulnerable Index প্রকাশ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে, বাহামা, মালাবি, আফগানিস্তানের নাম। অথচ এ দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমরা Climate Index 2020-এর কথাও উল্লেখ করতে পারি। এখানে যে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার শীর্ষে রয়েছে জাপান। এর পর রয়েছে ফিলিপাইন, জার্মানি, মাদাগাস্কার, ভারত, শ্রীলংকা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, কানাডা ও ফিজি। অথচ অনেক দেশকেই জো বাইডেন আমন্ত্রণ জানাননি। জাপানের বিষয়টি আমরা জানি- জলচ্ছ্বাস, টাইফুন, অতিবৃষ্টি ইত্যাদিতে দেশটি আক্রান্ত। এসবই জলবায়ু পরিবর্তনের ফল। ফিলিপাইনের অবস্থাও তেমনি। একদিকে ‘জলচ্ছ্বাস, অন্যদিকে খরা। বিশেষ করে আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার খবর আমরা জানি। ফলে ‘ভার্চুয়াল লিডার্স সামিটে’র মধ্য দিয়ে আমাদের বড় কিছু অর্জন হবে বলে মনে হয় না। তবে প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার এ স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বিশ্বের উষ্ণতা হ্রাস করার ব্যাপারে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন