পাকিস্তানের তালেবানরা আসলে কারো ক্রীড়ানক হয়ে কাজ করছে কিনা সন্দেহ জাগে!

লিখেছেন লিখেছেন ইয়াফি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:০৫:০৭ সন্ধ্যা

পাকিস্তানের তালেবানরা (তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান) আসলে কারো ক্রীড়ানক হয়ে কাজ করছে কিনা সন্দেহ জাগে! তারা শিশুদের স্কুল উড়িয়ে দিবে। শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়াতে দিবেনা। জনাকীর্ণ বাজারে নারী-শিশুদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা করবে। নিরীহ বিদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড়দের উপর অযাচিত হামলা করবে। তাদের এহেন দেশ ও মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডে মতবিরোধ করায় পূর্বে তাদের শীর্ষস্হানীয় আলেমকে পর্যন্ত খুন হতে দেখা গেছে। পত্রিকায় দু-একবার দেখা গেছে তাদের আত্মঘাতী হামলায় বিদেশী তথা গোর্খা ও ভারতীয় শিখদের উপস্হিতি পাওয়া গেছে। আসলে উগ্রতা চর্চা তাদের এমন জায়গায় নিয়ে গেছে সব কর্মকান্ডই ইসলামের পক্ষে হচ্ছে বলে তাদের ভ্রম হচ্ছে। তাদের সাম্প্রতিক পেশোয়ার স্কুলে নির্মম শিশু হত্যাকান্ডে ভারতীয়দের হাত আছে বলে পাকিস্তানের একজন শীর্ষস্হানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন। তার যুক্তি পাকিস্তানের ঢাকাপতন দিবসের (16 ডিসেম্বর) গ্লানিকে জাগিয়ে তুলতে ঐদিন হামলা করিয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের মতে এই হামলায় ভারতীয় গোয়েন্দা র এর যোগসাজেশ আছে। কারণ তেহরিকে তালেবানের প্রধান মোল্লা ফাজলুল্লাহকে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সমর্থন দিচ্ছে। এবং তিনি এটাও দাবি করেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা অবশ্যই ফাজলুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে জানে। হামিদ কারজাই আফগানিস্তানে আফগান তালেবানদের হামলার জন্য বরাবরই পাকিস্তানকে দোষারূপ করত। হামিদ কারজাই যিনি তার শিক্ষাজীবন ভারতে কাটিয়েছেন এবং আফগানিস্তানে প্রভাববিস্তারে ভারতীয়দের প্রধান্য দিত। বলা যায় হামিদ কারজাই একজন ভারতপন্হী আফগান রাজনীতিক। ভারতও তার প্রত্যাশিত সুয়োগ লুফে নিয়ে সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে আফগানিস্তানের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে মুক্তহস্ত বাড়িয়েছে। যাহোক তেহরিকে তালেবানদের এহেন নির্মমতাকে খোদ আফগানিস্তানের আসল তালেবানরা ইসলামবিরোধী বলে নিন্দা করেছে। পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীসহ সব ইসলামী সংগঠন এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। খোদ আল কায়েদার দক্ষিণ এশীয় শাখা বলছে এহেন নির্মম শিশুহত্যাকান্ডে তাদের হৃদয় ভেংগে গেছে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্মমতার বদলে এমনটা করা ইসলামসম্মত হতে পারেনা। বাংলাদেশের ক্বওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক বহুল পরিচিত ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী এক বিবৃতিতে এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানান। তাঁরা বলেন ইসলাম কোনোভাবেই এই ধরনের ঘৃণ্য গণ-হত্যালীলা সমর্থন করেনা। যারা হামলা চালিয়েছে, তারা কোনোভাবেই ইসলামি আন্দোলনের সেবক বা কর্মী হতে পারে না।

পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনে যাদের তীব্র বিরোধিতা আছে তাদের মধ্যে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত এবং বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা। তারা চাইছে পাকিস্তানে অস্হিতিশীলতার মাধ্যমে দেশটিকে খন্ড-বিখন্ড করে এর সামরিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিনষ্ট করে দেয়া। এই ত্রয়শক্তি তাদের রাজনৈতিক খায়েশ পূরণে এমন কাউকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে চাইবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৫৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

296955
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : ইসলামের ইতরামি আরেক জনের ঘাড়ে চাপানোর ফন্দি আর কি?
296971
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩০
হতভাগা লিখেছেন : তালেবানরা আমেরিকার সৃষ্টি । তাই আমেরিকাকে সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য ।
296973
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সন্দেহের কোন কারন নাই আসলে্ই তারা অন্য শক্তির সুবিধার্থে কাজ করছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File