যদি রাত পোহালে শোনা যেত বংগবন্ধু মরে নাই-----?????

লিখেছেন লিখেছেন অনির্বাণ৯৬ ১১ আগস্ট, ২০১৪, ১২:০৫:১১ দুপুর



বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের ৯ মাস ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের পর এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। শহীদ হয়েছে ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। অসংখ্য মানুষের আত্ম্যত্যাগে বাংলার মুক্তি সেনারা এই দেশকে স্বাধীন করেছে।আবার কিছু বিশ্বাসঘাতকের বিশ্বাস ভঙ্গের ফলে অনেক এই দেশের মাটি কলংকিত হয়েছে। এই রকম কিছু জানোয়ার ছাড়া সবাই বাংলাদেশের প্রতি পরোক্ষ, প্রত্যক্ষ্য হিসেবে যুদ্ধ,যুদ্ধে সহায়তা করেছে। তবে যুদ্ধক্ষত্রে সবচেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ অবদান মনে হয় আমাদের মুক্তিসেনাদের। যারা সরাসরি অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছে।

সেই ক্ষত্রে যুদ্ধক্ষেত্রে মহানায়ক হিসেবে জেনারেল আতাউল গনি ওস্মানীকে স্মরণ করা হয়। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমান। এই ক্ষেত্রে অনেকের দ্বিমত পোষণ করতে পারে।অনেকে বলতে পারে শেখ মুজিব তো যুদ্ধ করে নাই, তাহলে কিভাবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক? সবার আগে বলতে চাই সরাসরি যুদ্ধ করা আর মুক্তিযুদ্ধের মদ্ধ্যে বিস্তর তফাত রয়েছে।

শেখ মুজিবুর রহমানঃ-

জন্মঃ১৭ই মার্চ,১৯২০সাল

মৃত্যুঃ১৫ আগস্ট,১৯৭৫সাল

আন্দোলনঃভাষা আন্দোলন,ছয় দফা আন্দোলন,বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন



রাজনৈতিক জীবনের সুচনাঃশেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়েছিল ১৯৩৯ সালেই। ১৯২০ এ জন্ম এর ঠিক ১৯ বছরের পরই শুরু হয় বাংলার মহানায়কের রাজনৈতিক জীবন। এরপর শুধু বাংলার পেছনে ছোটাছুটি। মৃত্যুর আগ মূহূর্ত পর্যন্ত তার চিন্তা ভাবনাতে শুধুমাত্র থাকত স্বাধীন বাংলার বর্তমান ও ভবিষ্যত

আমার মত তুচ্ছ মানুষের ছোট মুখে তার মত এত বড় নেতার কাহীনি শোনা অনেকের কাছেই ভালো লাগবে না। কারন আমার মত অজ্ঞ মানুষের কাছে তার মত নেতার পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য উপাত্তও নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের মদ্ধ্যে বংগবন্ধুকে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। সেই ভালোবাসা থেকেই তার সম্বন্ধ্যে কিছু কথা লিকছি।

আগস্ট মাসের এক তারিখ থেকে টুডে ব্লগের বেশ কিছু সংখ্যক ব্লগার বংগবন্ধু সম্বন্ধ্যে অনেক লেখা লিখেছে। এদের প্রায় বেশিরভাগই নেতিবাচক। আমি জানি না তাদের তথ্যগুলো কি সত্য নাকি মিথ্যা। হতে পারে সত্য। সেই মানুষদের বলছি আপনারা যদি বাংলাদেশের স্বাধিনতায় বিশ্বাস করেন তাহলে আমি শেখ মুজিব সম্বন্ধ্যে আমি আপনাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করব। শেখ মুজিবের স্নাতক জীবন শুরু হয়েছে ১৯৪৮ সালে অর্থাৎ দেশবিভাগের পর।আর কারাগার জীবন শুরু হয়েছে সেই সালের মার্চ মাসে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের জন্য। এরপর তাকে বাংলার প্রায় সকল আন্দোলনে অংশ্ নিতে দেখা গেছে। অর্থাৎ তিনি যত কিছু করেছেন তার রাজনৈতিক জীবনে সবকিছুই করেছেন অবিভক্ত পুর্ব পাকিস্তানের জন্য। পরবর্তিতে তা ভবিশ্যত বাংলার জন্য রুপান্তরিত হয়েছিল।একটা জিনিস লক্ষ্য করা যায় তার কাছে দেশ কিংবা জাতি বড় ছিল না, তার কাছে মানুষের অধিকার ছিল সবচেয়ে বড়। কিন্তু তিনি যখন দেখেছেন জালিম পাকিস্তানের জালিম শাসকেরা বাংলার জনগনের অধিকার কেড়ে ঠিক সেই সময় বাংলার হাল ধরেন শেখ মুজিব। তার নেতৃত্ত গুনে খুব অল্প সময়ে তিনি মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেন। সবার কাছে একনামে শেখসাব নামে পরিচিত ছিলেন। তাকে দমিয়ে রাখতে পাকিস্তানি সরকার অসঙ্খ্য ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু বাংলার মানুষের আন্দোলনের কাছে মাথা নত করতে হয়েছিল। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের সপ্ন দেখে ছিলেন কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি শ্বাস গ্রহণ করতে পারবেন বলে মনে করতেন না কারন তিনি জানতেন যে তাকে মেরে ফেলা হবে। তবুও তিনি আন্দোলনে নেমেছিলেন মানুশের অধিকার আদায়ের জন্য। তিনি বিশ্বাস করতেন বাংলার মানুষের হৃদয়ে বেচে থাকবেন।

ফাসির মঞ্চ থেকে যখন তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন অনেক সপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বে পরিণত করার লক্ষেই তিনি কাজ করতে চেয়েছিলেন। একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের শাসন কার্য পরিচালনা করা অনেক কষ্টের বেপার। আমরা দক্ষিন সুদানকে দেখেছি, স্বাধীনতা অর্জনের কএকদিন পরেই তাদের দেশের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমাদের দেশে গৃহযুদ্ধটা শুরু হয়েছিল আমাদের দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে। বংবন্ধুকে মনে করত বাংলার মানুষ তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে,তিনি তাদের আশা আকাংখ্যা পুর্ণ করতে পারবেন। কিন্তু পারে নাই কিছু বিশ্বাসঘাতকের জন্য। সব মানুষ ভুলের ঊর্ধে নয়। তার ভুল ছিল তিনি সবাইকে বিশ্বাস করতেন। ভালো খারাপ সবাইকে। দুর্নীতি সব যায়গায় থাকে। তার নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক মানুষ অনেক কুকর্ম করেছে। দোশ পরেছে তার। এটাই তার ভুল। তার ভুলের শাস্তি তাকে হত্যা করে দেওয়া হল। সেই সাথে বাংলার সুর্যসন্তানকে হত্যা করল। যদি বংগবন্ধু না মরত তাহলে কি হত?.........সেই উত্তর আমার কাছে নেই।

বিষয়: বিবিধ

৩১৪৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

253169
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
হতভাগা লিখেছেন :
যদি রাত পোহালে শোনা যেত বংগবন্ধু মরে নাই

যদি রাত পোহালে মিছিল হত

বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই মুক্তি চাই .....

তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা

আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা







253170
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ১৯৭১ সাল। রক্তক্ষয়ী এ যুদ্বের সামান্য কিছু নিজ চোখে দেখেছি। দেশ স্বাধীন হল। তার পর দেখেছি সোনার ছেলেরা যুদ্ধাহত মানুষদের সব কিছু লুট করে নিতে। এর পর ৭৪-৭৫। দুভিক্ষ কাকে বলে। পিতা নির্বাক। সন্তানদের লেলিয়ে দিয়েছে ধর্ষন আর লুট করতে। কারো বিচার করেছে প্রমান নেই। তখন দেখেনি মানুষের মুজিবকে গজবে দিতে। বেশি দেরী হয়নি। মুজিব নিহত হল। মানুষ ইন্না লিল্লাহে পড়েনি। সেই কঠিন বাস্তবতার মানুষগুলোর কষ্টের কথা এখন আর কেউ লিখেনা। শুধু লিখে একজন ক্ষমতালোভী জাসদের লাখো নেতার রক্থে রঞ্চিত মুজিবের মিথ্য্া ইতিহাস।

যে নেতা জাতির জন্য তার সন্তানকে বিসর্জন দিতে পারেনা, যে নেতা দেশে ফিরে আওয়ামী লুটেরাদের দিয়ে সংসদ তৈরী করে অন্যদের জিজ্ঞেস না করে, যে নেতা নববুধুকে ধর্ষনের দায়ে কামালকে ধরিয়ে দেবার পরও বিচার করেনা, সে জাতির পিতা হবার অধিকার রাখেনা।

আজকের আওয়ামীলীগ শেখ মুজিবকে আর বেশী ঘৃনা করতে শিখিয়েছে এ জাতিকে তাদের কর্মকান্ত দ্বারা। একজন তারেক খালেদা যেমন জিয়ার সব অর্জনকে ভুলুন্ঠিত করেছে একজন শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের বাকী অজর্নটুকুকে ভুলে যেতে বাধ্য করেছে।

দলীয় দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লিখা ইতিহাস কখনও সর্ত্য হতে পারেনা।
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
197277
অনির্বাণ৯৬ লিখেছেন : ২৩ বছরের দেশের মানুষের জন্য সকল বিসর্জনকে আপনি ৩ বছরের ছোট্ট একটা ভুলের কারন দেখিয়ে বিসর্জন দিলে আমার মনে হয় আপনি দেশের স্বাধীনতাকেই বিসর্জন দিয়ে দিবেন।
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:২০
197283
কাহাফ লিখেছেন : সত্যকে তো আড়াল করতে পারে,যদিও অল্পের জন্যে।
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
197292
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলেনা। আমি বাস্তবতা দেখেছি। যে পিতা জাতির সব মানুষকে নিজের মত করে না দেখে শুধু দলের লোকদের নিজের মত করে দেখে সে দলের পিতা হবারই অধিকার রাখে। জাতির নয়।
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৫২
197313
অনির্বাণ৯৬ লিখেছেন : স্বাধীনতার পুর্বে যখন পাকিস্তানি শাশকেরা যখন বাংলার মানুষদের শোষণ করছিল তখন কেও এগিয়ে আসে নাই। এসেছে শেখ মুজিব। একটা কথা চিন্তা করবেন মুক্তিযুদ্ধের সকল সেনা অফিসার যেমন কর্নেল তাহের,জিয়াউর রহমান,মহাবীর খালেদ মোশাররফ,শফিউল্লাহ এরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনির প্রতি অনুগত ছিল। তারা কিন্তু কেও আন্দোলন করে নাই। করেছে শেখ মুজিবের নেতৃত্তে সাধারন মানুষ। এত বছর বাংলার মানুশ শেখ মুজিবকে বিশ্বাস করেছিল। তিনি মানুষের বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছিল এই দেশের স্বাধীনতা এনে। মানুষ কত মন ভোলা তাই না? ৫ বছর আগে যেই মুজিব তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিল ৫ বছর পর তারা কিছু সামরিক অফিসারকে সমর্থন করেছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই সামরিক অফিসাররা দেশের স্বাধীনতার পুর্বে কিছুই করে নাই
১১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৪১
197394
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : শেখ মুজিব একা কিছুই করেনি। তার নেতৃত্বে জনগন করেছে। শেখ মুজিব ইচ্ছে করেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল গা বাচাতে এটি স্বত সিদ্ধ। স্বাধীনতা চায়নি। ছেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীত্ব। তাইতো রবের নেতৃত্বে তার গাড়ীতে স্বাধীন পতাকা উড়ালে রাগ করেন। দেশে ফিরে সবদলকে না ডেকে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। নিজের দলের নেতাগুলো ভারতে জামাই আদরে থেকেও এসে মন্ত্রীত্ব পেয়েছে। আর যারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছে তাদের হত্যা করেছে। যাবার আগে জাতিকে কোন নির্দেশনা দিয়ে যায়নি। সর্বশেষ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে দেশের এতগুলো আর্মি অফিসার মেরে নিজেদের এদেশের স্বাদীনতার শত্রুই প্রমান করেছে। সেই সেখ মুজিবের গড়া আওয়ামী দুশাসেনে আজ আওয়ামীলীগের নেতারাও নিরাপদ নয়।
১২ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:২২
197449
অনির্বাণ৯৬ লিখেছেন : আমার মনে হয় আপনি পাকিস্তানকে সমর্থন করছেন। আমি কিন্তু ব্লগটা লেখছি পাকিস্তান বনাম শেখ মুজিব নিয়ে। বাংলাদেশ বনাম শেখ মুজিব নিয়ে নয়। শেখ মুজিব নিয়ে আপনি যেহুতু সন্দেহ প্রকাশ করছেন তাহলে আপনার সমর্থন কিন্তু পাকিস্তানের মদ্ধেই পড়ে। যা হোক ইচ্ছে করে কেও মরণের ফাদে পরতে চায় না। যুদ্ধের আগ্মুহূর্হতে অর্থাৎ ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা ধরে নিয়ে গেছিল তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। ফাসির মঞ্ছও প্রস্তুত করা হয়েছিল। এর আগেও এইরকম অনেক হয়েছিল। ইচ্ছে করে মরতে চায় এইরকম মানুষ মনে হয় শেখ মুজিব ছিল না। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার পরঈ তাকে গ্রেফতার করা হল।আমার মনে হয় আপনি নেতৃত্ত সম্বন্ধে কম বোঝেন। নেতা না থাকলে কর্মীরা কিছুই করতে পারে না।আচ্ছা ঠিক আছে আপনি এমন কোন নেতাকে পছন্দ করেন যিনি স্বাধীনতার পুর্বে পাকিস্তানিদের শোষণের বিরুদ্ধে দারিয়েছিল? ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থাকার জন্য
১২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৫২
197512
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাদের সমস্যা এখানেই। মতের ভিন্নতা পোষন করলেই পাকিস্তান। আমি একজন শেখ মুজিবের কর্ম নিয়ে বলেছি। বাংলাদেশ নিয়ে নয়। বাংলাদেশ নামের ভুখন্ডের স্বাধীনতার পরিবর্তে শেখ মুজিব মন্ত্রীত্ব চেয়েছিল। আপনাদের সাথে কথা বললে সমস্যা। যারা অাওয়ামীলীগ করে সবই মুক্তিযোদ্ধা। বাকী সব রাজাকার। এসব করে দেশটাকে বিভক্ত অনেক করেছেন। মাঠে যে ভাল খেলে আমি তার পক্ষে। একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক আওয়ামীলীগ বিএনপি জামায়াত কোনটিুই হতে পারেনা। যে ভাল কাজ করে তার পক্ষে সে কথা বলবে। কারো কাছে নিজের বিবেক বন্দী রেখে কোন কিছু লিখলে সেটি নিরপেক্ষ হয়ে বলতে পারেনা।
১২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
197513
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাদের সমস্যা এখানেই। মতের ভিন্নতা পোষন করলেই পাকিস্তান। আমি একজন শেখ মুজিবের কর্ম নিয়ে বলেছি। বাংলাদেশ নিয়ে নয়। বাংলাদেশ নামের ভুখন্ডের স্বাধীনতার পরিবর্তে শেখ মুজিব মন্ত্রীত্ব চেয়েছিল। আপনাদের সাথে কথা বললে সমস্যা। যারা অাওয়ামীলীগ করে সবই মুক্তিযোদ্ধা। বাকী সব রাজাকার। এসব করে দেশটাকে বিভক্ত অনেক করেছেন। মাঠে যে ভাল খেলে আমি তার পক্ষে। একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক আওয়ামীলীগ বিএনপি জামায়াত কোনটিুই হতে পারেনা। যে ভাল কাজ করে তার পক্ষে সে কথা বলবে। কারো কাছে নিজের বিবেক বন্দী রেখে কোন কিছু লিখলে সেটি নিরপেক্ষ হয়ে বলতে পারেনা

১২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
197533
অনির্বাণ৯৬ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে মন্ত্যব্য করার জন্য। আমি যদি বলি আপনাদের একটা সমস্যা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বললে আপনারা মনে করেন মানুষ আওয়ামী লীগের সমর্থক? আমি যদি বলি জয় বাংলা বললে আপনারা মনে করেন মানুষ আওয়ামী লীগের সমর্থক? তাহলে আপনি কি বলবেন? শেখ মুজিব পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নেতৃত্ত দিয়ছেন। এখন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে আপনারা মনে করেন আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। শেখ মুজিব পুরো বাংলাদেশের জাতির পিতা। আমি আমার পুর্বপুরুষের কাছ থেকে শুনেছি তার অবদানের কথা,তিনি কেমন ছিলেন। আগের দিনের অশিক্ষিত মানুষেরা খুব সরল সোজা,তারা তো আর বানাইয়া কথা বলেন নাই। শেখ মুজিবকে মন্তৃত্তের অফার দেওয়া হএছিল,কিন্তু তিনি তা প্রত্যখান করেন,শুধু মাত্র দেশের মানুষের জন্য। আপনি যদি সামরিক অফিসার যেমন জিয়াউর রহমান,তাহের কিংবা মহবীর খালেদের নাম স্মরন করেন তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করত যে স্বাধীনতার পূর্বে মুজিবই ছিলেন বাংলার একমাত্র কান্ডারি। তারা সবাই তার নেতৃত্ত মেনে কাজ করেছেন। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনাতেও তিনি বংবন্ধুর আনুগত্য স্বিকার করেছেন।
253180
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
আল সাঈদ লিখেছেন : আপনারাই স্বাধীনতা ভাগ করেছেন কারণ বেশী আবেগ দেখিয়ে অন্যের সত্য কে গোপন করেন।
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
197307
অনির্বাণ৯৬ লিখেছেন : আবেগ মানে? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আপনি আবেগ বলছেন? কতিপয় লোক যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করে তখন ইতিহাসকে সবার সামনে উপস্থাপন করাকে আপনি আবেগ বলছেন? ঠিক বোধগম্য নয়
253442
১২ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:৪২
চির উন্নত মম শির লিখেছেন : মিথ্যা কিচ্ছা আর কত ?
'গান্জা বাবা' কে একটু শান্তিতে থাকতে দেন। মুজিব বাংলার কলন্ক।
১২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:১২
197498
অনির্বাণ৯৬ লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন মুজিব বাংলার কলঙ্ক তবে শুধু তাদের জন্য যারা বাংলার স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ জন্ম নেওয়ার জন্য তারা শুধুমাত্র শেখ মুজিবকে দোষারোপ করে।
254791
১৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:০০
আল সাঈদ লিখেছেন : আমরা তো দেশেই বাস করি তো দেখতেছি তো কে কত দেশকে ভালবাসে। ভারতের একজন ভিক্ষুকের সমান কেহ দেশকে ভালবাসলে ৪৩ বছর পর স্বাধীনতা নিয়ে ব্যবসা করা দেখা লাগতো না। সবার জন্যই প্রযোজ্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File