জামায়াত-শিবির ও ফরিদ আহমেদ রেজা ভাই ও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:২৩:০৩ বিকাল

ফরিদ আহমেদ রেজা ভাইকে ধন্যবাদ।একটু দেরীতে হলেও দুনিয়াতে জান্নাতের সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ও সার্টিফিকেটদাতা ব্যক্তিদের চরিত্রের লুকায়িত দিকটা তুলে ধরেছেন।আরো কয়েক বছর পূর্বে তাদের এই চরিত্রটা তুলে ধরলে হয়ত আমি তাদের বিশ্বাসঘাতকতা ও চরিত্রহীনতার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ পেতাম।

অসংখ্য জনশক্তি জান্নাতের সার্টিফিকেটদাতা ব্যক্তিদের হাতে চরিত্রহীনতার শিকার হয়েছিলেন।একসময় তারা সংগঠণের ভিতরের এইসব বললেও খুব একটা পাত্তা দিতামনা।ধ্যুর মিয়া!যাদের হাতে জান্নাতের সার্টিফিকেট নিচ্ছি,তাদের বিরুদ্ধে অপবাদে লিপ্ত হয়েছেন।আমার আপন বড় ভাই শিবিরের সাথী হওয়ার পরও আমাকে বলতেন,তোমাদের উল্টা পাল্টা বুঝ দেওয়া হয়,তোমাদের কাছে অনেক সত্য লুকানো হয়।তোমাদের কাছে তাদের সকল সত্য প্রকাশ জামায়াত-শিবির ধ্বংস হয়ে যাবে।

কথা শেষ করেই বলতেন,এগুলো তোমার মাথায় ঢুকবেনা।এখন আবেগের উপর আছো তো!আবেগ কেটে গেলে অনেক কিছু বুঝতে পারবা।

তখন ভাইয়ের কথাগুলো না বুঝলেও এখন ভালো সেগুলো বুঝতে পারি।তাদের অপবাদ ও মিথ্যাচারের শিকার সরাসরি নিজে না হলে এগুলো বুঝা কঠিন হয়ে যেতো।

এম্নিতেই একটু বেশী বোকা।মানুষের প্রতারণাগুলো সহজে ধরতে পারিনা।সবাই সামনে যেটা বলে,সেটাকেই সত্য বলে নেওয়াটা জীবনের অনেক বড় একটি ভুল ছিলো।

ফরিদ রেজা ভাই,বাচ্চু ভাই,আব্দুর রহীম সাহেব,শিশির মনির ভাইদের পদত্যাগের ইতিহাস খুব একটা জানতামনা।কখনো জানার প্রয়োজন মনেও করিনি।দায়িত্বশীলরা যতটুকু জানাতেন,ততটুকুতেই জানাটা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করতাম।কিন্তু ঐসব জানার বেশীরভাগই যে অপবাদ ছিলো,সেটা জানার তখন সুযোগ হয়নি।

গতবছরের শুরু থেকেই অনেক অজানা ঘটনা চোখের সামনে চলে আসে।আর যখনই এসব ঘটনার সুবাদে ভিন্নমত শুরু হয়,তখনই অনেকে একযোগে আমার বিরুদ্ধে অপবাদে ঝাপিয়ে পড়ে।

সংস্হার এক সাবেক দায়িত্বশীলার বরাত দিয়েই অপবাদের যাত্রা শুরু হয়।উনার কাছেই ঢাকা মহানগরীর এক দায়িত্বশীল আমার বিরুদ্ধে প্রথম অপবাদ দেওয়া শুরু করেন।উনিও সেই সূত্র ধরে আমার বিরুদ্ধে অপবাদে লিপ্ত হয়ে যান।প্রথমে এটাকে ভুল বুঝাবুঝি মনে করে ঐ মহিলার সাথে অনেক কয় বার যোগাযোগও করেছিলাম।উনি এই যোগাযোগকে কেন্দ্র করে আমাকে নিয়ে নোংরা অপবাদ ছড়াতেও কার্পণ্যবোধ করেননি।

ঐ মহিলা এটার জন্য উনার সাথে দেখা করতে বলেন।শিবিরের ঐ অপবাদদাতা দায়িত্বশীল্ও সেখানে ছিলো।এই দেখা করাকে কেন্দ্র করেও ঐ মহিলা ’এক মহিলার সাথে অন্য ইস্যুতে দেখা করতে গিয়েছি’ নেগেটিভ ঘটনা বানিয়ে প্রচার করেন।এমনকি আমার এক দায়িত্বশীলকে এই অপবাদে শরীক করা হয়।আমার ঐ দায়িত্বশীলের সাথে আগেই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো,আমার বিরুদ্ধে উনি অপবাদে লিপ্ত হওয়ায়।তারপর থেকে বেশীরভাগ সদস্য বৈঠকে আমার বিরুদ্ধে উনার বক্তব্য ছিলো।উনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় কাপরী পরিষদের সদস্য।

তারপর থেকে ঐ মহিলা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অপবাদ বলে বেড়াতেন।উনার বিভিন্ন পোষা কুকুর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এগুলো প্রচার করার সুযোগও পেয়ে যেতেন।এমনকি আমার বোনদের কাছেও উনার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে প্রচার করানোর ব্যবস্হা করেছিলেন।

পরে জেনেছিলাম,উনার হাজবেন্ডও উনার সাথে এই মহান ঈমানী দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শিবিরের দায়িত্বশীলের চরিত্র দেখে প্রথম আপবাদের দিনই সদস্যপদ ও দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলাম।

এই ঘটনাকে ব্যক্তিগত মনে করেছিলাম।কিন্তু জাশির এই ঘটনাগুলো যে তাদের চারিত্রিক সমস্যা,সেটি বুঝতে আরো সময় লেগেছিলো।

ঐ একই মহিলা ফেসবুক সেলেব্রেটী হওয়ার সুবাদে সাবেক দায়িত্বশীলের সাথে উনার পরিচয় ঘটে।(ঐ দায়িত্বশীলটি সংস্কারপন্হী)।উনার সাথে যথেষ্ট অন্তরঙ্গতার সৃষ্টি হয়।উনার অনেক ব্যক্তিগত বিষয় উনি জেনে যান।

হঠাৎ করেই ঐ মহিলা উনার বিপক্ষে অবস্হান নিয়ে নেন।উনার বিরুদ্ধে অপবাদে লিপ্ত হয়ে যান।ফেবুত বীরত্বপনা পোস্ট দিয়ে উনার বিরুদ্ধে লিখেন।এমনকি ব্লগেও উনাকে কেন্দ্র করে লেখালেখি করেন।

শিবিরের দায়িত্বশীলদের পরিচয়ের সুবাদে তাদেরকে দিয়ে উনাকে মারার হুমকি দেয়।উনার বোনকে নিয়ে কুৎসা রটানোতে লিপ্ত হন।ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করেন বিধায় উনার হাজবেন্ডের পরিচিত বসকে দিয়ে উনাকে ট্রান্সফার করান।উনার বাসায় উনি গিয়েছিলেন বিধায় সেটাকে নিয়েও মিথ্যাচারে লিপ্ত হন।

আবার শিবিরের কোন দায়িত্বশীল উনার আচলের নিচে লুকিয়ে বীরত্ব পোষণ করে থাকেন।

শিবিরের দায়িত্বশীলরাও ঐ মহিলাকে কেন্দ্র করে কারো কারো বিরুদ্ধে অবস্হান নিয়ে থাকেন।

২০১৪ এর শেষদিকে কেন্দ্রীয় সংগঠণের মিথ্যাচার নিয়ে লেখায় একজন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীয়েট সরাসরি অপবাদে লিপ্ত হন।আরেকজন উল্টা পাল্টা বকা শুরু করেন।কিন্তু যখন প্রমাণ হাতে ধরিয়ে দেই,তখন নিশ্চুপ হয়ে যান।

যাদের পূর্বসূরীরা একই চরিত্র দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে ব্যস্ত ছিলেন,তাদের উত্তরসূরীরা কিভাবে এর চেয়ে ভালো চরিত্র শিখতে পারে!

অনেক জেলা,মহানগরী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাথে সম্পর্কের সুবাদে এখনো অনেক ঘটনা কানে চলে আসে।এইটুকু বলেই তাদেরকে চুপ করিয়ে দিতে হয়,এই চরিত্রধারী ব্যক্তিদের দিয়ে ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতে থাকেন।আর তাদের হাত থেকে শপথের মাধ্যমে জান্নাতের সার্টিফিকেট নিতে থাকেন।তা নাহলে আপনার আবার জাহেলিয়াতের মৃত্যু হবে।

গতবছর থেকেই তাদের হাত থেকে জাহান্নামের সার্টিফিকেট পেয়ে গেছি।অনেকে হিজবুত তাহরীর,জঙ্গী,অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত,বহিস্কৃত সদস্য উপাধি দিয়ে নিজেদের জান্নাতী রুপেই রাখতে চেয়েছে।যদিও তাদের চরিত্রহীনতা অনেকেই দেখতে পেয়েছে।

চোরেরা নিজেরা মিলে একটি দল চালু করে।মদখোর ও গাঁজাখোরেরাও গ্রুপ করেই নিজেদের কাজ সফল করে থাকে।তাহলে ইসলামের নামে চরিত্রহীনেরা ইসলামের সাথে গাদ্দারী করতে পারবেনা।

নিজেদের গ্রুপে এক চরিত্রহীন আরেক চরিত্রহীনকে জান্নাতের সার্টিফিকেট দেওয়া কঠিন কিছু নয়।

দেওয়ানবাগী দুনিয়াতেই অনেককে জান্নাত পাইয়ে দেয়।আবার তার মুরিদরাও তাকে নবী সমতূল্য বানিয়ে দেয়।

আবার হয়ত একদল অপবাদে লিপ্ত হয়ে যাবে।কেউ কেউ কুৎসা রটাবে।আবার কেউ কেউ তার পোষা কুকুরও লেলিয়ে দিতে পারে।

সবই ইসলামী আন্দোলন…….অপবাদ দেওয়া যাবে,মিথ্যাচার করা যাবে,কুৎসা রটানো যাবে,ফেবুতে দাওয়াতের উদ্দেশ্য পর্ণো দেখা যাবে।তারপর পর্ণোবিরোধী দেওয়া যাবে।এই সবগুলোতেই সওয়াব রয়েছে,এতে বিন্দুমাত্র গুনাহ নেই।এই সবগুলোই ইসলামী রাজনীতির অন্তর্ভুক্ত। 

মূল কথা হলো,আল্লাহ যদি চরিত্রহীনদের দিয়ে ইসলামের বিজয় দিতেন,তাহলে জামায়াত-শিবির দিয়ে অনেক আগেই ইসলামের বিজয় হয়ে যেতো।কিন্তু গাদ্দারী চরিত্রধারীদের দিয়ে আল্লাহ ইসলামের বিজয় দেননা।

বিঃদ্রঃএটা এহতেসাবও নয়,সংশোধনীও নয়।জাস্ট কিছু ধর্মব্যবসায়ীদের ইসলামী চরিত্র তুলে ধরেছি।

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343719
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
শেখের পোলা লিখেছেন : অতএব, আপনি এখন নিজেই একটা ইসলাম কায়েমের উপুযুক্ত সংগঠন খুলে ফেলুন, যাতে আপনার জানা দোষগুলো থাকবে না৷ তার মাধ্যমে আল্লাহ ইসলাম কায়েম করেও দিতে পারেন৷
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৯
285147
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : ভাই,ইসলাম কায়েম জিনিসটা ব্যাখ্যা করলে উপকৃত হইতাম।আর সংগঠণের বানানোর ফায়দাটাও বইলেন।আবার দল না করার কারণে জাহান্নামী বানিয়ে দিয়েননা।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:৩৪
285173
রক্তলাল লিখেছেন : @শেখের পোলা ভাই - এই লোকের কাহিনী আন্দোলন ফান্দলন কিছু না। মেয়ে ঘটিত পেজগি। তার বাকি লেখা পড়লে বুঝবেন।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৮
285183
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : রক্তলাল --ঘটনা হলো,ভিন্নমত হলে নিজের দলের মেয়েদেরকে দিয়ে অপবাদ বানিয়ে দিয়ে হলেও নিজেদের ইসলামকে জায়েজ করতে হবে।হোক সেটা অনৈতিক পথে ও অশ্লীলতা ধরে...চালিয়ে যান রে ভাই,আপনাদের জন্য জাশি যথোপযুক্ত স্হান।Happy
343729
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫১
রক্তলাল লিখেছেন : বেকুব Happy
343731
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : মূল কথা হলো,আল্লাহ যদি চরিত্রহীনদের দিয়ে ইসলামের বিজয় দিতেন,তাহলে জামায়াত-শিবির দিয়ে অনেক আগেই ইসলামের বিজয় হয়ে যেতো।কিন্তু গাদ্দারী চরিত্রধারীদের দিয়ে আল্লাহ ইসলামের বিজয় দেননা।

চরমভাবে একমত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৩
285154
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : ভাই,তাদের বদদোয়ার কবলে পড়ে যাবেন তো!তখন কিন্তু আমার দোষ দিতে পারবেননা।
343763
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২০
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

লিখাটি পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে, কিছু ব্যাক্তির হীনমন্যতার জন্য, সীমাবদ্ধতার জন্য পুরো সংগঠনকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন. ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রত্যাশা জামায়াত-শিবির 'আমরা সঠিক' এ ধারনার বাহিরে এসে কোরান ও হাদিস এর আলোকে তাদের কার্যক্রম পুনঃ রিভিউ করবে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫০
285184
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : ব্যক্তি দিয়েই সংগঠণ হয়।আর ব্যক্তিরাই সংগঠণের নীতিমালা ঠিক করেন।তারাই তাদের মতের পক্ষে সংগঠণকে পরিচালনা করেন।সুতরাং সংগঠণ অনুমোদন করেেএমন দোষ ব্যক্তির দোষ নয়,সেটা সংগঠণেরই দোষ।
343777
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:৩৩
রক্তলাল লিখেছেন : ভাইজান - টারে টক্কর মার্কা লেখা দেখে যা বুঝা যাচ্ছে -
(আপনার বাকি লেখাগুলাও পড়লাম)

আপনি কোনো বোরকাওয়ালীর প্রেমে পড়ে বেশ পাক্কা মুসলমান বনে গিয়েছিলেন। জামাতকে মনে হয়েছিল জান্নাতবাসীর দল আর শিবিরকে মনে হয়েছিল পূণ্যের দিশারী।

একসময়ে সমাজের নিয়ম কানুন না মেনে বিয়ে করার পরে মেয়ে আপনার সাথে "ধোকাবাজি (আপনার মতে)" করে জেলের ভাত খাইয়েছে। আর তাতেই বিধিবাম। এখন জামাত শিবির ইসলামী আন্দোলন সব ভূয়া?
আপনাদের মত পাবলিকদের জায়গা জেল না, সোজা পাগলা গারদ!
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫১
285185
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : ভাইজান মনে হয়,এক জায়গার কথা আরেক জায়গায় ঝাড়তেছেন।মাথাটা ঠিক করে আসুন।
343781
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৩৪
স্বপন১ লিখেছেন : @রক্তলাল , আপনার ধৈর্য্য থাকা দরকার।
এ পর্যন্ত জামাত ও শিবির চার বার বিভক্ত হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫২
285186
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : আগামীতে আরো বিভক্ত হবে।ঢাবি সভাপতি উনার ফেবু ওয়ালে সরাসরি অনেক কাজের সমালোচনা করেন।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২১
285279
রক্তলাল লিখেছেন : জামাত শিবির বিভক্ত হল কি না তা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়।
আমি কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত মান অভিমান এবং অপরিপক্ক বুদ্ধির মাধ্যমে generalizaton এর কথা বলছি।

এরকম জেনারালাইযেশন তাসলিমার মত পাবলিক করে। সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতা দেখে পুরুষ, ধর্ম এসবের প্রতি ঘৃণা। ব্যাপারটা সমান রকমের স্টেরিয়টাইপ রকমের চিন্তা বা বুদ্ধির প্রসেস।
০১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:২২
285292
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপনি একজনকে ধৈর্য্য ধরার কথা বলছেন। সাথে এও বলছেন চারবার বিভক্ত হয়েছে। তো এই চারবার বিভক্ত (??) হয়েছে কি রক্তলালদের কারণে নাকি যারা অাদতেই অধৈর্য্য (মানে অাপনাদের মতো) তাদের কারণে??
আমাদের রাসূল সাঃ কোন কাজ আগে নিজে আঞ্জাম দিতেন, পরে অন্যকে সে ব্যাপারে উপদেশ দিতেন।
343905
০১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:১৬
ইবনে হাসেম লিখেছেন : মন্তব্যের প্রথমেই আমি রক্তলাল ভাইয়ের পূর্বোক্ত মন্তব্য হতে কোট করতে চাইঃ আমি কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত মান অভিমান এবং অপরিপক্ক বুদ্ধির মাধ্যমে generalizaton এর কথা বলছি।

এরকম জেনারালাইযেশন তাসলিমার মত পাবলিক করে। সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতা দেখে পুরুষ, ধর্ম এসবের প্রতি ঘৃণা। ব্যাপারটা সমান রকমের স্টেরিয়টাইপ রকমের চিন্তা বা বুদ্ধির প্রসেস।"

মূলতঃ লিখাটির বৃহদাংশই লিখকের ব্যক্তিগত খারাপ অভিজ্ঞতা সঞ্জাত। একজন, দুইজন বা কয়েকজনের খারাপ অভিজ্ঞতা দিয়ে জা-শির মতো একটা বিরাট মহীরূহের বিচার করতে যাওয়া নিরেট বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে তাঁর নিজের কল্যাণ তো হবেই না এমনকি মূল সংগঠনেরও কোন কল্যাণ হবেনা। হয়তঃ মূল সংগঠনের প্রতি সাময়িক একটা বিদ্বেষভাব সাধারণের মনে জাগানো যাবে, যা প্রকারান্তে সংগঠনের ফেভারেই যাবে। বাচ্চু ভাই, মুহতারাম মাওঃ আব্দুর রহীম সাহেবদের চলে যাওয়ায় সংগঠনের কি কোন ক্ষতি হয়েছে বলা যাবে? নাকি তাঁরাই কোন বড় মানের লাভবান হয়েছিলেন? সংগঠন সেসময় থেকেও মাশাআল্লাহ বহুদূর এগিয়ে গেছে, উনারাই পিছে পড়ে আছেন। মহীরূহ ইজ্ মহীরূহ। বলা হয় হাতি খাদে পড়লে একটা পিঁপড়াও তাকে কামড় দেবার সাহস করে। আকলমন্দ কে লিয়ে ইশারা হি কাফি।
বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও মুসলমানদের বর্তমান দুর্দশার জন্য অাসল দায়ী কে? ইসলাম নাকি ইসলামের লেবাসধারী এই আমরা, যারা এখনো ইসলামের মূলমন্ত্র আল কোরআনকে চুমু খেয়ে তাকের উপরে তুলে রাখাকেই ইসলামের ইজ্জত মনে করি। তাই, এভাবে ওপেন সমালোচনা নয়, যদি আন্দোলনের প্রতি এতটুকুও দায়বদ্ধতা স্বীকার করেন তাহলে এহতেসাব করুন, ফেবু আর ব্লগে দলের ওপেন সমালোচনা নয়। এটা কখনোই সংগঠনের জন্য বা নিজের জন্য কল্যাণকর নয়। জা-শি কখনোই দাবী করেনি যে তারা ফেরেশতার দল। ভূল ভ্রান্তি সবারই আছে। জা-শি এতদিনেও ইসলাম কায়েম করতে পারেনি বলে তার কর্মীদের চরিত্রের প্রতি যে কু-ইংগিত করলেন, তাতে কি আপনার জান্নাতের সার্টিফিকেট প্রাপ্তি নিশ্চিত করে ফেলেছেন? না বরং উল্টোটাই হয়েছে, একটু সময় নিযে চিন্তা করে দেখবেন ঠিক কিনা। মাওঃ রহীম বা বাচ্চু ভাইরা তাঁদের ব্যক্তিগত কারণে সরে গেলেও জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য দেন নি, এটাই শরাফতের দাবী। কিন্তু ফরিদ রেজা সাহেব এতদিন চুপ থেকে এখন কোন শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে এমন কাজটি করলেন তা তিনি ও তাঁর আল্লাহই ভালো বলতে পারবেন। তিনি তো তাঁর এই অভিযোগ বা ক্ষোভ অন্যভাবেও দ্বীনের দায়ীদের নিকট পৌঁছাতে পারতেন, এবং তা তখনই করতে পারতেন। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন।
আপনার প্রতিও আহবান ফেবু ও ব্লগে এমন অকর্মটি না করে তওবা করুন, আত্মসমালোচনা করুন।
০১ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
285315
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : আপনার জন্য করুণা হচ্ছে।আল্লাহ আপনাকে ইসলামকে পরিপূর্ণ বুঝার তৌফিক দিন।
আপনি কোন ফোরামের সদস্য ছিলেন জানিনা।সংগঠণকে কতটুকু দেখেছেন,সেটাও জানিনা।সেই দেখাটা আওয়ামী দেখার মতও হতে পারে।শেখ হাসিনার ভুলকে তার কোন নেতা-কর্মী ভুল বলেনা।ছাত্রলীগের চরিত্রকে উনারা কেউ খারাপ বলেননা।তবে আমি যে চরিত্রহীন বলি,সেটা ইসলামের সংজ্ঞায় বলে থাকি।আপনার ইসলামের বুঝ ও আমার ইসলামের বুঝ এক নয়।যদি এক হতো,তবে আমি আপনার মতই মনোভাব পোষণ করতাম।
আল্লাহই ভালো জানেন,কে সঠিক পথে অাছে।
০১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:০৮
285364
স্বপন১ লিখেছেন : @ইবনে হাসেম ,We were there, during that time(1982). Facts are 100%
true. Reja Bhai wrote 100% right. Nothing wrong there.
344118
০৩ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:০৭
ইবনে হাসেম লিখেছেন : @ বদর বিন মুগীরাঃ ভালো সবাই সবার জন্য করুণা করুন, ক্ষতি নাই। তবে ক্ষতি তখনই যখন একটা বৃহৎ, সংগ্রামী ও আপোষহীন ইসলামী দলের বিরুদ্ধে যখন বিশ্ব মোড়লরা একজোট হয়ে লেগে যায় তার ধ্বংস সাধনে তখন আপনাদের মতোরাও তার সাথে মোনাফেকিতে নেমে পড়েন। আপনি আপনার মন্তব্যের শেষে স্বীকার করছেন যে কে সঠিক পথে আছে তা আল্লাহই ভালো জানেন; তাহলে আমার প্রশ্ন যেখানে নিজের অবস্থান নিয়ে সন্দিহান, সেখানে কোন বুদ্ধিতে আপনি দেশের বৃহৎ ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে চালিত ষড়যন্ত্রমূলক লিখাকে সাপোর্ট করেন? আমার এই প্রশ্নের পেক্ষাপট বুঝতে হলে স্বপন১ কে দেয়া কমেন্টটিও পাঠ করুন।
@স্বপন১ ঃ আপনি বলেছেন রেজা ভাইর লিখা ১০০% সঠিক। ভাই আমাকে কি আপনি তাহলে নিচের প্রশ্নগুলোর জবাব দিবেন?
১) যদি তার লিখা ১০০% সঠিক-ই হবে তাহলে এতোদিন কেন তা প্রকাশ করা হয়নি?
২) যদিও ৩৩বছর পরে প্রকাশ করা হলো, তবে তা প্রকাশে এমন সময়কে কেন বেছে নেয়া হলো, যখন জা-শির ইতিহাসে সবচাইতে কঠিন সময়টি পার করছে তারা? এটাতে কি লিখক নিজেকেই একজন সুযোগ সন্ধানী এবং কুফ্ফারদের দোসররূপে প্রমাণিত করলেন না? ৩৩ বছর ধরে মনে পুষে রাখা ক্ষোভ ও না পাওয়ার দুঃখকে এখন প্রকাশ করে তিনি কি জা-শির উপর নিজের ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে চাইছেন না, যা কিনা ইসলামী শরীয়ায় সম্পূর্ণ ভ্রান্ত পথ।
৩) সাধারণতঃ আমেরিকার পেটে বসে ইসলামের বিরুদ্ধে যারা লিখে তারা হলো তাসলিমা নাসরিন জাতীয় লোক যারা মনেপ্রাণে ইসলামের শত্রুতা সাধনে ব্যস্ত। এখন যদি রেজা ভাইকেও কেউ তাসলিমাদের গ্রুপে ফেলে দেয়, তাহলে আপনি তাকে কিভাবে দোষারোপ করবেন? তাসলিমা গ্রুপের লোক কাকে বলে জানেন তো? ইসলামের শত্রুদের তথা ইউরোপ আমেরিকার পেইড দালাল এগেইনস্ট ইসলাম

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File