তরুণীদের জন্য স্বাস্থ্য পরামর্শ

লিখেছেন লিখেছেন রোয়ান অ্যাটকিনসন রাসেল ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:১৯:৪৬ রাত

টিনেজার তরুণীদের সুস্থ ও সাবলীল থাকতে নিয়মমাফিক জীবনাচারের অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন চিকিৎসকরা। পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত আহার, শরীরচর্চা আর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখলে সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব। টিনেজার তরুণীদের সুস্থ থাকতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরা হলো।

১) পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে দিন শুরু করুন। এতে আপনার শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া যেমন সুস্থ-সবল থাকবে, একই সঙ্গে রক্ত পরিশুদ্ধ করবে। সাধারণত, দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে শরীরের ওজন ও পরিশ্রমের মাত্রাভেদে কিছু তারতম্য হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পানে আপনার শরীর থেকে মূত্রের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়, ওজন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়।

২) প্রতিদিন সুনির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সাধারণভাবে, টিনেজ মেয়ে বা ছেলেদের কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমকে স্বাভাবিক হিসেবে গণ্য করা হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে কাজের সময় মনোযোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, দুশ্চিন্তা কমায়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে হালকা জগিং বা ব্যায়াম করুন। সাইকেল চালানো বা হাঁটাও ভাল ব্যায়াম।

৩) প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে সকালের নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস করুন। বেশি দেরি করবেন না বা নাস্তা কখনও বাদ দেবেন না।

৪) জাঙ্ক ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার ও অস্বাস্থ্যকর যে কোন খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের অভ্যাস করুন। উচ্চ প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। যে কোন খাবার খাওয়ার আগে স্বাদ নয়, বরং খাবারের পুষ্টিমানের ওপর অধিক গুরুত্ব দিন।

৫) খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। পেট সামান্য খালি রেখে খাবার খান। এতে আপনার হজমক্রিয়া শক্তিশালী হবে।

৬) টিনেজ বয়সের মেয়েদের জন্য সপ্তাহে ৩-৫ বার শরীরচর্চা অপরিহার্য। ২০ থেকে ৩০ মিনিটের ব্যায়ামই আপনার শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।

৭) সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিচ্ছন্ন থাকা অন্যতম পূর্বশর্ত। সকালে উঠে ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালভাবে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক থাকবে পরিষ্কার ও মসৃণ। ঘুম থেকে উঠে, ভারি খাবার খাওয়ার পর ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করুন। তিনবার সম্ভব না হলে অন্তত দু’বার ব্রাশ করুন। বাইরে কোথাও গেলে বা বাড়ি ফিরে আগে হাত-মুখ-পা ধুয়ে শোবার ঘরে প্রবেশ করুন।

৮) দাঁড়ানোর সময় সোজা হয়ে দাঁড়ানোর অভ্যাস করুন। ডেস্কে বসে কোন কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখুন।

৯) আত্মবিশ্বাসে নিজেকে বলীয়ান করে তুলুন। বিচলিত না হয়ে দৃঢ়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কোন আঘাতে বা ব্যর্থতায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন না।

১০) যে কোন সমস্যার কথা পিতামাতা বা ঘনিষ্ঠ কোন বান্ধবীর সঙ্গে শেয়ার করুন। পিতামাতার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

বিষয়: বিবিধ

১২২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File