মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নাই !

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ১২ জুলাই, ২০১৪, ১০:৪৫:২৬ রাত

গত পাঁচদিন ধরে প্যালেস্টাইন অধিভূক্ত গাজায় মৃত্যুর মিছিল চলছে । আরব বিশ্বের জন্য ‘বিষ ফোড়া’ খ্যাত ইহুদী জঙ্গী ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলীয় বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৩২ জন মুসলমান শাহাদাৎ বরণ করেছে । গভীর রাতে এবং দিনে চালানো বিমান এবং রকেট হামলায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগ নারী এবং শিশু । জাতিসংঘ থেকে প্রকাশিত তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত যারা শাহাদাৎ বরণ করেছে তাদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশই বেসমারিক নাগরিক । গত কয়েকদিনে ইসরাইলী বাহিনী সহস্রাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে । আক্রমনের পঞ্চম দিনে তারা ৬০টির বেশি বিমান হামলা চালায় । ইসরাইলী জঙ্গি গোষ্ঠীর চালানো রকেট হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮৯০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছে । চিকিৎসা এবং খাদ্যে ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে । স্বজন হারানোদের প্রলাপ এবং আহাজারীতে শুধু প্যালেস্টাইন নয় বরং গোটা বিশ্বের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে । ইসরাইলের বর্বর বাহিনী ঘুমন্ত গাজাবাসীর উপর গভীর রাতে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে । ছোট্ট শহর গাজায় প্রায় আঠারো লাখ মানুষ প্রবল উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছে । কারো কোন নিরাপত্তা নাই । নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়াও কোন সুযোগ নাই। কখন কার জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পরবে তা কেবল স্রষ্টাই ভাল জানেন । সর্বশেষ ২০১২ সালের পর অনেকদিন বিরতির দিয়ে হঠাৎ করে ইসরাইলের হিংস্র জঙ্গীরা কেন নিরীহ হামাসদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তার যৌক্তিক কোন কারন এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি । তবে ইসরাইলীয় কর্তৃপক্ষ দাবী করছে, ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলা প্রতিহত করার জন্যই তারা বিমান হামলা চালাচ্ছে । ইসরাইলী কর্তৃপক্ষের এ দাবী মিথ্যাচারের সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে । কেননা ফিলিস্তিনবাসী যদি ইসরাইলের উপর রকেট হামলা চালায় তাতে ইসরাইলের কোন নাগরিক আহত বা নিহত না হয়ে পারে না । অথচ এখন পর্যন্ত ইসরাইলের একজন ইহুদীও কোন প্রকার আঘাতপ্রাপ্ত হয় নি । ইসরাইলের এ বর্বরোচিত হামলার পরেও বিশ্বের মোড়ল সম্প্রদায় চুপ করে আছে । তাদের চুপ থাকাই প্রমান করছে তারা ইহুদীদেরকে মুসলিম নিধন কাজে ব্যবহার করছে । অপরদিকে সকল জাতির নিরাপদ সংঘ হিসেবে তকমা লাগানো জাতিসংঘ থেকে এ হামলা বন্ধের জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না । বরং তারা দর্শকের ভূমিকা পালন করছে । মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলন নিয়ে যারা অহনিশি গলা ফাটায় সেই মানবাধিকার সংঘঠনগুলোর কোন খোঁজ নাই । ফিলিস্তিনে মানবাধিকারের এমন লংঘনের পরেও তাদেরকে কোন বিবৃতি দিতে দেখা যাচ্ছে না । সত্য কথা বলতে কি, তারা যেন বুঝাতে চায়, কুকুর শিয়ালের অধিকার রক্ষা করতে পারি কিন্তু মুসলমানদের আবার মানবাধিকার কী ? গোটা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মুসলমান হলেও মুসলমানদের জন্য মুসলমানদের টান-ভালবাসার প্রকাশ তেমনভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে না । মুসলিম দেশগুলোর শাসকদের মধ্যে চরম শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের সুযোগ কাজে বজ্জাত জঙ্গী ইসরাইলের কুলাঙ্গাররা গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানের মুসলমানদের উপর অত্যাচার করার সাহস পাচ্ছে । কাজেই মুসলমানদের ঐক্যহীনতার সুযোগ নিয়ে শত্রু-হায়েনারা মুসলামনদেরকে আক্রমন করার যে স্পর্ধা দিখেয়েছে তার পিছনে মুসলমনরাই বহুলাংশে দায়ী । নিজেদের মধ্যে চরম অনৈক্য শত্রুদেরকে মুসলিম নিধনে সুযোগ করে দিচ্ছে । ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, মুসলামনরা কোন জাতির মোকাবেলায় শত্রুর সংখ্যায় বিশ্বাসী ছিল না বরং তাদের ঈমানী শক্তিতে বিশ্বাসী ছিল । অথচ অজকের মুসলমানদের অধঃপতনের ফলে মুসলমানরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হচ্ছে । যার সুচনা হয়েছে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনীদের আক্রমনের মধ্য দিয়ে এবং এর সমাপ্তি যদি আমাদের দিয়ে হয় তবুও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।

ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের শত্রুতার শুরু বর্তমান শতাব্দী থেকে নয় । এ শত্রুতার শুরু ইসলাম ধর্ম প্রসারের প্রারম্ভ থেকে কিংবা তারও পূর্ব থেকে । স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে নিষেধ করার পরেও মুসলানদের একাংশ ইহুদীদেরকে বন্ধু রুপে গ্রহন করেছে । কাজেই আল্লাহর আদেশকে যারা অমান্য করেছে তাদের অধঃপতন হবে না এ কথা ভাবাও পাপ । মুসলমানরা মুসলমানদের ক্ষতিতে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে । কখনো আর্থিক আবার কখনো পরামর্শ দিয়ে । আরব বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর শাসকদের মধ্যে পরস্পর রুদ্ধ সম্পর্কের কারনে তাদের একজন অন্য জনকে দাবিয়ে রাখার জন্য মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রুদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করছে । ইসলাম এবং মুসলমানদের পরোক্ষ শত্রুরা মুসলিম শাসকদের এ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয় এক পক্ষের মাধ্যমে অন্য পক্ষের শক্তিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে । যখন তাদের এ কৌশলও কাজে আসছে না তখন ইসরাইল বাহিনীকে ব্যবহার করে গাজার ধর্মভীরু মুসলামানদের ধ্বংস করছে । জীবনের সাথে ধ্বংস করে দিচ্ছে সম্পদও । বিশ্বের বর্তমান পরাশক্তিগুলো মুসলামনদের ধ্বংস দেখছে আর মুখ টিপে হাসছে । অথচ মুসলমানদের সাথে যে আচরণ করা হচ্ছে এই আচরণ যদি অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদের সাথে করা হত তবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কত ধরনের আক্রমনের প্রস্তুতি নেয়া হত তার কোন সীমা-পরিসীমা নেই । জাতিসংঘের ভূমিকা দেখে তখন বিস্ময় না হয়ে পারা যেত না । যদিও মুসলমানরা অন্যকোন ধর্মাবলম্বীদের সাথে এমন কোন আচরণ করে না তারপরেও কয়েকটি উগ্রপন্থি মুসলিম গোষ্ঠী মাঝে মধ্যে ইসলামকে অপব্যাখ্যা করে এমন কিছু কর্মকান্ড করে যা ইসলাম আদৌ সমর্থন করে না । এ সুযোগেই ইসলামের শত্রুরা গোটা মুসলিম সমাজকে দোষারোপ করে নানাভাবে মুসলমানদেরকে বিপর্যস্ত করে । বিশ্ব মোড়লদের আচরণ দেখলে মনে হয় মানবাধিকার কেবল অমুসলিমদের জন্য । মুসলিমদের জন্য কোন মানবাধিকার নাই । এমনকি বর্তমান বিশ্বে পশু-পাখির প্রতি যতটুকু মানবতা প্রদর্শন করা হচ্ছে তার কিঞ্চিৎ পরিমানও মুসলমানদের জন্য প্রদর্শন করা হয় না । যার বড় প্রমাণ গাজার মুসলিমগণ । সামরিক শ্রেণীর মধ্যে যুদ্ধ বাধা অস্বাভাবিক নয় তবে অসহায় শিশু এবং নারীদেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় বোমা মেরে কিংবা গুলি করে মেরে ফেলা কোন ধরণের আচরণ ? হায়েনারা এ ভাবে উল্লম্ফন শুরু করল কেন ? তাদের এ নগ্ন উল্লম্ফন দেখে আজ হিটলারকে খুব বেশি মনে পড়ছে । মুসলামনদের অসহায়ত্ব দেখে মনে হচ্ছে, হিটলার যদি আর কয়েক বছর বেঁচে থাকত ! আজ যে হিটলারকে বড় বেশি প্রয়োজন । ৬০ লাখ ইহুদী নিধনকারী হিটলারের আগমন না ঘটুক অন্তত মুসলমানদের স্বার্থেই মুসলমানদের মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ানো উচিত মনে পড়ছে হিটলারের সে বানীটিও । তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চাইলে দুনিয়ার সব ইহুদীদেরকে হত্যা করতে পারতাম কিন্তু আমি কিছু ইহুদী বাঁচিয়ে রেখেছি । যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে কেন আমি ইহুদী হত্যায় মেতিছিলাম’ । মুসলমানরা যদি এখনো পরস্পরের মধ্যে হানাহনিতে লিপ্ত থাকে তবে গাজার পর অন্যকোন শহর আক্রমন করবে না, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পর অন্য কোন জনপদের মুসলমানদের মেরে ফেলবে না তার নিশ্চয়তা কে দিতে পারে । মুসলমান আর কতকাল মুসলমানদের শত্রুতা করবে ? আর কতকাল ঘুমিয়ে কাটাবে ? আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত শত্রুদের পরিকল্পনা থেকে । বারাক ওবামা যখন আইসিসদের দমন করার জন্য ইরাক আক্রমন করার পরিকল্পনা নেয় তখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামীন নেতানিয়াহু তাকে নিষেধ করে । কেননা এখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুসলমানরাই লড়াই করছে । যাদের শক্তিই খর্ব হোক না কেন ফলাফলে মুসলমানদের শক্তিইতো খর্ব হচ্ছে । তাদের এ চক্রান্তের পরেও কি আমরা শিক্ষা গ্রহন করব না ? কিসে আমাদের শিক্ষা হবে ? মুসলমান নামধারী যে কুলাঙ্গাররা ইসলামের ক্ষতি করছে তাদের মুখোশ উম্মোচিত হলেই মুসলমানরা অনেক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে ।

বিশ্ব মোড়ল এবং যারা মানাবাধিকার নিয়ে চিল্লা-পাল্লা করেন তাদেরকে আহ্বান করব অন্ধ না হওয়ার জন্য । সত্য কে দেখতে শিখুন, সত্য বলতে শিখুন । গাজায় যা হচ্ছে এই কি তোমাদের মানবতা ? আর কত মুসলমানকে মারার পর তোমরা বলবে এখনো মানবাধিকার লংঘিত হয়নি ! নাকি মুসলমানদের জন্য কোন মানবাধিকার তোমাদের কাছে নেই ? এক চোখা দৈত্য হয়োনা । যুদ্ধ করার সাহস থাকলে রনাঙ্গনে ঘোষণা দিয়ে আস । ঘুমন্ত নারী এবং শিশুদেরকে হত্যা করা সুপুরুষতা নয় বরং কাপুরুষতার লক্ষণ । ফিলিস্তিনবাসীর কাছে মুসলমানদের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রর্থণা করছি, আমাদেরকে মাফ করো । আমরা কাপুরুষ, তোমাদের জন্য দোয়াও ঠিকমত করতে পারছি না । আমাদের ঈমানী দুর্বলতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতেও ভয় হয় । আল্লাহ আমাদের উপর গজব নাযিল করেন কিনা । আমাদের মা, ভাই, বোন, সন্তানদেরকে হত্যা করা হচ্ছে অথচ আমরা নিশ্চুপ । কেউ আবার হাজার মাইল দূরে বসে ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাজার গণহত্যা বন্ধের জন্য বিশ্বের মোড়লদের কাছে আকুতি জানাচ্ছে । আরে বেকুবের দল ! যে অন্ধেরা গাজার অবস্থা দেখে ইসারইলের জঙ্গী, অমানুষদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা তোমার ব্যানার কিংবা ফেস্টুন দেখে গাজার গণহত্যা বন্ধ করবে তা ভাবছ কোন যুক্তিতে । কুকুর দমাতে মুগুর দরকার । ওহে মুসলমানবৃন্দ ! প্রস্তুতি হও। আর আল্লাহর কাছে বেশি বেশি সাহায্য প্রার্থনা কর । মুসমানদের পূর্ব পুরুষদের থেকে শিক্ষা নিতে হবে । কেবল ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সামনে আগাতে হবে । কেবল মাথায় পাগড়ী পেঁচিয়ে মসজিদে বসে আল্লাহু আল্লাহু করলেই দায়িত্ব হবে না বরং শত্রুদেরকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে হবে । মুসলমানদের শত্রুরা মুসলমানদেরকে যত দূর্বল অবস্থায় পাবে তত বেশি চেপে বসবে । গাজার কথা ভাবলে নিজেদের উপর ধিক্কার আসে কারন তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না । গাজার মুসলমানদের জন্য কিছু না করতে পারি অন্তত ইসরাইলের হায়েনাদের জন্য কিছু করি ! একটু সচেতন হলেই আমরা ইসরাইলদের মূল শক্তি অর্থ্যাৎ তাদের অর্থনৈতিক শক্তিকে দূর্বল করে দিতে পারি । তাদের উৎপাদিত কিংবা তাদের সাহায্যে ব্যয় করা হয় এমন পণ্য ক্রয় আজ থেকে বর্জন করি । আপনার আমার এবং সকল মুসলমানদের টাকায় অস্ত্র উৎপাদন করে সেই অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাইদের বুকে গুলি চালাতে যেন আর সাহায্য না করি । আমরা বাহ্যত অসহায় । আমাদের এ অসহায়ত্ব অবস্থা সৃষ্টির পিছনে আমরাই দায়ী । কাজেই আমাদের উচিত ফিলিস্তিনিসহ বিশ্বের যত স্থানে মুসলমানরা অত্যাচারিত হচ্ছে তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা । বিশ্ব মোড়লদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান- অচিরেই নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনের মুসলমান নর-নারী এবং শিশুসহ সকলের উপর হামলা বন্ধ করুন । বাংলাদেশের সকল মুসলমানদের পক্ষ থেকে ইসরাইলদের উপর ঘৃণা প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বের নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি ।

রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।



বিষয়: আন্তর্জাতিক

১০৪১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

244241
১২ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : পৃথিবীর প্রতিটি দেশে মুসলমানরা আজ নির্যাতিত। নির্যাতিত হওয়ার অন্যতম কোরন আমরা কুরআনে করিম থেকে দুরে চলে আসছি আমাদের মধ্যে ঐক্যের বিন্দু মাত্র নজির নেই।
আল্লাহ সকল মজলুমের সহায় হোন ,,আমিন
১২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১১
189693
রাজু আহমেদ লিখেছেন : ছুম্মা আমীন । সঠিক কথা বলেছেন ভাই ।
244243
১২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০৫
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো বলেছেন!
ধন্যবাদ আপনাকে।
১২ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২০
189697
রাজু আহমেদ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও ।
244260
১৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৫৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File