আমাদের শিশু ও সৌজন্যবোধ

লিখেছেন লিখেছেন মহাজাগতিক শয়তান ০৪ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:১২:০৯ রাত



জানিনা আমার সাথে সবাই একমত হবেন কিনা, আমি আমাদের শিশু এবং টিন এজারদের মধ্যে চরম Manner ও Courtesy এর অভাব লক্ষ্য করি। আর পুরো জাতির Manner এর কথা বাদই দিলাম। তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা কিন্তু নয়। আসলে সৌজন্যবোধ এবং আচরনবোধ এ দুটো জিনিস শেখার আসল সময় হলো দুই বছর থেকে আট বছর। আমাদের দেশের শিশু এবং টিন এজারদের সাথে Communicate করে আমি কয়েকটি বৈশিষ্ট লক্ষ্য করেছি...

এরা সাধারনত কথাই বলতে চায় না।

কথা বল্লেও লজ্জা পেতে থাকে।

লক্ষ্য করবেন বেশীরভাগ সময় হাসেনা ।

একদমই Eye Contact করতে চায়না।

কথা বল্লেও এমনভাবে বলবে যাতে আপনার মনে হতে পারে আপনাকে Just ignore করছে।

প্র্রথম থেকেই আপনাকে উপেক্ষা করবে যাতে আপনি মনে মনে বলতে বাধ্য হবেন 'বেয়াদপ'।

এই যে উপরের গুনকীর্তনগুলো করলাম তার জন্য কিন্তু শিশুটি একদমই দায়ী নয়। একজন Well behaved শিশুর পেছনে দুটি শিক্ষা অতি জরুরী। একটা হচ্ছে পারিবারিক শিক্ষা আরেকটি হচ্ছে স্কুলের শিক্ষা। পারিবারিক শিক্ষা পূরন না হবার কারনগুলো আমরা কম বেশী সবাই জানি। যৌথ পরিবারগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে, বাবা মা সময় দিতে পারছে না, পারিবারিক Norms and Values গুলো শেখাবার কেউ নেই ইত্যাদি ইত্যাদি..........

আমার কাছে কিন্তু স্কুলের শিক্ষাটাকে ভীষন ভীষন Important মনে হয়। একটা জাতি কতখানি Develop সেটা স্কুলের শিক্ষাদানের Method দেখলে বোঝা যায়।উন্নত দেশগুলোতে বিশেষ করে pre- school এবং primary stage এ যে system follow করা হয় সেটা এক কথায় অনবদ্য। আমি লক্ষ্য করেছি এই stage এর শিক্ষার প্রভাবটা সারা জীবন একজন Student এর মধ্যে থাকে।

একটা উদহারন দেই, একবার Sydney শহরে আমি একটা রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিনা। রাস্তার পাশে একটা বিশাল Byke এর উপর ২০-২১ বছরের একটা ছেলে বসে আছে। ছোট করে চুল ছাটা। নাকে, ঠোটে বেশকয়েকটি দুল। হাতে বড় বড় উল্কি। মানে পুরোপুরি বখাটে টাইপ চেহারা। সামনে গিয়ে কিছু প্রশ্ন করতে সাহস হয়না। তাও ওকে জিগ্গেস করলাম। ছেলেটি সুন্দরভাবে হেসে Byke থেকে নেমে রাস্তাটা চেনার চেষ্টা করলো। তারপর ও মোটামুটি একটা ধারনা দিয়েও বেশ কয়েকবার Sorry mate, sorry mate বললো। এইরকম Experience এরপরেও আমার অনেকবার হয়েছে। ওদের চেহারা দেখে behaviour কখনই Judge করা যায়না। আমি পরে অনেক চিন্তা করে দেখেছি এই Manner গুলো ওদের স্কুলেই শেখানো হয়।

এই পরিস্থিতিটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করুন। ওইরকম একটা ছেলেকে প্রশ্ন করলে ৪০% চান্স ছিল উল্টাপাল্টা কিছু বলে বন্ধুদের দিকে ঘুরে খিক খিক করে হাসা। ৪০% চান্স প্রশ্ন না শুনেই জানিনা বলা আর ২০% চান্স হয়ত আপনাকে হেল্প করা।

উন্নত দেশগুলোতে pre-school stage এ বেশী জোর দেওয়া হয় communication এবং safety এর উপর। দেখতাম দলবেধে বাচ্চাদের Supermarket এ নিয়ে আসা হয়েছে।সবার হাতে 5 ডলার। সবাই নিজেদের পছন্দমত কিছু কিনবে এবং pay করবে। pay করার সময় সঙ্গে থাকা teacher লক্ষ্য রাখতো বাচ্চারা Good morning বলছে কিনা? ঠিকমত হেসেছে কিনা?

এভাবে প্রতিটা শিক্ষাই হয় জীবন নির্ভর।বড় হয়ে ওরা হয়ত অনেকেই নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু Basic manner টা সবারই থেকে যায়।

অন্যদিকে আমাদের দেশের প্রাথমিক স্কুলগুলোর পরিবেশ চিন্তা করুন। Teacherরা মনে হয় Manner শব্দটা কখনই শোনেননি।স্কুলগুলো যেন শুধু বই মুখস্ত করার কারখানা। ঢাকার স্কুলগুলোর চিত্র যদিও একটু better তবে সেখানে আছে status নামক অসুস্হ প্রতিযোগীতা।

তবে সবকিছুই negative নয়। আমাদের দেশেও চমৎকার কিছু মানুষ আছেন যারা এই ব্যাপারগুলো গুরুত্ব দেন। যারা চান একটা Generation ভরে যাক সুস্হ মানসিকতার মানুষে। আমাদের সন্তানেরা সুন্দর একটা সমাজে বেঁচে থাকুক সেটা আমরা কে না চাই? আমাদের সন্তানেরা পরিচিত হোক সুন্দর ব্যবহারে।

দয়া করে এ বিষয়ে আপনার মতামতটা জানাবেন!!!!!!!!!!!!!!!

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File