তাবলিগি নিসাব- মরা মানুষ কথা শোনে, কথা বলে!!!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ হাসান ১৫ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:৪৪:১৯ দুপুর

প্রথমে ২টি প্রশ্নোত্তর-

১/

প্রশ্ন (২৯/৪২৯) : মৃতব্যক্তি দুনিয়ার লোকদের কাজকর্ম দেখতে ও শুনতে পায় কি?

-মাহে আলম

জগৎপুর, বুড়িচং, কুমিল্লা।

উত্তর : মৃতব্যক্তি জীবিতদের কর্মকান্ড দেখতে বা তাদের কথাবার্তা শুনতে পায় না। আল্লাহ স্বীয় রাসূল (ছাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মৃতদেরকে শুনাতে পারেন না’ (নামল ৮০, রূম ৫২)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আপনি কবরবাসীদেরকে শুনাতে সক্ষম নন’ (ফাত্বির ২২)। তবে অনেকে রাসূল (ছাঃ)-এর একটি হাদীছ দ্বারা শুনার উপর দলীল পেশ করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, মানুষ যখন দাফন সেরে চলে আসে, কবরে মৃত ব্যক্তি তাদের সেন্ডেল বা জুতার আওয়ায শুনতে পায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১২৬ ‘ঈমান’ অধ্যায় ‘কবর আযাব’ অনুচ্ছেদ)। এর উত্তরে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, যখন ফেরেশতাগণের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য মৃত ব্যক্তিকে জীবিত হয়, সেসময় সে জুতার আওয়াজ শুনতে পায়, অন্য সময়ে নয় (সিলসিলা যঈফাহ হা/১১৪৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।

http://www.at-tahreek.com/august2012/15.html

২/

I have a strange quran. My aqeedah is that after the body is dead it is of no use and they cannhot hear.but according to hadith there is punishment in the grave.does this mean that the body is still alive.also in the quran it is mentioned that martyrs dont die?and also it is reported in a hadith in muslim that when prophet(saw) addresses the body of abu jahl, umaya and others umar(ra)asks him how can the dead hear to which the prophet(saw) replies that they can hear but cannot reply.kindly answer my question with detail

Praise be to Allaah.

1 – What is mentioned in the question, that the dead do not hear anything that the living say is true and is correct. Allaah says (interpretation of the meanings):

“but you cannot make hear those who are in graves”

[Faatir 35:22]

“So verily, you (O Muhammad) cannot make the dead to hear”

[al-Room 30:52]

http://islamqa.info/en/10547

তাহলে নিচের ঘটনাগুলোর ব্যাপারে তাবলিগি ভাইরা কি চিন্তা করবেন?

ক) শায়েখ আবু ইয়াকুব ছনুছী (রহঃ) বলেন, আমার একজন মুরীদ আমার নিকট আসিয়া বলিল আমি আগামী কাল জোহরের সময় মরিয়া যাইব। তাহার কথা মত অপর দিন জোহরের সময় সে হারাম শরীফে আসিল ও তওয়াফ করিল এবং কিছু দূরে গিয়া মরিয়া গেল। আমি তাহকে গোছল দিলাম ও দাফন করিলাম। যখন তাহাকে কবরে রাখিলাম তখন সে চোখ খুলিল। আমি বলিলাম মউতের পরেও কি জীবিত থাকা যায় না কি? সে বললি আমি জীবিত আছি এবং আল্লাহর প্রতিটি প্রেমিকই জীবিত থাকেন।” [রওজ] ফাজায়েলে সাদাকাত বাংলা ২য় খণ্ড-৩৩১পৃঃ]

এখানে লক্ষণীয়-

১. ফকির আগে থেকেই তার মৃত্যুর সময় জানত। একজন মানুষ কখন, কিভাবে, কোন অবস্থায় মারা যাবে তা কি গায়েবের অন্তর্ভুক্ত নয়?

২. সে মারা যাওয়ার পরেও একজন জীবিত মানুষ তাকে তাকে কিছু জিজ্ঞাস করল ও সে শুনল।

৩. কথা শুনার পর সে তার উত্তরও দিল।

এখন দেখা যাক কুরআন কি বলে-

১. আল্লাহ বলেন,

“… কেউ জানেনা আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানেনা কোন স্থানে সে মৃত্যুবরন করবে।” (সূরা লুকমানঃ ৩৪)

এই আয়াতের ব্যখায় নবী (সঃ) বলেন, “এগুলো গায়িবের কথা এবং এগুলো আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা।” (সহিহ বুখারি)

কুরআন আমাদের শিক্ষা দেয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা একজন মানুষ কোথায়,কখন মারা যাবে। আর তাবলীগরা কি শিক্ষা দেয়?

২. আল্লাহ বলেন,

“মৃতকে তো তুমি (নবী) কথা শুনাতে পারবে না”।(সূরা নামলঃ ৮৪)

তাহলে কিভাবে ঐ ব্যক্তি মৃতকে প্রশ্ন করল এবং সে শুনল?

৩. আল্লাহ বলেছেন, “জীবিত ও মৃত কখনো সমান না”। (সুরা আল ফাতিরঃ ২২)

অর্থাৎ, কিন্তু গল্পে জীবিত ও মৃত- উভয়েই কথা বলছে অর্থাৎ উভয়েই সমান।

খ) জনৈক বেদুঈন হুজুর (ছঃ) এর কবর শরীফের নিকট দাড়াইয়া আরজ করিল,হে রব! তুমি গোলাম আজাদ করার হুকুম করেছো। ইনি (নবী সাঃ) তোমার মাহবুব, আমি তোমার গোলাম। আপন মাহবুবের কবরের উপর আমি গোলামকে (জাহান্নামের) আগুন হইতে আজাদ করিয়া দাও। গায়েব হইতে আওয়াজ আসিল, তুমি একা নিজের জন্য কেন আজাদী (ক্ষমা) চাহিলে? সমস্ত মানুষের জন্য কেন আজাদী চাহিলে না। আমি তোমাকে আগুন হইতে আজাদ করিয়া দিলাম।

(সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৪ পৃষ্টার ১ম কাহিনী)

সম্মানিত জ্ঞানী মুসলিম ভাইগণ, রাসুলের মৃতু্র পর তার মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করা মাজারপূজারীদের সাদৃশ্য নয় কি?

গায়েবী আওয়াজ শুনা তো নবুওয়াতের কাজ। ঐ বেদুঈন কি নবী ছিল যে গায়েবী আওয়াজ এলো ” আমি তোমাদের আগুন থেকে আজাদ করিয়া দিলাম”।

ভাবতে অবাক লাগে শাইখুল হাদিসের মত একজন স্বনামধন্য আলিম এ জাতীয় ইসলাম বিরোধী আক্বিদাহ বিশ্বাস কিভাবে ছড়াতে চেয়েছেন তাবলীগী নিসাবের মাধ্যমে।

গ) শায়েখ ইব্রাহিম এবনে শায়বান (রঃ) বলেন, আমি হজ্বের পর মদিনা পাকে পৌছাইয়া কবর শরীফে হাজির হইয়া হুজুর পাক সাঃ এর খেদমতে ছালাম আরজ করিলাম। উত্তরে হুজরা শরীফ হইতে ওয়ালাইকুমুস্সালাম শুনিতে পাই।

সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্ব-পৃষ্ঠা-২৫৫ (৫ নং কাহিনী)

ও আল্লাহর বান্দারা চিন্তা কর, নবীজি সাঃ কবর থেকেও সালামের উত্তর দেন। এই সব আক্বিদার তাবলীগ করতে কে তোমাদের নির্দেশ দিছে?

কত বড় গাজাখুরী কাহিনীতে ভরা এই ফাজায়েলে হজ্জ্ব।

ঘ) শায়েখ আবু নছর আব্দুল ওয়াহেদ কারখী (রহ.) বলেন, আমি হজ্জ সম্পাদন করিয়া জেয়ারতরে জন্য হাজির হই। হুজরা শরীফের নিকট আমি বসা ছিলাম। ইত্যবসরে ঐখান দিয়া বিকরের শায়েখ আবু বকর । আসিয়া কবর শরীফে ছালাম করেন। আচ্ছালামু আলাইকা, ইয়া রাছূলুল্লাহ! তখন কবর শরীফ হইতে উত্তর আসে, অ-আলাইাকাচ্ছালামু ইয়া আবা বকরিন। এই উত্তর উপস্থিত সমস্থ লোকই শুনিয়াছিল!!!

(ফাজায়েলে হজ্ব, পৃষ্ঠা-১৪১, প্রকাশ কাল- সংশোধিত সংস্করণ-১লা এপ্রিল ২০০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, ৫০-বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০)

এখন সম্মানিত তাব্লিগি ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন-

কবরে শায়িত ব্যক্তি তার কাছে/কবরে উপস্থিত ব্যক্তিকে চিনতে পারে, তার কথা শোনে, জবাব দেয় – তাব্লিগি নিসাবের এসব আকিদার কোন দলিল আছে কি? থাকলে উপস্থাপন করুন, নয়ত সত্যকে মেনে নিন।

বিষয়: বিবিধ

৩২৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File