হে আমার শ্রদ্ধেয় ইসলামী আলেম, স্কলার, বুদ্ধিজীবির! ইলম, জ্ঞান, পান্ডিত্য, বাগ্মিতা, ক্ষুরধার লেখা আপনাকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাতে পারবে না...........

লিখেছেন লিখেছেন চিরবিদ্রোহী ২৯ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:০৯:৪৯ রাত

শিরোনামটা পড়ে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এ আবার কোন নতুন মূর্খের আবির্ভাব হলো! নয়তো বা মনে মনে গালি দিচ্ছেন আর বলছেন "ব্যাটা নিজে মূর্খ বলে যারা জ্ঞানী তাদের সম্মান দিতে পারে না"। আসলেই নেহায়েৎ ছোট মুখে বেশ বড়ো কথা বলে ফেললাম.....................

তবে বলার পিছনে একটা কারণ আছে। সেই কারণটা প্রকাশের আগে একটা ছোট্ট অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই-

আব্বার মৃত্যুর পর আগের চেয়ে কবরস্থানে যাতায়তের পরিমান বেড়ে গেছে। বাসা থেকে দু' কদম হাঁটতেই কবরস্থান। পাশ দিয়ে যাতায়তের সময় মাঝে মাঝেই ভিতরে গিয়ে আব্বার কবরের পাশে দাঁড়াই, কুরআন তিলাওয়াত ও দুরুদ পাঠ করি, স্মৃতির পাতা উল্টিয়ে তাঁর সাথে কাটানো দিন গুলোর কথা মনে করি। কয়েক সাড়ি কবর পরে একটা বেশ জমকালো কবর আছে, বাঁধাই করা, কারুকার্যময় কাপড়ে আবৃত। লোকের মুখে শোনা, ঐ কবরওয়ালা নাকি খুব জবরদস্ত ওলি ছিলেন। তো ঐ কবরে প্রায়ই এক লোককে আসতে দেখি। পরনে সাদা পাঞ্জাবি বা কুর্তা, মাথায় সাদা টুপি, মুখে সুশোভিত সুন্নাতী দাড়ি, হাটা চলায় বেশ শিষ্টাচারের পরিচয়। প্রথম দৃষ্টিতে আলেম বলেই মনে হবে। তিনি কবরের পাশে এসে কিছুক্ষন তিলাওয়াত করেন (সম্ভবত, কারণ শোনা যায় না) অতঃপর প্রচলিত নিয়মে মিলাদ পড়েন। লেবাসের সাথে আমলের এহেন ফারাক দেখে প্রথমতঃ অবাক হলেও বেশ বিরক্তই হই। মনে মনে বলি, এই ধরণের লোকগুলোর জন্যই মানুষ আলেমদের নামে নানা কিছু বলার সুযোগ পায়।

দিন তিনেক আগের কথা। গাড়ি থেকে নামতে দেরি হওয়ায় আসরের জামাআত ছুটে গেছে। বাড়ির পাশের মসজিদে ঢুকে নামাজ আদায় করলাম। সালাম ফিরিয়ে একটু দূরে সেই লোকটিকে তাসবিহ পড়তে দেখলাম। মনে মনে ভাবলাম, দেখি একটু কথা বলে, কিছু লাভ হয় কি না। ধীর পায়ে গিয়ে পাশে বসলাম। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি মুখ তুলে তাকালেন। হাসি মুখে সালাম দিয়ে মুসাহাফার জন্য হাত বাড়িয়ে দিলাম। তিনিও মুসাহফা করলেন। অতঃপর বললাম, আপনাকে প্রায়ই কবরস্থানে দেখি। কখনো কথা হয়নি। আজ ভাবলাম একটু আলাপ করি। তিনিও হাসি মুখে সম্মতি জানালেন এবং আমি কার কবর যিয়ারতে যাই সেটা জানতে চাইলেন। উত্তর দিলাম। সেই সাথে প্রাথমিক পরিচয়ও হলো। জানতে পারলাম, ভদ্রলোকের বাসা আমাদের গলি থেকে একটু দূরে। গ্রামের বাড়ি (থাক, দরকার নাই, তাই বললাম না)। ছোটবেলায় দারিদ্রের পীড়ণে লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে পেরেছেন। কৈশরেই ঢাকায় চলে আসেন। এখন ঢাকায় নিজের কাপড়ের দোকান আছে, সেটা দিয়ে ভালোই চলে যায়। আমার পরিচয় দেয়ার পর ওনার অভিব্যক্তিতে বুঝলাম তিনি হয়তো আমার সম্পর্কে পূর্বে কারো কাছে শুনেছেন। যাই হোক, এবার আমি সরাসরি মূল প্রসঙ্গে আসলাম। জানতে চাইলাম ঐ বিশেষ কবরে তার যাতায়ত ও বিশেষ পদ্ধতিতে যিয়ারতের কারণ। উত্তরে তিনি বললেন, আগে তিনি ধর্ম সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। বছর কয়েক আগে মোহাম্মাদপূরের কোন এক পীর সাহেবের (যিনি মূলত পাকিস্তানী, পরিচয়টা গোপন রাখলাম, কিন্তু মোটামুটি সবার চেনার কথা) কাছে বাইয়াত হন। তার পর থেকেই তার আমল ও লেবাসে পরিবর্তন আসে। সেখান থেকেই তিনি মিলাদ সম্পর্কে ও এ থেকে যে বিরাট সাওয়াব পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে পারেন।

আমি তার কথার সূত্র ধরেই উত্তর দিলাম, কিন্তু আপনি যে মিলাদের কথা বলছেন, এটা তো হাদীস বা সাহাবাদের আমল বা তাবেঈন; তাবে-তাবেঈনদের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয়। এটা পরবর্তী সময়ে আবিস্কৃত একটা ভয়ানক বিদআত।

তিনি বললেন, "বেটা, আমি তো তেমন শিক্ষিত না। শুধুমাত্র কুরআন শরিফ পড়তে পারি। তবে আমাদের ওখানে অনেক বড় বড় আলেম আছেন যারা এটাকে খুবই উত্তম আমল বলে থাকেন। "

আমি বললাম, ‍"তারপরও, যেহেতু এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাই আপনার উচিত একবার হলেও যাচাই করে দেখা। আপনি যে কোন হক্বপন্থী শায়েখকে দেখুন, তিনি নিঃসন্দেহে এগুলোর বিরোধীতা করবেন। "

তিনি বললেন, "আচ্ছা, এক কাজ করা যেতে পারে। আমাদের খানকাহে এ সম্পর্কিত কয়েকটি বই আছে, আমি তোমাকে দিয়ে যাবো। তুমি পড়ে দেখো।"

সেদিনের মতো তিনি বিদায় নিলেন। পরদিন অর্থাৎ গত পরশু বাসায় ফেরার পথে পিছন থেকে আমাকে ডাক দিয়ে হাতে ২টি বই ধরিয়ে দিলেন। বাসায় এসে বইগুলো দেখলাম। এগুলো আগেও দেখেছি, এমনকি এর একটা সম্পর্কে দালিলিক আপত্তি প্রশ্ন পাঠিয়েছিলাম প্রকাশকের ঠিকানায়, যার অদ্যাবধি জবাব পাইনি।

আজ বাসায় থাকায় ভাবলাম ওনার সাথে একটু সাক্ষাৎ করা জরুরী। আসরের নামায পড়ে বের হওয়ার সময় ওনার সাথে দেখা হলো। মসজিদের বারান্দায় বসে কথা শুরু করলাম। আমি ঐ বই সম্পর্কে যে জবাব ও প্রশ্নাবলি লিখেছিলাম তার একটা কপি সাথে নিয়ে এসেছিলাম। ওনাকে দেখিয়ে বললাম, দেখুন, এখানে ঐ বইগুলো সম্পর্কে জবাব দেয়া আছে। ওখানে কিভাবে দূবর্ল ও জাল হাদীস আর দলীল বিহীন গালগল্প দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে, সেগুলোর পুরো কাহিনী এখানে আছে, সাথে আছে এর বিপক্ষে দলিল। যদি আপনার এই দলিলগুলো সম্পর্কে সন্দেহ থাকে তাহলে আমার বাসায় আসুন। আমি কিতাব থেকে দেখিয়ে দেই। অথবা আসুন মসজিদের খতিব সাহেবের কাছে গিয়ে তাকেই জিজ্ঞেস করি।

উনি আপত্তি জানিয়ে বললেন, "বেটা, তুমি যেভাবে এগুলোকে জাল, দূর্বল বলছো, ঠিক ওনারাও তোমাদের কথাগুলোকে জাল, দূর্বল ইত্যাদি বলে থাকে। আমি অশিক্ষিত মানুষ। কিভাবে যাচাই করি, কার কথা সঠিক!"

আমি ওনাকে আবারো যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকলাম। এক পর্যায়ে উনি বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন,

"তুমি আমার চেয়ে বয়সে ঢের ছোট হলেও এ সব বিষয়ে পড়াশোনা করেছ এটা বোঝা যাচ্ছে। তোমার কথাবার্তায়ও আদব কায়দা আছে। অন্যথায় তোমার সাথে আমি কথাই বলতাম না।

শোন, আমি জীবনের দীর্ঘ একটা সময় নামাজ, রোযা ইত্যাদি আমল, বলতে গেলে দ্বীন থেকে মাহরুম ছিলাম। এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানাও ছিলো না। বড় জোর সুরা ফাতেহা আর সুরা ইখলাস পর্যন্তই ছিলো আমার জ্ঞান। ওয়াক্তিয়া নামাজ তো দুর, জুমুআ, এমনকি ঈদের নামাযেও নিয়মিত ছিলাম না। কলবটা এতোই কালো হয়ে গিয়েছিলো যে এগুলো সম্পর্কে কোন অনুশোচনাও বোধ হতো না। কয়েক বছর আগে পীর সাহেবের একজন মুরীদ আমার পাশের দোকানটা খরিদ করেন। ওনার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উনি আমার পেছনে সময় দেয়া শুরু করলেন। মেহনত করলেন। নামাযের দাওয়াত দিতেন, গল্পের ফাঁকে ফাঁকে দ্বীনি তালিম দিতেন। প্রথম প্রথম আমার ভালো লাগতো না। এ নিয়ে ওনার সাথে কয়েকবার মন্দ আচরণও করেছি। কিন্তু উনি হাল ছাড়েননি। অবশেষে ওনার মেহনতের ফলে আমার মধ্যে পরিবর্তন এলো। আমি নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করলাম। ছেলেদের সাথে একসাথে উস্তাদ রেখে কুরআন পাঠ শিখলাম। স্ত্রীর জন্য মহিলা শিক্ষিকা রেখে কুরআন শিখার ব্যবস্থা করলাম। পর্দার আমল শুরু করলাম। উনার পরামর্শেই উক্ত পীর সাহেবের কাছে বাইয়্যাত হলাম।

এখন বলো, যারা আমাকে দ্বীনের পথে আনলো, অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখালো, তাদের কথা ছেড়ে তোমার কথা শুনবো? না তোমাদের মতাদর্শের আলেমদের কথা শুনবো? কোথায় ছিলে তোমরা, যখন আমি নামায পড়তাম না? আমার কাছে কেন তোমরা তখন নামাযের বাণী পৌছাতে পারলে না? তখন কোথায় ছিলে তোমরা যখন আমি বদদ্বীনির মধ্যে ডুবে ছিলাম? তখন কোথায় ছিলে তোমরা, যখন আমার ছেলেদেরকে নাচ শিখতে দেবো বলে গর্ব করে বেড়াতাম? "

ভদ্রলোকের এই কথা শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লাম। বুঝতে পারছি ওনার কথা পুরোপুরি যৌক্তিক না। কিন্তু এর পেছনে যে আবেগ কাজ করছে, সেটা তো একেবারেই ফেলনা না!!

আমি আজ কোন দলীল দিতে চাই না, যুক্তি দিতে চাই না। শুধু একটা বার ভাবতে অনুরোধ করবো। আমরা নিজেদের আমলের উপর কতনা গুরুত্ব দেই। জ্ঞান অর্জনের চেষ্ঠা করি। ইসলামের কত সুক্ষ্ম ও জটিল বিষয়ে পর্যন্ত লেখার সয়লাব করে ফেলি, ভাতাপ্রাপ্ত দালালদের বিরুদ্ধে সিংহনাদে গর্জে ওঠে আমাদের কলম। ঠিক আছে, অবশ্যই উঠবে। আমি বলছি না এগুলো দরকার নেই। অবশ্যই দরকার আছে, এবং বেশ দরকার আছে।

কিন্তু একবার ভেবে দেখি, আমাদের উপর সর্বাপেক্ষা বেশি দাবীদার কারা? আমাদের পরিবার, অতঃপর নিকটাত্মিয়, দূরবর্তী আত্মিয় ও প্রতিবেশীরা, আমাদের বন্ধুমহল ও সহকর্মীরা। "আমার নিকট হতে একটি মাত্র কথা হলেও অন্যের নিকট পৌছে দাও।" ‍এই ‍"অন্যের" মধ্যে সর্বপ্রথম হকদার আমাদের প্রতিবেশী। আমাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা ওয়াক্তিয়া তো দূরের কথা, জুমুআর জামাআতেও নিয়মিত নন। তারাও তো দ্বীনের দাওয়াত পাওয়ার হকদ্বার। তাদের কাছে দাওয়ার পৌছে দেওয়া আমাদের উপর ওয়াজিব। হাশরের ময়দানে যখন আল্লাহ তাদের প্রশ্ন করবেন, তারা উত্তরে বলবেন "অমুক তো আমার প্রতিবেশী ছিলো। সে তো দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞানী ও সচেতন ছিলো। সে তো আমার নিকট দাওয়াত নিয়ে আসেনি, আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে নি, আমার পিছনে সময় দেয়নি।" তখন কি তার সাথে আল্লাহ আমাকেও জাহান্নামের গভীরে নিক্ষেপ করবেন না?

আজকে যাদের আমরা বেনামাজী বলে মুখ সিটকে যাই, তাদের কেউ হয়তো ভবিষ্যতে বড় একজন দ্বীনের খাদিম হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন। প্রয়োজন সঠিক দাওয়াত তার কাছে পৌছে দেওয়া।

আজকে যাদের আমরা ভন্ড, কবর ব্যবসায়ী, কবর পুজারী, বিদআতী বলে ফাতওয়া দিয়ে বেড়াই, তাদের সকলেই কি সমান? এখানে কি এমন একজনও নেই যার কাছে সঠিক দ্বীনের দাওয়াত পৌছালে তার হেদায়েত হওয়ার, ভূল থেকে ফিরে আসার সম্ভবনা আছে? আমরা কি তাদের কাছে পৌছে দিতে পারছি সে দাওয়াত?

সেই ভদ্রলোকের কথা সারাদিনই মাথায় ঘুরছে। বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে সেই আবেগ ভরা অভিযোগ "কোথায় ছিলে তোমরা, যখন আমি নামায পড়তাম না? আমার কাছে কেন তোমরা তখন নামাযের বাণী পৌছাতে পারলে না?" সত্যিই তো‍! কোথায় ছিলাম আমি? প্রতিবেশী হওয়া স্বত্ত্বেও কেন তার কাছে হাজির হতে পারলাম না দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে?

ভেতরটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে। কিন্তু উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে, ভিতর থেকে কেউ আওয়াজ দিচ্ছে- "তোর এই ঠুনকো জ্ঞান, লেখালেখি আর স্বার্থপর আমল তোকে আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচাতে পারবে না।"

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

279479
৩০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:২২
তারাচাঁদ লিখেছেন : "যখন আমি বদদ্বীনি ছিলাম, তখন কোথায় ছিলে তোমরা" ? হ্রদয়ে করাঘাত করা কথা বলেছেন ওই তাসবিহ পড়ুয়া ব্যাক্তি । আত্মসমালোচনা করলে নিজের কাছেই নিজে ধরা পড়ে যাই ।
৩০ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
223427
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : সহমত।
জাযাকাল্লাহু খইর।
279480
৩০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:২৪
আদি মানব লিখেছেন : অনেকটা এড়িয়ে যাওয়া বিষয়ে নজর দিলেন, ধন্যবাদ আপনাকে। ইনশাআল্লাহ সচেতন থাকবো এব্যপারে
৩০ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
223429
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিয়ে আমাকে এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার তাওফিক দান করুন।
জাযাকাল্লাহু খইর।
279516
৩০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:১৩
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ঝাঝাকুমুল্লাহ খায়ের।
৩০ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
223430
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : কুরআনের এই আয়াত যেন ফুটে ওঠে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষণে।
বারাকাল্লাহু ফিহী।
279541
৩০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৫
মামুন লিখেছেন : না শিরোনাম দেখে অবাক হই নাই। লিখাটি পড়লাম। ভালো লেগেছে। ভালো লাগা রেখে গেলাম। ধন্যবাদ। Rose Rose Rose Good Luck
৩০ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
223431
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : কষ্ট করে ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহু খইর।
279839
৩০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৪৮
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : হা এই দরদটা আমার কাজ করে যখন কবরপূজারি ভন্ড পীরের মুরিদ দেখি খুউব আফসোস হয় হায় আমি মেহনত করতে পারলাম না।
এই দরদ আপনার লিখায় সেটাতো উম্মতের দরদ।
গতশনিবার তাবলীগ এ গিয়েছিলাম ২দিনের জন্য দেখলাম একজন মুরব্বী বয়স ৬০ এর কাছাকাছি সে গোসলের ফরজ জানেনা একভাই সূরা ফাতেহা জানেনা কালিমা শুদ্ধ করে পড়তে জানেনা এগুলা দেখলে বুক ফেটে কান্না আসে আহ!!কি করার ছিলো আমার আর কি করছি হায় আফসোস এই মুরব্বী যদি আরো আকে এই এলেমটা পেতেন।
ভাই এখন ময়দানে মেহনত করতে হবে প্রচন্ড ।
সময় শেষ হয়ে গেলে বুক চাপড়ালেও আর লাভ হবেনা।
সময় থাকতে মেহনতের লাইনে দরদের সাথে আগে বাড়তে হবে।
মানুষকে যেকোন পন্থায় যেভাবেই হোক হিকমাহর সাথে দাওয়াত দিতে হবে ।
ঐ মাজারপূজারি ভাইটিকে বুকে নিতে হবে তাকে যেভাবেই হোক মুসলমান এর কাতারে রাখার জন্য প্রানপন চেষ্টা করতে হবে।
অশ্রু ঝড়াতে হবে অশ্রু এর বিকল্প নাই।
দরদ ঝড়াতে হবে দরদ।
ভালোবাসতে হবে তাকে।
আহ্ মেহনত চাই মেহনত।
৩০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫১
223522
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : একদম খাঁটি কথা বলেছেন ভাই, মেহনত চাই মেহনত।
হাশরের ময়দানে আমাদের আশেপাশের এই ভাইগুলোই আমাদের হাত টেনে ধরে আল্লাহর কাছে অভিযোগ করবে "এ জানতো, এ আমার প্রতিবেশি/বন্ধু/সহকর্মী ছিলো। কিন্তু এ আমার কাছে দাওয়াত পৌছে দেয়নি।"
আল্লাহ আমাদের দাওয়াতের পথে সর্বোচ্চ মেহনত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
৩০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫৪
223523
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ইদানিং ভাইকে তেমন একটা দেখা যায় না, অনেক ব্যস্ত নাকি?
280881
০৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৪
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
০৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৯
224541
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আমিন। সুম্মা আমিন।
কষ্ট করে ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহু খইর।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File