মুক্তাদীর সূরা ফাতেহা/কেরা’আত পড়তে হবে কি ?

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ২৩ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:২০:৩৮ দুপুর



সকল প্রশংসা এক আল্লাহর যিনি আমাকে লেখার তৌফিক দান করেছেন । অসংখ্য দুরুদ ও সালাম নবী মোহাম্মদ সা: এর উপর ।

প্রশ্নের জবাবে মুসলিম জ্ঞাণীদের মধ্যে ৩টি মতবাদ আছে-

১) ইমাম, মুক্তাদি, একাকী সকলের পড়তে হবে । ২) জামায়াতে ইমাম পড়বে, মুক্তাদী পড়বে না । একাকী নামাজীর পড়তে হবে । ৩) ইমামের পড়া শুনতে পারলে চুপ থাকবে, শুনতে না পারলে পড়তে হবে ।

কোন মতবাদটি কুরআন-হাদীছ অনুযায়ী সহীহ-শুদ্ধ এর কিছু দলিল উল্লেখ করা হল।

কোরআনে সূরা আ’রাফের ২০৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন-

وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয় (সূরা আ’রাফ আয়াত ২০৪)

উক্ত আয়াতে কোরআন পাঠ করা (যাকে কেরা’আত বলে) শুনতে পারলে চুপ থাকতে বলা হয়েছে ।

***তাহলে বিপরীতে বলা যায় শুনতে না পারলে কেরা’আত পড়া যাবে ।

>>> ৩নং মতবাদীরা এই আয়াত উল্লেখ করে বলে, না শুনতে পারলে ফাতিহা পড়বে!!!

>>> ২নং মতবাদীরাও আয়াটি উল্লেখ করে, আর বলে, ইমামের পড়া না শুনতে পারলেও ফাতিহা পড়বে না!!!

একটু শব্দ খেয়াল করে দেখুন আয়াতে ***“কোরআন পাঠ”***(কেরা’আত) বলা হয়েছে । ***“ফাতেহা পাঠ”*** বলা হয়নি ।

তাহলে কোরআন আর ফাতেহা এক নয় কি ? দুটো কি ভিন্ন !!! প্রশ্নের জবাব বুঝার/জানার জন্য

সূরা হিজরের আয়াত ৮৭ নং ভাল করে খেয়াল করুন আল্লাহ সুব্‌হানুতায়ালা কি বললেন-

وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ

আমি আপনাকে(১) সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং (২) মহান কোরআন দিয়েছি (সূরা হিজর আয়াত ৮৭)

সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত কি সূরা ফাতিহা ? হ্যা, এ ব্যাপারে সকলেই একমত । কোন মতভেদ নেই । হাদিসেও আছে

......রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আলহামদু লিল্লাহ” অর্থাৎ সূরা আল- ফাতিহা হচ্ছে উম্মুল কুরআন, উম্মুল কিতাব ও সাবআ মাসানী [দেখুন সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস ৪৭০৪; সূনান আত তিরমিজী (তাহাকীককৃত) হাদিস ৩১২৪; সূনান আবু দাউদ (ইঃফাঃ) হাদিস ১৪৫৭]

সূরা আরাফের আয়াত ২০৪ ও হিজরের আয়াত ৮৭ সমন্বয়ে স্পষ্ট জানা/বুঝা যায় ফাতিহা নয়, কুরআন (কির’আত) পাঠ শনলে চুপ থাকবে, না শুনলে কির’আত পড়া যাবে ।

***আশ্চর্য্য ব্যাপার হল, ২ ও ৩ নং মতবাদীরা কুরআন (কির’আত) পাঠকে ***ফাতিহা*** শব্দ লাগিয়ে আয়াতের অপব্যাখ্যা করছে ।

এখানে দলিল থেকে স্পষ্ট বুঝা/জানা গেল সূরা ফাতিহা আর কোরআন এক নয় । দুটো ভিন্ন । যা আল্লাহ সূরা হিজরের ৮৭ নং আয়াতের মাধ্যমেও জানালেন ।

আরো দলিল দেখুন ***রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সূরা ফাতিহা কুরআনেও অবতীর্ন হয় নাই****

..................রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁহাকে বললেন: আমার ইচ্ছা যে তুমি -একটি সূরা জ্ঞাত না হয়ে মসজিদ হতে বাহির হইবে না । সুরাটি এইরুপ যে- উহার সমতুল্য কোন সুরা তরাত- ইনযীল এমন কি খোদ

***কুরআন শবীফেও অবতীর্ণ হয় নাই***

উবাই (-রা) বললেনঃ ইহা শুনিয়া সুরাটি জানিবার বাসনায় আমি ধীরে চলিতে লাগলাম । অতঃপর আমি বলিলাম হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) যে সূরাটি জ্ঞাত করাবার বিষয় আপান আমাকে বলেছেন । তাহা কোন সূরা? তিনি বললেনঃ তুমি নামায আরম্ভ করার পর কিরুপে কিরাআত পড়? উবাই (রাঃ) বলেনঃ আমি সূরা ফাতিহা শুরু হতে শেষ পর্যন্ত তাহাকে পড়য়া শুনাইলাম । তারপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)বললেন: ইহাই সেই সুরা । (যে সুরার কথা বলেছিলাম) এ সূরার নামি (সাবেয়ি মাসানি) যা আমাকে দান করা হয়ে ছিল [বিস্তারীত দেখুন-সূনান তিরমিজী (ইঃফাঃ) হাদিস ২৮৭৫; মুয়াত্তা মালিক হাদিস ১৮৬; সূনান আত তিরমিজী (তাহাকীককৃত) হাদিস ২৮৭৫]

উপরোক্ত দলিল থেকে কি বুঝা/জানা গেল ?

সূরা ফাতিহা পাঠ শুনলে চুপ থাকতে হবে না, কোরআন পাঠ (কেরা’আত) শুনলে চুপ থাকতে হবে ।

সূরা ফাতিহা সকলকে সকল সলাতে পড়তে হবে এর দলিল দেখুন-

«لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب».

.............রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার নামায হল না [বিস্তারীত দেখুব-সহিহ বুখারী (ইঃফাঃ) হাদিস ৭২০, সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস ৭৫৬, সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস ৭৫৩৪; সহীহ মুসলিম (ইঃফাঃ) হাদিস ৭৫৮,৭৫৯, ৭৬৩, ৭৬৪; সূনান আত তিরমজী (তাহাকীককৃত) হাদিস ২৪৭, সূনান তিরমিজী (ইঃফাঃ) হাদিস ২৪৭; সূনানে ইবনে মাজাহ হাদিস ৮৩৭, ৮৩৯, ৮৪০, ৮৪১; সূনান নাসাঈ হাদিস ৯১০; আল লুলু ওয়াল মারজান, হাদিস ২২২]

উপরের এই হাদিস সকল মতবাদের জ্ঞানীরা উল্লেখ করে কেউ বলে এটা ইমাম ও একাকীর জন্য, মুক্তাদির জন্য নয় ।

তারা আরও কিছু হাদিস দেখায় যেগুলোতে কির’আত পড়তে হবে না, স্পষ্ট লিখা আছে, কিন্তু কির’আত শব্দের স্থলে ***“”ফাতিহা””*** শব্দ যোগ করে অপব্যাখ্যা করে ।

আশ্চর্য্য যে হাদিসে স্পষ্ট করে লেখা ***ফাতিহা পরবে***কির’আত পাঠ করবে না, এ হাদিস দেখে, শুনেও বলে না ।

সূরা বাকারার আয়াত ১৮ যেন তাদেরই কথা বলছে- صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ

তারা বধির, মূক ও অন্ধ । সুতরাং তারা ফিরে আসবে না ।

কিন্তু আপনার স্বচক্ষে দেখুন নিচের হাদিসটি মুক্তাদির জন্যও ফাতেহা পড়তে হবে, কিরা’আত পড়তে হবে না তাও স্পষ্ট করেছে ।

«لا تفعلوا إلا بفاتحة الكتاب؛ فإنه لا صلاةَ لمن لم يقرأْ بها».

.........তখন [রাসূল (সাঃ)] বললেন সূরা ফাতিহা ছাড়া (ইমামের পিছনে) অন্য কোন কিরা’আত পাঠ করবে না । কেননা যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার নামাজ হয় না [বিস্তারীত দেখুন-সহীহ বুখারী (ইঃফাঃ) হাদিস ৭৩৬, সূনান আত তিরমজী (তাহাকীককৃত) হাদিস ৩১১, সূনান তিরমিজী (ইঃফাঃ) হাদিস ৩১১, সূনান আবু দাউদ (ইঃফাঃ) হাদিস ৮২৩; সূনান নাসাঈ হাদিস ৯২০]

ইমাম স্বরবে বা নিরবে যে ভাবেই ফাতিহা পড়ুক না কেন , মুক্তাদিকে সকল ক্ষেত্রে নিরবে/আস্তে আস্তে/মনে মনে পড়তে হবে এর দলিল দেখুন-

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুল (সঃ) বলেন যে ব্যক্তি নামায পড়বে আর তার ভিতরে সুরা ফাতেহা পড়বে না, তার নামায অসম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ । আবু হুরায়রাহ (রাঃ) কে বলা হল, আমরা ইমামের পিছনে থাকি তাওকি পড়া লাগবে? তিনি বললেন হ্যাঁ

***আস্তে আস্তে পড়......[বিস্তারিত দেখুন-সহীহ মুসলিম (ইঃফাঃ) হাদিস ৭৬২; সূনান আবু দাউদ (ইঃফাঃ) হাদিস ৮২১; ৮২৪; ৮২৫; ৮৩৪; সূনানে ইবনে মাজাহ হাদিস ৮৩৮; সূনান নাসাঈ হাদিস ৯০৯; সূনান আত তিরমিজী (ইঃফাঃ) হাদিস ২৯৫৩; সূনান আত তিরমিজী (তাহাকীককৃত) ২৯৫৩]

যে সকল সলাতে ইমাম নীরবে কুরআন পাঠ করে তখন মুক্তাদী নীরবে কুরআন পাঠ অর্থাৎ ফাতিহা পর অন্য সূরাও পড়বে কি ?

হ্যাঁ, যোহর ও আসরের জামায়াতে অন্য সূরাও পড়বে । না পড়লেও সলাত আদায় হয়ে যাবে ।

নীচের হাদিস গুল দেখুন ইমামের স্বরবে পাঠ ও নীরবে পাঠ উভয় ক্ষেত্রে সকলের ফাতিহা পড়ার পরে অন্য সূরাও পড়া উত্তম বলা ছিল । কিন্তু

***সুরা আ’রাফে ২০৪ নং শুনতে পেলে চুপ থাকার কথা স্পষ্ট । তাই উক্ত আয়াত ফজর, মাগরীব ও এশার জামায়াতে ফাতহা ছাড়া অন্য সূরা পড়া যাবে না ।

আবু হুরায়রাহ্‌ (রাযি) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক সালাতেই কিরা’আত পড়া হয় । তবে যে সব সলাতে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আমাদের শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের শুনিয়ে পড়ব । আর যে সব সলাতে আনাদের না শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে পড়ব । যদি তোমরা উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা)-এর চেয়ে অধিক না পড়, সলাত আদায় হয়ে যাবে । আর যদি অধিক পড় তা উত্তম [দেখুন-সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস ৭৭২; সহীহ মুসলিম (ইঃফাঃ) হাদিস ৭৬৭, আল-লুলু ওয়াল মারজান হাফিস ২২৩]

জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন আমরা যোহর ও আসর সালাতের প্রথম দু রাকআতে ইমামের পিছনে সূরাহ ফাতিহা ও অন্য সূরাহ এবং শেষ দু সালাতে কেবল সূরাহ ফাতিহা পড়তাম [দেখুন-সূনানে ইবনে মাজাহ হাদিস ৮৪৩]

উপসংহারঃ উপররের দলিল প্রমানের ভিত্তিতে পরিষ্কার জান/বুঝা গেল যে ইমাম, মুক্তাদী, একাকী সকল অবস্থায় সূরা ফাতিহা অবশ্যই পড়তে হবে, ফাতিহা না পড়লে সলাত হবে না, আর যোহর ও আসর সলাত না শুনার কারনে মুক্তাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী কুরআনের অন্য সূরাও পড়তে পারেন, তবে মুক্তাদি অন্য সূরা না পড়লেও সলাত হবে ।

বিঃদ্রঃ এই লেখার কোন ভুল পেলে জানাবেন আর কুরআন-হাদিসের দলিল বিহীন কারো মতামত জানাবেন না প্লিজ । জানা থাকলে নীচের প্রশ্নের দলিল জানাতে পারেনঃ

প্রশ্নঃ এমন কোন সহীহ দলিল আছে কি যেখানে মুক্তাদী অবস্থায় ***“সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না”***স্পষ্ট লেখা আছে ?

হে আল্লাহ! আমাদের সহজ সরল সঠিক পথের হেদায়েত দিন । আমাদের পঞ্চ-ইন্দ্রীয় থাকতে অন্ধ, বধির, বোবা বানিও না । আমীণ!

বিষয়: বিবিধ

২৬৬০ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

351041
২৩ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৮
আফরা লিখেছেন : হে আল্লাহ! আমাদের সহজ সরল সঠিক পথের হেদায়েত দিন । আমীণ!
২৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
291538
সত্যের লিখেছেন : ছুম্মা আমীণ!
351063
২৩ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কবির লিখেছেন : ইমামের পেছনে না পড়লেও নামাজ হবে। কেউ যদি জামাতে নামাজের জন্য ইমামের পেছনে অংশগ্রহণ করে তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।
২৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
291537
সত্যের লিখেছেন : দলিল বিহীন মতামত না দেওয়ার জন্য বলা ছিল!
আপনার কথার পূর্ণাঙ্গ সহীহ দলিল জানাবেন?
351078
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

হযরত
সূরায়ে ফাতেহা কি ওজু (পবিত্রতা) ছাড়া স্পর্শ করা যাবে??
(যেহেতু কুরআনের অংশ নয়) আশা করি দলিল সহ জানাবেন।

২৯ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৮
292266
সত্যের লিখেছেন : ওয়া আ'লাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।
মুক্তাদীর ফাতেহা পড়তে হবে কি ? এ প্রসঙ্গে মতামত না দিয়ে, এমন বিষয়ে প্রশ্ন করলেন মনে হয় কেউ দলিল দিতে পারবে না----
দলিল জানার আগে বলুন-
কুরআন ছাড়াও আর কোন আল্লাহ'র কালাম আছে কি ?
হ্যাঁ বা না
রাসুল (সাঃ) কুরআনের আয়াত লিখে কাফেরদের কাছে কোন বার্তা পাঠিয়েছেন কি ?
হ্যাঁ বা না
২৯ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:১১
292287
আবু জান্নাত লিখেছেন : ভাই আমার জ্ঞান বেশি নাই বিধায় আপনার কাছে জানতে চেয়েছি মাত্র। এত ক্ষেপে গেলে আমি জানবো কিভাবে?

মুক্তাদীর ফাতেহা পড়তে হবে কি ? এ প্রসঙ্গে হাজারো দলিল পক্ষে বিপক্ষে আছে। এটি তো নতুন কিছু নয়।

তাই আমি নতুন বিষয়টি জানার অধীর আগ্রহে আছি ভাইয়া।

মেহেরবানী করে দলিলসহ সঠিক উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

৩০ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৮
292339
সত্যের লিখেছেন : দলিল বুঝার আগে সাধারন কিছু বিষয় জানেন কি না হ্যা বা না জানাতে বলেছিলাম। এরিয়ে গেলেন না তাও কি বুঝতে পারলে না
আচ্ছা সহজ করে বলি কুরানের বাহিরে তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল, আরও অনেক পবিত্র সহিফা আছে। এ গুলকি আল্লাহ'র কালাম নয়?
হ্যা বা না
পারস্যের সম্রাট কিসরার কাছে রাসুল (সাHappy কি কুরানের আয়াত সহ কোন বার্তা পাঠিয়েছেন কি?
হ্যা বা না
৩০ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৭
292355
আবু জান্নাত লিখেছেন : পুণঃরায় একই প্রশ্ন করলেন। আমার উত্তরটি আবার দেখে মূল প্রশ্নের উত্তর দিবেন আশাকরি।
351080
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২০
আবু জান্নাত লিখেছেন :
এখানে দলিল থেকে স্পষ্ট বুঝা/জানা গেল সূরা ফাতিহা আর কোরআন এক নয় । দুটো ভিন্ন ।

এব্যপারে আপনি কি ১০০@ শিউর??

**রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সূরা ফাতিহা কুরআনেও অবতীর্ন হয় নাই****

আপনি লিখেছেন: রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তাই এটি হাদিস, এই হাদিসটির রেফারেন্স বা উৎস কি? জানাবেন জনাব।


২৯ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:১২
292288
আবু জান্নাত লিখেছেন : Praying Praying Praying Praying Praying Praying
351082
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩৩
বেদনা মধুর লিখেছেন : জ্ঞানের বাহার দেখে হাসব নাকি কাঁদব বুঝতে পারছি না। সুরা ফাতিহা কোরান নয়। এই কথা বেতনধারী আহলে হাদিসেরা ইদানীং নতুন বলছে মনে হয়? এই একটি কথার জন্য বেতন কত নেয়া হয়?
০১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৪
292515
সত্যের লিখেছেন : হাসেন, কাদেন দুটোই করেন।
তবে মুসলমান হলে আল্লাহ ও রাসুল (সাHappy বাণীর অস্বীকারকারী হয়েন না।
351084
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩৫
বেদনা মধুর লিখেছেন : ওলামায়ে কেরামের মধ্যে এই বিষয়ে মতভেদগুলো একটু বলবেন? নাকি বলবেন যে ওলামায়ে কেরামের কথার কি দরকার, কোরান হাদিস দেখে চলুন?
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৪
292708
সত্যের লিখেছেন : আপনি সূরা ফাতেহা লিখে গুগল সার্চে দিলেই পক্ষে বিপক্ষে লিখা পাবেন।
সংক্ষেপে বলি
২) ও ৩) নং মতবাদীরা সূরা আরাফের ২০৪ নং আয়ত উল্লেখ করে দলিল দেয়।
আপনি নিজে দেখে বলুন ঐ আয়াতে ফাতেহা পড়ার সময় চুপ থাকতে বলেছে না কুরান পড়ার সময় চুপ থাকতে বলেছে?
কিছু হাদিসের দলিল দেয়, যেখানে কেরাত পড়তে নিষেধ আছে।
আপনি পোষ্টের দেখুন দলিল আছে রাসুল (সাHappy কেরাত পড়তে না করেছে, ফাতিহা পড়তে বলেছেন।
আপনি বলুন কেরাত আর ফাতেহা ভিন্ন নয় কি?
351180
২৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন :
এখানে দলিল থেকে স্পষ্ট বুঝা/জানা গেল সূরা ফাতিহা আর কোরআন এক নয় । দুটো ভিন্ন ।

-তার মানে কুরআনে অংশ নয় সূরা ফাতিহা? একটু সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলবেন কি?
০৪ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৪৭
292809
সত্যের লিখেছেন : আপনি সূরা হিজরের ৮৭ নং আয়াত দেখে বলুন আল্লাহ কি সাবআ মাসানী (মানে সূরা ফাতিহা) আর কুরান পৃথক করেনি?
এর চেয়ে স্পষ্ট আর কি আছে?
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২১
292845
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : তাহলে কুরআনের সূরা কি ১১৩টা? আর কুরআনের প্রথমে সুরা ফাতেহা না দিযে সূরা বাকারা দিয়ে শুরু করে নতুন কুরআন ছাপাতে হবে? আলাদা সূরা ফাতেহা দিয়ে আরেকটা আলাদা কিতাব তৈরি করাও দরকার, কি বলেন?
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:০৩
293031
সত্যের লিখেছেন : আল্লাহ ও রাসুল(সাঃ) বাণীর বিপরীত যুক্তি শয়তানের কাজ ।
আপনার যুক্তি নিয়ে আপনি করেন কার কি যায় আসে ।
ইমানদার, মুমিন, প্রকৃত মুসলমান ফাতেহা কে শ্রেষ্ঠ আল্লাহ'র কালাম, হিসাবে সকল ক্ষেত্রেই এক নম্বরে রাখবেই, সকল সময় পাঠ করবেই-----

ফাতেহার মত সুরা তওরাত, ইঞ্জিল, যবুর এবং

কুরআনের বাকী অংশ কোনটাতেই আসে নাই (ফাজায়েলে আ’মল ১ম খন্ডের ফাজায়েলে কোরআনের ৮২ পৃঃ)
351390
২৫ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২২
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : হে আল্লাহ! আমাদের সহজ সরল সঠিক পথের হেদায়েত দিন । আমীণ!
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
292857
সত্যের লিখেছেন : আমীণ!
353200
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া এসব নিয়ে কি সত্যিই কোন বিতর্কের মানে আছে? সহীহ হাদিসে তো চুপ থাকার বর্ণণাও আছে। যাইহোক আল্লাহ আমাদের এসব ছোটখাট সমস্যা ও মতবিরোধ যেন মিটিয়ে দেন কারণ এসব ঠুনকো বিষয় নিয়েও আজকাল যখন ঝগড়া-ফ্যাসাদ দেখি, তখন খুব অবাক হই।
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৫
293222
সত্যের লিখেছেন : ফাতিহা পড়ার সময় চুপ থাকার কথা কি সহীহ হাদিসে আছে?

দলিল দিন দেখি----
১০
361245
০৩ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আচ্ছা, ইমাম এবং মুক্তাদী দুজনেই যদি এক সাথে কিরাত পড়ে, কে কারটা শুনবে? আর ইমাম জোরে কিরাত পড়ে কাকে শোনাবে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File