ইসলাম গ্রহণ নিয়ে যা বললেন প্যারা-অলিম্পিয়ান জেসিকা স্মিথ

লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ০৩ মে, ২০১৭, ০৬:০৪:১৪ সন্ধ্যা

অস্ট্রেলিয়ান প্যারা-অলিম্পিক সাঁতারু জেসিকা স্মিথ নিজের বিয়ের আগে ইসলামে দীক্ষিত হওয়া সম্পর্কে মুখ খোলেছেন।

জেসিকা তার বাম হাত ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেন। দুই বছর আগে তিনি হামিদ নামে এক ইরানি যুবককে বিবাহ করেন। এখন এই দম্পত্তির সংসারে আলেয়া নামে ১৭ মাস বয়সী একজন মেয়ে সন্তান রয়েছে।

এক সন্তানের এই জননী জানান, ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়ে শুরুতে তিনি কিছুটা ‘মুখোমুখি’ অবস্থায় ছিলেন। হামিদ তাকে তার ইরানী পরিবার সম্পর্কে জানানোর পর তারা বাগদান করেন। কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিদ্ধান্তটি ছিল সম্পূর্ণরূপে তার নিজের।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে করি এটা কোন চাহিদা ছিল না এবং আমি অবশ্যই চাই না যে মানুষ মনে করুক আমাদের মধ্যে পছন্দের ব্যাপার ছিল।’

জেসিকা জানান, তার পিতা ক্যাথলিক ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন এবং তা তার মাকে বিয়ে করার পূর্বে এবং তার দাদীও একই কাজ করেছিলেন। তাই তিনি এটাকে খুব বড় করে দেখতে নারাজ।

তিনি বলেন, ‘আমি তার (হামিদ) সঙ্গে থাকতে চেয়েছি এবং এটি ছিল আমার একটি সিদ্ধান্ত।’

জেসিকা ও তার এক বছর বয়সী কন্যা আলেয়া।

স্মিথ ডেইলি মেইল অস্ট্রেলিয়াকে জানান, তিনি ব্যাপটাইজ ক্যাথলিক হিসেবে বেড়ে ওঠেছেন। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধর্ম নিয়ে তার মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয় এবং সে কারণে তিনি নতুন ধর্মীয় পরিচয় গ্রহণ করেন; যা ছিল তার জীবনে একটি বড় পদক্ষেপ।

জেসিকা বলেন, ‘ইসলামি বিশ্বাসে নারীদের প্রতি কিভাবে আচরণ করা হচ্ছে তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই অনেক কাল্পনিক ধারণা রয়েছে এবং অনেক দেশ এই কাল্পনিক ধারণাকে সত্য বলে বিশ্বাস করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার যে কোনো কাজে আমার স্বামী অনেক সহায়তা করে থাকে এবং এক্ষেত্রে ধর্ম আমার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি।’

ইসলাম নিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা গবেষণার পর তিনি ধর্মান্তের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হিজাবে তিনি এখনো এতটা অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি কারণ তিনি তার নতুন ধর্ম সম্পর্কে এখনো যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারেননি। এ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে তিনি এখনো অজ্ঞ।

তিনি যখন অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন তখন হিজাব পরেন না কিন্তু যখন ইরানে স্বামীর বাড়িতে যান তখন মাথায় হিজাব পরেন বলে তিনি জানান।

৩১ বছর বয়সী এই নারী ২০০৪ সালের প্যারাঅলিম্পিক গেমস প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ক্ষুধাহীনতা ও ‘বুলিমিয়া’ বা আহার ব্যাধির সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় পরাস্ত হয়েছেন কিন্তু তার পরিবার তার সুস্থতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

ক্যারিয়ারে খুব অল্প বয়সে কিছু বিপজ্জনক খাদ্যাভাস সমস্যায় ভোগেন। তিনি বলেন, ‘কারণ আমি সবসময় একটু ভিন্ন ছিলাম। আমি সবসময় নিচু আত্মসম্মানের সঙ্গে লড়াই করেছি। আমি মনে করি সববিষয়ে লড়াইয়ের চেষ্টায় আমি আমার খাদ্যাবাস ও আমার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।’

জেসিকা জানান, একজন অভিজাত সাঁতারু হয়েও তার অসুস্থতা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, তিনি কখনো চান না তার মেয়ে ইটিং ডিজওর্ডার বা খাদ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হোক এবং এটি প্রতিরোধে সব ধরনের পূর্ব সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি তার জন্য একই ভুল করতে চাই না; যা আমি করেছিলাম।’

বিষয়: বিবিধ

৬৮৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382870
০৩ মে ২০১৭ রাত ০৮:২৭
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ইসলামের ছায়াতলে আনতে পারেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File