যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে যত মৃত্যু।

লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ১১ জুলাই, ২০১৫, ০২:২২:৩৬ দুপুর

১০ জুলাই, ২০১৫, ময়মনসিংহ

এইদিন ভোরে ময়মনসিংহ জেলা শহরের অতুল চক্রবর্তী রোডের নূরানি জর্দা ফ্যাক্টরি থেকে যাকাতের কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় ফ্যাক্টরি মালিক ও তার ছেলেসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।

২৫ জুলাই, ২০১৪, বরিশাল

বরিশাল নগরীর কাঠপট্টি রোডে খান অ্যান্ড সন্স গ্রুপের মালিকের বাসভবনে ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই যাকাতের কাপড় বিতরণের সময় পদদলিত হয়ে ২০ জন আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর দু’জনের মৃত্যু হয়।

২৪ জুলাই, ২০১৪, মানিকগঞ্জ

গত বছরের ২৪ জুলাই মানিকগঞ্জে গার্লস স্কুল রোডে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ হাসান রুনুর বাসায় যাকাতের কাপড় বিতরণের সময় ভিড়ের কারণে ও প্রচণ্ড গরমে ১৩ নারী অসুস্থ হয়। মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়।

২০০৫, গাইবান্ধা

যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল ২০০৫ সালে গাইবান্ধা জেলা শহরে। নাহিদ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুস্থদের মধ্যে যাকাতের শাড়ি বিতরণের ঘোষণা দেয়া হয়। নির্ধারিত দিনে ভোরে ওই প্রতিষ্ঠানে গেটের সামনে জড়ো হয় কয়েক হাজার অসহায় নারী। গেট খোলার সময় হুড়োহুড়ি আর ধাক্কাধাক্কিতে নিহত হয় ৩৭ জন।

১৩ এপ্রিল, ১৯৯১, ঢাকা

১৯৯১ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকার নবাবপুর রোডে যাকাতের কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে মারা যান দু’জন। অত্যাধিক ভিড়ের চাপে ঘটনাস্থলেই একজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হন এবং আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন।

২৬ এপ্রিল, ১৯৯০, চট্টগ্রাম

যাকাত নিতে গিয়ে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামে। ১৯৯০ সালের ২৬ এপ্রিল পাহাড়তলীর আবুল বিড়ি ফ্যাক্টরিতে যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৩৫ জন নিহত হয়। এসময় আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ।

৫ মে, ১৯৮৯, চাঁদপুর

১৯৮৯ সালের ৫ মে চাঁদপুরে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত মারা যায় ১৪ জন। এসময় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।

২৩ মে, ১৯৮৭, ঢাকা

১৯৮৭ সালের ২৩ মে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যাকাত দেয়ার সময় ব্যাপক লোক সমাগম হয়। একপর্যায়ে লোকজন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মধ্যে পড়ে ৪ জন মারা যায়। এ ঘটনায় আহত হয় বহু লোক।

৯ জুলাই, ১৯৮৩, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যাকাতের টাকা নিতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পড়ে ৩ শিশু মারা যায়। আহত হয় আরো অনেকে।

১৯৮০, ঢাকা

১৯৮০ সালের রমজান মাসে যাকাতের কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে ঢাকার জুরাইনে শিশুসহ ১৩ জন পদদলিত ও ভিড়ের চাপে নিহত হয়।

এ তো গেলো উল্লেখযোগ্য ঘটনা, এর বাইরেও যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে যাকাতের কাপড় প্রদান রীতিমত একটা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে গেছে।

১৯৮০ থেকে ২০১৫ সালের বড় বড় যাকাত দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সৌজন্যেঃ বাংলামেইল২৪ডটকম।

বিষয়: বিবিধ

১১৩৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

329566
১১ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তবুও বন্ধ হচ্ছেনা এ্ই হত্যাকান্ড.
১২ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:২৫
272005
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয় না আর এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে। এইসব কথা আমাদের মত আজ জনতা ছাড়া আর কেউই চিন্তা করে না।
329702
১২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
হতভাগা লিখেছেন : কষ্ট করে নিজের উপার্জনে জোগাড় করতে পারার ইচ্ছের চেয়ে অন্যের দান করা জিনিসের প্রতি বাংলাদেশীদের নজর বেশী ।

এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে এই সিলসিলা চলতেই থাকবে।
১২ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:২৪
272004
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার সাথে একমত কিন্তু যাকাত দেওয়ার আগে যাকাত দেওয়ার নিয়ম জানতে হবে জাকাত দানকারীকে তাহলে হয়তো এমন ঘটনা হবে না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File