আজ দুই বছর এক মাস দুই দিন

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মানব ১৯ মে, ২০১৩, ০৮:০২:০৪ রাত

গুইমারা থানার

বড়পিলাক

কচুবাউন্তি এলাকায়

সশস্ত্র

উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র

দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সুনিল সরকার,

আইয়ুব আলী, নোয়াব আলী নামে তিন

বাঙ্গালী শ্রমিককে।

বাঙ্গালী ও উপজাতীয় উভয় পক্ষের শতাধীক

বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর

আহত হয় কমপক্ষে ত্রিশজনের বেশী লোক।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ এপ্রিল রবিবার ২০১১’র এই

দিনে।

সেই নির্মম হত্যাকান্ডের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও

শোকের ছায়া আজো কাটেনী নিহতদের পরিবারের

মাঝে।

ঘটনার সুত্রপাত যেভাবে : ১৭এপ্রিল রবিবার দুপুর

২টা।

কচুবাউন্তি এলাকায় বাঙ্গালীদের জমিতে আদা হলুদ

লাগানোর জন্য শ্রমিকরা কাজ করছে।

এজমিটি বাঙ্গালীদের নিজস্ব, তারা ২৫/৩০বছর

যাবত

এখানে বসবাস করে আসছে। উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের

একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন যাবত বাঙ্গালীদের উচ্ছেদ

করার

জন্য ষড়যন্ত্র করছে। মুলত তাদের কোন বৈধ কাগজপত্র

নেই।

হঠাৎ ১০/১২জনের উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ

সশস্ত্র অবস্থায় তাদের উপর আতর্কিত

হামলা করে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে

বাঙ্গালী শ্রমীককে হত্যা করে। এতে বদিউজ্জামান,

আ:

মোমিন, ইনতিয়াজ, সফিকুল, সালেমুছাসহ গুরুতর আহত

হয়

ত্রিশজন। এ ঘটনা সহিংসতায় রুপ নিলে উভয় পক্ষের

শতাধিক বাড়ীঘর আগুন দিয়ে পুড়ানো হয়।

পরে সংঘটিত

এলাকায় ১৪৪ধারা জারী করে স্থানীয় প্রশাসন।

হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ

বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে।

হত্যা মামলায় ৫জনকে চিহিৃত করে অজ্ঞাত দুই/

আড়াইশ

উপজাতীয় সন্ত্রাসীকে আসামী করে মামলা করা হয়।

যার

নং -১ তাং ১৮-৪-২০১১ইং। এ মামলায় খেচু

মারামা নামে এক সন্ত্রাসী(এজহারভুক্ত)সহ অপর

দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে তারা জামিনে বের

হয়ে আসে। অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনায় অজ্ঞাত

১৫০

জনকে আসামী করে অপর একটি মামলা করে পুলিশ।

যার

নং২/তাং১৯-৪-২০১১ইং।

দীর্ঘ প্রায় এক বছর মামলার বাদী এসআই মঞ্জুরুল

আবছার

তদন্ত করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদী হওয়ায়

এসআই

মুঞ্জুরুল আবছারের পরিবর্তে এসআই ঠাকুর দাস

মন্ডলকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব

প্রাপ্ত

তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মন্ডল মাত্র ১৫ দিনের

তদন্তে দায়সারাভাবে মামলার চুড়ান্ত চার্জসিট

প্রদান

করে। যার তাং ১১-০৮-১২ ইং। তার

তদন্তে হত্যা মামলায় ৩১জন

উপজাতী এবং অগ্নিসংযোগ ও

লুটতরাজের মামলায় ২৮ জন বাঙ্গালীকে চিহিৃত

করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ

এনে আসামী করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

করে পুলিশ।

অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মামলায় ২৮ জন

বাঙ্গালী আসামী ৯/১০/১২/১৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ

চীফ

জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল

ম্যাজেষ্ট্রেটের আদালতে বিভক্তভাবে হাজির

হয়ে জামিন চাইলে তাদের কে জামিনে মুক্তিদেয়

আদালত। বর্তমানে এমামলাটি আদালতের

বিচারাধীন।

তিন বাঙ্গালী শ্রমীক হত্যা মামলায় অভিযোক্ত

৩১জন

উপজাতীয় আসামীর

নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত।

দীর্ঘ

প্রায় এক বছরের বেশি সময়ের

মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার

করেনি পুলিশ। রহস্যজনক কারনে নিরব ভুমিকা পালন

করছে পুলিশ।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন

গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও কোন অদৃশ্য

শক্তির

ইশারায় পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। আথচ

আসামীরা স্বশরিরে পুলিশের

সামনে দিয়ে চলাফেরা করছে বীরদর্পে।

অতিতে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রায় ত্রিশ

হাজার

বাঙ্গলীকে হত্যাসহ নারী নির্যতন, অপহরনসহ

নানা অপকর্মের বিচার হয়নি আজো। অথচ যাদের

নির্দেশে এসব হত্যা, গুম, লুটতরাজ, চাদাবাজীসহ

বাঙ্গালীদের উপর নির্মম-নিষ্টুরতারমত আচর

করেছে উপজাতীয় সস্ত্রাসীরা তাদের কে পুরস্কিত

করেছে সরকার।

এব্যাপারে জানতে চাইলে গুইমারা থানার

ভারপ্রাপ্ত

কর্মকর্তা বশির আহাম্মেদ এই প্রতিবেককে বলেন,

খুব

দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।অচিরেই এর

ফলাফল

দেখতে পাবেন।

কেমন আছেন নিহতদের পরিবার : বর্তমানে নিহতদের

পরিবারে সুখ নেই। আছে শোকের মাতম। দুইটি বছর

পেরিয়ে গেলেও বিচার হয়নি খুনি-সন্ত্রাসীদের।

জামিনে বেরিয়ে এসে আবার এলাকায় আদিপত্য

বিস্তারের চেষ্ঠা চালাচ্ছে।

সরেজমিনে গিলে কথা হয় নিহতদের পরিবারের

সদস্যদের

সাথে তারা অভিযোগ করেন, ঘটনার পররপর

তাৎক্ষনিক

কিছু সহযোগীতা পেলেও দীর্ঘ দুই বছরের মধ্যে খোজ

নেয়নি কেউ। কিভাবে তাদের পরিবার চলছে তার

খবর ও

রাখেনি কেউ।

নিহত সুনিল সরকারের স্ত্রী সীমা সরকার ও তার

৫বছরের শিশু সন্তান জয় সরকার কান্না জরিত

কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করল

তারা দিব্যি চলাফেরা করছে। আজও খুনিদের

কারো বিচার হয়নি। স্বামী নেই ছোট্র এই

সন্তানকে লেখা-পড়া করানো আমার পক্ষে সম্ভব

হচ্ছেনা।

সন্তান বাবাকে খুজে কিন্তু তার বাবাতো আর

ফিরবেনা।

সুনিলের মা-বাবার চোখঁ দিয়ে ঝড়ছে অশ্রু,

পুত্রশোকে মাতুম তারা আর কোন দিন

খোজে পাবেনা বুকের

ধনকে। উপজাতীয়

সন্ত্রাসী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাঠিয়ে দি

দেশে। মা বলে কথা, বুকফাটা আর্থনাত

বলে দিচ্ছে ছেলে হারিয়ে কতটা যন্ত্রনায় ভোগছেন

তারা।

বিষয়: বিবিধ

৮৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File