সাহাবায়ে কেরাম: আমাদের হেদায়েতের সর্বোত্তম মাধ্যম

লিখেছেন লিখেছেন আনসারী ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬:৪৮ দুপুর

মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহর রাসুল (স) বিদায় হজ্জের ভাষনে কোরআন ও সুন্নাহর কথা স্পষ্টভাবে বলেছেন এবং এটাও উল্লেখ করে গেছেন যে যারা এই দুইটা গ্রহণ করবে তারা কখনও পথভ্রষ্ঠ হবে না। মানুষের হেদায়েতের জন্য আর কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই।সেই সময় বড় বড় তাফসীর গ্রন্থ ছিল না, ছিল না কোন সমৃদ্ধশালী হাদীসের কিতাব, ছিল না বিশাল ইসলামী সাহিত্য সম্ভার। আমাদের বর্তমান যুগে তাফসীরের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই তার পরও বলব সাধারন মানুষের সিরাতুল মুস্তাকীম চিনবার জন্য বিশাল বিশাল তাফসীর গ্রন্থ অধ্যয়ন করার কোনও দরকার নেই। বরং কোরআন থেকে হেদায়েত ও শিক্ষা গ্রহন করার মানুসিকতা নিয়ে কোরআন পড়লেই কোরআন থেকে হেদায়েত পাওয়া অবশ্যই সম্ভব। অনেক কোরআন সমালোচককে দেখা গেছে কোরআনের ভূল ধরার মানুসিকতা নিয়ে কোরআন পড়তে গিয়ে কোরআনের ভূল বের করা তো দুরের কথা কোরআন থেকে হেদায়েত নিয়ে ফিরে গিয়েছেন। এটাই আল কোরআনের মুযিজা। তাই আমাদেরকে সরাসরি কোরআন থেকেই অধ্যয়ন করতে হবে এবং বুঝতে হবে। কোরআন সরাসরি না পড়ে বিশাল বিশাল তাফসীর পড়লে অনেক জ্ঞান অর্জন হবে সন্দেহ নেই কিন্তু আল কোরআনের যে স্পিরিট তা অর্জন হবে না। তাই আমার এক নম্বর উপলব্ধি হল যাদের সময় সুযোগ আছে তারা অবশ্যই তাফসীর পড়বেন কিন্তু সরাসরি কোরআন পড়ার পর। কোরআন বুঝে পড়তে হলে অর্থ জানাটা জরুরী তাই তাফসির গবেষণার চেয়ে কোরআনের ভাষাজ্ঞান এর উপর গুরুত্ব বেশি দেয়া উচিত।(আমার অনুমান যদি ভূল হয় তবে মাফ করবেন) সাহাবায়ে কেরাম সরাসরি কোরআন অধ্যয়নের প্রতি বেশি মনোযোগি ছিলেন। ফলে তারা বেশি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের দেশে যে হারে তাফসীর মাহফিল গুলো হচ্ছে এর উপকার আমরা কতটুকু পাচ্ছি তা পর্যালোচনা করা দরকার। বিশাল বিশাল তাফসীর মাহফিলের চেয়ে ছোট পরিসরে হলেও কোরআন তালীমের আয়োজন বেশি বেশি করা দরকার।

হাদীসের ক্ষেত্রেও তাই বিশাল বিশাল হাদিস গ্রন্থ অধ্যয়নের চেয়ে হাদীসগুলো (কম হলেও) বাস্তব জীবনে চর্চা করাটা জরুরী। সুন্নাহকে জানার জন্য বুখারী মুসলিমসহ সিহহ সিত্তাহর সকল হাদীস অধ্যয়নের চেয়ে মৌলিক কিছু হাদীস এর উপর আমল করাটা জরুরী।

ইসলামকে চেনা ও জানার জন্য এলোমেলো ভাবে ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করার দরকার নেই। ইসলামের আসল রূপকে দেখতে চাইলে সর্বপ্রথম রাসুল (সHappy এর জীবনী জানতে হবে তাহলেই ইসলামকে চেনা ও জানাটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই মৌলিক সীরাতগ্রন্থগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তার পরেই সাহাবাদের জীবনীগুলো পড়তে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইসলামকে চেনা ও জানার জন্য আর কিছুর খুব বেশি দরকার হবে না। কেউ পান্ডিত্য অর্জন করতে চাইলে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। সারকথা হল ইসলামকে জানার জন্য ও হেদায়েতের উপর টিকে থাকার জন্য নুন্যতম সিলেবাস হল:

১। আল কোরআন বুঝে বুঝে নিয়মিত পড়া।

২। মৌলিক হাদীসগুলো বুঝে পড়া

৩। সীরাত (রাসুল (স) ও সাহাবীদের ) পড়া।

জানার সাথে সাথে আমল করাটা খুবই জরুরী।

বিষয়: বিবিধ

৫৫০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386474
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
রাশেদ বিন জাফর লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ জনাব,
আল্লাহ আপনার উত্তম প্রতিদান করুন আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File