''আওয়ামীলীগের আরেক নাম রাজাকারলীগ''

লিখেছেন লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা ১২ আগস্ট, ২০১৩, ১১:৫৭:১৫ সকাল



''আওয়ামীলীগের আরেক নাম রাজাকারলীগ''

যেই শুধু জামায়াত কে রাজাকার বলবে, তার গালে জোরে একটা থাপ্পড় লাগাইবেন... আর সঠিক ইতিহাস এইটা পড়তে দিবেন...

১৯৭১ সালে জামায়াত ছিল একটি ক্ষুদ্র দল। জামায়াতের তুলনায় মুসলিম লীগ ছিল শতগুণে বড় দল। আর আওয়ামী লীগ ছিলো হাজার গুণ বড়। যেহেতু জামায়াত ছোট দল ছিল সেহেতু ১৯৭১ সালে তাদের ভূমিকাও খুবই নগণ্য ছিল।

শান্তি কমিটি, রাজাকার ইত্যাদি সংগঠন ও বাহিনীর তালিকা দেখলে বোঝা যাবে জামায়াতের উপস্থিতি সেখানে নেই বললেই চলে। সারাদেশে ১৯৭১ সালে গঠিত শান্তিবাহিনীতে জামায়াতকে একটি চেয়ারম্যানের পদও দেয়া হয়নি অতি ক্ষুদ্র দল ছিল বলে এবং নেতা- কর্মী ছিলনা বলে। বরং শান্তিকমিঠি, রাজাকার, আল- বদরে আওয়ামী লীগ ও মুসলিম লীগের লোক জনই ৯৫% এর চাইতেও বেশী ছিলো।

একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরো পরিস্কার হবে... খেয়াল করবেন...

১৯৭০ সালেরনির্বাচনে তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের একটি আসনে জামায়াতে ইসলামী ভোট পেয়েছিলো ৩৫০ মতো। আর ১৯৭১ সালে ঐ এলাকায় তালিকাভূক্ত রাজাকারই ছিলো ১১৫০০ জনের উপরে। আওয়ামী লীগের কথা মতো যদি জামায়াতের প্রাপ্ত সকল ভোটকেই রাজাকার হিসেবে ধরা হয় তাহলে বাকি ১১ হাজারেরও বেশী লোকগুলো কারা? নিশ্চয় তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী-সমর্থক বা ভোটার ছিল। কারণ ঐ এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিল। সে হিসেবে সারাদেশের রাজাকার, আল-বদর ইত্যাদীর তালিকা প্রকাশ করলেও দেখা যাবে ৯০% রাজাকার আওয়ামী লীগ থেকে এসেছে। কিন্তু এখন কি সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে এর বিচার করবে?

তাহলে...

আসলে জামায়াতে ইসলামীকে সেদিনের কোন অপরাধে নয়,বরং ১৯৭১ সালে অখন্ড পাকিস্থানের সমর্থক ছিল এমন সব দল বর্তমানে বিলীন কিন্তুএকমাত্র জামায়াত দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এই জনপ্রিয়তায় জামায়াতের জন্য কাল হয়েছে। অথচ স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে চীনপন্থী বাম দলগুলোর ভূমিকার কথা কেউ আজ বলেনা। কারণ তারা কেউই আজ আর রাজনৈতিক মাঠে নেই। জামায়াতে ইসলামীর অপরাধ হলো জামায়াত আজ ইসলামের আদর্শবাদী একটি শক্তিশালী দল। আরেকটি তথ্য হলো ১৯৭১ সালে জামায়াতের সদস্য (রুকন) সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০০ জনের মতো। এখন সে সংখ্যা প্রায় ৩৫০০০ জন। শুধু জামায়াতের সদস্য (রুকন) সংখ্যার ১৯৭১ সালের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০গুণ। এটা জামায়াতের ক্রমবদ্ধমান জনপ্রিয়তা ও সাংগাঠনিক শক্তি বৃদ্ধির অন্যতমউদাহরণ। এই জনপ্রিয়তার কারণে বিএনপি জামায়াতের পাশে থাকে। আবার আওয়ামী লীগের জামায়াত বিরোধীতার কারণও ওই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি। জামায়াত যদি আজ মুসলিম লীগের অবস্থায় পতিত হতো তাহলে নিজামী- মুজাহিদেরকে কেউ শুধু তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী নয় সাধারণ অপরাধীও বলতো না। যেমন এখন কেউই মুসলিম লীগের নাম স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে মুখেও আনেনা।

Courtesy: আন্দালুসিয়ার অশ্বারোহী''আওয়ামীলীগের আরেক নাম রাজাকারলীগ''

যেই শুধু জামায়াত কে রাজাকার বলবে, তার গালে জোরে একটা থাপ্পড় লাগাইবেন... আর সঠিক ইতিহাস এইটা পড়তে দিবেন...

১৯৭১ সালে জামায়াত ছিল একটি ক্ষুদ্র দল। জামায়াতের তুলনায় মুসলিম লীগ ছিল শতগুণে বড় দল। আর আওয়ামী লীগ ছিলো হাজার গুণ বড়। যেহেতু জামায়াত ছোট দল ছিল সেহেতু ১৯৭১ সালে তাদের ভূমিকাও খুবই নগণ্য ছিল।

শান্তি কমিটি, রাজাকার ইত্যাদি সংগঠন ও বাহিনীর তালিকা দেখলে বোঝা যাবে জামায়াতের উপস্থিতি সেখানে নেই বললেই চলে। সারাদেশে ১৯৭১ সালে গঠিত শান্তিবাহিনীতে জামায়াতকে একটি চেয়ারম্যানের পদও দেয়া হয়নি অতি ক্ষুদ্র দল ছিল বলে এবং নেতা- কর্মী ছিলনা বলে। বরং শান্তিকমিঠি, রাজাকার, আল- বদরে আওয়ামী লীগ ও মুসলিম লীগের লোক জনই ৯৫% এর চাইতেও বেশী ছিলো।

একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরো পরিস্কার হবে... খেয়াল করবেন...

১৯৭০ সালেরনির্বাচনে তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের একটি আসনে জামায়াতে ইসলামী ভোট পেয়েছিলো ৩৫০ মতো। আর ১৯৭১ সালে ঐ এলাকায় তালিকাভূক্ত রাজাকারই ছিলো ১১৫০০ জনের উপরে। আওয়ামী লীগের কথা মতো যদি জামায়াতের প্রাপ্ত সকল ভোটকেই রাজাকার হিসেবে ধরা হয় তাহলে বাকি ১১ হাজারেরও বেশী লোকগুলো কারা? নিশ্চয় তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী-সমর্থক বা ভোটার ছিল। কারণ ঐ এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিল। সে হিসেবে সারাদেশের রাজাকার, আল-বদর ইত্যাদীর তালিকা প্রকাশ করলেও দেখা যাবে ৯০% রাজাকার আওয়ামী লীগ থেকে এসেছে। কিন্তু এখন কি সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে এর বিচার করবে?

তাহলে...

আসলে জামায়াতে ইসলামীকে সেদিনের কোন অপরাধে নয়,বরং ১৯৭১ সালে অখন্ড পাকিস্থানের সমর্থক ছিল এমন সব দল বর্তমানে বিলীন কিন্তুএকমাত্র জামায়াত দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এই জনপ্রিয়তায় জামায়াতের জন্য কাল হয়েছে। অথচ স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে চীনপন্থী বাম দলগুলোর ভূমিকার কথা কেউ আজ বলেনা। কারণ তারা কেউই আজ আর রাজনৈতিক মাঠে নেই। জামায়াতে ইসলামীর অপরাধ হলো জামায়াত আজ ইসলামের আদর্শবাদী একটি শক্তিশালী দল। আরেকটি তথ্য হলো ১৯৭১ সালে জামায়াতের সদস্য (রুকন) সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০০ জনের মতো। এখন সে সংখ্যা প্রায় ৩৫০০০ জন। শুধু জামায়াতের সদস্য (রুকন) সংখ্যার ১৯৭১ সালের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০গুণ। এটা জামায়াতের ক্রমবদ্ধমান জনপ্রিয়তা ও সাংগাঠনিক শক্তি বৃদ্ধির অন্যতমউদাহরণ। এই জনপ্রিয়তার কারণে বিএনপি জামায়াতের পাশে থাকে। আবার আওয়ামী লীগের জামায়াত বিরোধীতার কারণও ওই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি। জামায়াত যদি আজ মুসলিম লীগের অবস্থায় পতিত হতো তাহলে নিজামী- মুজাহিদেরকে কেউ শুধু তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী নয় সাধারণ অপরাধীও বলতো না। যেমন এখন কেউই মুসলিম লীগের নাম স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে মুখেও আনেনা।

Courtesy: আন্দালুসিয়ার অশ্বারোহী

বিষয়: বিবিধ

২৩০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File