বাংলাদেশ তরুণ সংসদ ইলেকশান

লিখেছেন লিখেছেন সোহানুর রহমান ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৫৭:৩৪ দুপুর



ডিভিশনাল পর্যায়: প্রত্যেক স্থানীয় তরুণ পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে ১ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হবে বিভাগীয় ককাস । প্রত্যেক স্থানীয় তরুণ পরিষদের ৩০জন প্রতিনিধির মধ্যে যারা নির্বাচিত হতে আগ্রহী তাদেরকে নিজেদের সমন্ধে প্রকাশ করতে হবে যেমন: (স্থানীয় তরুণ পরিষদে তাদের ভূমিকা, ভাবনা , প্রশিক্ষণ পরবর্তী অর্জন) এর ভিত্তিতে স্থানীয় তরুণ পরিষদের সদস্যগণ ১ (এক) জনকে বিভাগীয় ককার্স এর জন্য নির্বাচিত করবে। প্রত্যেক স্থানীয় তরুণ পরিষদ থেকে ১জন সদস্য অর্থাৎ ১ টি বিভাগের ৫টি স্থানীয় তরুণ পরিষদ থেকে ৫ জন সদস্য নির্বাচিত হবে।

ইলেকশান পদ্ধতি: ৩ সদস্যের ইলেকশান কমিটি গঠন করা হবে। ১. মেন্টর নিয়ে কোর টিম, ২. সহায়ক গন এবং ৩. এলাকা সমন্বয়কারী । সম্পূর্ণ ইলেকশান পদ্ধতিটি ১দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে (৩-৪ ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট)। প্রথমে মেন্টর নিয়ে কোর টিম, সহায়ক গন এবং এলাকা সমন্বয়কারী, ৩০ জন সদস্যের সামনে ৫-৭ মিনিটের একটি বক্তব্য রাখবেন। (তাঁর বক্তব্যে তিনি জানাবেন যে, আজকের ইলেকশানে আমরা ভোট দিয়ে তাকেই নির্বাচিত করবো, যে আমাদের সবচেয়ে ভাল প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে, যে আমাদের কথাগুলো অন্য সবার সামনে সবচেয়ে সুন্দরভাবে বলতে পারবে। অর্থাৎ যে আমাদের সম্মান রক্ষা করতে পারবে।) লোকাল ইয়োথ কাউন্সিলের ৩০ জন সদস্যকে আহবান জানানো হবে, যারা ইলেকশানে প্রার্থী হতে আগ্রহী তারা দাঁড়িয়ে ইলেকশান কমিটির কাছে তা প্রকাশ করবে। ইলেকশান কমিটি আগ্রহী প্রার্থীদের নাম লিপিবদ্ধ করবে। অতপর, সকল প্রার্থীকে ৫ মিনিট করে সময় দেয়া হবে, তারা সবার সামনে দাঁড়িয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিবে। বক্তৃতায় তারা বলবে, ১. আমি কেন এক্ষেত্রে নিজেকে যোগ্য মনে করছি ২. আমার স্কুল এবং স্কুলের আশেপাশের এলাকার কোন ব্যাপারগুলো পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি এবং ৩. আমি জাতীয় সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে আমার স্কুল এবং স্কুলের আশেপাশের এলাকার কোন সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরব। এই ৩টি বিষয় নিয়ে সকল প্রার্থী ৫ মিনিট করে কথা বলবে। তারপর শুরু হবে ভোটিং। লোকাল ইয়োথ কাউন্সিলের ৩০ জন সদস্য (প্রার্থীরা সহ) ১টি করে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে। ৩০টি কাগজে সকল প্রার্থীদের নাম লেখা থাকবে, প্রত্যেক ভোটার ১টি করে কাগজ হাতে নিবে, তার পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে সীল দিবে এবং কাগজটি ভাজ করে নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলবে। ভোট দেওয়া হয়ে গেলে, ঘর থেকে বের হয়ে যাবে। ৩০টি ভোট দেয়া হয়ে গেলে ইলেকশান কমিটি অন্য শিক্ষকদের সামনে ভোট গণনা করবেন। সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীকে লোকাল ইয়োথ কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সে ডিভিশনাল পর্যায়ে এই ৩০ জনের প্রতিনিধিত্ব করবে। যদি ২জন প্রার্থী সমান ভোট পায়, সেক্ষেত্রে এই ২জনকে ইলেকশান কমিটির ৩জন সদস্য ভোট দিয়ে ১জনকে নির্বাচন করবেন।

ডিভিশনাল পর্যায়ে প্রতিটি ডিভিশনে দি হাঙ্গার প্রজেক্টব্র্যাক প্রতিনিধি আসবে ৫জন, পাশাপাশি ব্র্যাক থেকে প্রতিনিধি আসবে ৫জন। প্রতিটি ডিভিশনে ফোরাম গঠিত হবে এই ১০ জনকে নিয়ে। এই ফোরামটি ‘সংসদীয় পদ্ধতি ও রীতিনীতি’ বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। প্রশিক্ষণটি দেওয়া হবে নিকটতম বিএলসি কিংবা ব্র্যাক অফিসে। সেদিন তারা ১০ জন নিজেরা আলোচনা করে নিজেদের এলাকার, অথবা জাতীয় পর্যায়ের ১০টি আলোচনাযোগ্য বিষয় খুঁজে বের করবে, যেগুলো নিয়ে তারা জাতীয় সংসদে আলোচনা করতে আগ্রহী। নির্বাচিত ১০টি বিষয়ের তালিকা সারা দেশের ৭০টি লোকাল ইয়োথ কাউন্সিলে ভোটিং এর জন্য পাঠানো হবে। লোকাল ইয়োথ কাউন্সিলরদের কাছে যে সমস্যাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তাতে ভোট করবে।

বিষয়: Contest_mother

১৫৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File