শুধু অমুসলিমদেরই কেন জিজিয়া কর দিতে হবে? (!!!) প্রকৃতপক্ষে কি তাই Happy

লিখেছেন লিখেছেন সাঈদ আল হক তামজিদ ২৫ মার্চ, ২০১৪, ১০:০১:৩১ রাত

আমার এক বড় ভাই এক ভদ্র (!) লোকের স্ট্যাটাস ম্যাসেজ করে এই প্রশ্নটি করেন। সেই ভদ্র (!) লোকটি নিজের মনমত কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা করে বলতে চেয়েছেন যে, অন্য ধর্মগুলোকে যে দোষে আক্রমন করে ,আর নিজেকে দোষমুক্ত দাবী করে , সেটা যে যথার্থ নয় বরং ইসলাম নিজেই যে ১০০% উক্ত দোষে দোষী এবং জিজিয়া কর আদায় অমুসলিমদের উপর অবিচার।

আসলেই কী তাই !!

প্রথমে আসি জিজিয়া কর কী?

--- শরীয়া আইন ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমদেরও অধিকার দিয়ে থাকে।এটা এক ধরনের ট্যাক্স। যার বিনিময়ে অমুসলিমেরা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই মূলত কোরআনে এই ব্যাপারে আয়াত এসেছে।

"তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।৯:২৯"

এবার আসি কারা কারা জিজিয়া কর দিবে?

--- চার শ্রেণীর ব্যক্তিদের জিজিয়া কর থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এরা হচ্ছে-

১। নারী

২। শিশু

৩।বৃদ্ধ এবং

৪। প্রতিবন্ধী

শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীতে কাজ করার মত এবং আর্থিক সামর্থবান পুরুষের কাছ থেকেই এই জিজিয়া কর আদায় করা হবে।

তবে কেউ যদি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে তাহলে তাকে জিজিয়া কর দিতে হবে না।

জিজিয়া করের পরিমাণ কেমন হবে ?

--- এ ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট হার কোরআনে বলা হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে তা বছরে মাথাপিছু ১০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।

এই জিজিয়া করের মাধ্যমে, মুসলিমরা তাদের নিরাপত্তা দিবে এবং রাষ্ট্রে সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে।

প্রশ্ন আসতে পারে মুসলমানেরা কী তাহলে কোন কর দিবে না !

--- দিবে এবং তা জিজিয়া করের থেকেও অনেক বেশি ।

সেটা কীভাবে ?

---

১। কারো নেসাব পরিমাণ সম্পত্তি থাকলেই যাকাত দিতে হবে,

২। প্রতি বছর ফিতরা আদায় করতে হবে,

৩। সামর্থবানেরা প্রতি বছর কোরবানি দিবে,

৪। রাষ্ট্র যখন চাইবে তখনই মুসলিমরা টাকা দিতে বাধ্য থাকবে ।

তাছাড়া মুসলিমরা জিহাদে অংশ নিতে বাধ্য যা অমুসলিমরা বাধ্য নয়।

এই জিজিয়া কর শুধু ভূ-খন্ড দখলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

সুতরাং জিজিয়া কর আদায়ের মাধ্যমে অমুসলিমদের উপর কোন অবিচার করা হচ্ছে না। বরং তাদের সুবিধাই হচ্ছে।

আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে তার আইন বাস্তবায়নে সাহায্য করুন।-আমিন

(ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং তা জানাবেন যাতে আমি তা শুধরাতে পারি)

বিষয়: বিবিধ

৩২৪২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

197960
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:১৬
মাটিরলাঠি লিখেছেন : আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে তার আইন বাস্তবায়নে সাহায্য করুন। আ-মী-ন।
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৫
147908
সাঈদ আল হক তামজিদ লিখেছেন : আমীন
197965
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৫
উম্মু রাইশা লিখেছেন : জিযিয়া কর নিয়ে আরেকটা কথাও বলতে পারেন, মদীনার ইহূদিদের কখনো তাদিতে হয়নি, জিযিয়া কর শুধু বিজিত দেশগুলির জন্য
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৬
148481
সাঈদ আল হক তামজিদ লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া
197980
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৪৯
নূর আল আমিন লিখেছেন : আল্লাহ
তা'য়ালা আমাদের
সবাইকে তার আইন
বাস্তবায়নে সাহায্য
করুন। আ-মী-ন।
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৭
148482
সাঈদ আল হক তামজিদ লিখেছেন : আমীন
197982
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৫৫

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আপনি যেমন সুবোধ জনের মত মনের মাধুরী মিশিয়ে কোরান উজার করছেন, বিষয়টির মর্ম কোরান কিন্তু আদৌও মিন করে না। এ থেকে কোরানের মধ্যযূগীয় বর্বরতাই প্রকট আকারে ধরা পরে।

কোরানের ক্লিয়ারকাট মধুর বচনে!! কোন রাখঢাক করা হয় নি।

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।

াল কোরানের এই সূরার আগের এবং পরের আয়াত সমুহ অমুসলিমদের জন্য আরো মধুময়
-অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।- ৯-৫

-যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। -৯-১৪

-যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহ্র রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহ্র কাছে আর তারাই সফলকাম।- ৯-২০

-তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।- ৯-২৯

-ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ”মসীহ আল্লাহর পুত্র।” এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ্ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।- ৯-৩০

-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহ্র পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।- ৯-৩৮

-যদি বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্খলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।- ৯-৩৯

-তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।- ৯-৪১

-হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।- তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।-৯-৭৩

-কিন্তু রসূল এবং সেসব লোক যারা ঈমান এনেছে, তাঁর সাথে তারা যুদ্ধ করেছে নিজেদের জান ও মালের দ্বারা| তাদেরই জন্য নির্ধারিত রয়েছে কল্যাণসমূহ এবং তারাই মুক্তির লক্ষ্যে উপনীত হয়েছে।- ৯-৮৮

- আল্লাহ্ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহ্র রাহে: অত:পর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহ্র চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।- ৯-১১১

-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।- ৯-১২৩
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৮
148484
সাঈদ আল হক তামজিদ লিখেছেন : এই যে ভাইজান আমি যদি আপনার প্রতিটা পয়েন্টের জবাব দেই তাহলে কোন লাভই হবে না। কারণ আপনার ভেতরটা ফাঁপা
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
148497

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আপনাদের ঠাসা শরীরে আমিন-আলহামদুলিল্লা-সুভানাল্যা ছাড়া যুক্তি, মেধা, শিক্ষা আছে কি?
২৭ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
148520
সাঈদ আল হক তামজিদ লিখেছেন : না ভাই নাই ।
197995
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:২৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অসাধারণ এবং চমতকার বলেছেন্ । রায়হান নামক সেই মেয়েটি যেসব আয়াত উল্লেখ করেছেন তা ছিল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবতীর্ণ আয়াত্ । শানে নুযুল,হাদীস ছাড়া ঢালাওভাবে বলা হয়েছে...
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৯
148485
সাঈদ আল হক তামজিদ লিখেছেন : পড়ার জন্য শুকরিয়া ভাই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File