লিখার (পড়ুন ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রকাশ ও ছড়ানোর) স্বাধীনতা বনাম ধর্ম (ইসলাম) পালনের স্বাধীনতা।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:০৭:৫৫ রাত

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম

আস্‌সালামুআলাইকুম।

হেডলাইন খুনের চেয়েও বড় অপরাধ লেখালেখি বাধ্য হয়েই পড়লাম। স্যেকুলার জ্ঞানের ৩৮ জন তথাকথিত অধ্যাপক-লেখক-শিল্পীর অদ্ভুত, একপেশে, এ্যাসার্টিভ ও ইমোশনাল আর্গুমেন্ট। পড়ার পর মনে হল - বাহ্‌ বাহ্‌ বেশ বেশ।

কিন্তু লিখার অপরাপর পক্ষ সমূহ তথা সরকার, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফোর্স (পুলিশ), খুনী (সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠী) ও যারা খুন হয়েছেন (মুক্তবুদ্ধির লেখক ও প্রকাশক) - তাদের অবস্থান ও তাদের থটস্‌টি বুঝতে চাইলাম।

স্বল্প সময়ে যে চিত্র মনে উদয় হল, আর হাতের কাছে যা তথ্য উপাত্ত পেলাম - তাতে আলোচ্য বিবৃতির স্বাক্ষরদাতাদেরকে ডেসটিনি কিংবা হলমার্ক কিংবা শেয়ারবাজারের প্রতারক তুল্য অর্থনৈতিক ক্রিমিনাল এর ন্যায় - রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতারক কিংবা ইন্টেলেকচ্যুয়াল ক্রিমিনাল বই অন্য কিছু বলে আর মনে হচ্ছিল না।

এ জাতীয় আগাছাতুল্য (একপেশে জ্ঞান চর্চার জন্য), একচোখা (অন্য পক্ষকে বিচার-বিবেচনায় না নেওয়ার জন্য) প্রতারকতুল্য (লিখক স্বত্তার আড়ালে ধর্মবিদ্বেষীর পরিচয় লুকানোতে) অধ্যাপক-লেখক-শিল্পী আজকের বাংলাদেশে, বাতাসে ভর দিয়ে ঝাড় ফুঁক দিয়ে চলছেন বলে - ভূপৃষ্ঠ আজ প্রায় বিস্ফোরনের দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকেছে। কান পাতলেই চারদিকে টিক টিক, টিক টিক শব্দ শোনা যাচ্ছে।

স্যেকুলার হোক, ধর্মহীন হোক কিংবা তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ হোক - বিচার বিবেকসম্পন্ন সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মানুষদের সময় হয়েছে - ফ্যাক্টচুয়ালী দ্বান্ধিক বিষয়াদির বিচার বিশ্লেষন করার এবং যৌক্তিক সমাধান খোঁজার। জোড়াতালির সমাধান, একে তাকে খুশী করার সমাধান - কোন কাজে আসবে না, আসতে পারে না। মানুষের তাজা রক্ত মাটিতে গড়াবে, সময় নষ্ট হবে, এদিক সেদিক এ আংগুলি নির্দেশ করা হবে, জেল খানা ভরানো হবে - রেজাল্ট জিরো।

আমাদেরকে বুঝতেই হবে, বুঝার চেষ্টা করতে হবে, 'মুসলিম মাত্রই স্রষ্টা, স্রষ্টার দূত, গ্রন্থ ইত্যাকার বিষয়াদির সন্মান, মান মর্যাদা ইত্যাদিকে - নিজের জীবন, পরিবার-পরিজন, বাবা মায়ের মান সন্মান অপেক্ষা অধিকতর গুরুত্বপূর্ন, আপন ও ভালবাসার - বলে, বদ্ধমূলে বিশ্বাস করে।

স্রষ্টার কিংবা তার দূতের কিংবা কালাম এর অবমাননার চাইতে নিজের জীবনকে অনেক অনেক তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের, মূল্যহীন বলেই অনুভব করে, বিশ্বাস করে। এ বিশ্বাস মুসলমানের জীবন থেকে মৃত্যু না হওয়া অবধি অবিচ্ছেদ্য, অংগাংগিভাবে জড়িত। সাময়িকভাবে অবদমিত থাকতে পারে, সাময়িকভাবে ভুলে থাকতে পারে - কিন্তু সময়, সুযোগ এলেই তা বেরিয়ে পড়ে, গোপন থাকে না।

একজন কাফের (অবিশ্বাসী), মুশরিক, মুরতাদ, স্যেকুলার কিংবা স্প্রিচ্যুয়াল শিক্ষা ও জ্ঞানহীন মানুষ - তথা সৃষ্টির অদৃশ্যমান, ব্যাখ্যার অতীত, অতি প্রাকৃতিক বিষয়াদি সম্পর্কে অজ্ঞ - অমন কেউ - অমন অতি প্রাকৃতিক জ্ঞানের শাখা ও প্রশাখা নিয়ে যাচ্ছে তাই লিখলে এবং সে লিখায় মুসলমানের - স্রষ্টা সম্পর্কে, স্রষ্টার দূত সম্পর্কে কিংবা স্রষ্টার কালাম নিয়ে বেফাঁস, অপমানকর, অযৌক্তিক লিখা লিখলে, কথা বললে কিংবা স্রষ্টাকে অসন্মান করলে - তা একজন মানুষের জন্য সহ্য করা সম্ভব হলেও - স্বভাবতঃই মুসলমানের জন্য তা সহ্য করা এ্যাবসুলুটলী অসম্ভব। বুঝতে হবে মুসলমান আগে মুসলমান - তথা আল্লাহর দাশ, তারপর মানুষ। মুসলমান তার স্রষ্টার প্রতি বড় বেশী কৃতজ্ঞ সেরা ক্রিয়েশান।

এটা রিয়ালিটি। এটাই বাস্তবতা। এগ্রি করুন আর না ই করুন।

একজন কাফের, মুশরিক, মুরতাদ, স্যেকুলার এর জন্য দুনিয়াবী এই জীবন ও প্রানটি মহামূল্যবান। কারন তার কাছে এর পর আর কিছুর কোন জ্ঞান কিংবা ধারনা কিংবা প্রমান কিছুই নেই। এই পৃথিবীর ধন, জশ, মান ও মর্যাদা তার জন্য যেমন সেক্রেড, একান্ত ভাবে পাওয়ার প্রত্যাশা - একজন মুসলমানের কাছে দুনিয়াবী এই জীবন ও প্রানটি ঠিক ততটাই তুচ্ছ, স্রেফ মূল্যহীন। তার জন্য মৃত্যু পরবর্তী দুনিয়ার ধন, জশ, মান ও মর্যাদা বড় বেশী সেক্রেড, প্রত্যাশার। আর তা পাওয়ার জন্য তাকে একটা চেষ্টাই করতে হয়, করে যেতে হয় - আর তা হল কোরান ও হাদীসের আদেশ ও নিষেধ মেনে চলা। এককথায় ইসলামকে সাধ্যমত ধারন করা, নবী সঃ কে অনুসরন করা।

ইন্টারেস্টিংলী কোরান এক্সপ্লিসিটলী না বললেও, হাদীস তথা মোহাম্মদ সঃ এর হাফ এ ডজন এ্যাকশান, ওনার সাহাবী ও আর্লি স্কলার দের এ্যাকশান ও ইন্টারপ্রিটেশান - এই মর্মে স্বাক্ষ্য দেয় যে -

যদি কোন মানুষ (যাই তার পরিচয় কিংবা বিশ্বাস হোক না কেন, যে দেশ কিংবা ভূখন্ডেই সে থাকুক না কেন, যে সংবিধান দিয়েই সে চলুক না কেন) স্বেচ্ছায়, স্বতোপ্রনোদিত হয়ে, কিংবা অন্যের দ্বারা তাড়িত হয়ে (ইনক্লুডিং ক্রীতদাস হলেও) স্রষ্টা, স্রষ্টার কোন দূত, কিংবা স্রষ্টার কোন কিতাব কিংবা স্রষ্টার আর যা কিছু সেক্রেড - তার প্রতি কোন রকমের কুটুক্তি করে, মিথ্যা রটনা করে, উষ্মা প্রকাশ করে ইত্যাদি - তবে তাকে হত্যা করা ইন্ডিভিজ্যুয়াল প্রতি মুসলমানের জন্য ওয়াজেব (কারো মতে ফরজ/আবশ্যকীয়) হয়ে যায়।

অধুনা পাবলিক ডোমেইনে থাকা কিছু আলেম ওলামা বিভিন্ন কারনে অমন আদেশ কে সামনে আনেন না, এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন না, কথা বলেন না - এটা সত্য। কিন্তু ট্রু মুসলমানরা জানেন। স্বভাবতই একজন মুসলমান - তার জীবনের সেরা ভালবাসার পাত্র - তথা আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল ও আল্লাহর কালামের সন্মান রক্ষার্থে সেই ওয়াজেব এর বিধান কিংবা ফরজ বিধান পালন করতে চাইবে না - তার তো কোন গ্যারান্টি কোন আলেম ওলামা, সরকার, পুলিশ কেউ দিতে পারবে না।

ঠিক যেমন পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ লেখকের মধ্যে কেউ কেউ দুনিয়ায় নাম, জশ ইত্যাদির জন্য কোন ফ্যাক্টস, ফিগার কিংবা জ্ঞান ছাড়াই স্রষ্টাকে ম্যালাইন করতে চাইতে পারে, স্রষ্টার রাসুল কে কিংবা কালামকে ব্যাংগ বিদ্রুপ করতে পারে - তা কখনো কেউ কোন ভাবে থামাতে পারবে না, ঠেকাতে পারবে না।

এক্ষেত্রে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি স্বাধীনতা দেয় - তখন লেখক যেমন তার খ্যাতি, যশ, সুখ, শান্তি, ভোগ নিশ্চিত করতে ইচ্ছানুযায়ী অন্যের ধর্মীয় বিষয়াদিতে আঘাত করে লিখতে পারে, লিখার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে - সমরূপে একজন মুসলমান ও তার ধর্মীয় সুখ, শান্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে - তাকে হত্যা করতে পারে।

লিখক লিখকের গনতান্ত্রিক সংবিধান অনুযায়ী ব্যাক্তি স্বাধীনতা ও কলমের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা যেমন চাইতে পারে ও প্রাকটিস করতে পারে - মুসলমান ও সমরূপে তার ধর্মীয় সংবিধান এর আলোকে ঐ লিখককে হত্যা করার মত ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে পারে।

অর্থাৎ লিখকের নতুন ধর্মের (মূল ধারা সমূহ - গনতন্ত্র, লিখার স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা ইত্যাদি) সাথে মুসলমান এর স্টাবলিশ ধর্ম দান্ধিক অবস্থানে অবস্থান করছে। এটা কমপ্লিমেন্টারী পজিশান এ নেই। আর পৃথিবীতে কোন নবী রাসুল ও আসছে না - যে মুসলমানের ধর্মটিকে একটু ঘষামাজা করা যাবে।

সুতরাং - এ অবস্থায় - বুদ্ধিমান মানুষকে স্বভাবতঃই দায়িত্ব নিয়ে সত্য লিখা লিখতে হবে, ফ্যাক্টস বেইজড লিখা লিখতে হবে, অনাহুদ অন্যের ধর্মে রেনেসাঁ আনার চেষ্টায় বিরতি দিতে হবে। আর নয়তো মাথামোটা বিবৃতি দাতাদের ন্যায় হলে 'পাঠককে আগে হত্যা করে তারপর মনের সুখে লিখতে হবে'।

বিষয়: বিবিধ

১১১৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

349354
১১ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:১১
অপি বাইদান লিখেছেন : হাঁ, লেখার বিরুদ্ধে চাপাতি। পরকালের মদ, বেশ্যা, খেজুর লোভি আল্লার মুমিনের রক্তপিপাসু চরিত্র রাখঢাক না করেই ফাঁস করে দিলেন। ধন্যবাদ।

কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমি আশাবাদী নই। এই মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে মুমিনের ৩-আব্বা তথা আল্লা, মোহাম্মদ এবং ৭ শতকের চটি পুস্তক কোরাণ কে অক্ষত রাখা যাবে না। কাফের, নাস্তিক, অমুসলিমের কলম চলবে। মুমিনের আব্বাত্রয়কে পদেপদে নাজেহাল করা হবে। মদ/বেশ্যা/খেজুরের পোষ্টমার্টন করা হবে, হাটে হাড়ি ভেংগে দেয়া হবে।

শুরু হবে যুদ্ধ- একদিকে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তচিন্তার পক্ষের শক্তি- তথা ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, জাপান, ভারত, ইসরাইল। অন্য দিকে আল্লার শক্তি- তথা আইসিস, বোকোহারাম, জামাত, শিবির, আনসার উল্লা,হেফাজত।

সেই যুদ্ধে মুমিনের আল্লা যদি শুকনো কথার ত্যানা না প্যাচিয়ে সত্যি/সত্যি আসমান থেকে আবাবিল পাখি চালান দেয়ার সক্ষমতা দেখাতে পারেন তাহলে মুমিনের কপাল ভাল। তা না হলে মুমিনরা আপসে সটকে যাবে। গোমড়া মুখে ফিশফিশ করে বলবে- আইসিস, বোকোহারাম, জামাত, হেফাজত, আনসার উল্লা... সব ইহুদী/নাসারার এজেন্ট।

কি বলেন??

ধন্যবাদ।
১২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪৬
290035
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনি বলেছেন, 'কাফের, নাস্তিক, অমুসলিমের কলম চলবে'। এতে তো কোন সমস্যা নেই।

যদি আপনি মিন করে থাকেন, 'ঐ কলম অন্যায়ভাবে, ফ্যাক্টস ও ফিগার ছাড়া, মুসলমানের সেক্রেড স্বত্তাকে ম্যালাইন করার উদ্দেশ্যে শত্রুতাসুলভ ভাবে চলতে থাকবে -
তবে ধর্মের নির্দেশানুযায়ী মুসলমানের বিশ্বাস প্রসুত ঐ চাপাতি ও আত্মসন্মান রক্ষার্থে চলতে থাকবে।

কে কাকে কিভাবেই বা থামাবে - এমন ইনস্টিগেটেড যুদ্ধ?

তাই আমি সমাধান হিসাবে বলেছিলাম -

''সুতরাং - এ অবস্থায় - বুদ্ধিমান মানুষকে স্বভাবতঃই দায়িত্ব নিয়ে সত্য লিখা লিখতে হবে, ফ্যাক্টস বেইজড লিখা লিখতে হবে, অনাহুদ অন্যের ধর্মে রেনেসাঁ আনার চেষ্টায় বিরতি দিতে হবে। আর নয়তো মাথামোটা বিবৃতি দাতাদের ন্যায় হলে 'পাঠককে আগে হত্যা করে তারপর মনের সুখে লিখতে হবে''।

ভাবনার ও বিচার বিশ্লেষনের 'বল' শত্রুতা পোষনকারী কাফের, নাস্তিক, অমুসলামনের কোর্টে।

মুসলমানের কোর্টে কিছুই নেই। তারা শান্তিপ্রিয়।

শান্তি কিংবা যুদ্ধ দুটো র ই দায় দায়িত্ব ঐ শত্রুতাপোষনকারী লেখকদের নিতে হবে।

এটা আমার সাজেশান। আপনার বেটার কোন সাজেশান আছে কি?
349382
১১ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআ'লাইকুম ।

কঠিন একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন !

আইন যখন বাক্সবন্দী বা বিশেষ শ্রেণীর সুবিধার জন্য প্রয়োগ হয় তখন সত্যিকার অর্থে তার প্রয়োগ থাকে না। আর আমাদের নিজেদের সচেতনতাও নেই, আমাদের অধিকাংশের এখন খারাপ লাগে না যখন প্রিয় বিষয়গুলোকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়!

শুকরিয়া আপনাকে।
১২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২৬
290033
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস্‌সালাম।

লিখাটিতে ইমোশান কাজ করছিল। তথাকথিত ইন্টেলেকচ্যুয়ালদের একচোখা বিবৃতি পড়ে বিরক্ত হয়ে বরাবরের মত রিএ্যাক্টিভ লিখা লিখতে শুরু করেছিলাম।

কিন্তু একটু আগে সালাম আজাদী ভাই এর কমেন্ট হতে 'মারাত্মক কিছু একটা' ইন্ডিকেশান পাওয়ায় গুটিয়ে গেছি। আল্লাহ ই জানেন নিয়ত ভাল থাকা স্বত্তেও কোন বড় গুনাহ করে ফেলেছি কিনা। এখন ওনার উত্তর না পাওয়া পয্যন্ত স্বাভাবিক হতে পারছিনা। যদিও যা লিখেছি তা আমার কাছে এ মূহুর্ত পয্যন্ত যথার্থ মনে হচ্ছে - নতুন নলেজ এর অপেক্ষায় আছি।
349385
১১ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২৫
সালাম আজাদী লিখেছেন : কী মারাত্মক ফাতওয়া দিলেন রে ভাই.... কোথায় পেলেন এটা.......

যদি কোন মানুষ (যাই তার পরিচয় কিংবা বিশ্বাস হোক না কেন, যে দেশ কিংবা ভূখন্ডেই সে থাকুক না কেন, যে সংবিধান দিয়েই সে চলুক না কেন) স্বেচ্ছায়, স্বতোপ্রনোদিত হয়ে, কিংবা অন্যের দ্বারা তাড়িত হয়ে (ইনক্লুডিং ক্রীতদাস হলেও) স্রষ্টা, স্রষ্টার কোন দূত, কিংবা স্রষ্টার কোন কিতাব কিংবা স্রষ্টার আর যা কিছু সেক্রেড - তার প্রতি কোন রকমের কুটুক্তি করে, মিথ্যা রটনা করে, উষ্মা প্রকাশ করে ইত্যাদি - তবে তাকে হত্যা করা ইন্ডিভিজ্যুয়াল প্রতি মুসলমানের জন্য ওয়াজেব (কারো মতে ফরজ/আবশ্যকীয়) হয়ে যায়।
১২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১৯
290032
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। এই বিষয়ে আমি এ পয্যন্ত যা পড়েছি ও বিভিন্ন আলেম ওলামাদের কাছে যা শুনেছি তার মধ্যমে - এ বিষয়ে আজকের এসময় পয্যন্ত যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং আমার মধ্যে অধিকতর সত্যের কাছাকাছি মনে হয়েছে - তার উপজীব্যের সাথে এ ভিডিও টির ফ্যাক্টস, ফিগার ও রেফারেন্সগুলোকে অধিকতর সঠিক হিসাবে ম্যাচ করে/করবে।

https://www.youtube.com/watch?v=jY27ozxBXis

কিন্তু লিখাটির উদ্দেশ্য ফতোয়া দেওয়া ছিল না - আমার ফতোয়া দেবার মত যোগ্যতাও তো নেই, তা দিতে ও চাই নি।

লিখাটি লিখছিলাম মূলতঃ সরকারের নিকট ৩৮ অধ্যাপক-লেখক-শিল্পীর বায়নার বিপরীতে আমাদের মত সাধারন মুসলমানের সেন্টিমেন্ট প্রকাশ করতে।

'''' স্যেকুলার হোক, ধর্মহীন হোক কিংবা তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ হোক - বিচার বিবেকসম্পন্ন সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মানুষদের সময় হয়েছে - ফ্যাক্টচুয়ালী দ্বান্ধিক বিষয়াদির বিচার বিশ্লেষন করার এবং যৌক্তিক সমাধান খোঁজার। জোড়াতালির সমাধান, একে তাকে খুশী করার সমাধান - কোন কাজে আসবে না, আসতে পারে না। মানুষের তাজা রক্ত মাটিতে গড়াবে, সময় নষ্ট হবে, এদিক সেদিক এ আংগুলি নির্দেশ করা হবে, জেল খানা ভরানো হবে - রেজাল্ট জিরো। *****

ওয়েল 'ছাত্র হিসাবে' তারপর ও যদি কোথাও ভুল করে ফেলি - অনুগ্রহ করে কারেকশান করে দিন।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File