ম্যান vs ওয়াইলড বাংলাদেশ পর্ব, Man vs Wild banglades season with bear gryls

লিখেছেন লিখেছেন খামচি বাবা ১২ জুন, ২০১৩, ১২:৫৮:৪৮ রাত

১“আমি বিয়ার গ্রিলস,আমি আপনাদেরকে আজ দেখাবো দুর্গম প্রাকৃতিক পরিবেশে কিভাবে বেঁচে ফিরতে হয়! আজকে আমার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ,এখানে অলিগলিতে মানুষের বেশে অমানুষ লুকিয়ে থাকে,...এখানে শহর নামের জঙ্গলগুলোর আনাচে কানাচে ভয়াবহ কিছু রোগজীবাণু লুকিয়ে রয়েছে যা সহজেই আপনাকে কাবু করতে পারে”

পাইলটঃ “বিয়ার তুমি রেডি?”

“হ্যাঁ রেডি.অই যে দেখছেন একটা নদীর মত জিনিস কাল রঙ এর..সেটা হলো ঢাকার বুড়িগঙ্গা..কো ন এককালে এটিএকটি নদী ছিলো..৫০০ ফুট ওপর থেকে আমাকে ওই নর্দমায় গ্লাইডিং করে নামতে হবে”

পাইলটঃ- ১...২...৩...যাও ...!!!

“ইয়া আ আ আ আ আ...!!!!!”

২)

“ইয়াক ইয়াক...থু থু...জঘণ্য...বু ড়িগঙ্গার পচা পানি আমার মুখে ঢুকেছে...এ পানি পেটে যাবার দশ মিনিটেরমধ্যে ডিসেন্ট্রিতে আক্রান্ত হব এটা নিশ্চিত...ডিসেন ্ট্রি মানে শরীরের অনেক পানি বেরিয়ে যাওয়া...যা এরকম বৈরীপরিবেশে মোটেও সুখকর নয়...আমাকে তাড়াতাড়ি ডাঙ্গায়উঠে কাঠকয়লা খেতে হবে যাতে পেটের জীবাণু নাশ হয়”

“বুড়িগঙ্গার পানি খুব ঘন...আমি ভালমতো সাঁতরাতে পারছিনা...শরীর ডুবে যাচ্ছে...জঙ্গলে র যত জঞ্জালসব এই বুড়িগঙ্গায় এসে পড়ে...

আরেকটু...আরেকটু ...এই যে বেশ...ডাঙ্গায় উঠে গেছি...

কিরে পাগলা,পেট মোচড়ায় ক্যান!!!”

“উফ শরীরের অনেক জল বেরিয়ে গেল!...আমাকে এখন জঙ্গলের মাঝখানটার পথ ধরে যাত্রা করতে হবে”

৩)

ওই যে দেখুন ওপরে সাদা গম্বুজ দেওয়া হাইকোর্ট...ওখান ের ভেতরে আপনি ভুলেও গিয়ে পড়তে চাইবেন না...ওখানে জর্জ,ব্যারিস্টা র,ম্যাজিস্ট্রেট ,জাস্টিস নামে কয়েক ধরণের হিংস্র প্রাণী বাস করে...আপনি যদি শক্তিশালী না হোন তাহলে নির্দ্বিধায় আপনাকে ফাঁসীরদড়িতে ঝুলাতে পারে...থাক বাবা,আমি ফাঁসীতেঝুলতে চাইনা...কেটে পড়ি”

“দুপুর হয়ে এসেছে...এখন আমারখাবারের জোগাড় করতে হবে...বুড়িগঙ্গা র পানি পেট খারাপ করায় শরীরের অনেক জল আর এনার্জি খরচ হয়েছে...শাহবাগে র দিকে যাওয়াযাক...ওদিক ে গেলে বিরিয়ানী আর ওয়াসা নামক ঝর্ণার পানি পেতে পারি বলে ধারণা করছি”

“উফ কি রোদ...আমার শার্টটি পাগড়ির মতো করে মাথায় বেঁধেনিলে রোদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারবো”

৪)

“এই অঞ্চলে শাহবাগী নামে একপ্রজাতির বন্য শুয়োর বাস করে...অরা যথেষ্ঠ হিংস্র হয়...নিজেদের আস্তানায় থাকলেতারা আপনাকে দাঁতে কামড়ে ফালাফালা করে দিতে পারে”

-ওই দেখ মাথায় পাগড়ি পরা হেফাজতি ছাগু যায়...ধর ধর ফাকি রাজাকারের জারজরে ধর!!!

“ওরে বাবারে...দেখুন শাহবাগীশুয়োরগুল ো আমাকে দেখে ফেলেছে...পালাতে হবে...দৌড়ান দৌড়ান”...!!!

“ওরে বাবারে...বড় বাঁচা বেঁচে গেছি! আমি এক মেয়েকে জানতাম যে শাহবাগী শুয়োরদের সম্পর্কে জানতে শাহবাগে এসেছিলো...তার আর কোন খবর পাওয়া যায়নি...

যাক এখন খাবারের অন্য ব্যবস্থা করতে হবে?

৫)

“আমি এখন জঙ্গলের মাঝামাঝি মতিঝিল এলাকায় আছি...দেখুন এখানকার কাল পিচের রাস্তার মত মাটি লাল হয়ে আছে...এখানে গতমাসে একদল অভিযাত্রী ক্যাম্প করেছিলো...আওয়াম ী নামে এক প্রজাতীর হায়েনা তাদের চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে এবং খুবলে খুবলে হত্যা করে...এলাকাটিতে রক্তের বোটকা গন্ধ লেগে আছে...মাটি খুড়লে হয়তো কিছু হাড়গোড় পেতে পারি।

তবে আমার প্রয়োজন খাবার”

“বাংলাদেশ জঙ্গলে খুব ভাল জাতের ছাগল পাওয়া যায়। আমি এখন ছাগল ধরার ফাঁদ বানাব...এর জন্য আমাকে ফেসবুকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে...তারপর তামিল সিনেমার নায়িকাদের ছবি টোপ হিসেবে প্রোফাইল পিকচারে দিতে হবে...এতেই কাজ হবে...দিনের শেষে একপাল ছাগলের দেখা পাব এবং তাদের মধ্যে থেকে একটাকে দিয়ে ডিনার করতে পারবো বলে আশা করি”

“আচ্ছা...ফাঁদ পাতা শেষ...এখন আমি রাতে মাথা গোঁজার জায়গার ব্যবস্থা করতে যাবো”

৬)

“ওই দেখুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়...এই এলাকায় মখা প্রজাতির এক হিংস্র উগ্র মেজাজের শিম্পাঞ্জী বাস করে...আপনাকে বাগে পেলে আপনার ভবলীলা সাঙ্গ করে দিতে পারে এরা...তাই এখানে বাসা বানানো মোটেও নিরাপদ নয়”

“ওই দেখুন প্রধানমন্ত্রীর কারযালয়...অই গুহায় এক ভয়াবহহিংস্র বন্য মাদী কুকুর বাসকরে...সে প্রথমে আপনাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কাছে নিয়ে যাবে এবং পরে ছিঁড়ে খাবে...যাক গিয়ে এখানে বাসা বানিয়ে কুত্তির পেটে যেতে চাইনা”

“এখন আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে. ..এই এলাকায়ছাত্রলীগ প্রজাতির হায়েনা বাস করে...এদের পায়ের নখর চাপাতিতে রুপান্তরিত হয়েছে...এরা সুযোগমত আপনাকে ঘ্যাচাং করে দিতে পারে...আর আপনি মেয়ে হলে এদের সামনে কখনো যেতে চাইবেন না...একেবারে ডগি স্টাইলে......!!!”

৭)

“হ্যাঁ এইযে একটি উঁচু ছাদের গুহা পেয়েছি...এর নাম গার্মেন্টস...স্ বাভাবিক অবস্থায় নিরাপদ কিন্তু যেকোন সময় মাথায় ভেঙ্গে পড়তে পারে...এর আগে অনেক অভিযাত্রী এই গার্মেন্টস গুহায় প্রাণ দিয়েছে”

“যাক থাকার জায়গা পেলাম...দেখি আমার ফেসবুকে ছাগল শিকারের কি অবস্থা!”

“ওরে বাবারে,ছাগলটার সাইজঅটা দেখুন একবার! আমার একমাসের খাওয়া একদিনে পেয়ে গেলাম! এই প্রজাতির ছাগলের নাম লুল ছাগল...গায়ে প্রচুর চর্বি রয়েছে,যা রাতের শীতে আমায় আরাম দেবে আবার মাংস আমাকে প্রোটিন,কারবোহা ইড্রেটের যোগান দেবে”...

৮)

(গার্মেন্টস গুহার ভেতর রাতের বেলা)

“আমার খুব ভয় ভয় করছে...মনে হচ্ছে আওয়ামী সমকামী কুকুরগুলো আমার আস্তানার আশেপাশে ঘুরুঘুর করছে...আমি এখানে নিরাপদ নই...কিছুক্ষণ পর পর তাদের ডাক শোনা যাচ্ছে...কোনরকম রাত কেটে গেলে বাঁচি”

৯)

“আজকে আমার দ্বিতীয় দিন...শুনেছি এখানকার উপজাতিরা কোন এক ছাগলকে তাদের পীর বানায় আর সেই ছাগলের গোসল করানো পানি খায়...এতে নাকি তাদের পেট ভালো থাকে আর শক্তি বৃদ্ধি পায়...আমি এখন আটরশ্নি উপজাতিপল্লীতে যাব ছাগল ধুয়া পানি খেতে...আমার পেট যথেষ্ঠ খারাপ...ছাগল ধুয়া পানি খেয়ে পেট ভাল হলে উপকার হয়,তাছাড়া শক্তি বাড়ানোর এক্সট্রা ফায়দা তো আছেই!”

“হাই কেমন আছেন...আমি আপনাদের ছাগল পীরের গা ধুয়াপানি খেতে চাই”

- এই যে ধরুন

“দেখতে খুব ঘিন ঘিনে লাগছে...তবু এরা দিয়েছে,মুখের উপর না বললে সুন্দর দেখায় না’

“অয়াক অয়াক...দুঃখিত.. .আমি আরখেতে পারবোনা”

{পরিশিষ্টঃ- ছাগল ধুয়া পানি খেয়ে বিয়ার গ্রিলস একসাথে,আমাশয় ও কলেরায় আক্রান্ত হলেন এবং জীবনে কোন মিশনে ব্যর্থ হয়েসিঙ্গাপুরের মাউন্টএলিজবেথ হাসপাতলে ভর্তি হলেন!

ফেসবুক থেকে

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File