বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ভুক্তভুগী যখন নিজে ও নিজের পরিবার...

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৪ মে, ২০১৫, ১২:২৮:৫৭ দুপুর



আসসালামু আলাইকুম ওরাহ্ মাতুল্লাহ........

নিশ্চয় সকলে ভাল আছেন??

আমি ও সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ।

অনেকদিন পর প্রয়োজনে পরিবারকে সময় দিলাম। পুরো দশ দিন বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল হাকিকত প্রত্যক্ষ্য করলাম নিবিড়ভাবে সরেজমিনে । গোটা বিশেক ডাক্তার এবং পাঁচ -সাতটা হাঁসপাতাল ভিজিট করলাম পরিবারের প্রয়োজনেই। নিজের , ওয়াইপের, এক মেয়ে আর দুই ছেলেকে ও ডাক্তার দেখালাম। বিভিন্ন অনিয়ম আর রোগীর প্রতি জুলুম এবং অবিচার দেখে আশাহত হলে ও ভাল একজন মানুষ পেলাম , যিনি ডাক্তার ও বটে। তবে সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় ডাক্তাররা পুলিশের মত মানুষ নয় বরং নিকৃষ্ট কিছু।। মহান রব সব ডাক্তারকে মানুষ হওয়ার তৌফিক দিন। আমীন।।

১.যে সব ডাক্তার ডিব্বা কোম্পানির ঔষূধ লিখে তারা ডাক্তার না জানোয়ার??

২.যে সব ডাক্তার অপ্রোজনীয় টেস্ট দেয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টাকার লোভে তারা ডাক্তার না জানোয়ার??

৩.যে সব ডাক্তার ঔষূধ কোম্পানির সাথে চুক্তির কারনে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার জন্য অপ্রোজনীয় ওষুধ প্রেস্ ক্রাইব করে তারা ডাক্তার না জানোয়ার??

১৪ তারিখ বৃহস্পতিবার গেলাম PG তে যদি ও এখন PG বলে কিছু নাই। সবই তানার বাবার নামে চলছে। যা হোক ৩০ টাকা টিকেটে মেয়েকে দেখালাম ডাক্তার। ইতি পূর্বে ল্যাব এইডে ডাক্তার দেখিয়েছি ২০০০- ৩০০০ টাকার টেস্ট করিয়েছি , সব টেস্ট সহ দেখানো হল । এক রিপোর্ট এ তার বিভিন্ন এন্টি বায়োটিক রেজিস্টেন্স হয়ে যাওয়ার রিপোর্ট ও ছিল। তিনি পুনরায় প্রেস্ ক্রাইব করল রেজিস্টেন্স হওয়া ওষুধ । আমার হাটুতে সমস্যার জন্য আমি অন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় আমার ওয়াইপ নিয়ে গিয়েছিল চেম্বারে। আমি প্রেসক্রিপশন দেখার পর পুনরায় চেম্বারে গিয়ে ডাক্তারকে বললাম এই এন্টি বায়োটিক তো তার রেজিস্টেন্স , তিনি ওহ সরি বলে অন্যটি লিখে দিলেন?? এই অবস্থায় কি ভরসা করা যায় তার প্রেসক্রিপশনে????

PG তে আমার হাটুর সমস্যার জন্য অরথোপেডিক্স সার্জন দেখালাম প্রেসক্রিপশন লিখা এমন যে কয়েকজনকে দেখিয়ে ও পড়তে পারল না । উত্তরায় এক ফার্মেসীতে গিয়ে ওষুধ সব না পাওয়ায় PG এর সামনে আজিজ ওষুধ মার্কেটে গেলাম এক দোখানে সে আমাকে একটা দোখান দেখিয়ে দিল । ওই দোখানে গিয়ে সব ওষুধ পেলাম দেখে মাথায় রক্ত ওঠে গেছে ডিব্বা কোম্পানীর ওষুধ , নির্দিষ্ট দোখান ছাড়া পাওয়া যায় না । ডাক্তার দোখান চুক্তি , বেনামী হারবাল আর ঢাকা ড্রাগ ! এক্টিভ ইংগ্রেডিয়েন্ট এর নাম নাই !! এর পর ও কি ওই ডাক্তার নামের জানোয়ারের প্রেসক্রিপশন এ বিশ্বাস করা যায়??

আমার মেয়ের এডোনাইটিস এবং টন্সিলাইটিস প্রব্লেম সব রিপোর্ট কমপ্লিট ল্যব এইড থেকে, সব রিপোর্ট নিয়ে PG তে গেলাম এর পর ও ব্লাড এবং চেস্ট এর এক্সরে দিল। প্রতি বারে টেস্ট করতে ৪ টা লাইন । শুনেছি বাহিরের টেস্টে আস্থা নাই তাদের। অনেক কষ্টে (এক্সরেতে সবচেয়ে করুণ অবস্থা)একদিন টেস্ট অন্যদিন রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় ডাক্তারের চেম্বার। ভর্তি সীল দিয়ে রুম দেখিয়ে দিল , গেলাম ওইখানে পুনরায় সীল মেরে দিল শনি, সোম , মঙ্গল !! মানে সপ্তায় তিন দিন সকাল ১০ টায় জমা দিয়ে বেশ কয়বার দুঃখিত সীট খালি নাই সীল পড়িলে আপনার রুগী ভর্তি হওয়ার অধিকার পাইবে!! তবে এর ভীতর পরপারে চলিয়া গেলে তাদের কিছু করনীয় নাই............ এইবার কি রাস্তা মাপা ছাড়া কোন উপায় আছে??

এই বার PG এর পথ ছাড়িয়া বহুল আলোচিত কুর্মিটোলা জেনারেল হাস্পাতালে গেলাম এক মানুষ ডাক্তারের পরামর্শে । নতুন কাহীনী শুরু হইল

PG থেকে আসার পথে ঢুকলাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাস্পাতালে উদ্যেশ্য নিয়ম কানুন জানা কিভাবে কি করতে হয় ? কয়টা থেকে খোলা? এইসব প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য।

গিয়ে দেখি অন্ধকার এতবড় হাঁসপাতাল বিদ্যুৎ নাই হাসিনার লোড শেডিং এর কবলে পুরোহাস্পাতাল কয়েক ঘণ্টা অন্ধকার।

এমন ডাক্তার ও আছে যাদের সামনের চেয়ারে আমি বসি না শ্রদ্ধায়। আসামীর মত দাঁড়াইয়া থাকি। তাদের জন্য দোয়া করি মন ভরে, প্রান খুলে। যারা অসুস্থ মানুষের সাথে প্রতারনা করে তারা শুধু জানোয়ার নয় তার চেয়ে ও নিকৃষ্ট। রুচি আমার একটু খারাপ এই বটে । ধন্যবাদ ভাল থাকবেন । অন্যায়ের সহযোগী হইবেন না প্লীজ।।

১৬.৫.১৫ তে গেলাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাস্পাতালে সকাল ৮ঃ০০ টার দিকে । বিশাল বিশাল লাইন দাঁড়িয়ে গেলাম একটাতে , অনেক্ষন পর ১০ টাকার টিকেট নিলাম তিনটা ।রোগের বিভাগ ভিত্তিক ফ্লোরে গিয়ে টিকেটের সিরিয়াল নেওয়ার লাইন। তারপর ডাক্তার দেখানোর লাইন। অতপর সিনিয়র দেখানোর প্রয়োজন হলে মেডিকেল অফিসার রেফার করলে সিনিয়র দেখানোর সিরিয়াল, তারপর সিনিয়র দেখানোর লাইন। পুনরায় অন্য টেস্ট PG এর ভর্তির কাগজ দেখে ভর্তি হবেন কিনা জিজ্ঞাসা । বৌয়ের একই বর্ণনায় PG আর কুর্মিটোলা জেনারেল হাস্পাতালে ভিন্ন ভিন্ন রোগ শনাক্ত । PG তে ডিব্বা কোম্পানির ওষুধ লিখলে ও এইখানে লিখতে দেখিনি। এরা কিছু কিছু ওষুধ ফ্রি ও দেয় ২-৩ দিনের। কিন্তু লাইনে লাইনে জীবন পার। এক রোগীর পিছনে ৪ জন সহযোগী থাকলে কিছুটা জানা শুনা থাকলে কিছুটা দ্রুত হতে পারে। মেয়েকে ভর্তি করলাম। ১৫ টাকায়। সন্ধ্যার সময় দাতের এক্সের প্রয়োজনে বাহিরে এসে আর গেলাম না , সবাই ক্লান্ত। সকালে নার্স এর ফোনে আবার প্রত্যাগমন। সন্ধ্যায় যথা রীতি বিদ্যুত নাই কয়েক ঘণ্টা সব লিপ্ট বন্ধ। কোন রকম বাচ্চা বৌকে নিয়ে ৭ তলা থেকে নেমে বাসায় চলে আসলাম। কারন গরমে ছেলে মেয়েদের কান্না কাটিতে অন্যদের অসুবিধা । নার্স ডাক্তার সবাই এখানে ভাল সুবিধা পায়। কেবিন বরাদ্দ আছে এদের রেস্ট এর জন্য। একটি কেবিনের জন্য অনেক দৌড়া দৌড়ি করে ও পায়নি । কারন রাস্ট্রের ঘাটে ঘাটে সুমন চন্দ্র সূত্রধর রা বসে আছে। তাদের দৌরত্ত্ব এত বেশী যে কাউকে কেয়ার করে না। আমি যখন কেবিনের জন্য গেলাম তার কাছে যদি ও সে স্টুর কিপার কিন্তু ভাবসাবে সে পরিচালক!! সে আমাকে বলল মুক্তি যুদ্ধারাই সিরিয়ালে আছে। এমন ভাবে বলল যে আমি কোথথেকে কোন রাজাকার কেবিন চাই???

বলল খালি হলে দিবে। একটু পরে খালি হলে গেলাম সূত্রধরের কাছে সে বলে এখন সহ পরিচালক চলে গেছে সাইন পাবেন কোথ থেকে ?? বাসা থেকে সাইন নিয়ে আসবেন নাকি??

ইতি মধ্যে ছোট ছেলেকে ও ভর্তি করালাম । এখন এক মায়ের পক্ষে দুই দিখে দুই বেডে মেইন্টেইন করা সম্ভব না বিধায় কেবিন আরো জরুরী হয়ে পড়ল। এই দিকে দেড় দিন কেবিন খালি পড়ে আছে। কিন্তু আমাকে না দেওয়ার পেছনে যুক্তি দেখায় মন্ত্রণালয়ের কে যেন ২৭ তারিখ পর্যন্ত টাকা দিয়ে বুকিং দিয়ে রাকছে। যা অসত্য । পরে দেখলাম ২ তলা থেকে একজন এসে উঠেছে উক্ত কেবিনে!! আমি সহ পরিচালককে আমার প্রয়োজনের কথা জানিয়ে ও ফল না হওয়ায় । পরে আরেকটা কেবিন খালি হওয়ার পর সুমন সুত্র ধরের কাছে গেলে সে বলে যাকেই বলেন কোন লাভ হবে না । আমি কাউকে কেয়ার করি না বলার পর । পরিচালকের কাছে গেলাম , কারন আমার প্রয়োজন এক সাথে দুইজন ভর্তি এবং সুত্র ধরের অসহ যোগিতা। সুত্র ধর আমাকে বলেছিল এখানে অনেক অনিয়ম আছে । কেবিনে থেকে বাসা বাড়ির মত অফিস করে। আমি বললাম তা হলে তো এটি নিয়ে লিখা লিখি হওয়া দরকার।

বিগ্রেডিয়ার সাঈদ কুরমিটুলা জেনারেল হাস্পাতালের পরিচালকের রুম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কক্ষে প্রবেশ করলাম । উদ্দ্যেশ্য আমার বড়ই প্রয়োজনীয় কেবিন এক ছেলে এক মেয়ে ভর্তি দুইদিকে দুই ওয়ার্ডে এক মায়ের পক্ষে সামলানোর কোন সুযোগ নাই। মহিলা ছাড়া পুরুষ মানুষের ও থাকার সুযোগ নাই। বললাম মানবিক কারনে দুই শিশু সন্তানের চিকিৎসা সুবিদার জন্য কেবিন প্রয়োজন। খালি আছে তবে দিচ্ছে না সুমন চন্দ্র সুত্র ধর । অনেকক্ষণ কথা বললেন সে কেবিন চালু করেছে আগে ছিল না ইত্যাদি। সুত্র ধর কে ডাকলেন শাসালেন ট্রান্স পারের কথা বলে হুমকি দিলেন। হঠাৎ দেখি আমার উপর চড়াও হলেন!! কারণ সুত্র ধর বলছে আমি বলেছি পত্রিকায় লিখা লিখি হওয়া দরকার !! বললেন আমি বিগ্রেডিয়ার সাঈদ আমাকে চিন নাই । দশটা পত্রিকায় লিখ আমার কিছু হবে না, মাস্তানি করতে আসছ?? আমি ত তব্ধা হয়ে গেলাম। আমি বললাম সে বলেছে এই খানে কেবিনে থেকে অনেকে অফিস করে , অনেক অনিয়ম এইখানে চলে তাই প্রেক্ষিতে বলেছিলাম ত হলে তো লিখি লিখি হওয়া প্রয়োজন।।

সে বলল এইখানে মন্ত্রণালয়ের লোকজন বাড়া নেয় । মন্ত্রণালয়ের একজন পিউনের ও অনেক ক্ষমতা। আর মুক্তি যুদ্ধাদের নিয়ে কি নির্দেশনা আছে সেটাতো আমি বলব না...।

রুমে আরো কয়েকজন লোক পরে ডুকেছিল , যাদের পরিচয় পরে জেনেছি। তারা হল এই পরিচালকের বড় ভাই , যিনি তার ওয়াইপ সহ ফুল বডি চেকাপ করতে এসেছে যাদের জন্য নার্সদের দখল করা কেবিন খালি করে থাকার ব্যবস্থা করেছে। পূর্বে খালী হওয়া কেবিন ও সুত্র ধর আর পরিচালকের লোক দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

দেশে মনে হয় আরেকটি মুক্তি যুদ্ধ হওয়া দরকার যেন শিশুরা অধিকার বঞ্চিত না হয় । আমরা ও মুক্তি যুদ্ধা হওয়ার সুযোগ পাই ।

বিকালে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় হাস্পাতাল থেকে সবাইকে নিয়া বাসায় চলে আসি। নার্স ডাক্তার সবাই রেস্টে ছিল খুজে পাইনি কাউকে। পাশের বেডের লোকদের বলে এসেছিলাম। পরের দিন ভোর ৬:০০ টায় গিয়ে দেখি সীট বাতিল। অগত্যা টেস্টের বাকি রিপোর্ট নিয়া বাসায় চলিয়া আসিলাম ।

লাঞ্চনা ছাড়া কি পেয়েছি এই দেশে জন্মে? যেই দেশে স্বাভাবিক মৃর্ত্যুর গ্যরান্টি নাই, সেখানে জীবন নিয়ে জুয়া খেলতে দোষ কি?

চিন্তা করলাম পুনরায় কুর্মিটোলায় অপারেশন করা যায় কিনা কারন অপারেশন জরুরী এবং সব রিপোর্ট গুলো যেহেতু রেডি আছে ? পুনরায় ভর্তি হইয়া , আবার সকল প্রসিডিউর মেইন্টেইন কইরা সিনিয়র ডাক্তারের কাছে গেলাম সে আমার কথা শুনতে নারাজ যদি ও ফ্রি ছিল টাইম দিয়ে দিল ৩ মাস পর ১৫.৮. ১৫ ভর্তি হবে ১৮.৮.১৫ অপারেশন হবে । সাথে বলে দিল আমাদের সিডিউল নাই দুইটা বিকল্প আপনার আছে ১। অন্য কোন যায়গায় যদি আগে করে দেয় । ২। কোন প্রাইভেট মেডিকেলে।

অগত্যা ফিরে এসে চিন্তা করলাম তার যেহেতু দুই দাঁতে ও বড় বড় ফোটা হইছে দাঁতের ডাক্তার ও দেখাইয়া যায় , অন্তত একটা কাজ হোক। সেইখানে বলল এইটা তো জরুরী আমাদের এইখানে করলে তিনমাস পর হবে আপনি বরং ঢাকা ডেন্টালে নিয়া যান । তবে ডাক্তারের আন্তরিকতা আমার ভাল লেগেছে তাই পরের দিন ঢাকা ডেন্টালে গেলাম স্ব পরিবার। সেইখানে ভিন্ন কাহীনী................ চলবে

বিষয়: বিবিধ

২৩১৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

322180
২৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৬
রঙের মানুষ লিখেছেন : ভাই দেশটা তো এইভাবে চলছে অনেক আগে থেকে। আপনার জন্য সহমর্মিতা ছাড়া কি বলব বুঝতে পারছি না।
২৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৩৪
263259
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আসুন স্ব স্ব অবস্থান থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করি....।
322191
২৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : লেখাটা পড়ে খুব হতাশা লাগছে। আাফসোস!বাংলাদেশর নার্স, ডাক্তার, বিগ্রেডিয়ার সাঈদ, সুমন চন্দ্র সুত্র ধরেরা একেকটা টাকা কামানোর মেশিন হয়ে গেছে। এদের টেবিলে টাকার বান্ডিল পেলতে পারলে আপনিও তাদের আত্বিয় হয়ে যেতে পারতেন।
া আল্লাহ আপনাকে সব পেরেশানি তেকে রক্ষা করুন আমীন।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
২৮ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৩
264271
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আমিন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File