বিয়ের গল্প ঃ চতুর্থ

লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:০০:০৩ রাত



বিয়ে নামক দিল্লির লাড্ডু খেয়ে বা না খেয়ে পস্তাননি এমন লোক খুজে পাওয়া কঠিন। তার পরেও এই লাড্ডুর প্রতি আমাদের আগ্রহ কখনোই কমছে না। বিয়ে কেউ করে পরিবারের পছন্দে, কেউ করে নিজের পছন্দে। মজার ব্যাপার ফলাফলে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ ইত্যাদি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমার বেলায় এসব কিছু ছিল না। কিন্তু তার পরেও এটা ছিল দুরহ এক কাজ। কারন আমার বিয়ের কনে ইন্দোনেশিয়ান। আল্লাহর রহমতে কিভাবে এটা সমাধান হল সেই কাহিনীই লিখেছি আজ।

বিদেশী কোন নারীকে বিয়ে করেছে এমন উদাহরন পাওয়া যাবে দেশের প্রতিটি জেলাতেই। এসব বিয়ের মাত্র একটি ব্যাবস্থাই রয়েছে। তা হল বাংলাদেশের কোন ছেলে বিদেশে থাকাকালীন সময়ে কোন মেয়ের সাথে পরিচয় হয় এবং শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা পুরো ভিন্ন ছিল। আমি বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে বিয়ে করে বউকে সাথে করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি। এ ধরনের ঘটনা আমার জানামতে এই প্রথম, অন্তত বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে।



আমি অস্ট্রেলিয়া থাকাকালীন সময়ে ২০০৭ সালে রীনার সঙ্গে অনলাইনে আমার পরিচয় হয়। কঠিন পরিশ্রমের আজ করার পরে অবসর সময়ে ক্লান্তি দূর করার জন্য অনলাইন চ্যাটিং একটি ভাল পদ্ধতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেয়েদের সঙ্গে রসের আলাপ করা কে না পছন্দ করে? এভাবেই একদিন রীনাকে পেয়ে গেলাম। ধীরে ধীরে আমাদের পরিচয় গাড় হল। আমি সারা দিন কি করেছি, সে সারা দিন কি করেছে এটা একে অপরকে বলা যেন এক অলিখিত চুক্তি ছিল। এর পরে একদিন কিভাবে যেন আমরা একে অপরকে পছন্দ করা শুরু করলাম। ইন্দোনেশিয়া দেশটি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হওয়া সত্বেও কখনো সেখানে যাওয়াটা হয়ে ওঠেনি। এভাবে কেটে গেছে দীর্ঘ চার বছর। এ চার বছরে আমরা অনেকবার ঝগড়া করার পরে আলাদা হতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি। আর আমরা দুজনে শুধু স্বপ্নের জাল বুনেছি - কিভাবে বিয়ে করব, কিভাবে ঘর সংসার করব। কেন জানিনা, আমার মনে কখনো “এটা কি ঠিক হচ্ছে?” এই প্রশ্ন কখনো জাগেনি। আমার মনে যেটা চলছিল সেটা হল “ওকে ছাড়া আর কাকে বিয়ে করব?



ইন্দোনেশিয়াতে বসবাস করেনা এমন বিদেশীদের জন্য ইন্দোনেশিয়ার কোন মেয়েকে বিয়ে করা সেদেশের আইন অনুযায়ী কঠিন। এমন কঠিন আইন বানানোর কারনও রয়েছে। ইন্দোনেশীয়াতে মেয়েদের সংখা বেশী। তাছাড়া এখানকার মেয়েরা বাংলাদেশ-ভারত এর মেয়েদের মতন পরিবার কেন্দ্রিক। তাই অতীতে অনেক বিদেশী (ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য), হটাত এসে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে বিয়ে করেছে। কিছুদিন সেদেশে মেয়েটির সঙ্গে থেকেছে। এর পরে বউকে পরে নিয়ে যাবে বলে নিজের দেশে ফিরে গেছে। তাদের আর কোন খোজ পাওয়া যায়নি। খোজ পাওয়া গেলেও তারা তালাক এর ব্যাবস্থা করেছে। এভাবে কোন মেয়ের জীবন নস্ট যাতে না হয়, সেজন্য ইন্দোনেশিয়ার কোন মেয়েকে বিয়ে করতে হলে অনেক ধরনের আইন, ছাড়পত্র দলিল ও ফর্মালিটির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে করে সহজে ওই মেয়েটিকে ছেড়ে যাওয়া বা তালাক দেওয়া যায় না। যে বিদেশী ওই দেশে বসবাস করে না, তার জন্য নিয়ম আরো কড়া। এত সব ভ্যাজাল দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে রীনা বাংলাদেশে আসবে ও আমরা বিয়েটা বাংলাদেশে করব। তখনো পর্যন্ত কিন্তু আমরা একে অপরকে সামানা সামনি দেখিনি।

২০১১ সালে মার্চে আমি দেশে ফিরি। এর আগে অস্ট্রেলিয়াতে আমার বস, বাঙ্গালী ভাবীকে দেশে ফোন করে আমার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলি। আমার বাবা মা আমাকে সারা জীবন স্বাধীনতা দিয়েছে, এবারও দিলেন। তারা খুশি মনে রীনাকে বিয়ে করার অনুমতি দিলেন। তারা ফোনে রীনার সঙ্গে (বিয়ের বিষয়ে নয়) সামান্য কথাও বলেছেন। ওদিকে রীনা সহজে তার মাকে রাজী করাতে পারলেও তার বাবা বেকে বসলেন। অনেক কাঠ খড় পোড়ানোর পরে তার বাবা রাজী হলেন। তবে শর্ত হল আমাকে ওখানে গিয়ে বিয়ে করে আসতে হবে। উনি একমাত্র মেয়েকে একা বাংলাদেশে পাঠাবেন না। ঊনি বিয়ের জন্য নিজেও সঙ্গে আসবেন না। তার ভাষায়, “তার নিজের দেশে কি ছেলের অভাব পড়েছে নাকি তার মেয়ে এত ফেলনা হয়েছে যে তাকে বাংলাদেশে গিয়ে বিয়ে দিয়ে আসতে হবে? ইচ্ছে থাকলে বাংলাদেশ থেকে ছেলে আসুক তার মেয়েকে বিয়ে করতে।“ একজন মেয়ের বাবা হিসাবে তার কথাও ঠিক আছে।

আমি এখন কি করি। বিভিন্ন প্রেম কাহীনিতে দেখা যায় পরিবার, সমাজ ইত্যাদি বিয়েতে বাধা দেয়। আমাদের ক্ষেত্রে এমন কোন বাধা নেই। আমাদের ক্ষেত্রে আছে চ্যালেঞ্জ - পারলে বিয়ে করে নিয়ে আস তো দেখি। আমাদের আর কোন উপায় রইল না। তখন থকেই আমরা খোজ খবর নেওয়া শুরু করলাম যে কি কি কাগজ পত্র লাগে। এর মধ্যে হটাত রীনা যে কোম্পানীতে চাকরী করে সেই কোম্পানী ওকে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে সাত দিনের একটি ট্যুরে পাঠাচ্ছে। আমি নিজে এক সময় ব্যাঙ্গালোরের কাছের শহর মাদ্রাজে ছাত্র ছিলাম। কাজেই ব্যাঙ্গালোরকে আমার কাছে বেশ নিকটে মনে হল এবং মনস্থির করলাম যে ওকে দেখার এই সুযোগ হাতছাড়া করব না। রওনা হলাম ব্যাঙ্গালোরের উদ্দেশ্যে। একদিন সকালে আমি ব্যাঙ্গালোরে উপস্থিত হয়ে রীনাকে (ইন্দোনেশিয়াতে) ফোন দিলাম। সেও আর কিছুক্ষন পরে রওনা হবে। সেদিন রাত্রে ১২ টার সময় রীনা ব্যাঙ্গালোরে পৌছাল। এয়ারপোর্টে তাকে রিসিভ করতে কোম্পানীর লোক এসেছিল। ওখানেই তার সঙ্গে আমার দেখা হল। হ্যা, দীর্ধ চার বছর পরে এটাই আমাদের প্রথম সাক্ষাত। ব্যাঙ্গালোরে ওই সাত দিন খুব ভাল কেটেছিল। বিশেষ করে ওর কোম্পানীর লোকদের আন্তরিকতা আমি কখনো ভুলব না। আমি হলাম ইন্দোনেশিয়ার ম্যডামের বয়ফ্রেন্ড তাও আবার অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত। আমাকে তারা যে কত বড় স্যার মনে করেছে তা কে জানে। যাই হোক যথা সময়ে যে যার দেশে ফিরে এলাম। একটাই প্রাপ্তি যে এখন বলতে পারব যে আমরা একে অপরকে দেখেছি। এতে করে সবার কাছে আমাদের বিয়ের কারন কিছুটা গ্রহনযোগ্য হবে। না দেখেই বিদেশী কাউকে বিয়ে করার কথাটা মানুষের কাছে অনেক সময় ফাইজলামী মনে হয়।

যাই হোক শুরু হলে বিয়ে করতে যাবার যুদ্ধ। ইন্দোনেশিয়াতে, বাংলাদেশ এম্ব্যাসী থেকে রীনাকে ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। ওখানে আমাদের বাংলাদেশী অফিসার ভাইয়েরা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে দেখেছে। কেউ অন্যকে ডেকে এনে দেখিয়েছে। সবার মনে একই প্রশ্ন - ঘটনাটা কি? এই মেয়েটি ওই ছেলেটিকে বিয়ে করবে কেন যে কখনো ইন্দোনেশিয়াতে আসেই নি। এছাড়াও ওই দেশের আলাদা ৪ টি সরকারী অফিস থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। সবখানে একই প্রশ্ন। এদিকে আমাকে বাংলাদেশে যে সব যায়গা থেকে কাগজপত্র সংরহ করতে হয়েছে তা হল, পুলিশ, ডিসি অফিস, স্বরাস্ট্র , পরররাস্ট্র মন্ত্রনালয় ইত্যাদি। সবখানে আমাকেও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অফিসের দুর্নীতির কথা নাইবা বললাম। এর পরে আমাকে ছাড়পত্র দিয়েছে ইন্দোনেশীয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাস। সব কিছু করে আমি এখন তৈরি। এখন ভিসা নেবার পালা। আমার বাড়ি খুলনাতে। আমি ঢাকায় রওনা হবার আগে, ইন্দোনেশীয়ার এম্ব্যাসীতে ফোন করে কিছু খোজ খবর নিতে চাইলাম। ফোনে অপর প্রান্তের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন “আপনি কিজন্য ইন্দোনেশিয়াতে যাবেন?” আমার উত্তর “বিয়ে করতে”। শুনে ওই ভদ্রলোক অবাক হয়ে গেলেন। পরে পরামর্শ দিলেন যে আমি যেন ঢাকায় এম্ব্যাসীতে গিয়ে বিয়ের কথাটা না বলি। কারন তাহলে ওরা ভিসা দিবে না। আমি সাধারন টুরিস্ট ভিসাতে ওখানে গিয়ে বিয়েটা করে আসতে পারব। আমি রাজী হলাম।

ঢাকায় ইন্দোনেশিয়া এম্ব্যাসীতে গিয়ে ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা করলাম। উনি আমার সঙ্গে আরো কিছু কথা বললেন। এর পরে ভেতরে গিয়ে উনার বসের সঙ্গে কথা বললেন। এর পরেই শুরু হল কানাঘুষা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টা সমাধান দিলেন সবচেয়ে বড় বস। উনি বললেন যে আমরা প্রথমে বিয়ের জন্য বিশেষ ভিসার চেস্টা করব, একান্ত না হলে শেষে টুরিস্ট ভিসা দিব। শুরু হল ঢাকা-জাকার্তা ফাইল চালাচালি। ওদিকে কিন্তু ইন্দোনেশিয়াতে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে, লোকজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে - বর আদৌ আসতে পারবে কিনা সেটা তখনো বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে আমার প্লেনের টিকেটও করা আছে। খুলনায় গিয়ে অপেক্ষা করছি জাকার্তা থেকে ঢাকায় ছাড়পত্র আসার জন্য। এর পরে ঢাকা অফিস আমাকে ভিসা দিতে পারবে। সময় ফুরিয়ে আসছে। অপেক্ষার সময় বড়ই কস্টকর। অবশেষে একদিন ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা অফিস রীনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকল। তারা প্রায় দুই ঘন্টা ওর সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেস্টা করেছে যে ও কেন আমাকে বিয়ে করতে চায়। অতঃপর ওরা ছাড়পত্র ঢাকাতে পাঠাল। আমি ঢাকাতে ফোন করে জানালাম যে আমি আসছি। আমি বিয়ের জন্য কেনা টুকিটাকি জিনিসপত্র সহ ব্যাগ গুছিয়ে, খুলনাতে আমার পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, ঢাকা রওনা হলাম। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া রওনা হব। তখনো কিন্তু আমার ভিসা হয়নি। শেষ পর্যন্ত আমি ভিসা পেয়েছি সেইদিন বিকালে, যেদিন রাত্রে আমার ফ্লাইট ছিল। আর একটু দেরী হলেই মিস হয়ে যেত।

ইন্দোনেশীয়া পৌছানোর পরেও এয়ারপোর্টে আমাকে একটি ইন্টারভিউয়ের পরে তারপরে ওদেশে ঢুকতে দিয়েছে। রীনা অনেক্ষন ধরে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই রাতে রীনার পরিবারের সঙ্গে রওনা হলাম ওদের গ্রামের বাড়ীতে। জাকার্তা শহরে বিদেশী বর এর বিয়ে এর আয়োজন কস্টসাধ্য ও ব্যায়বহুল। এছাড়া নানানজনের নানা প্রশ্নেরও উত্তর দিতে হবে। এজন্য ওরা বিয়ের আয়োজনটা করেছিল ওদের গ্রামের বাডীতে। রীনার নানা গ্রামের মোড়ল। ওখানে মোট ৫-৭ দিন ছিলাম। আমাদের বিয়ের সংবাদ আশেপাশের কয়েক গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ কয়দিনে কয়েকশ লোক আমাকে দেখতে এসেছিল। আমি মোটেও লাজুক নই। তাই ডেকে ডেকে সবার সঙ্গে কথা বলি। এজন্য সবাই আমাকে বেশ পছন্দও করেছিল। রীনার বাবা মা মনে করেছিল যে বিদেশ থেকে আসা ছেলে এমন হয় তা এ জানে। আল্লাহর রহমতে , আমার সঙ্গে কথা বলে তারা আমাকে পছন্দ করেছেন।

আমাদের দেশের বিয়ের সময় যেমন কাজী গতবাধা কয়েকটি বাক্য বলে “অমুকের ছেলে, অমুক নাম, অমুকের মেয়েকে বিয়ে করছে - ইত্যাদি”। সবকিছু কাজীই বলে, বর ও কনে শুধু কবুল বলে। ওদের দেশে এমন নয়। এখানে আমাকে ওই পুরো ৫-৭ লাইনের গতবাধা কথাটি নিজেকেই বলতে হবে এবং তা মাইকে শোনা যাবে যেন সবাই শোনে আমি কি বলছি। ওখানে কাজী (সরকারী অফিসার) উপস্থিত থাকবে। গ্রামে ইংরেজী জানা কাজী পাওয়া যাবে না। কাজেই আমাকে কথাগুলো ইন্দোনেশীয়ান ভাষাতেই বলতে হবে। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হল - আমি যদি কথাগুলো সঠিকভাবে বলার জন্য সর্বোচ্চ ৩ বার চেস্টা করতে পারব। এ পরেও যদি আমি সঠিকভাবে না ভলতে পারি তবে আইন অনুযায়ী ওই দিন বিয়ে হবে না - আবার নতুন দিন ধার্য্য করতে হবে। এই ভয়ে আমি ওই কথাগুলো কাগজে লিখে ২ দিন ধরে মুখস্ত করেছি। সবাই খুব দুঃচিন্তায় ছিল, আমি বলতে পারি কিনা। আল্লাহর রহমতে কথাগুল আমি একবারেই বলতে পেরেছি। আমার কবুল পড়ার ভিডিও দেখুন – (১ মিনিট)




ভিডিওটি এখানে না দেখা গেলে ইউটিউবে দেখুন

এটা সত্যিই একটা অন্য রকমের বিয়ে যেখানে বর একা এক পক্ষে আর সবাই কনে পক্ষে। বিয়ের পরদিন আমরা ইন্দোনেশীয়াতে জোগজা ও বালিতে হানিমুনের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সাত দিন পরে বউকে নিয়ে ফিরে এলাম বাংলাদেশে। ঢাকাতে আমার ভাই, কাজিন, ভাবী ওরা এয়ারপোর্টে আমাদেরকে রিসিভ করেছে। এত লোক দেখে রীনা তো বেজায় খুশী। পরদিন খুলনায় রওনা হলাম। গিয়ে দেখি আমাদের ঘর বাড়ী রঙ চং করে বেশ সুন্দর করেছে। এখানে এবার শুরু হল রীনার পালা। ঢাকাতে অনেক বিদেশী দেখা যায় কিন্তু খুলনাতে ততটা নয়। তাই প্রথম এ সপ্তাহ, প্রতিদিন প্রায় দুই শত লোক ওকে দেখতে এসেছে। প্রথমে একজন আসে, দেখে যায়। এর পরে সে আরেকজনে নিয়ে আবার আসে। এরপরে সেও আরো বড় দল নিয়ে আসে এভাবে চলতেই থাকে। আর ছোট বাচ্চাদের ১০-১৫ জনের একটি দল তো বাসাতে সব সময় থাকত। ছোট করে একটা রিসিপশন (বৌভাত) এর আয়োজন করতে গিয়ে সেটা জনসংখার জন্য শেষ পর্যন্ত সেটা বড়ই হয়ে গেল।



বাংলাদেশে এসে রীনার বেশ মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। মাছের বাজার, মাছের ঘের, কাদা যুক্ত মাঠ, ভ্যান গাড়িতে চড়া, নৌকা চড়া, ফুচকা, চটপটি, ফালুদা খাওয়া ইত্যাদি অনেক অভিজ্ঞতাই তার হয়েছে। অনেকে বিদেশী কাউকে অনেক কিছু করতে দেয় না। আমি কোন কিছুই বাধা দেইনি।

দুজন দুই দেশের হওয়াতে অনেক সময় নিজেদের মধ্যে অনেক মতের আমিল হয় ঠিকই, কিন্তু এর একটি ভাল দিকও রয়েছে। নতুন বউকে শশুর বাড়ির লোকেরা প্রথমে একটু বাজিয়ে দেখে, ভুল ধরে ইত্যাদি। রীনার বেলায় এসব কিছুই ছিল না। ও শুধু দু একটা বাংলা শব্দ ভুল উচ্চারনে বললেই আমার পরিবারের লোক জন খুশি হয়ে যায়। আমার মা একটু হেসে কথা বললেই আমার বউ খুশি হয়ে যায়। বউ শাশুড়ির আন্তরিকতার কমতি নেই। আমার বউ যে ভালো লোক তা নয়, কিন্তু বাংলাদেশি ধাচের পারিবারিক কুটনীতি সে বোঝে না (হয়ত ওদের দেশেরটা বোঝে)। কাজেই সবাই ওর কাছে ভাল, সেও সবার কাছে ভাল। বাবা মা বিয়েতে মত দিলেও একটু দ্বিধায় ছিলেন যে বিদেশী বউ, কেমন হয় তা কে জানে। কিন্তু আমার বউ যেভাবে সুন্দর করে আব্বা ও আম্মা বলে ডাকে এতেই আমার বাবা মা খুশি। আলহামদুলিল্লাহ।



মাঝে মাঝে আমি ও আমার স্ত্রী বলাবলি করি যে আমরা বুড়ো হলে একদিন হয়ত নাতী নাতনীর কাছে আমাদের এই বিয়ের গল্প করব। আজ আছি কাল নেই। কতদিন বাচব তা কেউ জানে না। তাই নাতী নাতনীর আগেই আপনাদেরকে গল্পটি বলে ফেললাম। আমাদের বিয়ের প্রায় আড়াই বছর চলছে। আল্লাহর রহমতে, ৬ মাস বয়সী আমাদের একটি ছেলে রয়েছে। সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবাই ভালো থাকবেন। আস সালামু আলাইকুম।



বিষয়: বিবিধ

১৭৭৪৪ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

174442
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:২৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১২
128108
এলিট লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
174472
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:২২
দ্য স্লেভ লিখেছেন : প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লাম। অনেক ভাল লাগল। বহু যুদ্দ করেছেন বিয়ের জন্রে। বাকী জীবন এবং মৃত্যুর পরবতৃী জীবন যেন আর্লাহ সুন্দর করেন। আপনাদের জন্যে দোয়া রইল
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১২
128107
এলিট লিখেছেন : আপনার জন্যও দোয়া রইল। অনেক ধন্যবাদ।
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
138818
আহমদ মুসা লিখেছেন : এর চেয়েও আরো রোমাঞ্চকর কাহিনীর সৃষ্টি করে দ্য স্লেভ ভাইকেও একটি বিদেশীনি বিয়ে করার তাওফীক দান কর হে আল্লাহ!
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩১
139034
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @দ্য স্লেভ ভাই ,আপনার এ রকম একটা
বিয়ে করা দরকার। তাই না!!
০৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪৮
139095
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি ভাই মনসূর.. Happy
174475
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:০৩
চেয়ারম্যান লিখেছেন : ওহ ফ্যান্টাস্টিক। অনেক ভালো লেগেছে বিশেষ করে কি যেন পড়লেন Big Grin

আলান্গ্চা
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১১
128106
এলিট লিখেছেন : আর কইয়েন না ভাই। পড়ছি হল কালো যাদুর মন্ত্র। এখন শেষমেশ সংসারে বন্দী।
174479
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা৷ আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক৷ যতদূর বুঝলাম আপনি খুলনা দক্ষীনাঞ্চলের বাসীন্দা৷ আমার থানা দৌলতপুর ছিল এখন দিঘোলীয়া৷ আপনি কি এখন বউ নিয়ে গ্রামেই থাকেন, না অন্য কোথাও? সামনা সামনি শুভেচ্ছা জানাবার ইচ্ছে ছিল৷ আর হ্যাঁ ইন্দোনেশিয়া তো মুসলীম দেশ৷ ওখানে কি মুসলীমদের পর্দার বাধ্য বাধকতা নেই?
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:০৮
128105
এলিট লিখেছেন : এইতো এতোদিন পরে দেশী লোক পাইছি। ভাই বুঝতি পারিছেন, আমার বাড়ী খুলনা সদরে। আমরা বাংলাদেশে থাকি না। দেশে গেলি আপনার সঙ্গে দেখা হবেনে। ইন্দোনেশীয়াতে পর্দার ব্যাপারে আপনার মতন আরেক ভাই প্রশ্ন করিছিলেন। এক কথা আর দুইবার লেখি নাই। এক প্যারা পরেই সেইডা দেখতি পারবেন। আপনারে অনেক ধন্যবাদ।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
128110
শেখের পোলা লিখেছেন : আমিও বিদেশেই থাকি৷ টরোন্ট৷ তবে প্রতি দুবছর পর কোনও না কোন অজুহাতে দেশে যাই৷ বউ বাচ্চা নাতি নাতনী সহই এখানে থাকি৷আমার গিন্নি খুলনা শহরের তাই খুলনার কাউকে পেলে খুশী হয়৷ সম্প্রতি উনি বাড়ী গেছেন৷
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২০
128126
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আর আমি যশোর... Happy
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
128127
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যশোরের উপর দিয়েই খুলনায় যেতে হয়,তাই আমার সাথে সুসম্পর্ক বজায় না রাখলে যাওয়ার পথে বুঝবেন। কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকবে না...অতএব সময় থাকতে... Happy আর শেখের পুলা ভাই তো ভাবতাম সমবয়সী,,,এখন শুনলাম তার নাতি নাতনিও আছে...অবশ্য মনের বয়স হয়ত Rolling on the Floor Rolling on the Floor বাড়েনি...Rolling on the Floor
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৮
128359
শেখের পোলা লিখেছেন : দ্যা স্লেভ ভাইয়ের হাত অনেক লম্ব দেখছি৷ আমি আবার ছিনতাই কারীদের ভয় পাই তা স্লামালেকুম স্যার৷ দেশে থাকলে হয়ত দেখা করেই যেতাম৷ আর মনের বয়সটাই বাড়েনি আসলটা অনেক আগেই এক্সপায়ার হয়েগেছে৷
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
138817
আহমদ মুসা লিখেছেন : এর চেয়েও আরো রোমাঞ্চকর কাহিনীর সৃষ্টি করে দ্য স্লেভ ভাইকেও একটি বিদেশীনি বিয়ে করার তাওফীক দান কর হে আল্লাহ!
174491
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২৪
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ভালো লাগলো। তবে শেখের পোলার মতো আমারো একটি প্রশ্ন ওখানে পর্দার বাধ্যবাধকতা নেই, যেমনটি মালয়েশিয়াতে আছে?
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:০২
128104
এলিট লিখেছেন : পর্দার বাধ্য বাধকতা বলতে বোঝায় আইনগত ভাবে বাধ্য। না, ইন্দোনেশীয়াতে এমন নেই, মালয়েশীয়াতেও নয়। পর্দা করতে আইনত বাধ্য মুসলিম আইন শাশিত দেশ। এই দুটি দেশই গনতান্ত্রিক।
এসব দেশে অনেক নারী চুল ঢেকে রাখে এবং পোষাক মার্জিত। ওদিকে আবার মিনি স্কার্ট পরা নারীর সংখাও কম নয়। মুসলিম জনবসতির দেশ হওয়া সত্বেও এখানে ইউরোপ আমারিকার চেয়ে উগ্র নাইট ক্লাব রয়েছে। এমনকি ডিপার্টপেন্টাল স্টোরেই সুন্দর করে বিয়ার সাজানো রয়েছে। যার যখন ইচ্ছা কিনে খেতে পারে। একজন কোন পথে যাবে এটা তার ইচ্ছা। কোন বাধ্য বাধকতা নেই। গনতন্ত্র।
174510
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
ইমরান ভাই লিখেছেন : এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম একটা গল্প:

আফ্রিকা খেকে এক ছেলে আসছে বাংলাদেশে তার পিতাকে খুজতে সে কিন্তু জানে না তার পিতার আসল নামকি তবে সে একটা কথা যানে যে তার পিতা নোয়াখালীতে থাকে।

নোয়াখালী আফ্রিকাতে......হা হা হা হা

আপনার ঘটনা শুনলাম....
আল্লাহ আপনাদেরকে ক্ষমা করুন আপনাদের অজানা ভুল গুলোকে। আমিন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৫০
128102
এলিট লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
174514
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৫
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ভাই কি বলে যে ধন্যবাদ দিব..পৃথিবীতে অসাধ্য বলতে কিছুই নেই-----চেষ্টা করলে সব কিছুই জয় করা যায়...আমার দৃষ্টিতে আপনার পোষ্টটিই সেরা পোষ্ট...........বিদেশী ভাবীকে আমার সালাম..........বাবুটার জন্য অনেক অনকে দুআর রইল।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪৮
128101
এলিট লিখেছেন : আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ
174538
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৮
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : সবটুকু পড়েছি। ভাল লাগলো। তবে এর জন্য অনেক কাঠখড় পুড়তে হয়েছে। আবার সাফল্যও পেয়েছেন। এখন যেন সারা জীবন সুখের হয় এ দোয়াই করি। ভাল থাকুন। শুভ কামনা। ধন্যবাদ্
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪৮
128100
এলিট লিখেছেন : আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ
174565
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
বিন হারুন লিখেছেন : আপনার সর্বমোট কত খরছ গেছে? জানালে আমরাও চেষ্টা চালিয়ে দেখতে পারব.
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪৭
128099
এলিট লিখেছেন : এই প্রশ্নটা অনেকেই করেছে। সরসরি কথা বললে হয়ত টাকার অঙ্ক বলা যায়, এখানে নয়। তবে জ়েনে রাখুন - খুব বেশী টাকা এতে খরচ হয় না। আমি দেশে বিয়ে করলে এমনই খরচ হতো বলে আমার ধারনা। চেস্টা চালানোর জন্য টাকার চেয়ে পাত্রী যোগাড় বেশী জরুরী।
১০
174568
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
সংগ্রামী লিখেছেন : আমার এক চাচী ইন্দোনেশিয়ান । উনাদের বিয়ে হয়েছে আজ থেকে ২০/২২ বছর আগে । ভীষন সুখী ফ্যামিলি । আর চাচীতো নাম্বার ওয়ান । বাংলাদেশে বেড়াতে আসলে আর (বিশেষ করে গ্রামে) ফিরে যেতে চায় না । ভীষন কিউট ।

দাম্পত্য জিবনে সুখী হোন ...
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪৩
128098
এলিট লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ। চাচীকে চালাম জানাবেন।
১১
174658
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : খুব সুন্দর একটি পোস্ট পড়লাম। Thumbs Up Thumbs Up কন্গ্রেট্স Rose Rose কিছুটা অবাকও লাগছে! আচ্ছা ভাবী কি এখনো বাংলাদেশেই থাকেন?
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪১
128097
এলিট লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা বাংলাদেশে ৬ মাস ছিলাম। শুধু ভাবী কেন, আমি নিজেই দেশে থাকি না।
১২
174746
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
পfথক লিখেছেন : My wife also from Bornio island,Indonesia. But she came in here and now we have one cute son
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৩৭
128095
এলিট লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ - আপনার জন্য দোয়া করি।
১৩
174750
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এলিট আপনার এই পোষ্টটি পড়ে হৃদয়ে অনেক আঘাত পেয়েছি।
আসলে এখনও মানতে পারছিনা নিজের চোখকে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৩৫
128094
এলিট লিখেছেন : আমার ঘটনাটা একটু অস্বাভাবিক, কিন্তু আপনার হৃদয়ে আঘাতের কারনটা রহস্যময়। একটু খোলসা করে বলবেন ক?Happy
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৫৩
128103
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আঘাত? রাহিক তোমার কী হয়েছে? বিয়ে করছে এলিট, আর তুমি আঘাতে ছটফট করতেছো কেনু? @রাহ'বার
১৪
176064
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:১৮
১৫
178937
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বাহ এ তো দেখছি রাজকন্যাকে জয় করতে রীতিমত যুদ্ধ যাত্রা। দোয়া করি সুখের রোদ্দুরে জলমল করুন আপনাদের ঘরের আঙ্গিনা। ভাবীকে আমাদের পক্ষ হতে শুভেচ্ছা জানাবেন।
১৬
184962
০১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : অভিনন্দন আপনাকে

১৭
187037
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : তাইতো বলি পুরুষ্কার কেন পাইলো!আলহামদুলিল্লাহ খুব ভাল্লাগ্লো।
১৮
187056
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২১
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অসাধারণ ঘটনা! ইন্দোনেশিয়ান জামাই। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
১৯
187096
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : আমি এমনিতেই গল্প টল্প কম পড়ি। এই গল্পটা পড়ে আনন্দে চোখে পানি এসে গেছে। জয় মানবতার।
২০
187135
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
রাইয়ান লিখেছেন : অনেক অভিনন্দন আপনাকে ! Rose Rose Rose Rose
২১
187167
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০০
গেরিলা লিখেছেন : দারুনস, দারুনস
২২
187174
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৩
187187
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
হতভাগা লিখেছেন : খুবই ভাল হয়েছে । এটাকেই তো ১ম পুরষ্কার দেওয়া উচিত ছিল।
২৪
187228
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১৬
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck

অভিনন্দন আপনাকে... Rose Rose Rose
২৫
187233
০৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
ইক্লিপ্স লিখেছেন : অসাম! সুখের গল্প। কিন্তু কেউ কেউ হৃদয়ে আঘাত কেন পেলেন বুঝলাম না! D'oh D'oh আপনাকে অভিনন্দন। আপনার ভালো লাগা পূর্ণতার মুখ দেখেছে। সবারটা দেখে না। জানেন আমার এক বান্ধবীর অনলাইনে একবার একটা ছেলের সাথে প্রেম হয়েছিল। আমার বান্ধবী প্রেম করার মেয়ে না। তাকে আমি আমার লাইফে কোন দিন কোন ছেলের সাথে কথা বলতে দেখেনি। কিন্তু ঐ ছেলের সাথে পরিচয় হবার পর ওর কি যে হল! ওর জন্য সব সময় পাগল থাকতো। হয়ত ঐ ছেলেরও মন মাতিয়ে রাখার ক্ষমতা ছিল।
কিন্তু ঐ ছেলে তাকে ধোকা দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে! অথচ বিয়ের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্তও তার সাথে প্রেমের অভিনয় করে গেছে! আমি মাঝে মাঝে ভাবি কি দোষ ছিল আমার বান্ধবীর? ঐ ছেলে ইসলামিস্ট ছিল। সে কেন এমন করল! সে একদিকে তার হবু স্ত্রীকে ধোকা দিল। অন্য দিকে আমার বান্ধবীকে। তার স্ত্রী নিশ্চয়ই কোন দিন জানবে না তার স্বামী কত বড় কঞ্জেনিটাল প্রতারক! পরে অবশ্যই সেই ছেলে জানিয়েছে বাস্তবতা নাকি আমার বান্ধবী আর তার বিয়ে মেনে নিত না! আচ্ছা মেনেই যখন নিতো না সে কেন প্রেম করতে এসেছিল আমার বোধগম্য হয় না।

আপনার পোষ্ট পড়ে ঐ ঘটনাটা মনে পড়ল। তাই একটু বেশি কথাই বলে ফেললাম। আবারো অভিনন্দন জানবেন।
২৬
187307
০৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভিন্ন স্বাদের ডিজিটাল প্রেম, অত:পর বিয়ে, সত্যিই জমৎকার। আপনার ভেতের লুকিয়ে থাকা প্রেমের গভীরতা বড়ই বৈচিত্রময়। সুদুর ইন্দোনেশিয়াতে প্রেমের জাল ফেলে অবেশেষে তীরে উঠিয়ে অর্ঘ সাজিয়ে বাধলেন ঘর। সব কিছুতেই যেন অচেনাকে জানার এক অদম্য আগ্রহ।

জেদ্দায় একটা ইন্দোনেশিয়ান এয়ারলাইন্স "ইগল এক্সপ্রেস এ কাজ করার সুবাদে মালয়শিয়ান আর ইন্দোনেশিয়ানদের অন্দরমহলে ঢুকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। এরা হুবহু আমাদের মত। হাসিখূশী এক নিরীহ প্রাণি। মচুকি হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানোর ঢংটাই আলাদা।

উৎকর্ষতার এ যুগে আরব্য প্রেম লাইলী মজনুকে ডিঙ্গিয়ে ডিজিটাল প্রেমের কান্ডারী মি: এলিট দম্পতিকে অভিনন্দন। আন্তর্জাাতিক এ ভালবাসার মিনার হতে ভেসে আসা সুমধুর প্রেমের জয়গানে মুখরিত হোক হাজারো আহত হৃদয়। আপনাদের জীবন হোক চিরসবুজ আর সুন্দর। দুজনার দুজনার হয়ে গড়ে উঠুক নোংরা সভ্যতার উপর নতুন ভালবাসার মিনার যেখান থেকে পৃথিবীবাসী শিক্ষা নেবে

প্রেমের কোন সীমান নেই, গন্ডি নেই।
মনের গভীরে কুন্ডলী দিয়ে উঠা প্রেমের শান্ত লেলিহান শিখা বড়ই চোখ ধাধানো। আপনার রচিত এ অজেয় ভালবাসায় রচিত হোক আগামী প্রজম্মের নতুন সাহিত্য।...আরো লিখতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু নিষ্ঠুর সময় আমাকেও কেড়ে নিল আপনার ভালবাসার আঙ্গিনা হতে। অতৃপ্ত হ্রদয়ে যাওয়ার সময় আশীর্বাদ রেখে গেলাম আপনার নবজাত শিশুর জন্য।
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৪১
139001
এলিট লিখেছেন : শুধু এই লেখাটিই নয় , আমার অন্য কয়েকটি লেখাও আপনি বেশ সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৭
187328
০৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০১
সাদাচোখে লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ্‌!
কে জানতো যে, আল্লাহ আপনার মাধ্যমে আমাদের সাথে ইন্দোনেশিয়ার এমন একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করবে?

আশা করি ইন্দোনেশিয়ান ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ডালিম কুমার এর গল্প না জানলেও আগামীতে বাংলাদেশী এলিট রহমান এর গল্প জানবে এবং ছোট ছোট রাজকুমারীরা বাংলাদেশের রাজকুমারদের স্বপ্ন দেখবে।
২৮
187333
০৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস্সালাম । দোয়া করি আল্লাহ আপনাদের সংসারকে সুখ শান্তিতে ভরে দিন ।
আশা করি পরবর্তি লেখায় বিভিন্ন অফিসের দুর্নীতির কাহিনী গুলি জানাবেন । ধন্যবাদ ।

যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের


ভাবির জন্য দেশি খাটি জলপাই আচার


২৯
187375
০৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
মামুন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : অভিজ্ঞতা শেয়ার ও সুন্দর লেখার জন্যে অভিনন্দন । ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো ।
৩০
187502
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:০১
তারাচাঁদ লিখেছেন : স্থির ছবি এবং ভিডিওতে আপনাকে ইন্দোনেশিয়ান জাতীয় পোষাক এবং ইন্দোনেশিয়ান টুপি পড়া দেখে ভ্রম হচ্ছিল ।
ইন্দোনেশিয়ান মেয়েরা সহজ সরল মনের অধিকারী এবং পতিপ্রাণা । যাকে একবার মন দেয়, তাকে সহজে ভুলে না । তবে গড়পড়তা এদের শারিরীক শক্তি বেশি । ।
সরলা বলেই অন্যের ফুসলানোতে গলে যেতে পারে ।
এক চঞ্চলা, চপলা বিদেশিনীকে ঘরণী করায় আপনাদের দুজনকেই শুভেচ্ছা ।
৩১
187573
০৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩২
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বিয়ের জন্য অনেক কাঠ খড় পুড়িয়েছেন দেখছি। ভালো লাগলো আপনাদের বিয়ের কাহিনী। শুভেচ্ছা রইলো, সাথে অভিনন্দন Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck
৩২
187674
০৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : এলিট ভাইকে কি বলে ধন্যবাদ দিবো বুঝতে পারছিনে
তার মনে এত প্রেম এত আকর্ষন দেখে অবাক হচ্ছি,
আমাদের দেশে যে প্রেমের কাহিনী রয়েছে তা শ্রেফ দেহ প্রেম আর বাইরে গিয়ে উকি জুকি মেরে তার ঘরে গিয়ে মা বাবার সাথে মিথ্যা বলে পার পেয়ে যাওয়া
ব্যস বিয়ে আরেক জনকে করে তার অন্যজনের সাথে টাংকি মারা,
প্রেম মানে কি?
প্রেম মানে উকি জুকি নয়,
প্রেম মানে সত্যের জয়, যেমনটি আপনার জীবনে ঘটেছে,
অপূর্ব প্রেম কাহিনী , প্রেম মানে বাধা বিপদ,মানে কোন দেশের নিষদ্ধ সীমান্ত প্রাচীর,
আমি সাধারনত ব্লগে লেখা পড়তে সময় পায়না কিংবা লম্বা লেখার পড়ার প্রতি আমার অধৈর্য্য হয়, কিন্তু আপনার লেখাটি আমি এমন মনযোগ দিয়ে পড়েছি যেন আপনার লেখা এক লাইনো বাদ দেয়ার নয়, আপনি একজন দারুন ব্যক্তি নিজেকে জয় করেছেন , সংযুক্ত করেছেন প্রেমের নতুন অধ্যায়,
তবে ভাবীর জন্য কষ্ট হয় যখন ইচ্ছে তখন তার মা বাবাকে দেখতে যেতে পারবেন না
৩৩
187739
০৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File