সব ইস্যু চাপা পড়েছে শাহবাগে!!!!!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন দুদিনের নীড় ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:২৬:১৭ রাত

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে তরুণদের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তোলপাড়ে চাপা পড়ে গেছে অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। টেলিভিশনের টকশো আর পত্রপত্রিকার লেখালেখি দেখে মনে হয় দেশে যেন আর কোনো সমস্যা-সংকট নেই। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, রাজধানীর তীব্র যানজট, আইন শৃংখলার অবনতির কারণে মানুষের নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে; অথচ এসব নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। দেশের তিনটি বৃহৎ হাসপাতালের মধ্যে দুই হাসপাতাল (বারডেম ও বিএসএমএমইউ) ১৫ দিন থেকে অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় শত শত রোগীর চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিয়ে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা সেতু, রেলওয়ের কালো বিড়াল, ইলিয়াস আলী গুম, সীমান্ত হত্যা, শেয়ারবাজার কেরেঙ্কারী, বিশ্বজিৎ হত্যাকা-, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের তা-ব, অধ্যক্ষকে দৌড়ানোর ইস্যুগুলো অধিক জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও মিডিয়ায় তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। এমনকি বিরোধী দল এ সব নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধী দলের আন্দোলন শাহবাগের কারণে সাময়িক (জামায়াতের ভোট হারানোর ভয়ে) ছুটি দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির ঐতিহ্যবাহী বইমেলাও মøান হয়ে গেছে।

সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারীর দায়ে অভিযুক্ত হলমার্কের চেয়ারম্যানকে জামিন ইসলামকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিনের মধ্যে আবার তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জের পরাগ অপহরণ মামলায় গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ঢাকঢোল পিটিয়ে। কিন্তু অতি গোপনে ফেব্রুয়ারী মাসের ৫ তারিখ থেকে ১১ তারিখে পরাগ অপহরণকারীদের ৫ জনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনার পর আদালত পুনরায় আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। অতঃপর ৫ জনের মধ্যে চারজনকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এ খবরগুলো মিডিয়ায় তেমন গুরুত্ব পায়নি শাহবাগ ইস্যু নিয়ে হৈচৈ এর কারণে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েই চলেছে। চাল, আটা, পেঁয়াজ, চা-পাতার দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। জিনিসপত্রের বাড়তি দামের কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। সীমিত আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। শুধু খাদ্যের জোগান দিতে মানুষ জমানো টাকা ভেঙ্গে ফেলছে। অথচ দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারগুলোতে নিয়মিত ও কার্যকর মনিটরিং নেই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর। পরিসংখ্যান ব্যুরো সর্বশেষ তথ্য মতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমায় জানুয়ারীতে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছিল। বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি চালের দাম ৫/৬ টাকা, আটা ৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৫ টাকা এবং প্রতি কেজি চা পাতার দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সুনির্দিস্ট কোনো কারণ ছাড়াই পাইকারী পর্যায়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের রেমিটেন্সের বড় অংশ আসে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কাছ থেকে। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর খরা যাচ্ছে। সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকরা অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে জীবন যাপন করছে। অনেক চেষ্টার পর মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ১০ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিকের জন্য চাহিদা পত্র পাঠায়। ঢাকঢোল পিটিয়ে সারাদেশে থেকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের নিবন্ধন সম্পন্ন ও লটারীর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। ফেব্রুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ১০ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ার পাঠানোর ঘোষণা দিলেও একজন শ্রমিককেও পাঠানো যায়নি। নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ দাস দর্জিকে ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে খুনের ঘটনার পর দেশব্যাপী হৈচৈ হয়। অতঃপর এ নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠেন। কিন্তু তারপরও রংপুরে ছাত্রলীগে নেতাকর্মীর হাতে শিক্ষকে এসিড নিক্ষেপ, বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষকে দৌড়ানো, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংস ঘটনাসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের তা-ব ঘটে। এসব বিষয় মিডিয়ায় তেমন গুরুত্ব পায়নি। হত্যা, গুম, অপহরণ, সন্ত্রাস, দখলদারিত্বে মানুষ আতঙ্কিত। বেশ কয়েকটি অপহরণ এবং গুমের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরাগ ম-লকে অহপরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা গেলেও ৮ মাসেও বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিএনপি এ ইস্যুতে হরতালসহ কয়েকদিন আন্দোলন করলেও ইস্যুতে যেন হারিয়ে গেছে। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিপ্রায় আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত। বিশেষ করে এ ঘটনা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এ নিয়ে বিশ্¦ব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে চিঠি চালাচালি, বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি এবং একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারের ঘটনা ঘটেছ। ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারী সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেয়। জাইকা, এডিবি এবং বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণের ঋণ দেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী মাসে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর জন্য ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরুর আগে বিদেশী একটি কোম্পানীর বাংলাদেশী এজেণ্ট পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্টদের ঘুষ দিয়েছে এমন অভিযোগ পায় বিশ্বব্যাংক। এ ঘটনায় কানাডা সরকার লাভারিন কোম্পানীর দুজনকে কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে এবং মামলা রুজু করে। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাংক সে সময়ের যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিপ্রায়ের অভিযোগ তোলেন। প্রথম থেকে সরকার পদ্মা সেতুর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে এবং উল্টো বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য প্রচার করা হয়। নানা নাটকের পর বিশ্বব্যাংক বেশ কয়েকটি শর্ত দেয় পদ্মা সেতুতে ঋণ দেয়ার জন্য। সরকার সে সব শর্ত মেনে নিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় এবং সংশ্লিষ্টদের ওএসডি করেন। প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানকে বাধ্যতামূলক ভাবে এক মাসের ছুটি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ায় বিশ্বব্যাংকে পদ্মা সেতুতে ঋণ দেয়া ঝুলে যায়। এ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি এমনিতেই চাপা পড়ে যায়। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহনের পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঘোষণা দেন তিনি রেলের কালো বিড়াল ধরবেন। কালো বিড়াল রেলে বাসা বেঁধে থাকায় দুর্নীতি হচ্ছে এবং রেল ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে। ঘোষণার ৫ মাস পর ৯ এপ্রিল পিলখানায় মধ্যরাতে ৭০ লাখ টাকাসহ সুরঞ্জিতের পিএস ফারুক ধরা পওে বিজিবির হাতে। ঘটনার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে বলেন ওই টাকার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ১৬ এপ্রিল তিনি ঘটনায় দায় স্বীকার করে রেলমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে বলেন ঘটনার সুস্থ তদন্তের স্বার্থে পদত্যাগ করলাম্ এবং নির্দোষ প্রমাণের পর আবার ফিরে আসবো। কিন্তু দুদিন পর তিনি আবার ঘোষণা দেন তিনি দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আগ বাড়িয়ে জানান, রেলের ৭০ লাখ টাকার কেলেঙ্কারীর সঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জড়িত নন। দুদক অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। কিন্তু গাড়ীর আজম খান ৬ অক্টোবর মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে জানান ওই ৭০ লাখ টাকা সুরঞ্জিতের বাসায় যাচ্ছিল। সেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে প্রতিদিন জাতিকে নীতিকথা শোনাচ্ছেন। ব্যাংকিং সেক্টরে হলমার্ক কেলেঙ্কারীকে বলা হয় দেশের সবচেয়ে বড় অর্থকেলেঙ্কারীর ঘটনা। ২৪ মে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর বের হয় হলমার্ক নামে একটি অখ্যাত প্রতিষ্ঠানকে সোনালী ব্যাংকের রুপসী বাংলা শাখা থেকে ৬৬৭ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ শ’ কোটি টাকাই দেয়া হয়েছে অনিয়ম করে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী নাম এই ঋণের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এ নিয়ে সোনালী ব্যাংক মামলা না করলেও দুদক মামলা করে এবং তানভীর মাহমুদসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। অনুসন্ধান করে সরকার জানতে পারে সোনালী ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নিলেও তাদের সম্পদের পরিমাণ মাত্র তিনশ’ কোটি টাকার মতো। তারও অনেক সম্পত্তি সরকারের জমি দখল করা। এই টাকার প্রায় ২৩শ’ কোটি টাকা মানি ল-ারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও এক গবেষণা তথ্যে প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে জামিন দেয়া হয় অতঃপর পুনরায় গ্রেফতারও করা হয়। অথচ এ নিয়ে পত্রিকার খবরে এ ঘটনা তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। ডেসটিনি নমের একটি এমএলএম প্রতিষ্ঠানের দেশজুড়ে অর্থ কেলেঙ্কারীর খবর সবার জানা। হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণা করে এ প্রতিষ্ঠানটি শত শত কোটি টাকা মানিল-ারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে সংগ্রহ করা ৩ হাজার ৮শ কোটি টাকা কোম্পানীটি মেরে দিয়েছে। এ টাকার কোনো হদিস পাচ্ছে না সরকার। পরে ডেসটিনির সকল ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে মামলায় দায়েরের পর হায়হায় কোম্পানীটির কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। মেজর জেনারেল (অব) হারুন উর রশিদ শর্ত সাপেক্ষে জামিনে ম্ক্তু থাকলেও অন্যান্য হোমরাচোমরারা এখনো কারাগারে রয়েছেন। তারা দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করার কথা। এ ইস্যুটিও কার্যত চাপা পড়ে গেছে। শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ৩২ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী পথে বসেছে। তবে শেয়ার বাজারে লেনদেন এবং সুচক উঠানামা করলেও প্রত্যাশিত ফলাফল পায়নি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। ঘটনার পর ব্যাংকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে এটি তদন্ত টীম গঠন করে তদন্ত করা হয় এবং তদন্ত রিপোর্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়। কিন্তু পুণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। ফলে শেয়ার বাজারে ৩২ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বছর জুড়ে বিক্ষোভ-মিছিল-সমাবেশ এমনকি হরতাল কর্মসূচিও পালন করেছে। এ ছাড়াও ১৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে দুই দফায় আগুন দিয়ে ১২টি বৌদ্ধবিহার ও ২৬টি বাসায় আগুন দেয়া হয়, ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামে উড়াল সেতুর গার্ডার ধ্বসে ১৫ জনের মৃত্যু, ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার নিশ্চিতপুরে তাজরীণ ফ্যাশন নামে একটি গ্রার্মেন্ট ফ্যান্টরীতে আগুন লেগে ১১১ শ্রমিক প্রাণ হারানোর ঘটনার পর আমেরিকায় জিএসপি সুবিধা হুমকির মুখে, সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ইস্যু যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। শাহবাগে তরুণরা ’৭১ সালে হত্যা খুন, ধর্ষনসহ মানবতাবিরোধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করছে। শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচিতে হাতেগোনা কয়েকজন নাস্তিকের ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকা-ে মানুষ ক্ষুব্ধ হলেও অনেকেই এ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে দীর্ঘদিন দুইটি বৃহৎ হাসপাতালের প্রবেশমুখে অবস্থান নেয়ায় শত শত চিকিৎসাধীন রোগীর চরম দুর্দশায় ফেলানো বানবাধিকার লংঘনের পর্যায়ে পড়ে কিনা তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছেন না। দেশের পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, জ্ঞানী-গুনিরা শত শত রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দুর্ভোগ-আহাজারী নিয়ে কথা বলছেন না। এমনকি বিরোধী দল বিএনপিও জামায়াতকে ‘বগলদাবা’ করে রেখে প্রগতিশীল (ব্লগার) তরুণ আন্দোলনকারীদের ভোট হারানোর ভয়ে এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। দুই কূল রক্ষা করে সময় পার করে দেয়ার বিএনপির কৌশল মানুষ ভালচোখে দেখছে না।

সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব

বিষয়: বিবিধ

১৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File