যে হল গুলো থেকে ভেসে আসত আযানের ধ্বনি এখন সেই হল গুলো থেকে ভেসে আসে সঙ্গমরত নারীর সিতকার, গোঙ্গানি।

লিখেছেন লিখেছেন মেজর জলিল ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৩:৫৯ রাত

গত ৩১/০১/২০১৪ তারিখে গিয়েছিলাম আমার প্রিয় খুলনা শহরে। প্রায় ৪ বছর হয় পেটের তাগীদে খুলনার বাহিরে থাকি। এবার কিছুটা পরিকল্পনা করেই গিয়েছিলাম শহীদের রক্ত ভেজা ক্যাম্পাস বি এল কলেজ ঘুরব, খোজ খবর নেব, আর ছাত্রদের হল গুলো ও দেখা আসব। খুব আশা বুকে বেধে খুলনা গিয়েছিলাম।

২০০০ সাল থেকে নিয়মিত বি এল কলেজ ক্যাম্পাসে এবং হলে যাতায়াত। তিতুমির হল, মহসিন হল, ডঃ জোহা হলে অনেক নামায পড়েছি, খেয়েছি, থেকেছি। তখন খুব ই অবাক হয়েছিলাম যে কলেজের হলে আযান হয়?? জামায়াতে নামায হয়?? প্রতি ওয়াক্ত নামায শেষে ১টা কোরানের আয়াত ও ১টা হাদীস অর্থ সহ পড়া হয়, ফযরে কোরানের দারস হয়??? আর এই কাজ গুলো করছে ১ দল তরুন শিক্ষিত ছাত্র।যার কিনা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। আমার কিশোর মনের ধারনা তখন পালটে গিয়েছিল। আর এই ছাত্রদের বিশেষ পরিচয় ছিল ক্যাম্পাসে। এর ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মি।

আর এবার গিয়ে ও অবাক হয়েছি। যে হল গুলো থেকে ভেসে আসত আযানের ধ্বনি এখন সেই হল গুলো থেকে ভেসে আসে সঙ্গমরত নারীর সিতকার, গোঙ্গানি। যে হল গুলোতে তখন কোরান তেলায়াত হত এখন সেই যায়গায় চলে হিন্দি গান--শিলার যৌবন আর মুন্নির বদনাম!!!!! এখন হল গুলোর বিছানা উল্টালে পাওয়া যায় কন্ডম। হলের রুম গুলোতে পাওয়া যায় ব্লু ফিল্ম, মেয়েদের অন্তর্বাস। আগে হল গুলোতে শববেদারী(নৈশ ইবাদাত, তাহাজ্জুদ নামায) হত, আর এখন রাত ভরে চলে জুয়ার আড্ডা আর মদের নেশা। বি এল কলেজ নদীর পার সহ গোটা ক্যাম্পাস এখন গাজার গন্ধে মাতোয়ারা। এখন সন্ধ্যা নামলে কলেজার পাশে ও মধ্যে কেউ যায়না সমভ্রম হারানো আর ছিনতাইয়ের ভয়ে।

কলেজের সাধারণ মেয়েরা ক্যম্পাসে আসতে চায়না নিরাপত্তার অভাবে। তাদের জোর করে প্রেমের অফার করা হয়, রাজি না হলে ক্যম্পাসে আসতে পারবেনা। তাই সমভ্রম হারানোর ভয়ে মেয়েরা আসতে চায়না। নেতাদের কাছে নালিশ করলে তার দলের কর্মিদের বকা দেয় এই বলে যে নালিশ করার সাহস পায় কোথায়, আর লোকজন জানবে কেন??

আর এসব কিছুর ই অবদান নস্ট বাম ও ছাত্র নামধারী কুলাঙ্গার ছাত্রলীগের।

এক বুক চাপা কস্ট নিয়ে ফিরে এসেছি। জানিনা এসব কুলাঙ্গারের হাত থেকে কবে আবার মুক্ত হবে শহীদের রক্ত ভেজা প্রিয় ক্যাম্পাস, কবে হল থেকে ভেসে আসবে আযান ও কোরান তেলায়াতের শব্দ।

বিষয়: বিবিধ

২০৭৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

174004
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৭
রাজু আহমেদ লিখেছেন : এটা শুধু বিএল কলেজ বা হাতেগোন কয়েকটি কলেজের হলের অবস্থা নয় এটা সম্পূর্ন বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্টনগুলোর অবস্থা । যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে । ধন্যবাদ সত্য কিছু তুলে আনার জন্য ।
174007
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২৪
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৭
128171
মেজর জলিল লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ
174072
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সারা বাংলাদেশটাকে ছাত্রলীগ নামক কীট গুলো এরকম করে রেখেছে।
174075
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৩১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : এভাবেই আমাদের হেফাজতে ইসলাম নামক সংগঠনটি দেশে ইসলামের হেফাজতের দায়ভার কাঁধে নিয়েছেন। দেশের তথাকথিত নারীবাদী সংগঠনগুলোও এসব নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য আগেও করেনি, এখনো করবেনা।
ইসলামের খাদেমদের নিকট আমার প্রশ্ন, এখনো কি আপনাদের সিলেবাসে ধর্মের জন্য যুদ্ধ ঘোষণার সময় হয়নি?????
174167
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
আহমদ মুসা লিখেছেন : জানি না বর্তমানে দেশের কি পরিমাণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এধরণের অধঃপতন ও মানসিক বিকারগ্রস্থ বিভিষিকাময় পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। আমার কর্মস্থলের কাছাকাছি দেশের দু'টি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এখনো পর্যন্ত এই দু'টি প্রতিষ্ঠানে নোংরামী প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমার আশংকা হয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অবৈধভাবে চেপে বসা হায়েনাগুলো ক্ষমতায় যদি আরো বেশীদিন থাকতে পারে তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোও এভাবে নোংরামীর শিকার হওয়ার আশংকা রয়েছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File