দুনিয়ার ফুলবাগিচার মালি থেকে জান্নাতের ফুলবাগিচার মালিক এখন আ. কাদের মোল্লা।

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:৩৬:০৪ রাত

একজন আব্দুল কাদের মোল্লা থেকে অসংখ্যা আব্দুল কাদের মোল্লা সামনে এগিয়ে আসবে।

হে আল্লাহ! তোমার বান্দারা আজ বাংলার জমিনে বড়ই মজলুম। তুমিতো মজলুমের পুক্ষে। আল্লাহ তুমি মজলুমের সহায় হও। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের মোল্লাকে খুন করার জন্য শাহবাগী কুত্তা ও কিছু মিডিয়া যেভাবে ঢোল-বাধ্য নিয়ে আয়োজনে মেতে উঠেছে, এগুলো দেখে মনে পড়ে শুধু:

১. মুসা (আ.) ও তার উম্মত (বনী ইসরাইল) কে হত্যা করার জন্য ফেরাউনের সেই রাজকীয় আয়োজন।

২. ইব্রাহীম (আ.) তে হত্যা করার জন্য নমরুদীয় প্রাসাদের বিশাল প্রস্তুতি।

৩. ঈসা (আ.) কে হত্যা করার জন্য ইয়াহুদীদের ষড়যন্ত্র।

৪. মুহাম্মাদ (স.) কে হত্যার জন্য আবু জাহিলের নেতৃত্বে মক্কার তৎকালীন শাহবাগী যুবক-তরুনদের জিঘাংসা.....

আশ্চর্যের কথা হলো, তারা কিন্তু কেউ বিজয়ী হয়নি। যদিও তাদের সাথে ছিল রাষ্ট্রীয়-রাজকীয় ক্ষমতা, তরুণদের আকৃষ্ট করার জন্য নর্তকী, বিনোদনের নামে নগ্নতা, ছিলো উপযুক্ত পরিবেশ। তারা সত্যকে ও সত্যের আন্দোলনকে নিভিয়ে দিতে পারেনি। অপবাদ-অভিযোগের পাহার চাপিয়ে দিয়েও তারা বিজয়ী হতে পারেনি। চূড়ান্ত পরিণামে, সত্যপন্থীরা ই বিজয়ী হয়েছে। আজকের ফেরাউন-নমরুদরাও পারবেনা বিজয়ী হতে। এক কাদের মোল্লার রক্ত থেকে লক্ষ লক্ষ কাদের জন্ম নিবে। যাদের হাতেই ওদের কবর রচিত হবে। সত্যপন্থীরা নিরাশ হবেননা। আল্লারহ উপর তাওয়াক্কুল রাখুন। ইমাম হুসাইনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করুন। সত্য কখনো বিলীন হয়না। শুধু অনুসারীরে কাছে থেকে ত্যাগ চায়, ত্যাগ। কুরবানীর পথ ধরেই এ দেশে ইসলামের পতাকা একদিন উড়বেই। সেদিন খুবই কাছে। ইনশাআল্লরহ। মনের চোখ দিয়ে তাকিয়ে দেখুন: বাংলাদেশে এখন আওয়ামীলীগের কোন গণভিত্তি নেই। এজন্যই ওরা অরাকতা সৃষ্টি করে ফায়েদা লুটতে চাচ্ছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের ফল হয় মীর জাফরের পরিণতি। আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার শেষ নসীহতঃ

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবারের সদস্যগণ জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, “আমি পূর্বেই বলেছি, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এ সরকার আমাকে হত্যা করতে চাচ্ছে। আমি মজলুম। আমার অপরাধ আমি ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি। শুধুমাত্র এ কারণেই এ সরকার আমাকে হত্যা করছে। আমি আল্লাহ্, রাসূল ও কোরআন ও সুন্নাহ্তে নিশ্বাসী। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমার এ মৃত্যু হবে শহীদি মৃত্যু। আর শহীদের স্থান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়। আল্লাহ আমাকে শাহাদাতের মৃত্যু দিলে এটা হবে আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ট পাওয়া। এর জন্য আমি গর্বিত।

আমি বিশ্বাস করি, জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। আমাকে ১০ তারিখ রাতেই সরকার হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ্ তায়ালা সেদিন আমার মৃত্যু নির্ধারণ করেননি। যেদিন আল্লাহর ফায়সালা হবে সেদিনই আমার মৃত্যু হবে। প্রত্যেক প্রাণীরই মৃত্যু আছে। আমাকেও মরতে হবে। শহীদি মৃত্যুর চাইতে বড় সৌভাগ্য আর কিছু নয়। আজীবন আমি সে মৃত্যু কামনা করেছি, আজও করছি।

আমার অনুরোধ, আমার শাহাদাতের পর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যেন ধৈর্য্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেয়। তারা যেন কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বা প্রতিহিংসা পরায়ণ কর্মকান্ডে লিপ্ত না হয়। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কাছে এটাই আমার আহ্বান। আমি ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি, শাহাদাতের রক্তপিচ্ছিল পথ ধরে অবশ্যই ইসলামের বিজয় আসবে। আল্লাহ যাদেরকে সাহায্য করেন তাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না

আব্দুল কাদের মোল্লা হত্যাঃ মনে বহু প্রশ্নঃ

যারা বহু প্রশ্নের উত্তর না খুঁজেই একমাত্র সাক্ষী মোমেনা বেগমের (যে নকল সাক্ষী বলে ইতিমধ্যে প্রমান বেরিয়েছে) সাক্ষীর ভিত্তিতে জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যাণ্ট সেক্রেটারী আব্দুল কাদের মোল্লাকে আজ রাত ১০টা ১ মিনিটে হত্যা করেছে, তারা হয়ত একজন প্রতিপক্ষকে শেষ করে দিয়ে সাময়িক তৃপ্তি বোধ করতেছে। আব্দুল কাদের মোল্লা শাহাদাত কামনা করেছেন, শহীদ হয়ে জান্নাতে স্থান করে নিয়েছেন কিন্তু কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের মনে যে বিষয় গুলি খোঁচা দিবে তা হচ্ছেঃ

১।মীর পুরের কসাই কাদের, আব্দুল কাদের মোল্লা নন।কসাই কাদের ছিলেন বিহারী। তার সহযোগীরা ও ছিল বিহারী। আব্দুল আদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থেকে পড়া লেখা করতেন, যুদ্ধ শুরু হলে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। কসাই কাদেরেরের বাহিনী কোন auxiliary বাহিনীর অংশ ছিলনা। এটি ছিল স্থানীয় একটি লুটপাট কারী বাহিনী। প্রশ্ন আসে বিহারীরা কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে যার সাথে মীরপুরের সংযোগ ই ছিলনা তাকে তাদের নেতা বানিয়ে নিলেন?

সেখানে যে সকল অপরাধের কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে শত শত লোকের হত্যা রয়েছে।একজন লোকের পক্ষে এত হত্যা সম্ভব হয়নি। তদন্তকারী সংস্থা শুধু মাত্র একজন অপরাধীকে সনাক্ত করতে পারলেন, বাকি অপরাধীরা কোথায়? তাদের কোন উল্লেখ নেই কেন?

এত বিখ্যাত কসাই কাদের যুদ্ধ শেষ হবার সাথে সাথে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থেকে লেখা পড়া শুরু করলেন, ফাষ্ট ক্লাস ফাষ্ট হলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে উদয়ন স্কুলে শিক্ষকতা করলেন, পিলখানার মধ্যে রাইফেল স্কুলে শিক্ষকতা করলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকুরী করলেন, সাংবাদিকতা করলেন কেউ কোন প্রশ্ন তুললনা, তাকে কেউ আক্রমন করলনা, ২০১০ সালে পর্যন্ত এ ব্যাপারে তার নামে বাংলাদেশের কোন থানায় কোন মামলা হলনা, কেউ কোন জিডি এন্ট্রি করলনা- এ সকল বিষয় কি তার কসাই কাদের না হবার প্রমানের জন্য যথেষ্ঠ নয়।

বিশ্ববিদ্যলয়ে তিনি যে হলে থাকতেন সে শহীদুল্লাহ হলের তখনকার ইমাম সাহেব তার সাফাই সাক্ষিতে বলেছিলেন, তিনি কাদের মোল্লা সাহেব কে হলের একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে চিনতেন, যুদ্ধ শুরু হলে তিনি গ্রামের বাড়ী চলে যান এবং যুদ্ধ শেষে বার হলে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত লেখা পড়া করেন। কিন্তু এ সকল সাক্ষ্যতো বিচার প্রক্রিয়ায় মোটেই বিবেচিত হয়নি।

কাদের মোল্লা সাহেব তার সাফাই সাক্ষীতে দাবী করেছিলেন- যে সময়ে মীরপুরে অপরাধ সংঘটনের কথা বলা হয়েছে সে সময় তিনি তার গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগের স্থানীয় এক নেতা সহ মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছেন, স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন, তিনি এলাকার বিখ্যাত পীর ধলামিয়ার বাড়ীতে লজিং ছিলেন, তার দু’ মেয়ে কে পড়িয়েছেন, ধলামিয়া পীর সাহেবের পুঁজিতে তিনি সদরপুরের আড়াইরশি বাজারে ব্যবসা করছেন।আওয়ামীলীগের এমপি গোলাম মওলা রনি তার লিখায় লিখেছেন, কাদের মোল্লা সাহেবের এ সকল দাবী প্রমান করা একেবারেই সহজ। তিনি যেহেতু একই এলাকার অধিবাসী তাই তিনি লিখেছেন- যে নেতার সাথে কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছেন বলেছেন, সে নেতা এখনো জীবিত আছেন এবং আওয়ামীলিগের রাজনীতি করেন; যে স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেছেন বলেছেন সে স্কুলের কাদের মোল্লার শত শত ছাত্র ছাত্রী এখনো জীবিত আছেন; ধলা মিয়া পীর সাহেবের যে দু’মেয়েকে তিনি পড়িয়েছেন সে দু’মেয়ে, মেয়ে জামাতা এখন স্ব স্ব কর্ম ক্ষেত্রে সু প্রতিষ্ঠিত এবং এ পরিবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি; যে আড়াইরশি বাজারে তিনি ব্যবসা করেছেন, সে বাজারে হাট বারের দিন হাজার হাজার লোক সমবেত হয়, তিনি ব্যাবসা করলে তাকে বাজারে দেখা শত শত লোক এখনো জীবিত রয়েছে। গোলাম মওলা রনি লিখেছেন, এ সকল বিষয় প্রমান করতে চাইলে আদালত এদের মধ্য থেকে অনেক কে সাক্ষী হিসেবে নিতে পারেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন এ সকল বিষয় বিবেচিত হলে কাদের মোল্লা সাহেব হয়তো আপীল বিভাগ থেকে খালাস পাবেন। কিন্তু এ সকলের কিছুই্তো বিবেচিত হয়নি।

২। সাক্ষী জালিয়াতির যে অভিযোগ উঠেছে তা অতি ভয়াবহ। মোমেনা বেগম নামে যে একমাত্র সাক্ষির সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আপীল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের যাবজ্জীবন সাজাকে বাড়িয়ে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে, সে মোমেনা বেগমকে আসল মোমেনা বেগম নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।আসল মোমেনা বেগমের ছবি মীরপুর বধ্যভূমি যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে যার সাথে সাক্ষী দেয়া মোমেনা নামধারীর চেহারার কোন মিল নেই। সরকার পক্ষ মোমেনার পরিচয় নিশ্চিত করে কোন প্রমান পত্র উপস্থাপন করতে পারে নি। ডিফেন্স পক্ষ তার পরিচিতির ব্যাপারে চ্যালঞ্জ করলেও আদালত তা আমলে নেয় নি। শুধু এ একটি বিষয় বিবেচনা করে প্রমান হলেই তো এ মামলা আর মামলা থাকে না।

৩। যে আইনে সরকার পক্ষের আপিলের সুযোগ ছিলনা। একটি রায় হওয়ার পরে শাহবাগে কিছু দলীয় লোক্ কে জড় করে দাবী তোলা হল; সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে সে আইন সংশোধন করে সরকার পক্ষের আপীলের সুযোগ করা হলো; সে আপীলে দন্ড বেড়ে মৃত্যু দন্ড হয়ে গেল; এ সকল কিছু ই প্রশ্নবোধক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

৪। নিম্ন আদালতে সাজা হলে উচ্চ আদালতে যায় আরো পুংখানুপুংখভাবে বিষয়টি দেখার জন্য যাতে সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তির ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ডের রায়টি আপীল বিভাগ ই প্রথম দিয়েছে। সেখানে রিভিউ এর সুযোগ ও দেয়া হলোনা। পুংখানুপুংখভাবে দেখার আর কোন সুযোগ হলোনা, ন্যায় বিচার প্রাপ্তি ও নিশ্চিত হলোনা।

৫। কাদের মোল্লা কিভাবে কসাই কাদের হলেনঃ আশির দশকের শেষ দিকে আব্দুল কাদের মোল্লা জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর আমীর হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ৮ দল, ৭ দল, ৫ দল ও জামায়াতে ইসলামী তখন যুগপত আন্দোলনে রাজপথে।মহানগরীর আমীর হিসেবে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রের শিরোনামে আব্দুল কাদের মোল্লার নাম। দৈনিক জনকন্ঠ তখন রাজাকারেরা কে কোথায় শিরোনামে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করছে। মীরপুর গিয়ে যখন শুনতে পেল কসাই কাদেরের নাম, তখন ই জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে বানিয়ে দিল কসাই কাদের। তাদের অনুসরনে আরো কিছু পত্রিকা এ ধরনের রিপোর্ট ছাপে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আসার পর এটিএন বাংলা সহ আরো অনেকে এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রতিবার ই মোল্লা সাহেব এ সব রিপোর্টের প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদ লিপি ঐ সকল প্রত্রিকায় প্রকাশ না হলেও অন্য প্রত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এ সকল মিডিয়া আব্দুল কাদের মোল্লাকে কসাই কাদের বানিয়েছে, অনেকের সাক্ষাতকার নিয়েছে কিন্তু কোন দিন আব্দুল কাদের মোল্লাকে জিজ্ঞাসা করেননি- আপনি এ সকল অপরাধ করেছেন কিনা। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্তকারী দল নূতন কিছু অনুসন্ধান করতে হয়নি। মিডিয়ার দেখানো পথে তারা হেঁটেছে; শুধু কিছু সাক্ষী ম্যনেজ করে শাস্তি দেয়ার মতো আয়োজন করেছে।

৬। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশলঃ যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের আওয়ামীলীগের এ উদ্যোগটি মূলত তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াত ইসলামীকে নিচ্ছিন্ন করে দেয়ারই একটি পদক্ষেপ।যে কোন সংগঠন যত ক্ষুদ্র ই হোক তাকে আদর্শিক ভাবে মোকাবেলা না করে বাঁকা পথে শেষ করে দিতে চাইলে সেখানে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠে। এটা কোন দেশের জন্য কল্যানকর হয় না। দুর্ভাগ্য আমদের গদিনশীনেরা সে পথেই ধাবিত হচ্ছেন। একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই তাদের কে সুমতি দিয়ে দেশকে সঙ্ঘাত, সহিংসতা, হানাহিনি থেকে রক্ষা করতে পারেন।

বিষয়: বিবিধ

১৯০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File