যুবক ও যৌবনঃ পর্ব-২

লিখেছেন লিখেছেন শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:০২:৪২ বিকাল

যুবক ও যৌবনঃ পর্ব-১

বিপরীত শ্রেনীর প্রতি নিবিড় আকর্ষনের টানে তার প্রতি দৃষ্টি দিতে চাওয়া খুবই স্বাভাবিক এক বিষয়। আর আমাদের বর্তমান পরিবেশ একাজের যথেষ্ট অনুকূল। এতটাই অনুকূল যে একাজের জন্য কোন কষ্ট করতে হয়না।

যাই হোক, যুবক-যুবতীর মুখে কথা হবার আগে চোখে চোখে কথা হবে, প্রেমের ঝিলিক মারবে, নয়নের যাদুতে দুটি মনের আশা একই হয়ে যাবে- এটাই আমাদের পরিবেশের প্রকৃতি। পরিবেশ একাজটাকে এতটাই স্বাভাবিক করে তুলেছে যে, এখন কেউ আর এটাকে কোন অপরাধই মনে করে না। এমনকি আমাদের দেশের তথাকথিত কাঠমোল্লারাও এর বিরুদ্ধে কোন কথাই বলেনা। নারীর পর্দা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়াজ করতে করতে মুখের লালা বের করে ফেলে, কিন্তু কোন কথা বলেনা-পুরুষের চোখের পর্দার বিষয়ে। অথচ পবিত্র কুরআনে নারীর পর্দার আগে পুরুষের চোখের পর্দা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

“মুমিন পুরুষদের বল, তারা যেনো নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হিফাযত করে; এটিই তাদের জন্য উত্তম। ওরা যা করে আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত। আর মু’মিনা নারীদের বল, তারাও যেনো নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হিফাযত করে” (সূরা নূর, আয়াত-৩০,৩১)

সম্ভবত এর কারন হচ্ছে- এ নজরই যুবক যুবতীদের জন্য সবচেয়ে বড় ফিতনার বিষয়।

এ নজরবাজি অনেক আবেদের ইবাদাত নষ্ট করেছে।

অনেক কোটিপতিকে ভিক্ষুক বানিয়েছে।

বাবা-মায়ের অনেক স্নেহের সন্তানকে ত্যাজ্য পুত্র করেছে।

অনেক মেধাবীকে পরীক্ষায় করিয়েছে ফেল।

অনেক যুবকের রাতের ঘুম সম্পূর্ন নষ্ট করেছে।

অনেকের হাতে তুলে দিয়েছে নেসাদ্রব্য।

আবার হয়তোবা কাউকে পরিনত করেছে ভয়ংকর সন্ত্রাসরূপে।

দৃষ্টি সংযত করতে পবিত্র কুরআনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বান্দা দৃষ্টি অবনত রাখলে প্রকৃতিগত মনের অনৈতিক ইচ্ছা শান্ত ও সংযত থাকে। মন প্রশান্ত থাকে। এক প্রকার জান্নাতি আমেজ অনুভূত হয়।

বেগানা মহিলার উপর অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টিপড়া খুবই স্বাভাবিক এক ব্যাপার। কিন্তু আমাদের জন্য অস্বাভাবিক হলো, আমরা যারা নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় দেই, তাদের ইচ্ছাকৃত পুনরায় আবার সেদিকে নজর দেয়া। আরো বেশি অস্বাভাবিক হলো Specific একটি অংগের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে মনের স্বাধ মেটানো। আরো বেশি অস্বাভাবিক ঘটনাও আমাদের ভাইয়েরা বর্তমানে ঘটাচ্ছেন, যা বলতে থাকলে আলোচ্য প্রবন্ধ অশ্লীলতার দিকে মোড় নিবে।

যাই হোক এ দৃষ্টি হলো মাটিতে বীজ বপনের মত। বীজ বপনের পর যদি তার আর কোন পরিচর্যা করা না হয়, তবে অংকুরেই তা নষ্ট হয়ে যায়। প্রথম দৃষ্টির পর যদি এ দৃষ্টির আর কোন পরিচর্যা করা না হয়, তবে তা কোন ক্ষতিই করেনা। এ জন্যই আমাদের নেতা (সাঃ) বলেছেন- একবার নজর পড়ে গেলে আর দ্বিতীয়বার তাকিয়ে দেখো না। (আহমদ, আবু দাঊদ, তিরমিযী, হাকেম, সহীহুল জামে’ ৭৯৫৩ নং)

পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ এজন্য মহিলাদেরকে বেগেনা পুরুষের সামনে পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছে। এক হাতে তালি বাজেনা। তাই উভয় হাতকেই ইসলাম দ্বিমুখী টানে পরষ্পর বিপরীত দিকে পাঠিয়ে দিয়েছে, যাতে তালি বাজার কোন সুযোগ আর অবশিষ্ট না থাকে। এমনকি এক হাত এগিয়ে এলেও অপর হাতের জন্য নিজেকে তালি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়, যদি সে হাতটি ইসলাম তাকে যেখানে রাখতে চায়, সেখানটায় থাকতে বদ্ধ পরিকর হয়।

পাথরে পাথরে ঘর্ষনের ফলে আগুন জ্বলে উঠে। তেমনি চোখে চোখে চোখাচোখির ফলে মনের ভিতর, মন যেখানে হৃদয় যেখানে- ঠিক সেখানে পিরিতের আগুন জ্বলে উঠে। আর এ চোখাচোখির সাথে যদি মুচকি হাশি, অবেদনময়ী কথাবার্তা ইত্যাদিও চলে, তবে তো মনে হয় আগুনে পেট্রোল ঢালার মত অবস্থা। ইসলাম তাই পর পুরুষের সাথে মহিলাদের অতি মোলায়েম গলায় কথাবার্তার উপর আরোপ করেছে পূর্ন নিষেধাজ্ঞা। যাতে বাঁশ না থাকার ফলে বাঁশি বাজার কোন সুযোগই না থাকে।

আজব কিছু লোককে আমরা এ ভুবনে দেখতে পাই, যারা ধর্ষনের বিরুদ্ধে আইন প্রনয়ন করে, কিন্তু পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করে। চমৎকার! মুখের সামনে তেঁতুল কচলাবো, আর মুখে পানি এলে তাকে শাস্তি দেবো !!! অদ্ভূত মগজের লোক ওরা। আগুনের কাছে রাখলে মোম তো গলবেই, তো গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার মানেটা কি???

প্রিয় যুবক ভাইয়েরা, সুন্দরী আবেদনময়ী ললনার প্রতি আসক্ত হওয়া, মনের কোনে তাকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। এর দমন করা কঠিন। তবে তোমাকে আমাকে এ কাজ কঠিন হলেও করতে হবে। কারন মনের ইচ্ছা দিয়ে জাহান্নামকে ঘিরে রাখা হয়েছে। এ জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে আমাদের মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই চলতে হবে। মানুষের বিশেষ করে যৌবনের উপরোক্ত স্বভাবজাত বিষয়টি দমনের জন্য যদি আমরা এর মূল কারণটি দমন করতে পারি, তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা আমাদের জন্য অনেক সহজ হবে। সুভাগ্যের বিষয় হলো ‘এ মূল কারণটি দমন’ আমাদের আয়ত্ত্বাধীন।

বাঁশ ঝাড় আমার নিয়ন্ত্রনে। একজন লোক এখান থেকে প্রতিদিন বাঁশ কেটে নিয়ে বাঁশি বানায়। আর সময়ে অসময়ে বাঁশী বাজিয়ে আমার কাজে সমস্যা সৃষ্টি করে। এখন আমি বিচারকের কাছে তার বিরুদ্ধে নালিশ করলাম। অথবা তার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিলাম। অথবা তার আত্মীয় স্বজনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলাম।– এগুলো কিছুই কিন্তু পুরোপুরি আমার নিয়ন্ত্রনে নেই। তাই এতে আমার লাভ হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। কিন্তু যে বাঁশ ঝাড় আমার নিয়ন্ত্রণে, সেখান থেকে তাকে বাঁশ কাটতে না দিলেই তো হয়!!!

তাই মনে কু ধারনার জাল বুনা- ধীরে ধীরে এ জাল বিস্তৃত হয়ে হাত ধরার পর্যায়ে উপনীত হওয়া- আস্তে আস্তে তা টি-----পির পর্যায়ে চলে যাওয়া, এবং চূড়ান্তভাবে দেহ বিনিময়- এর থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য এর মূল কারন ‘দৃষ্টি’কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। একেবারে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া গায়েরে মাহাররাম কোণ নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাবেনা। বর্তমান পরিবেশের প্রভাবে, চাকুরী, ব্যবসা বা অন্যান্য কারনে দৃষ্টিপাত করতে বাধ্য হলেও যতটা সম্ভব কম তাকাতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে, দৃষ্টি যেনো শুধু মুখের উপরই সীমাবদ্ধ থাকে। এ সময় প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরন করতে হবে। জাহান্নামের কথা চিন্তা করে স্মরণ করতে হবে- মনের ইচ্ছা দিয়ে ঘিরে রাখা আছে জাহান্নাম। তাই জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলতে হবে। চলার পথে কোন নারীর দিকে হঠাত দৃষ্টি পড়ে গেলে আর দ্বিতীয়বার তাকানো যাবেনা। মনে কুচিন্তার জাল বুনতে পারে এমন ছবি, ফিল্ম ও নাটক দেখা আংশিক নয় সম্পূর্নরূপে বন্ধ করতে হবে।

তবে একাজ সহজ নয়, মারাত্মক কঠিন; যেমন কঠিন হাতে আগুনের জ্বলন্ত আঙ্গার রাখা। পশ্চিমা ঝড়ের প্রভাবে নারী পুরুষের অবৈধ প্রেমকে এখন অনেকেই খারাপ চোখে দেখে না। শুধু কী তাই! বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও পালিত হয়। শুধু তাই নয়!- বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এ দিন উপলক্ষ্যে কপোত কপোতিদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কাজিনদের মধ্যে হাত ধরাধরি, হাসি ঠাট্রা, একজনের গায়ের উপর আরেকজন উঠা প্রভৃতিকে হাসিমুখে মেনে নিচ্ছেন মুসলিম অবিভাবক!!! দেশের খেটে খাওয়া মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হচ্ছে যৌন আবেদনময়ী চলচিত্র, যেখানে শিখানো হচ্ছে (বিবাহ বহির্ভূত) প্রেম মানেই জীবন, জীবন মানেই প্রেম- প্রেমের জয় হবেই হবে। বাবা-মা, ভাই বোন মিলে অশ্লীল নোংরা ছবি দেখাও যে পরিবেশে বৈধ, সে পরিবেশে আমি কিভাবে নিজের চক্ষুকে হেফাজত করবো------!

হ্যাঁ! আমাকে এ চক্ষুর হেফাজত করতেই হবে, কারন তা না করলে চোখ-ই হয়ে যাবে আমার অন্যতম শত্রু। যে চোখের তৃপ্তির জন্য আমি গভীর মনযোগ দিয়ে নোংরা ফিল্মে মেতে উঠেছিলাম; সে চোখই আমার বিরুদ্ধাচারন করবে ঐ একই কারনে।

“নিশ্চয়ই কর্ন, চক্ষু, হৃদয়-ওদের প্রত্যেকের নিকট (বিচারের দিনে) কৈফিয়ত তলব করা হবে”। (সূরা ইসরা, আয়াত-৩৬)

“পরিশেষে যখন ওরা দোযখের নিকট পৌঁছবে তখন ওদের চোখ, কান ও দেহের চামড়া ওদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেবে” (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত-২০)

এমন বন্ধুদের সাথে মেশা বাদ দিতে হবে, যারা শুধু নারী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে। এমন বন্ধুদের সাথে মেশা যাবেনা, যাদের মোবাইলের মেমোরিকার্ড ফর্নোগ্রাফিতে ভরফুর। আল্লাহ ভীরু লোকদের সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে, আর তাহলে দৃষ্টি সংযত রাখা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

হযরত ইবনে মাসুদ (রাঃ) বলেন, “যখন কোন বেগানা নারী তোমাকে মুগ্ধ করে ফেলে, তখন তুমি তার নোংরা দিকটা খেয়াল করো”।

প্রিয় যুবক ভাইয়েরা-

লাভ কী কাকের যদিও পাকে বেল

যার সরিষা, তার-ই তেল

কেন আমি তাকিয়ে থাকবো ভ্যালভ্যাল????

সে যতই সুন্দরী হোক, সেতো আমার জন্য বৈধ নয়। সরিষা যার, সে-ই গায়ে তেল মাখতে পারবে; আমিতো পারবো না। তাই কেন অযথা সরিষার দিকে তাকিয়ে নিজের চোখকে নিজের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবো? চিন্তা করা দরকার-----!

এমন একটা সময় ছিলো, যখন মহিলারা নিজের ভি আই পি অংগকে প্রদর্শনের চেষ্টা করা তো দূরের কথা, চেহারা পর্যন্ত দেখাতেন না। পুরুষরা কারো দিকে ইচ্ছাকৃত নজর তো দূরের কথা, একবার নজর পড়লেই তা ফিরিয়ে নিতেন। পুনরায় দ্বিতীয়বার বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা ওনাদের কাছে অসম্ভব ব্যাপার ছিলো। এমন লোকদেরকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাবধান করেছেন-

“খবরদার ! তোমরা রাস্তার ধারে বসো না। আর একান্তই যদি বসতেই হয়, তাহলে তার হক্ব আদায় করো”

লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, “হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), রাস্তার হক্ব কি”?

জবাবে বিশ্ব নবী (সাঃ) বললেন, “দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা, সালামের জবাব দেওয়া, সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধা দান করা। (আহমদ, বুখারী, মুসলিম, আবু দাঊদ, সহীহুল জামে’ ২৬৭৫)

পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছেন, বর্তমানে আছেন এবং ভবিষ্যতে আসবেন, তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন আল্লাহর নবীর (সাঃ) সাহাবীরা। তাঁদের ঈমানের সাথে আমাদের ঈমানের কোন তুলনা করা সম্ভব কিনা আল্লাহই ভালো জানেন। সে হীরক খন্ডের মত মানুষদের প্রতি বিশ্ব নবীর (সাঃ) যখন এ নির্দেশ, তখন আমাদের মত দূর্বল ঈমানের লোকদের জন্য দৃষ্টিকে সংযত রাখা কতটা গূরুত্বপূর্ন, তা সহজেই অনুমেয়।

তাছাড়াও যে যুগের মহিলারা নিজের চেহারা পর্যন্ত পরপুরুষকে দেখাতে রাজি ছিলেন না, সে যুগের পুরুষদের যখন বিশ্ব নবী (সাঃ) এ কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন, তাহলে এ যুগের পুরুষদের উপর এ নির্দেশ কতটা গূরুত্বের দাবীদার তা বুঝার জন্য পি এইচ ডি করতে হয়না।

আমাদের এমন জায়গায় যাওয়া সম্পূর্নরুপে বাদ দিতে হবে, যেখানে পর্দা রক্ষা করা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়।

আমার প্রিয় ছাত্র ভাইয়েরা, ভার্সিটির পিকনিকের নাম করে বাসের মধ্যে চলে চরম নোংরামী। বোবার মত বসে থেকোনা। হাত দিয়ে বাধা দিতে না পারলে তোমার মুখ তো আছে। দাবী তোল- ছেলে মেয়েদের আলাদা বাস দিতে হবে। নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- তোমার এ দাবী হয়তো মঞ্জুর হবেনা। কারন আমার অভিজ্ঞতা বলে- প্রায় ৯০% স্টুডেন্টই তখন উল্টো দাবী করবে-বাস আলাদা করলে তারা পিকনিকে যাবেনা। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ তখন তোমার দাবীর প্রতি অসমর্থন দিতে বাধ্য হবে। তখন কি তুমি তা মেনে নেবে??? অবশ্যই না।– তুমি যাবেনা সে পিকনিকে। কারন তোমার ঈমান পিকনিকের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান।

পিস টিভি বাংলায় একবার এক শাইখের আলোচনা শুনছিলাম। শাইখ সেখানে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)এর একটি ঘটনা বর্ননা করেছেন। জনাব আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) দ্বীনের কাজে এত বেশি ব্যস্ত থাকতেন যে তাঁর বিশ্রামের জন্য খুব একটা সময় পেতেন না। তাঁর ছেলে বিশ্রামের জন্য আরো খানিকটা সময় দেয়ার অনুরোধ করলে তিনি বলেছিলেন- বিশ্রাম সেদিনই শুরু হবে যেদিন আমি বেহেশতে প্রবেশ করবো।

আমরাও সেদিনের অপেক্ষায় আছি, যেদিন আমরা জান্নাতে প্রবেশ করে মেটাবো মনের সব চাওয়া পাওয়া।

বিষয়: বিবিধ

১২৬৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

292078
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
292355
০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : অনেক ভাল একটা পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ের করার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File