মুসলমানদের জ্ঞান অর্জনের ইতিহাস.....................

লিখেছেন লিখেছেন বিবেকবান ২০ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৩২:৩২ রাত

..................... মোঙ্গলরা আব্বাসীয় সম্রাজ্যে আক্রমণ চালিয়ে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি যেটা করেছিলো, তা হলো, তারা কয়েক লক্ষ বই সম্বলিত 'দারুল হিকমাহ' নামের বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরীটা ধ্বংস করেছিলো। তারা মানব সভ্যতার মহামূল্যবান বইগুলো এক এক করে ফোরাতে ফেলেছিলো। ফোরাতের স্রোত বন্ধ হয়ে গিয়েছলো বই এর স্তুপের কারনে! দীর্ঘদিন ফোরাতের সেই পানি বাগদাদবাসী ব্যবহার করতে পারেনি, কারণ তা ঐসব বই এর কালি আর মন্ডতে বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল!

............... মোঙ্গলরা সেই কয়েক লক্ষ বই এ জন্যই ধ্বংস করেছিলো যে, তারা শুনেছিলো, তখনকার দিনের দুই বিশ্বপরাশক্তি, দুই সুপার পাওয়ার; রোমান সভ্যতা, পারস্য সভ্যতার ধ্বংস করতে পেরেছিলো যে যাযাবর পশ্চাতপদ বর্বর আরবরা, তাদের মূল শক্তি নিহিত ছিলো এই বই'র মধ্যেই। এ কারণেই তাদের সমস্ত রাগ ছিলো বই এর উপরে

..................... এর একমাত্র দৃশ্যমাণ কারণ এটা ছিলো যে, তারা প্রায় এগারো লক্ষ মুসলমানকে হত্যা ও তাদের সমাজ, তাদের সমস্ত বইপত্র ধ্বংস করার পরে যে গুটিকতক মুসলমানকে বাঁচিয়ে রেখেছিলো তাদের হাতে, তারা বেশিরভাগই তাদের হাতে বন্দীনি নারী, মুসলিম নারী। এই নারীদের প্রায় সবাই ছিলেন শিক্ষিতা। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের মন মগজে শত শত বই এবং মহাবিষ্ময়কর গ্রন্থ; আল কুরআনের শিক্ষাকে ধারণ করে রেখেছিলেন।

..................... যে গুটিকতক বই পাঠক/পাঠিকাকে নিজেদের বিকৃত লালসা মেটানোর জন্য বাঁচিয়ে রেখেছিলো, সেই মাত্র গুটিকতক বই পাঠিকার হাতে মাত্র চল্লিশ বসরের মধ্যে তারা তাদের লালিত ঐতিহ্য, সাম্রাজ্য সভ্যতাকে বিসর্জন দেয়। স্বতস্ফুর্তভাবে মুসলমান হয়ে যায়! কী অসাধরণ ক্ষমতা বই এর! ভাবতে গেলেও বিস্ময়ে বিমূঢ় হতে হয়।

........................... আর আজ, মুসলমান তরুণ যুবকদের মধ্যেই বই পড়ার প্রবণতা সবচেয়ে কম! কী লজ্জা! কী নির্মম পরিণতি! কী নিদারুণ মানসিক বিকৃতি!! মুসলমান যুবক তরুণদের এ শোচনীয় মানসিক বিপর্যয় নিয়ে ভাবতে গেলে ক্রোধে-আক্রোশে, অনুতাপে আর অনুশোচনায় চেতনা বিবশ হয়ে আসে যেন, চোখ ফেটে অশ্রু বেরিয়ে আসে, চোখ ভিজে যায়

........................... কবে এরা বুঝবে যে, নিজেদের বিপর্যকর অবস্থা কাটিয়ে উঠতে হলে, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ও করাতে হলে সকল কিছুর আগে আশ্রয় নিতে হবে বই এর কাছে, ডুবতে হবে বই এর সাগরে, এর পাতায় পাতায় বিচরণ করে বেড়াতে হবে সারাটা জীবন। নিজেদের সজ্জিত করতে হবে 'বই' নামক মারণাস্ত্র দিয়ে।

(লেখাটা জিয়াউল হকের লেখা এবং একটু এডিট করা )

বিষয়: বিবিধ

১১৬৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

346594
২০ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ওপাশ থেকে এপাশে আনার জন্য ধন্যবাদ
জাযাকাল্লাহ
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৮
288004
বিবেকবান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ
346600
২১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনিয় পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। বই পড়ার প্রবনতা কমে যাওয়া আমাদের নৈতিক দিক দিয়েও অনেক ধ্বংস করছে।
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৮
288003
বিবেকবান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ
346642
২১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৩১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : বেশ সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করলেন। জাঝাক আল্লাহ।
346842
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৭
বিবেকবান লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File