প্রধানমন্ত্রী কেন হায়না হবেন? এই মামলার রায় কি ম্যাসেজ দিলো? দয়াকরে পুরোটা পড়ে কমেন্ট করুন।

লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ২৭ জুন, ২০১৩, ০৪:৩৭:৩০ বিকাল

"হায়েনা ওই হায়েনা তুই দেশকে খেয়েছিস, এখন বুয়েটকে খাবি. পারবি না! আমরা বুয়েটের শিক্ষকরা ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা হচ্ছি শিকারি। প্রথমে তোর মাথাতে গুলি করবো, তারপর তোর পেটে। তারপর মাথা কেটে বুয়েটের গেটের সামনে টানিয়ে রাখবো। যাতে আর কোনো হায়েনার আক্রমণে বুয়েট আক্রান্ত না ...।"

এই স্ট্রাটাসের কোথাও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। লেখক অদৃশ্য কোন অপশক্তিকে রুখে দেবার প্রত্যয় ঘোষণা করে ছিলেন। তিনি তার কর্মস্থানকে শান্তিময় করার জন্য নিজের মনকেই হয়ত সান্তনা দেবার জন্য কথাটি বলে ছিলেন।

বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান এই স্ট্রাটাস দেবার আগে এবং পরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি গাল মন্দ করে ব্লগে ফেসবুকে অনেকেই তো লিখেছে।

নবী রাসুল আল্লাহ সবাইকেই গালমন্দ করে লেখা প্রকাশ হয়েছে। এটাই হয়ত স্বাভাবিক।

কিন্তু প্রশ্ন হলো বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান এর কেন সাত বছর কারা দণ্ড হলো?

টিভির টেলপে ব্রেকিং নিউজ। প্রধাণমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ায় নাকি এই রায়!

http://www.bhorerkagoj.net/new/blog/2012/04/19/50603.php

এই লিংকে ভোরের কাগজের সেই, উপরোক্ত স্ট্রাটাসটি ছাপিয়ে চতুর্থ শ্রেনির পত্রিকা ভোরের কাগজ দাবী করেছিলো যে এখানে প্রধানমন্ত্রীকে নাকি ইঙ্গিত করা হয়েছে!

শুধুমাত্র ধারণার উপর নির্ভর করিয়া রায় দিয়ে মাননীয় বিচারক বিচার ব্যাবস্থাকে কতটা উপরে তুলেছেন সেটা একটা প্রশ্ন বৈকি! আমাদের বিচার বিভাগ বর্তমানে কোন অবস্থায় বেচে আছে এই রায় তার একটা প্রমাণ যেখানে বিশ্বজিৎ সাগর রুনি ইলিয়াস আলি চৈৗধুরী আলম গুম, ছাত্রলীগ কতৃক শত শত সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরও আদালত নির্বাক সেখানে শুধুমাত্র ধারণার বশবর্তী হয়ে এমন একটা রায় সাধারণ মানুষের মনে আদালতের উপর বিরুপ ধারণা জন্ম নিতে পারে। তবে আদালত মহান তার সমালোচনা করা ঠিক হবে না। করিলে মাহমুদুর রহমান অথবা অলিউল্লাহ নোমানের মত অবস্থা হতে পারে বলিয়া অনেকের কিবোর্ড হইতে আঙ্গুল দুরে বসে ঝিমুচ্ছে।

প্রথম আলোতে হাফিজুর রহমান বলেছেন,ওই বক্তব্য কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে লেখা হয়নি। হয়েনা বলতে অনিয়ম আর দুর্নীতিকে বোঝানো হয়েছে।’-

অথাৎ লেখক এখানে স্পষ্ট দাবী করেছে তিনি প্রধানমন্ত্রী কে হত্যার হুমকি দেন নি। তারপরও ঢাকার মহানগর বিশেষ দায়রা জজ মো. জহুরুল হক ফৌজদারী দণ্ডবিধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা অনুযায়ী আসামিকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।

এই বিচার কার্যক্রম নিয়ে কোনরুপ সমালোচনা করতে চাইনা। সেই অধিকারও সংবিধান আমাকে দেয়নি। আমি একজন স্পিকার মাত্র!

অবশ্য এই সব বিচারকে এ কলমের খোচায় বদলে দিতে পারেন আমাদের মহান রাষ্ট্রপ্রতি। ইতিপূর্বে রাষ্ট্রপ্রতি ৬/৭জন খুনের দণ্ডপাপ্ত্র আসামীকে মওকুফ করে দিয়ে ছিলেন। কিন্তু আমার মনে হয়না পালিয়ে থাকা শিক্ষক ক্ষমা পাবেন। কেননা ক্ষমা কেবল সরকারী দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সংবিধান আমাদের আম জনতার জন্য নয়। ওটা কেবল ক্ষমতাশিনদের সুবিধা দেবার জন্যই রচিত হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করে। যাইহোক মহান সংবিধান নিয়ে সমালোচনা আমি করবো না। সংবিধান কেটে কয়েক টুকরো করার পরও এই দেশে নেতা পাতি নেতাদের কিছু হয়নি। কিন্তু আমি কিছু লিখলে হাফিজ হইয়া যেতে পারি!

যেদেশে বছরের পর বছর হত্যা মামলার আসামী বুক ফুলাইয়া সমাজে ক্রাইম করে। যে দেশে বছরের পর বছর ধরে ধর্ষন মামলার আসামীর বিচার হয়না। যেখানে আদালতের বারান্দায় দৌড়াতে দৌড়াতে অনেকের সবস্থ খুইয়ে ফেলার পরও বিচার না পেয়ে বিচারপ্রার্থী মৃত্যু বরণ করে সেই দেশের বিচারক বা বিচার ব্যবস্থা যখন শুধু মাত্র কোথাকার কোন ফেসবুকের ইংঙ্গিত মূলক একটা কথার জন্য সবোর্চ্চ বিদ্যাপিঠের একজন শিক্ষকের সাত বছর জেল দেয় তখন আমার মত আম জনতা বাকরুদ্ধ না হয়ে পারেনা।এ দেশে অপরাধীদের বিচার হোক বা না হোক কিন্ত ভাল মানুষেক অপরাধী বানিয়ে সাজা দেওয়া যায় খুব সহজে।

হে আমার বিচার ব্যাবস্থা তোমাকে স্যালুট!

এখানে আরেকটি খবরের কথা না বলিয়া পারছিনা। গতকাল নারায়ণগঞ্জে এক ব্যাক্তি তার পালিত কুকুরসহ গ্রেফতার হয়েছে। ভদ্রলোক নাকি তার কুকুরের নাম শেখ হাসিনা রাখিয়া ছিলেন!

দেখা যাক এই মামলার কি রায় দেয় মাননীয় আদালত!!

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File