সহজেই ভাল থাকুন !!

লিখেছেন লিখেছেন লেলিন ২২ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:১৪:৩৮ রাত



কিছু সহজ উপায় আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে করে দিতে পারে অসাধারন।আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ও প্রতিটি চলার পথে সুসময় দুঃসময় থাকতে পারে। তবে যাই হোক নিজের কাছে ইতিবাচক থেকে চলার পথে ও কর্মক্ষেত্রকে উপভোগ করাই সর্বোত্তম।

তবে আপনার যদি প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে কর্মক্ষেত্র সহ জীবনের প্রতিটি ধাপে প্রতিটি সময়কে সুসময়ে রূপান্তর করা খুব একটা কঠিন কাজ হবে না।

টিপসগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। নিশ্চিত ফল পাবেন।

১ . ইতিবাচক থাকুন

আপনার মনের ইতিবাচক চিন্তাশক্তি আপানর ইতিবাচক আচরণ ধরে রাখে। প্রচণ্ড কাজের চাপে ভেঙ্গে পরা শরীর ও মন বা সামান্য ব্যাথতা থেকে একমাত্র ইতিবাচক চিন্তাশক্তিই আপনাকে পরিত্রাণ দিতে পারে। তবে মনে রাখবেন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যত জড়াতে পারবেন ততই ইতিবাচক থাকতে পারবেন।

২. জীবনের লক্ষ্যের সাথে কাজ ও চলার পথকে মিলিয়ে নিন।

ভেবে দেখুন আপনার নিজের জীবনের লক্ষ্যের সাথে প্রতি দিন যে পথে ছুটে চলছেন তার মিল কতখানি। জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে যতটা ছুটবেন ততটাই সফলতার মুখ দেখতে পাবেন। উদ্দেশ্যহীন ছুটেচলা আপনাকে কখনেই সাফল্যর মুখ দেখাতে পারবে না বরং হতাশা ও নিরাশায় ডুবিয়ে রাখবে। প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহূর্ত হলো আপনার জন্য সুযোগ যাতে আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। তবে সফলতার জন্য লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে পথ চলা বাঞ্ছনীয়।

৩. নিজেকে হাস্যোজ্জ্বল রাখুন

কর্মক্ষেত্র সহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা আপনাকে আরও বেশি আত্তবিশ্বাসী করে তোলে । তাই নিজেকে হাস্যোজ্জ্বল রাখা একান্ত প্রয়োজন। যদি সত্যিকারের হাসি না আসে তবে নকল হাসি হলেও হাসুন। দেখবেন ফল পাবেন। হাসি মানুষকে খানিকটা চাপমুক্ত হতে সাহায্য করে। তবে পরিবেশের সাথে যে ধরনের হাসি আপনাকে মানায়, সেটাই হাসুন এবং ভাল থাকুন! ভাল থাকার চেষ্টা করুন।

৪. গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ করুন।

কাজের শুরুতেই হাতের কাজগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে নিন। খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে করুন। কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরে করুন। তাতে কাজের চাপ কম মনে হবে। সহজেই সময়মত সব কাজ শেষ করতে পারবেন।

৫. উন্নত চরিত্রের মানুষদের সাথে চলুন।

পরিবেশ ও পরিস্থিতি আমাদের যেমন প্রতিনিয়ত শেখায়। ঠিক তেমনি উন্নত চরিত্রের মানুষদের সঙ্গ আমাদের নিজেদের চরিত্রবান হতে শেখায়। তাই উন্নত চরিত্রের মানুষদের সাথে বেশি বেশি চলুন এবং তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো নিজের চরিত্রের সাথে যুক্ত করুন।

৬. নেতিবাচক মানুষদের সঙ্গ ত্যাগ করুন।

নেতিবাচক মানুষ হল কাঁকড়ার মত নিজে কোন কাজ করবে না কিন্তু আপনি করতে গেলে টেনে নামাবে। তাই এদের সঙ্গ ত্যাগ করাই হবে সর্বোত্তম।

৭. বিরতি দিয়ে কাজ করুন।

একঘেয়েমি বা দীর্ঘ সময় নিয়ে এক কাজে লেগে না থেকে বিরতি দিন। তাতে মানুষিক চাপ কম মনে হবে। সহজেই অল্প সময়ে বেশি কাজ করতে পারবেন। দীর্ঘ সময় নিয়ে এক কাজে লেগে থাকলে বরং কর্মদক্ষতা কমে যায়। তাই কাজের মাঝে মাঝে কিছু সময় হলেও বিরতি দিন।

সবশেষে নিজের কাজের প্রতি নিজেই সন্তুষ্ট থাকুন । হতাশা পরিহার করুন ও কাজে লেগে থাকুন । বেশি বেশি নিজেকে নিয়ে বাস্তব স্বপ্ন দেখুন। ভাল থাকুন।

মাহামুদুল হাসান লেলিন

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

166127
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
আলোকিত ভোর লিখেছেন : ধন্যবাদ Rose
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
120474
লেলিন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। মনে রাখবেন।
166148
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৪০
সাইদ লিখেছেন : শিক্ষনীয় পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
120476
লেলিন লিখেছেন : আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
166564
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৩৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভালো লাগলো উপদেশগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৭
120975
লেলিন লিখেছেন : এই কচি হাতে ভাল কিছু আইডিয়া শেয়ার করেছি মাত্র। সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
166718
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৯
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : পডে খুব ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ Good Luck
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৮
120976
লেলিন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। দোয়া করবেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File