জাফর ইকবালের সেক্সি ড্যান্স ও অপরাধ

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:০৬:১৫ বিকাল

জাফর ইকবাল কে তার পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ।






জাফর ইকবালের সেক্সী ড্যান্স :

জাফর ইকবালের কিছু নোংড়ামীর ভিডিও দেওয়া হলো :

তিনি প্রায়ই ছাত্রীদের নিয়ে রাতে অশ্লীল হিন্দি গানের তালে নাচানাচি করে করে থাকেন । তার প্রমাণ হলো এসব ভিডিও : https://www.youtube.com/watch?v=gCxktFMVXVw




তার সমর্থকরা বলছে, নিজের মেয়েদের সাথে নাচা দোষনীয় নয় । সবই তার নিজের মেয়ে ! আবার কোন কোন পাবলিক বলেছিলো, জাফর ইকবাল নাকি শুধু দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছে !!! এই স্টেইজটাই একসময়ে নাচের উদ্দ্যামতায় ভেঙে পড়েছিলো সেদিন... !




https://www.youtube.com/watch?v=7DdiVBM_hXo




https://www.youtube.com/watch?v=2Nto5Z37J40




https://www.youtube.com/watch?v=T3a694flPXA




https://www.youtube.com/watch?v=2Nto5Z37J40

ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই বুদ্ধিজিবী কোন মুখে নিজেকে সৎ বলে দাবি করেন ? তার অনুসারিদের কাছে প্রশ্ন "তোমাদের কি চোখ নেই?

জাফর ইকবালে অপরাধ :

জাফর ইকবালের অপরাধ অনেক । যেমন :

১.মুসজিদের মিনার বানানো ও চাদ তারা প্রতীক ব্যবহার করা অবৈজ্ঞানিক – এ তত্ব প্রচার করা ।

২.বেলাল আহমেদ নামক এক মাদ্রাসার ছাত্রকে হত্যা ।

৩. সাহিত্যকর্ম রচনার নামে ইসলামবিদ্বেষ ও ইসলাম অবমাননা প্রচার ও প্রসার ঘটানো এবং সমাজে নাস্তিক্যবাদ প্রচার ।

৪. শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়কে হিন্দুয়ানীকরণ ও মুর্তিময় করার উদ্যোগ গ্রহণ ।

৫. অমুসলিম ও ইসলামবিদ্বেষী ছাত্রদের পৃষ্ঠপোষকতা করণ । যেমন : সুশান্ত যিনি তার সাক্ষাৎ ছাত্র ও আমার ব্লগ নামক ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী ব্লগ সাইটের প্রতিষ্ঠাতা ।



৬. ইসলামী পোষাক ও সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শণ এবং তার লিখিত শিশুতোষ গ্রন্হ ও সিনেমাগুলোতে ইসলামী পোষাক ও সংস্কৃতি চর্চাকারীদের সন্ত্রাসী ও ছেলে ধরা হিসেবে উপস্হাপন । ( তার ও তার স্ত্রীর মধ্যে এতটাই ইসলামবিদ্বেষ প্রবলতর যে তার ভাইয়ের মৃত্যুর সময়ও টুপি ও দুয়া-দুরূদ পড়া হতে বিরত ছিলেন । )



জাফর ইকবালের পবিত্র চাঁদ তারা প্রতীকের বিরোদ্ধাচারণ প্রসঙ্গ :

ইসলামে চাঁদ তারার গুরুত্ব অপরিসীম ।

কিন্তু জাফর ইকবাল তাঁর ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় মসজিদের শীর্ষে খচিত চাঁদ তারার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ”দেখ, নব-চন্দ্রের আকৃতির মধ্যেই তারকা চিহ্ন, বিষয়টি কত অবৈজ্ঞানিক! একজন বিদেশি লোক এই ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করতে এলে, এটা দেখে কী বলবে ? নবচন্দ্রের মধ্যে কী তারকা ধাবিত হওয়া কি সম্ভব ?”

গত কয় বছর আগে আমি নাস্তিক ও ইসলামবিদ্বেষীদের বানানো ব্লগ সাইট সামহোয়ার ইন ব্লগে লেখালেখি করতাম তখন সেখানে জাফর ইকবালের নাম করে কিছু লোক চাঁদ-তারা প্রতীকের সমালোচনা করতে দেখি।

এই গ্রুপটির কাছে পাকিস্তানের কোনো ভাল বা ইতিবাচক দিক ছিল না। এই পাকিস্তানীরাই নাকি মুসলিম জাতীয়তাবাদের নামে বাঙালীদেরকে দুই দশক শোষণ করেছিল এবং এই শোষক দেশের পতাকায় ছিল চাঁদ তারা খচিত ! চাঁদ তারা -শোষণের প্রতীক!

প্রায় ১০/১২টি সংখ্যাধিক্য মুসলিম অধ্যুষিত দেশের পতাকায় চাঁদ তারা খচিত।

তুর্কীর পতাকাতেও চাঁদ তারা খচিত! এই চিহ্নটি তুরস্কের ওসমানীয়া সাম্রাজ্যের পতাকায় পর্যন্ত ছিল । এটা মুসলিমদের চেতনার প্রতীক ।



ঈদের চাঁদ/নতুন চাঁদ /হিলালের/crescent) সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ

তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষ জাতির জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম।

সুরা বাকারা :১৮৯ নং আয়াত

কুরআনের ব্যাখাকারীগণ অনেক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে বলেছেন, “ চন্দ্র ভিত্তিক পঞ্জিকার মাধ্যমে হজ্জের সময়, রোজার সময়, নারীর ইদ্দত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যুদ্ধের সন্ধির কাল এবং যাবতীয় সব বিষয় হিসেব করা ফরজ ।

জেনে রাখা ভাল : জেনে শুনে কুফরী ও শিরকী পূর্ণ ইংরেজী সন ও বাংলা সন ব্যবহার করা কুফরী ও শিরকী । অর্থাৎ এসব পঞ্জিকা ব্যবহার করাকে অপরিহার্য মনে করলে কবিরা গুনাহ হবে । এই বিষয়টি আমার এই বইটাতে সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছি ।



চাঁদ তারাতে সমস্যা কী হয়েছে? কেউ কি চাঁদ তারার উপাসনা করে? এটা কী উল্টা বলা যাবে না যে এক শ্রেণীর লোকজন মুসলিম সমাজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এলার্জি অনুভব করে থাকেন । তারা গরু করবানীর মধ্যে পরিবেশ দুষণ খুজে পান । মুর্তি পুজা এবং মুর্তিকে নদীতে বিসর্জন দেওয়ার মধ্যে পরিবেশ দুষণ খুজে পান না ।

আসুন ! আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে ইসলামী গণজাগরণ মঞ্চ বানিয়ে ইসলামবিদ্বেষ ও নাস্তিকতা প্রচার করার জন্য ড. জাফর ইকবাল-সহ গরু করবানীর মধ্যে পরিবেশ দুষণ খুজে পাওয়া লোক এবং ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী লোকদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হই । যারা এই কর্মকান্ড শুরু করতে আগ্রহী তারা হ্যা বলুন ।





আসুন ! আমরা এই লক্ষ্যে আমরা জনগণের মধ্যে জনসচেতনা, জনমত গঠণ এবং জনগণকে সম্পৃত্ত করার জন্য তৎপড়তা এখন থেকে চালানো শুরু করি । কারণ ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকরা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে এবং তারা ইসলামের উপর আঘাত হেনে যাচ্ছে । তারা গরু করবানীই নয়, বর্তমানে করবানী নিষিদ্ধ করার পায়তারা করছে ।

বিষয়: বিবিধ

২৩২২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339586
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০১
নাবিক লিখেছেন : ধন্যবাদ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০০
280933
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : حَسْبُنَا اللّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী। সুরা ইমরান : ১৭৩ ।
339592
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : উনার অনেক সমিস্যা আছে
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৮
280935
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ
339593
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৮
280934
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং বিজয় নিকটবর্তী । সুরা আছ ছফ : ১৩ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File