জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আসলে কি চান ? কেউ বলবেন কি ?

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:১০:০৭ দুপুর

পটভমি :

১। ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখ সময় টিভি-তে কায়সার আহমেদের উপস্হাপনায় একটা অনুষ্ঠান দেখছিলাম । সেখানে দুই জন হুজুর জামায়াতের গুরু মওদুদী সম্পর্কে আলোচনা করে বলতে চাচ্ছেন জামায়াত কোন ইসলামী দল নয় । কারণ নিবন্ধন টিকিয়ে রাখার স্বার্থে জামায়াতের গঠণতন্ত্র বেশ কয়েক বার পরিবর্তন করতে হয়েছে । আর কায়সার আহমেদ উপসংহারে বলেন : বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান কোনক্রমেই ধর্ম ভিত্তিক দল গঠণ করাকে অনুমোদন করে না ।

টক শো ভিত্তিক অনুষ্ঠানটা শুনে আমার কাছে মনে হলো : "জামায়াতে ইসলামী ইসলামীকে দল হওয়ারও প্রয়োজন নেই । বড় জোড় রাজনৈতিক সংগঠণ হলেও কি কোন সমস্যা আছে ?" পরে আমি চিন্তা করে বুঝতে পারলাম সমস্যা সামান্য হলেও আছে । আর সেজন্য আমি এই পোস্ট লিখেছি ।

২। কাল দেখলাম ব্লগার নজরুল ইসলাম https://www.facebook.com/md.nazrulislam.5661 আমাকে নিয়ে একটা স্যাটাস দিয়েছেন । তাতে তিনি বলেছেন : " মোঃ ফকরুল ইসলাম ব্লগার ও ফেইসবুক একটিভিষ্ট । সম্প্রতি আমার পোষ্টে ওনার উপস্তিতি কমেন্টগুলো ,এতটাই ইসলামের বিরোদ্ধে বিষাদাগারে ভরা যা সালমান রুশদীকেও হার মানায়।

আল্লাহ অশেষ রহমতে আমার এই চোট্ট জিবনে ,আমি অনেক বিখ্যাত এবং অনেক কুখ্যাত লেখকের লিখা পড়েছি । সব্যসাচীর মুখোশ পরিহিত রাষ্ট্রে কিংবা আমাদের সমাজে সবএ ছডিয়ে থাকা ,কিছু মানব নামের নষ্টকীঠের তালিকা যারা নামে মাএ মুসলমান ,এদের কাজ হচ্ছে ইসলামের বিরোদ্ধে বিষাদাগারে লিপ্ত থাকা ,একটু নিচে চোখ রাখুন আমি তালিকাটা দিচ্ছি ।

১।আহমদ শরীফ

২।তসলিমা নাসরীন

৩।হুমায়ুন আজাদ

৪।আরজ আলী মাতুব্বর

৫।মুনতাসির মামুন

৬।শাহরীয়ায় কবির

৭।নাসির উদ্দীন ইউচুফ বাচ্ছু

৮।ডঃজাফর ইকবাল

৯।ইমদাদুল হক মিলন

১০।জয় মামুন

১১।মোজাম্মেল বাবু

১২।রুবাইয়াত

১৩।(এবং প্রথম আলো,আমাদের সময়,সমকাল,যুগান্তর,জনকন্ঠ,কালের কন্ঠ,মানবকন্ঠ,ডেইলি ষ্টার এই প্রত্রিকাগুলোর সম্পাদক)

এবং

১৪।মোঃ ফকরুল ইসলাম ব্লগার ও ফেইসবুক একটিভিষ্ট

সম্প্রতি আমার পোষ্টে ওনার উপস্তিতি কমেন্টগুলো ,এতটাই ইসলামের বিরোদ্ধে বিষাদাগারে ভরা যা সালমান রুশদীকেও হার মানায়। হায়রে এই যদি হয় মুসলমানের নীতি কথা ,তাহলে ইহুদি লাগবে না ইসলাম ধংশ করতে ! আসলে আমার মনে হয় ইসলামের দুশমন ও বির্তকিতদের মাঝে নিজেকে প্রতিষ্টিত করার লক্ষেই তিনি কমেন্টগুলো করে থাকেন ! বিশেষ কিছু আর লিখলাম না অপ্রয়োজন বলে যদি প্রয়োজন হয় তবে লিখতে বাধ্য হব ।"

তার উত্তরে আমি বলেছি : ................. এরকম কয়েকটা মন্তব্যের স্ক্রীন শট দিন ।

আমাকে সালমান রুশদীর সাথে তুলনা করায় আমি আল্লাহর দরবারে নালিশ করছি : আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজেও এত বড় অপবাদ সহ্য করবে না ।


আমি যদি সালমান রুশদীর মতো কেহ হই, তাহলে এর জন্য দায়ি ইসলামী ছাত্র শিবির । কারণ আমি ১৯৯৩ সালের ২১ শে মে শিবিরের কর্মী হই । ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে আমি সাথী হই । তারপর শিবিরের সদস্য হওয়ার জন্য পড়াশোনা করি । শিবিরের মুখপাত্র ছাত্র সংবাদের ক্যারিয়ার গাইড লাইন এবং কিশোর কণ্ঠে অনেক লেখা লিখি । মূলত এই দুই পত্রিকার মাধ্যমে আমার লেখার হাতে খড়ি । তারপর আমি দৈনিক ইনকিলাবে লেখালেখি শুরু করি । ২০০৪ সালের দিকে আমি স্বেচ্ছায় জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি । কেন জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি, সে প্রসঙ্গই ঘুরে ফিরে বিভিন্ন স্যাটাস, মন্তব্য এবং বিভিন্ন নিবন্ধ - প্রবন্ধের মাধ্যমে তুলে ধরি ।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষ্য রেখেই বলছি আর ফেসবুকের সব লোকদের উপস্হিতিতে বলছি : যত দিন জামায়াত - শিবির মিথ্যাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে তাদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-সাম্য-সৌহার্দবিরোধী আদর্শ প্রচার করবে, তত দিন আমার তাদের মিথ্যাচার ও প্রতারণার বিরোদ্ধে জিহাদ চলবে । আমার এজিহাদকে যদি জামায়াত-শিবিরের ভাই-বোনরা নাস্তিক সালমান রুশদীর সাথে তুলনা করে থাকেন, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই ।

তবে আমি জামায়াত-শিবিরের ভাই-বোনদের বিনীতভাবে বলছি : দয়া করে কুরআনের সুরা ফুরকানের শেষের আয়াতগুলো পড়ুন আর সেগুলোকে হৃদয়ে বদ্ধমূল করুন । হাসরের মাঠে মিথ্যাচার ও প্রতারণার জন্য আল্লাহর দরবারের কঠিন জবাবদিহির সম্মুখীন হবেন ।

আপনাদের উচিত : ব্লগার নজরুল ইসলাম- এর এসব অপবাদমূলক কথার প্রতিবাদ করা । অন্যথায় তারা যাকে তাকে নাস্তিক আর সালমান রুশদী বানানোর মেশিনে পরিনত হবে ।















সূচনা :

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী দল ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংগঠণ । এই দল সংসদ নির্বাচন করে সর্বোচ্চ ১২ % এবং সর্বনিম্ন ৪.৫% ভোট লাভ করে । সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এই দলের বিপুল পরিমান সমর্থক আছে ।

যেসব কারণে এই দল বাংলাদেশে বিতর্কিত :

অনেকগুলো কারণে এই দল বাংলাদেশে বিতর্কিত । সেগুলো হলো :

১. আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি :ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পর মওদুদী ( হাটহাজারীর তেতুল হুজুরের কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের মতে শব্দটা বৌ দুধী । আমার সাথে এক বাহাসে তারা মওদুদীকে বৌ দুধী বলে আক্ষায়িত করেন । বাহাসে আমি হেরে যাই । বাহাস শেষে তারা আমাকে মিস্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম বইটা কিনতে বাধ্য করে । সময়টা ছিল ১৯৯৮ সাল । বর্তমানে খুব সম্ভবত এই কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের মওদুদী সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে । ) দ্বিতীয় চিন্তাবিদ যিনি ইসলামের রাজনৈতিক চিন্তাধারা-কে প্রভাবিত করেছেন ।

এই কথার সাথে আমি মোটেও একমত নই । উপরন্তু ইমাম ইবনে তাইমিয়ার অনেক দৃষ্টিভঙ্গি বিতর্কিত । তাছাড়া তার অনেক দৃষ্টিভঙ্গি সৌদি আরবের নজদ প্রদেশের লোক মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের সাথে অবিকল মিল । তিনি মূলত ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টির প্রধান কারিগর । তার প্রচলিত মতবাদের নাম হলো ওহাবী মতবাদ বা সালাফী মতবাদ বা আহলে হাসিদ মতবাদ ।

২. এই শতাব্দীতে তার সাহিত্য ও দৃষ্টিভঙ্গি মো্টেও প্রাসঙ্গিক নয় । এই সময় প্রাসঙ্গিক তুরস্কের মরহুম নাজিমুদ্দিন আরবাকান ও বসনিয়ার মরহুম প্রেসিডেন্ট আলীয়া ইজেতবেগোভিচ ।

তিনি জন্মেছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশিক যুগে । তখনকার সমস্যা আর বর্তমান যুগের সমস্যা ভিন্ন ।

আল্লামা ইকবালের দৃষ্টিভঙ্গিও আর প্রাসঙ্গিক নয় - খোদ পাকিস্তানেই গুরুত্ব দিয়ে ইকবাল চর্চা হয় না । যখন পাকিস্তানের ঐক্যের প্রশ্ন আসে তখন ইকবালকে সামনে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু বাস্তবতা হলো ইকবালের স্বপ্নে দেখা পাকিস্তানে কাশ্মির আর আফগানিস্তান নেই আর তার স্বপ্নের পাকিস্তানে বাংলাদেশের স্হানও ছিল না । (Pakistan শব্দটর উৎপত্তি হলো : P তে পাঞ্জাব, A তে আফগানিস্তান, I তে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, K তে কাশ্মীর, S তে সিন্ধু, বেলুচিস্তানের stan শব্দটা নিয়ে Pakistan শব্দটর উৎপত্তি । )

৩.মওদুদী ভারতীয় উপমহাদেশের চরম বিতর্কিত ব্যক্তি । তার দৃষ্টিভঙ্গির অধিকাংশই মুসলিমদের স্বার্থবিরোধী ছিল । ধর্মীয় অনেক বিষয়ের সাথে তার ভিন্ন মতের জন্য অসংখ্য ইসলামী বিশেষজ্ঞ তাকে পথভ্রষ্ট বলে আক্ষ্যায়িত করেছেন ।

৪.মওদুদীর চিন্তা-চেতানা জগৎ পুরোটাই সামন্তবাদী ও অগণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা নির্ভর । তার মতে সংসদ নির্বাচন কুকুরের দৌড় । থিউডেমোক্রেসি হলো তার কথিত ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । মওদুদী কথিত ইসলামী রাষ্ট্রে নারী সমাজ আর ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক । তার এসব ধ্যান-ধারণার ব্যাপারে তিনি তার ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রনণয় এবং ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ (বাংলা অনুবাদ হতে অনেক আপত্তিকর অংশ বাদ দেওয়া হয়েছ । ) বইসহ বিভিন্ন বইয়ে আলোচনা করেছেন ।ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রনয়ণ বইটাতে এত বিত র্কিত কথা লেখা আছে যে তা সংশোধনের অযোগ্য । এজন্য এই বই জামায়াত-শিবিরের সাংগঠনিক সিলেবাসে ছিল না ( ২০০৪ সালের কথা । কারণ তখন আমি এই সংগঠণের সাথে যুক্ত ছিলাম । )।

জামায়াতের নেতৃবৃন্দের ব্যাপারে জামায়াতের সমর্থকদের কাছে আমি কিছু প্রশ্ন করতে বাধ্য হচ্ছি :

১.কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বিএনপির সাথে জামায়াত-শিবিরের এসব নেতা একাত্ম হচ্ছেন । আসলে তারা কি করতে চান ?

তারা যদি সত্যিকার ইসলাম কায়েম করতে চান, তাহলে তাদের কাছে কতটুকু ইসলাম আছে ?

এমন তো নয় যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের লোকদের তারা ইসলামী লোক বানাচ্ছেন ।

২. ইসলাম এবং বাংলাদেশ কি এক বিষয় ?

এই প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে করছি, পাকিস্তান আর ইসলাম কি সমার্থক ?

যখন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না, তখন ভারতবর্ষই নয়, বরং সারা বিশ্বে ইসলাম ছিল বা মুসলিম ছিল । তাহলে কেন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিলো জামায়াতে ইসলামীর এসব নেতারা ?

আর তাদের এই ভুমিকার জন্য কেন তরুণ বা যুবকরা কষ্ট ভোগ করবে ?

৩. আপনারা কি সারা বিশ্বের কোথাও দেখাতে পারবেন কোন ইসলামী সংগঠণ জনগণের আশা আকাঙ্খার বিরোদ্ধে অবস্হান নিয়েছে বা নিয়েছিলো ?

ইন্দোনেশিয়া হতে ইসলামপন্হী ফ্রি আচেহ মুভমেন্ট আচেহ প্রদেশকে স্বাধীন করতে চায় । ইসলাম কায়েম করার জন্য কি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করা প্রয়োজন ছিল ?

আর পাকিস্তানী শাসকরা কি ভাল শাসক ছিল ?

আমাদের সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তো এখনও খারাপ । আগেও তো ছিলই ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় নির্যাতিত জনগণের বিপক্ষে কাজ করার জন্য এসব গণবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের চিরতরে ব্যান হওয়া উচিত ছিল, বিচার তো অবশ্যই !

আমি জনবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন এজন্য বলছি, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে গোলাম আযম আওয়ামী লীগের অক্ষ্যাত পার্থীর বিরোদ্ধে বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছিলেন । আওয়ামী লীগের পার্থী জহিরুদ্দীন পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজার ২০৪ ভোট । অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫ হাজার ৫২৭ ভোট ।

বলুন, এসব নেতা কি জনবিচ্ছিন্ন নয় ? তারা কেন আপনাদের উপর ছড়ি ঘুরাবে ।

তারা কেন আপনাদের নেতৃত্ব দিবেন ?

তাদের কি সেই নৈতিক অধিকার আছে ?

৪. রাজনীতি করার এদের কোন অধিকার থাকাই উচিত নয় বলে আমি মনে করি। আপনি কি এমন কোন নজির দেখাতে পারবেন, বিশ্বের কোথাও এধরনের পরাজিত ও জনবিরোধী নেতারা রাজনীতি করেন ?

কতটুকু লজ্জাহীন হলে এরা রাজনীতি করেন কি করে বা আপনাদের মাথার উপর ছড়ি ঘুরায় !

৫. এদের জন্য রাজনীতি করতে যেয়ে অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ বেঘোরে প্রাণা হারিয়েছে বা হারাচ্ছেন । বলা হচ্ছে তারা শহীদ হচ্ছে । এদের পরিবার গুলো তো নি:স্হ হয়ে গেলো ।

এদের জন্য এসব নেতা কি করেছেন ? এদের যখন শহীদ হচ্ছে বলা হচ্ছে , তাহলে তারা কেন শহীদ হলেন না । তারা কেন ১৯৭১ সলারের পরে দেশে থাকলেন না ?

বাংলাদেশের জনগণের কাছে তাদের ভাত কাপড়ের সমস্যাটাই প্রধান সমস্যা । বাংলাদেশের কোন ইসলামী সংগঠণ দেশের লোকদের ভাত কাপড়ের সমস্যা নিয়ে ভাবেনি । তারা নারী অধিকার, পরিবেশ দুষণ, দেশের তেল-গ্যাস আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবে না।

আমি ইউসুফ আল কারজাভীর বেশ কিছু বই পড়েছি । শেষ বইটার নাম মনে নাই । । নামটা জানার পর বইটা খুজে বের করে আমি সেই বইয়ের উদৃতি ব্যবহার করে প্রমাণ করে দিতে পারবো বাংলাদেশের সব ইসলামী সংগঠণ ভুয়া ইসলামী সংগঠণ । এসব সংগঠণের নেতারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে আখের গোছায় আর সাধারণ লোকদের থেকে ছলে বলে কৌশলে ইসলামের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয় ।

আর এরা স্বার্থপর ও নিজের স্বার্থের জন্য যা কিছু তাই করে । যেমন : মুফতি আমিনী । তার কারণে ইসলামী ঐক্যজোট ১৭ টুকারো হয়েছে । খেলাফত ছাত্র মজলিস ৬ টুকরা হয়েছে ।

এধরনের লোক দুনিয়াদার । যেমন : ১-১১ এর পর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এন বি আর -এ তার মাসিক আয় দেখিয়েছেন মাত্র ১৫০০ টাকা । এই কথা কোন পাগলেও বিশ্বাস করবে না । অথচ তার ছেলেমেয়েগুলো বিদেশে পড়াশোনা করে । এক ছেলে তো লন্ডনে বার এট ল করছিলো । বার এট ল করতে ৪৮ লাখ টাকা লাগে । এই টাকার উৎস কি ? অধিকাংশ জামায়াতের শীর্ষ নেতার ছেলে মেয়েরা অনৈসলামীক জীবন যাপন করে ।



এজন্য পরিশেষে আপনাদের বলছি,
এসব লোকদের সঙ্গ ত্যাগ করুন । কৌশল বদলান ।

এসব মুরব্বীদের ছাটাই করে দিন । তাদের এখন আল্লাহ আল্লাহ করার সময় । তাদের বয়স হয়েছে ।

এখন তরুণদের যুগ । তরুণদের হাতে তাদের নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে সমস্যা কোথায় ? সারা বিশ্বে তো তরুণরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে । মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহীমের মেয়ে নুরুল ইজ্জা বয়স মাত্র ৩১ । ।

আর তুরষ্কের ইসলাম আন্দোলনগুলোর দিকে লক্ষ করুন , তারা কৌশল অবলম্বণ করেছেন । এসব ভাবুন । ফেসবুকেই অনেক গ্রুপ আছে বিদেশীদের । তাদের সাথে মত বিনিময় করুন ।

ইসলাম তো আন্তজার্তিক । দেশীয় মুরব্বীদের চিন্তা আর কর্ম কৌশল বাদ দিন । তারা এখন সংগঠণগুলোর জন্য বোঝা ।

আগেও উল্লেখ করেছি, অন্য এক সংগঠণের এক মুরব্বী ইন্তেকাল করেছেন । তার কারণে একটা সংগঠণ ১৭ টুকরা হয়েছে । একটা ছাত্র সংগঠণ ৬ টুকরা হয়েছে । আর এসব মুরব্বীদের জন্য এপর্যন্ত আমার হিসেবে ৩৬৫ জন লোক মারা গেছে । এসব মুরব্বীদের বাদ দিতে হবে আর নতুন কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করুন । তাহলে অন্তত যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ আর জঙ্গীবাদ নিয়ে হৈচৈ সামান্য হলেও কমবে ।



ভাই রে ! আপনারা বাস্তবতা বুঝুন ।
আর মওদুদীর সাহিত্য আর পড়ার দরকার নেই । এক বিংশ শতাব্দীতে তিনি অপ্রাসাঙ্গিক ।

ইসলামের মূলনীতিগুলো আগে বুঝুন । তাহলে বুঝতে পারবেন মওদুদী-র লেখা আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ইসলামের শক্তির উৎস, ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ ও ইসলামী বিপ্লবের পথ বইগুলো পাশাপাশি রেখে পড়লে বোঝতে পারবেন এই বইগুলো পরস্পর ভীষণ পরস্পর বিরোধী ।

যেমন এসব বইয়ে বলা হয়েছে :

১. ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই । ইসলাম শক্তির উৎস বইটা ।

২. ইসলামের ইসলাম প্রচার ও প্রসারই নয় শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্যই সশস্ত্র জিহাদ করতে হবে । আল জিহাদ ফিল ইসলাম ।

৩. ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ বইয়ে বলা আছে সংসদ নির্বাচন করা যাবে না । আর ইসলামী রাষ্ট্রে বিরোধী দল থাকবে না ।

৪. ইসলামী বিপ্লবের পথ বইয়ে বলা আছে অস্ত্র দিয়ে জিহাদ করাই মুসলিমদের একমাত্র উপায় ও পদ্ধতি । এই বইয়ে তাগুত শব্দটাকে এমনভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্হা তাগুতি সমাজ ব্যবস্হা ।

হ্যা । ভাই দেড় পয়সার তার ছিড়া উজবুক ( আপনারা প্রায় এধরনের কথা ফেসবুকে আমাকে বলে থাকেন ) বলেই ব্লগ সাইটে লিখতে এসেছি । কারো বিরক্তির কারণ হওয়ার জন্য আসিনি ।

"ইসলামের দৃষ্টিকোন হতে জামায়াতে ইসলামী" নামক ধারাবাহিক পোস্ট লিখে মানুষকে সচেতন করার ইচ্ছা আমার আছে । আমি জানি না আমি এই ব্লগে এই বিষয়ে পোস্ট দিতে পারবো কি না । কারণ আমার সন্দেহ আমাকে ব্যান করা হবে । তার আগে অশালীন ভাষায় জামায়াত-শিবিরের লোকরা গালি গালাজ করবে । তবে আমি জোড় দিয়ে বলছি, যেসব তথ্য দিবো সেগুলো আধুনিক প্রকাশনী আর মওদুদী রিচার্স একাডেমী হতে প্রকাশিত বই হতে দিবো ।

দেখুন, ভাই । বিভ্রান্তি আপনারা যত দিন লালন করবেন তত দিন আমার মতো দুই একটা দেড় পয়সার তার ছিড়া উজবুক ( আপনারা প্রায় এধরনের কথা ফেসবুকে আমাকে বলে থাকেন ) মাঝে মধ্যে কমেন্ট করবে এবং পোস্ট দিতে থাকবে ।

আমি আপনাদেরর জন্য আল্লাহর কাছে অন্তরের অন্তস্হল হতে দু্য়া করছি ।

আপনাদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন ।

বিষয়: বিবিধ

২৬৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File