জেলায় জেলায় পুলিশের সদস্যদের হীট লিস্ট তৈরীর নির্দেশ দিয়েছে ২০ দলীয় জোট
লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৬:৫৯:০৩ সন্ধ্যা
বিষয়টি আগ থেকেই জানতাম, কিন্তু আজ ২০ দলীয় জোটের ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকলাপ নজরে রাখুন, পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে’ শীর্ষক বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে গেল।
গত বছরের কথা, অফিসে শিবিরের এক ছেলে আসলে পরিচয়ের পর বললাম, কী ব্যাপার তোমাদেরতো ধরে ধরে মেরে পেলছে। বহুততো হুমকী-ধামকি দিতে জান, কই, এখন মুরদ কোথায় তোমাদের? রগ কেটে কি আর তোমাদের দিনফিরিয়ে আনতে পারবে?
জবাবে ঐ ছেলে কিছু না বলে, একটা পেনড্রাইভ বের করে দিল।
এইটা কী? পোলা জবাবে কিছু না বলে, আমার ল্যাপটপে গিয়ে একটা ফাইল খুলে বলল “ভাই পড়েন, আর দেখেন”
ওয়াকী! চক্ষুতো চরকশূল।
ফাইলে কিছু র্যাব-পুলিশের ছবিসহ তাদের বিত্তান্ত লেখা আছে। সেখানে চট্টগ্রামের পুলিশ অথবা র্যাবের কোন সদস্য শিবিরের কোন নেতা-কর্মীর সাথে কী ধরনের ব্যবহার করেছে, কার গুলিতে কোন শিবির কর্মীকে কী ধরনের আহত হয়েছে এবং কার গুলিতে কোন শিবির ক্যাডার নিহত হয়েছে, তার সবই উল্লেখ রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ঐ পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কে কোথায় রয়েছে, তার সবই আছে সেখানে।
এসব দেখে আমারই ভয় করতে শুরু করেছে। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ওদের কি মেরে পেলবে? সিম্পল জবাব, না মারব না। তবে কোন না কোন ব্যবস্থাতো অবশ্যই নেব। সেটা আইনিও হতে পারে, অথবা অন্যকোন ওয়েতে। তবে প্রতিশোধ আমরা নেবই।
কয়েকদিন আগে আবার দেখা হলে (ততদিনে আমি ওকে ভুলে গিয়েছি) ছেলে নিজে পরিচয় দিয়ে কথা বলল। জিজ্ঞেস করলাম, কই তোমাদের পুলিশরাতো এখনো মারে।
ও বলল, ভাই কিযে বলেন। সিএমপিতে গিয়ে খোঁজ নেন। দেখবেন ওনেক খুনি পুলিশ সদস্যই এখন পালিযে বাঁচে।
ওসি প্রদিপ কুমারের নামতো জানেন। ঐ ব্যাটাকে কি এখন দেখেন?
ও চুপচাপ রয়েছে। তবে সে যতই লুকিয়ে থাকুক, আমরা কিন্তু ঠিকই খবর রাখি। যেমন ধরেন, সে এখন নিউট্রল সেজে বন্দরে আছে। বাহির তমন হয় না। কিন্তু আমরা জানি
যাই হোক, শিবিরদের সমর্থন করার কোন মানে হয়না। তবে গত এক মাসে পুলিশ-র্যাবের দুই,চার কর্মকর্তা যেহারে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিচ্ছে, তাতে মেজাজ চরম খারাপ। মাসখানেক আগে যখন ২০ দল বিবৃতি দিয়ে বলল, “উর্দি খুলে রাজপথে নামার জন্য” সেদিন প্লান করেছি, ওদের গা থেকে যেদিন উর্দি খসে পড়বে, সেদিন ওদের পেছনের রাস্তা দিয়ে কয়েখটা আইক্যা ওয়ালা বাঁশ হান্দাই দিমু।
আজ ২০ দলীয় জোটের কথায় তাদেরকে আরো একবার ধন্যবাদ দিতে মঞ্চায়।
এখন ২০ দলের নেতাকর্মীদের উচিত প্রতিটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিটি পদক্ষেপ ও কারযকলাপ পরযবেক্ষণ করা।
ওদের নাম, পরিচয় তালিকাভুক্ত করে রাখা। সময় হলেই প্রতিটি হত্যার আনা আনা প্রতিশোধ নেয়া হবে। গত এক মাসে যে ২৫জন মানুসের বাচ্চাকে হত্যা করেছে, তার প্রতিশোধ নেয়ার।
জয় হবেই......
বিষয়: বিবিধ
২১৭৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.bd-today.net/blog/blogdetail/detail/2867/harunr/61207
কিন্তু পেশাদার খুনী ও খুন করতে অভ্যস্থ, লোভ ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে উর্দী পরে সকল নীতি ও নৈতিকতা বিরুদ্ধ ভাবে আদম সন্তানকে যারা অমানুষের মত হত্যা করে - অমন অপরাধীকে বাঁচিয়ে রাখা মূর্খতা। আমার কাছে তো মনে হয় এতে করে আমি একজন খুনীর মর্যাদা বৃদ্ধি করছি। যেখানে আল্লাহ নিজে খুনীকে মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে বলেছেন। পুলিশ বাহিনীর কমান্ড পুরোটাই ১০০% খুনী, ১০০% করাপ্ট, ১০০% অপরাধী। পৃথিবীর নিকৃষ্টতম, ঘৃন্যতম নরহত্যা কারী, সিরিয়াল কিলার টাইপ অপরাধীর সাথে আমি বাংলাদেশের বেনজির, শহীদুল ইত্যাদির কোন পার্থক্য দেখতে পাই না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন