আমাদের ইমোশনাল দুরবস্থা ও স্যুসাইডিয়াল টেন্ডেন্সি

লিখেছেন লিখেছেন জুনায়েদ মোহাম্মদ ২৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:১৯:২৭ সকাল

ইউসুফ (আঃ) এর ভাইয়েরা যখন ইর্ষা পূর্বক তাকে কুয়োয় নিক্ষেপ করে তার পিতা ইয়াকুব (আঃ) এর কাছে মিথ্য বলেছিলো এই বলে যে "ইউসুফকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে" তখন ইয়াকুব (আঃ) এতটাই দুঃক্ষ পেয়েছিলেন যে এই বিরহ একসময় তার দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নিয়েছিলো, অর্থাৎ তিনি পুত্র শোকে এতোটাই কেঁদেছিলেন যে একটা বয়সে তিনি তার দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন, একটু চিন্তা করুন উনি একজন আল্লাহ্'র মনোনিত নবী ছিলেন তারপরেও তিনি মানবিক গুনের উর্ধ্বে ছিলেন না, তারপরেও এই বিরহের কোন পর্যায়ই তাকে তার নব্যুয়াতের দায়িত্ব থেকে এক বিন্দুও পিছপা হটাতে পারে নি,

এবার আসি আমাদের প্রসঙ্গে, আমরা এ পৃথিবীতে চলতে গিয়ে কারো কারো দ্বারা মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হই, কাউকে ভালো লাগে বা কাউকে নিজের করে পেতে চাই যেগুলো খুব স্বাভাবিক মানবিক আচরণ, কিন্তুু সমস্যা হয় যখন এগুলোর কোন একটাকে নিজের মতো করে না পেলে অতি আবেগের বশতবর্তী হয়ে সুইস্যাইড করার মতো বোকামী এবং জঘন্য চিন্তা মাথায় ভর করে, আমাদের জীবনে কোন কিছু হারানো বেদনা অনুভব করা এর জন্য অতি মাত্রার দুঃক্ষ প্রকাশ করা খু্বই নরমাল যেটা আমরা উপরে ইয়াকুব (আঃ) এর ব্যপারেও দেখেছি কিন্তুু তাই বলে উনি কিন্তুু এমন কোন সিন্ধ্যান্ত নেন নি যা উনার সারা নব্যুয়াতী জীবনের আমলকে বরবাদ করে দেয়

আর একটা কথা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি !! এসকল সিন্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে কি আমরা আল্লাহ্ সিন্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাকে অবল্যায়ন করছি না??(নাউযুবিল্লাহ্)

এ সকল চিন্তা ভাবনা আদতে কি উপহার দেবে ভেবে দেখেছি কি একবার!!! এতে করে না আমাদের সমস্যাটা একেবারে মিটে যাচ্ছে না আমরা কোন কিছু অর্জন করতে পারবো, পাছে দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই নিজেদের কপাল থেকে চিরতরে বিদায় করে দিচ্ছি এবং আমাদের অন্যান্য প্রিয়জনকে তীর বিহীন একটি পার্মানেন্ট দুঃক্ষের সাগরে ভাসিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি, মায়ের দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করা, অবর্ননীয় কষ্ট সহ্য করে এ দুনিয়ার মুখ দেখানোর কোন মূল্যই আমরা দিচ্ছি না। বাবার ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমের কানাকড়ি মূল্যও দিচ্ছি না শুধু মাত্র নিজের কিছু তুচ্ছ আবেগ ও এক গোয়ামীর কারণে

বিষয়: বিবিধ

৪৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File