সিলেট মেডিকেলে রোগীর নাতনিকে ধর্ষণ, ইন্টার্ন চিকিৎসক আটক

লিখেছেন লিখেছেন নুর হুসাইন ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০১:২২:৪৬ দুপুর

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন এক রোগীর নাতনিকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৭ নং ওয়ার্ডের ডিউটি চিকিৎসকের কক্ষে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় সোমবার হাসপাতাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহিনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মীর মখলিছুর রহমানের ছেলে।ভুক্তভোগীর বাবা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘গত ৯ জুলাই টনসিলের অস্ত্রোপচারের জন্য আমার শাশুড়িকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮নং ওয়ার্ডের ১৪ নং বেডে ভর্তি করি। সেদিন থেকেই নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তার নানির দেখাশোনার কাজ করছিল।’তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে শাশুড়ির গলায় অস্ত্রোপচার হয়। রাত দুইটার দিকে ডিউটি চিকিৎসক মাহিন কাগজপত্র নিয়ে আমার মেয়েকে তার কক্ষে যেতে বলেন। আমার মেয়ে কক্ষে গেলে তিনি দরজা লাগিয়ে ধর্ষণ করেন।’ধর্ষিতার বাবার ভাষ্যে, রাতে অনেকবার ফোন করা হলেও মেয়ে ধরেনি। এক পর্যায়ে ডাক্তার মাহিন ফোন রিসিভ করেন। কিন্তু, মেয়ের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। এ অবস্থায় আমরা হাসপাতালে এসে তার রুমে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পাই।’তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশকে জানালে তারা ডাক্তার মাহিনকে ওই কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। আর আমরা মেয়েকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেলের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করি।’বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। পরে বেলা দুইটার দিকে একটি প্রাইভেটকারে করে হাসপাতালের পেছনের গেইট দিয়ে মাহিনকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।এ সময় কোতোয়ালি থানার এসি সাদেক কাউসার দস্তগীর, ওসি মোশাররফ হোসেন সেখানে থাকলেও তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি।কোতোয়ালি থানার ওসি মোতবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। স্কুলছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। মামলার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি।শাররফ হোসেন পরিবর্তন ডটকমের কাছে তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহিনকে আটকের কথা স্বীকার করেন।

বিষয়: বিবিধ

৪৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File