ডায়াবেটিস প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসারর বিকল্প নাই

লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ০১ আগস্ট, ২০১৭, ০৬:২৩:২২ সন্ধ্যা

ওষুধের সন্ধানে অতীতকালের চিকিৎসকগণ যে সব প্রচেষ্টা চালিয়ে সফলতার মুখ দেখেছেন বলে দাবি করেছেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান সে সব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওষুধের কার্যকারিতার প্রমাণ দিয়েছে। এর ফলটা হয়েছে এই যে, কোন রোগ নিয়ে হানেমান শিষ্য নিজেকে বিচলিত বোধ করে না। জীবনের ওপরে রোগের প্রভাবকে রোধ করার জন্য তিনি পেয়ে গেছেন ওষুধ প্রয়োগের একটা বোধগম্য নীতি। এ নীতির ওপর বিশ্বস্ত থেকে কাজ করে ওষুধ প্রয়োগে তথা চিকিৎসার রাজ্যে কোন দুর্নীতি প্রবেশের সম্ভাবনা নেই।

হানেমান বলেছেন : রোগীর চিকিৎসা করতে যে ওষুধ প্রয়োগ করবে চিকিৎসক, তুমি নিজে তা সেবন করো। তোমার জীবনরাজ্যে যে সব লক্ষণ ফুটে উঠে, অনুরূপ লক্ষণযুক্ত রোগীকে সে ওষুধটি প্রয়োগ করো। দেখবে কেমন সুন্দরভাবে রোগীর জীবনরাজ্যের বিশৃঙ্খল অবস্থাটা কেটে উঠে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ডায়াবেটিসের ওষুধ সন্ধানে বিজ্ঞানী চিকিৎসক হানেমানের পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটা ওষুধ পাওয়া গেছে যা ডায়াবেটিসের লক্ষণাবলী ফুটিয়ে তুলেছে। ডায়াবেটিস রোগীর প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলোর মধ্যে প্রাধান্য পায়-১) অতিরিক্ত ক্ষুধা, ২) অতিরিক্ত পিপাসা, ৩) অতিরিক্ত প্রসাব, ৪) প্রসাব চিনির উপস্থিতি। প্রতিটি লক্ষণের জন্য হোমিওপ্যাথিক রেপার্টরীতে বহু ওষুধ আছে। হোমিওপ্যাথি ওষুধের লক্ষণরাজীতে ডায়াবেটিসের জন্য যে ওষুধগুলো বেশী রোগীর ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে – ১) বোভিষ্টা, ২) কারসিনোসিন, ৩) হেলোনিয়াস, ৪) লাইকোপোডিয়াম, ৫) ফসফরিক এসিড, ৬) ফসফরাস, ৭) প্লাশ্বাম মেট, ৮) টেরেন্টুলা, ৯) টেরেবিন্থ, ১০) ইউরেনিয়াম নাইট্রিকাম। এ ওষুধের প্রয়োগের জন্য ব্যক্তিত্ব খুঁজতে চিকিৎসককে তার বিবেক বিবেচনাকে হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতির প্রতি আস্থাশীল হবার আবেদন জানায়। এ চিকিৎসক সকল রোগীকে ডায়রিয়া হলে ওরাল স্যালাইন খেতে দেয় না। প্রত্যেক রোগীর ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যতার প্রতি নজর দেয়। হোমিওপ্যাথি ওষুধ এমন কোন পণ্য নয় যার বিপণন উন্নয়নের জন্য এটা ওষুধ প্রস্তুতকারকদের পক্ষ থেকে আপনাকে জানানো হচ্ছে। বস্তুতঃ রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা লাভের জন্য এ প্রতিবেদন। তাই জেনে রাখুন- ১) ডায়াবেটিস রোগটা হরমোনঘটিত বিশৃঙ্খলা। ইনসুলিন বা এন্টিডাইউরেটিক হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়াকা-ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়ে আপনার জীবনকে শ ৃঙ্খলিত করে দিয়েছে। এখন আপনি একটু বেশী খেলে হজম করতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবে প্র¯্রাব ধরে রাখতে পারেন না। ডায়াবেটিস আপনার জীবন রাজ্যের অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। জীবাণু, পরজীবী বা অন্য কোন কারণে আর যেন কোন বিশৃঙ্খলা দেখা না দেয়Ñসেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

হোমিওপ্যাথি ওষুধের সঠিক ব্যবহারের জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলোর অন্য ওষুধগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে প্রস্তুত হয়। এতে চিনি, বড়ি বা তরলের মধ্যে ওষুধ বস্তুর অবয়ব যায় হারিয়ে। কিন্তু বাস্তবে বস্তুর কার্যকারিতা গুণকে দেয় অনেক বাড়িয়ে। দু’শত বছর যাবৎ এ বাস্তব সত্য পরীক্ষা করা হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলোকে শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খাঁটি ওষুধ সংগ্রহ করার দায়িত্বটা আপনার চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দিন। এবং ডায়াবেটিস মুক্ত হোন।

বিষয়: বিবিধ

১২৪০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383698
০১ আগস্ট ২০১৭ রাত ০৮:৩৯
হতভাগা লিখেছেন : যে দুজন বিজ্ঞানী ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিল তারা নোবেল পেয়েছিল । তাতেও ডায়বেটিস কন্ট্রোলে থাকে না । হোমিও প্যাথি চিকিৎসেরা কি নোবেল প্রাইজবিমুখ?
383707
০২ আগস্ট ২০১৭ রাত ১০:০৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগলো লেখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
383714
০৪ আগস্ট ২০১৭ সকাল ০৬:০৫
জীবরাইলের ডানা লিখেছেন : প্রিয় পাঠক আপনাদের অনেক ধন্যবাদ হোমিওপ্যাথিক নোবেলপুরস্কার নেওয়ার জন্য চিকিৎসা করে না।রোগীর আরোজ্ঞ লাভেই একমাত্র লক্ষ্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File