বাদশা সালমান নিয়ে আমেরিকার গভীর ষড়যন্ত্র।

লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:০০:৪১ দুপুর



--------------------------------------------------

এই লেখা টি লিখছি মুসলমানদের একটি বিশাল অংশ ভুলের মধ্যে রয়েছে, তাদের ভুল ভাঙ্গানোর জন্য।আপনারা জানেন, সৌদি আরবে বাদশা কে হবে তা অনেক আগেই সিদ্বান্ত হয়ে যায়। অর্থাৎ যাকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষনা করা হয়, তিনিই হবেন পরবর্তী বাদশা।বর্তমানে ২ জন ক্রাউন প্রিন্স রয়েছে (১) মোহাম্মদ বিন নায়েফ (২) মুহাম্মদ বিন সালমান। তার মানে, বর্তমান বাদশা সালমান মারা গেলে মোহাম্মদ বিন নায়েফ ই হবেন পরবতী বাদশা।

যাইহোক, বিগত বাদশা আবদুল্লাহর পর ক্রাউন প্রিন্স ছিল বর্তমান নায়েফের পিতা নায়েফ বিন আবদুল আজিজ। আমেরিকার গোয়েন্দারা নাকে তেলদিয়ে ঘুমিয়ে ছিল সৌদি বাদশা পরিবার নিয়ে, কারন বাদশা ও পরবর্তী বাদশা তাদের অনুগত ও বিলাশী ছিল।হুট করে তাদের ঘুম ভাঙ্গে যখন তারা দেখে ক্রাউন প্রিন্স নায়েফ বিন আবদুল আজিজ গুরোতর অসুস্ত! তাদের কাছে রিপোর্ট ছিল নায়েফের পরবর্তী সিরিয়ালে যিনি আছেন তিনি কঠোর ইসলামী বিধি বিধান মেনে চলেন? যাই হোক তারা নায়েফ কে আমেরিকা নিয়ে গিয়ে ব্যাপক চিকিৎসা করলেন কিন্ত বাচাতে পারলেন না।

পরবতীতে ১৬ই জুন ২০১২ সালে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।আমেরিকা বাদশা আবদুল্লাহর কাছে ব্যাপক লবিং করতে থাকে যাতে কোন অবস্থাতেই সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষনা করা না হয়। কিন্তু বাদশ আবদুল্লাহ সালমানের চেয়ে বয়োজৈষ্ঠ ও দক্ষ কাউকে না পাওয়া সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষনা করতে বাধ্য হয়।অবশেষে ২৩ শে জানুয়ারী ২০১৫ সালে বাদশা আবদুল্লাহ ইন্তেকাল করলে সালমান বাদশা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে।

আমেরিকার কেন অপছন্দ ছিল সালমানকে?

আসলে এক লাদেন কে নিয়ে আমেরিকার যে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই তারা আবার মুসলমান জাতি নিয়ে ঝুকিতে যেতে চাইনি। আমেরিকার গবেষনা হচ্ছে সৌদি বাদশা যদি ইসলাম পন্থী হয় তাহলে সে মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বিশ্বে আর একটি পরাশক্তির জম্ম দেবে। এবং এই পরা শক্তি বিশ্বের যে কোন শক্তির আনায়া্সে ক্ষতি করতে পারে। কারন তাদের রয়েছে ধর্মের নামে লক্ষ লক্ষ যোদ্ধা, যারা পিপড়ার মত জীবন বিলিয়ে দিতে পারে। কিন্ত দুনিয়াটাতো মহান আল্লাহই চালান, তাই তিনি আমেরিকার শত চক্রান্তকে অগ্রায্য করে সালমানকে বাদশা নিযুক্ত করলেন এবং এই সালমান ও তার পুত্র মোহাম্মদ এমন সব পদক্ষেপ গ্রহন করছেন, আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে অনায়াসে বলতে পরি, আগামী ১০ বছরের মধ্যে সিরিয়া, ইরাক, মিশর, বাংলাদেশ, ফিলিস্থিন সহ অসংখ্য মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলাম পন্থীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসবে। এবং রাসুল (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বানী অনুযায়ী হিন্দুস্থান বিজয়ের জন্য লড়াই শুরু হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359586
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:২৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর
আল্লাহ চাহে তো আপনার আশা পূরণ হতেও পারে।
359598
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৭
তট রেখা লিখেছেন : হাসবুনাল্লাহ ওয়া নিওয়াওমাল ওয়াকিল।
359602
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আস্ সালামু আলাইকুম। সময়োপযোগী পোস্ট, আরো লিখুন। ধন্যবাদ।
359627
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ। তবে বাদশাহ ই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File