আহলে হদসের ধোঁকাবাজি

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আল আমিন ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫১:৪৭ সকাল

ধোঁকাবাজী নং-১“যখন ছহীহ হাদীছ পাবে,জেনো সেটাই আমার মাজহাব’।[হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩]”এটি জঘন্য মিথ্যাচারমূলক বক্তব্য।ইমাম আবুহানীফা রহঃ একথা এভাবে বলেননি।এটি ধোঁকাবাজ আর মিথ্যুকদের সৃষ্টি ধু¤্রজাল। আর রেফারেন্সওদেয়া হয়েছে ভুল। রেফারেন্সটি হবে-১/১৬৭, জাকারিয়া লাইব্রেরী। ইমামআবু হানীফা রহঃ বলেছেন-ﺍﺫﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺻﺢ ﻓﻬﻮ ﻣﺬﻫﺒﻰতথা যখন হাদীস সহীহ হয়,তাহলে সেটিই আমার মাযহাব।{হাশিয়ায়ে ইবনে আবেদীন-১/৬৩}“পাবে” শব্দ আরবীতে কোথায় আছে?এটি গায়রে মুকাল্লিদদেরবানানো শব্দ। একথা ইমাম আবুহানীফা রহঃ বলেননি। পাবে শব্দথাকলে আরবীতে থাকতো ﻭﺟﺪ কিন্তুউক্ত ইবারতের কোথাও এ শব্দটি নেই।তাহলে “পাবে” অর্থকোত্থেকে আমদানী করা হল?যিনি বলছেন, হাদীস সহীহ হলে,সেটি তার মাযহাব,তিনি কি করে গায়রে সহীহ হাদীসেরউপর তার মাযহাব প্রতিষ্ঠিতকরতে পারেন? একথাইতো সুষ্পষ্টপ্রমাণ যে, ইমাম আবুহানীফা রহঃ তার মাযহাবেরভিত্তি রেখেছেন কেবল সহীহহাদীসের উপর। কোন দুর্বল হাদীসেরউপর তিনি তার মাযহাবপ্রতিষ্ঠা করেননি। এব্যাপারে আরো জানতে আগেরপোষ্টটি আবার পড়–ন।বাংলায় “পাবে” শব্দবাড়িয়ে বক্তব্যটিকে বিকৃতকারীরনাম আহলে হাদীস হয় না, হয়আহলে ধোঁকা।ধোঁকাবাজী -২“আমরা কোথা থেকে গ্রহণ করেছি,তা না জেনে আমাদের কথা গ্রহণকরা কারো জন্য বৈধ নয়।হাশিয়াহইবনে আবেদীন ৬/২৯৩]”এ বক্তব্যটি যেভাবে উপস্থাপিতকরা হয়েছে। সাধারণ পাঠকগণ বুঝবেনযে, এটি বুঝি ইমাম সাহেবেরমুকাল্লিদদের উদ্দেশ্যে ইমাম আবুহানীফা রহঃ বলে গেছেন। অথচ এবক্তব্যটি তিনি মুকাল্লিদদেরউদ্দেশ্যে বলেন নি। বলেছেনমুজতাহিদদের উদ্দেশ্যে। তাই এটিইএকটি ধোঁকাবাজিমূলক বক্তব্য।যদি তিনি এটি মুকাল্লিদদেরউদ্দেশ্যেই বলে গিয়ে থাকেন,তাহলে প্রশ্নকারীর কাছে আমাদেরআবেদন, উক্ত কিতাবের মূলআরবিটা দিন। তাহলে আপনার মিথ্যারখোলস খুব সহজেই বেরিয়ে আসবে।ধোঁকাবাজী নং-৩তোমার জন্য আফসোস হে ইয়াকুব (আবুইউসুফ)! তুমি আমার থেকে যা শোন তাইলিখে নিও না। কারণ আমি আজ যে মতপ্রদান করি, কাল তা প্রত্যাখ্যানকরি এবং কাল যে মত প্রদান করি,পরশু তা প্রত্যাখ্যান করি [ ড.অছিউল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আববাস, আত-তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাবওয়াস-সন্নাহ, পৃঃ ২০]এ বক্তব্যেরও আরবী ইবারত কাম্যহানাফী নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে।গায়রে মুকাল্লিদ দাবিদার ভ্রান্তকারো কিতাব থেকে নয়। অথচএখানে উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে একজনগায়রে মুকাল্লিদের লেখা বই থেকে।তাই হানাফী নির্ভরযোগ্য গ্রন্থথেকে এ বক্তব্যটিকে ইমাম আবুহানীফা রহঃ থেকে প্রমানিতদেখাতে হবে। কেননা, অর্থ বিকৃতি ওমিথ্যা কথা বলা গায়রে মুকাল্লিদদেরমাযহাবের মূল ভিত্তি।যদি উক্ত বক্তব্যটি সঠিক হয়,তাহলেও কোন সমস্যা নেই। কারণইমাম সাহেব একথা কাকে বলছেন?গায়রে মুজতাহিদকে না মুজতাহিদকে?ইমাম আবুহানীফা রহঃ বক্তব্যটি কি মুকাল্লিদকে লক্ষ্যকরে না মুজতাহিদকে লক্ষ্য করে?নিশ্চয় মুজতাহিদকে লক্ষ্য করে। ইমামআবু ইউসুফ মুজতাহিদ ফিল মাযহাবছিলেন। মুজতাহিদ ফিল মাযহাববলা হয়, যিনি ইমামের নির্দিষ্টকরা মূলনীতির আলোকে দলীলেরআলোকে স্বীয় মূলনীতি নির্ধারণেরযোগ্যতা রাখেন। যে মূলনীতিরআলোকে তিনি নিজেই কুরআন ওহাদীসে অবর্ণিত মাসায়েলকে বেরকরতে পারেন। তার নাম মুজতাহিদফিল মাযহাব।এমন মুজতাহিদের জন্য শুধু ইমামেরদলীলের উপর নির্ভরকরে মাসআলা মেনে নেয়া জায়েজ নয়,যতক্ষণ না তিনি উক্ত মাসআলার দলীলনিজে যাচাই বাছাই করে নিশ্চিতহন।তাহলে যেহেতু ইমাম আবু ইউসুফরহঃ নিজেই মুজতাহিদ ছিলেন। আরমুজতাহিদের জন্য দলীল ছাড়া ইমামেরবক্তব্য মেনে বৈধ নয়, তাইতাকে ইমাম আবু হানীফা রহঃ সতর্ককরে বলেছেন যে, “হে ইয়াকুব (আবুইউসুফ)! তুমি আমার থেকে যা শোন তাইলিখে নিও না।”যেহেতু কুরআন ও হাদীসে যেসকলমাসআলা বর্ণিত নেই। সেসবক্ষেত্রে সমাধান কেবল মুজতাহিদেরস্বীয় ইজতিহাদ। আরইজতিহাদী সিদ্ধান্ত পরিবর্তিতহতে পারে। তাই ইমাম আবু ইউসুফরহঃ এর মত মুজতাহিদের জন্য যাচাইবাছাই ছাড়া ইমাম আবুহানীফা রহঃ এর বক্তব্যমেনে নেয়া বৈধ নয়।কিন্তু এর দ্বারা মুকাল্লিদেরমেনে নেয়ার কি কথা রইল? একথাতো মুকাল্লিদের জন্য বলাই হয়নি।তাহলে মুকাল্লিদদের ক্ষেত্রে কেনধোঁকাবাজির সাথে এ বক্তব্য উদ্ধৃতকরা হচ্ছে?ধোঁকাবাজী নং-৪যে ব্যক্তি আমার দলীল জানে না,আমার কথা দ্বারা ফতোয়া প্রদানকরা তার জন্য হারাম [ ড. অছিউল্লাহবিন মুহাম্মাদআববাস, আত-তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহুফী যুইল কিতাব ওয়াস-সন্নাহ, পৃঃ ২০]এটিও একটি ধোঁকাবাজিমূলক প্রশ্ন।একেতো এ বক্তব্যটি ইমাম আবুহানীফা রহঃ থেকে প্রমানিত কি না?তাই সন্দেহ আছে। কারণগায়রে মুকাল্লিদরা প্রচুর পরিমাণমিথ্যা রেফারেন্স দিয়ে থাকে। আরঅনবরত মিথ্যা কথা বলে থাকে। তাইপ্রথমে উক্ত বক্তব্যটি যতক্ষণ পর্যন্তহানাফী কোন নির্ভরযোগ্য কিতাবথেকে আরবী ইবারতসহ না দেখাবে,ততক্ষণ পর্যন্ত এর কোনবিশ্বাসযোগ্যতা নেই। কারণ মিথ্যুককত কথাই বলতে পারে।আর যদি উক্ত বক্তব্যটি প্রমাণিতকরতেও পারে, তাহলে দেখা যাবে যে,উক্ত বক্তব্যটি পূর্বের মত ইমাম আবুহানীফা রহঃ মুজতাহিদদের উদ্দেশ্যকরেই বলেছেন। মুকাল্লিদদের উদ্দেশ্যকরে বলেননি। তাই এ অপরিচিতগায়রে মুকাল্লিদের লেখা বইয়েররেফারেন্সদেয়া বক্তব্যটি দ্বারা ইমাম আবুহানীফা রহঃ এর পক্ষথেকে মুকাল্লিদদের তাকলীদকরা নিষিদ্ধ প্রমানিত হয় না।ধোঁকাবাজী নং-৫নিশ্চয়ই আমরা মানুষ।আমরা আজকে যা বলি, আগামীকালতা থেকে ফিরে আসি [ ড. অছিউল্লাহবিন মুহাম্মাদ আববাস, আত-তাক্বলীদওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাব ওয়াস-সন্নাহ, পৃঃ ২০]এ ধোঁকাবাজীর ব্যাপারেও আমাদেরপূর্বোক্ত বক্তব্যটি প্রযোজ্য।তথা আগে হানাফী নির্ভরযোগ্য কিতাবথেকে উক্ত বক্তব্যটি ইমাম আবুহানীফা রহঃ বলেছেন, তা প্রমাণকরতে হবে মূল আরবী ইবারত দিয়ে।তারপর বিশ্বাস হবে যে, আসলেই ইমামআবু হানীফা রহঃ এমন বলেছেন।নতুবা ফাসেক মিথ্যুকের কথাকে অন্ততআমরা বিশ্বাস করি না।তারপরও যদি তা ইমাম আবুহানীফা রহঃ থেকে প্রমাণিত করেও,তবুও মুকাল্লিদের কোন সমস্যা নয়।কারণ আমরা জানি যে, মুজতাহিদের ভুলহলেও একটি সওয়াব। আর সঠিকহলে দুটি সওয়াব। সুতরাং মুজতাহিদেরযারা মুকাল্লিদ তাদের ঘাবড়ানোরকোন কারণ নেই। ভুল হলেও সওয়াবথেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। তাইচিন্তার কোন কারণ নেই।ধোঁকাবাজী নং-৬‘আমি যদি আল্লাহর কিতাব (কুরআন)ওরাসূলুললাহ (ছাHappy-এর কথার (হাদীছ)বিরোধী কোনকথা বলে থাকি,তাহ’লে আমারকথাকে ছুঁড়ে ফেলে দিও [ছালেহফুল্লানী, ইক্বাযু হিমাম, পৃঃ ৫০]এখানেও একই কথা প্রযোজ্য।আগে তা হানাফী নির্ভরযোগ্য কিতাবথেকে ইমাম আবু হানীফা রহঃ এরবক্তব্য প্রমাণ করতে হবে।নতুবা এটি মিথ্যাচার বৈ আর কিছু নয়।যা তাদের মজ্জাগত স্বভাব।আর যদি প্রমানিত হয়,তাহলে দেখা যাবে, ইমাম সাহেবরহঃ এর বক্তব্যটি মুজতাহিদের জন্যছিল। গায়রে মুজতাহিদতথা মুকাল্লিদের জন্য ছিল না।সুতরাং এ বক্তব্যেরদ্বারা মুকাল্লিদের ক্ষেত্রে কোনকিছুই প্রমাণিত হচ্ছে না।আমি যখন দৃঢ়তার সাথে উপরোক্তবক্তব্যের সার-নির্যাস উপস্থাপনকরলাম। আর বলে দিলাম, এসব তথ্যকথিত আহলে হাদীসরা আপনাদের মতগায়রে আলেম ব্যক্তিদেরসামনে উপস্থাপন করে। আরআপনারা এসবেরব্যাখ্যা এবং সত্যাসত্যি বিজ্ঞহানাফী আলেমদেরকাছে জিজ্ঞাসা না করে তাদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাসকরে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।অন্তত একবারও যদি বিজ্ঞ আলেমদেরকাছে গিয়ে ব্যাখ্যা ও সত্যতা যাচাইকরে নিতেন ওদের অন্ধ অনুসরণনা করে,তাহলে হয়তো এভাবে বিভ্রান্ত হতেননা।”এবারো থমকে গেলেন ভাইটি। সত্যউপলব্দি করার দ্যুতি ভাইটিরচেহারায় প্রতিভাতহচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল।এবারভাইটি বলতে লাগলেন,“আসলে আমরাতো বুঝি না।যাচাই করে দেখার মত সুযোগবা আরবীও জানি না। তাই ওদের কথায়সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাই।ওরা আমাকে বলেছে যে, ইমামহানীফা রহঃ নাকি অল্প কিছু হাদীসজানতেন। যার বেশিরভাগই জালহাদীস।”আমি বললাম, “আচ্ছা, ভাল কথা।যদি তাই হয়,তাহলে হানাফী মাযহাবেরমাসায়েলতো সব জাল হাদীসদিয়ে প্রমাণিত হওয়ার কথা তাই নয়?কিন্তু বাস্তবে কি তা?মুসনাদে আবী হানীফাহ,মুয়াত্তা মুহাম্মদ, আসারুসসুনান,আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ,নসবুররায়াহ, কিফায়াহ ও ইলাউস সুনানইত্যাদি হাদীসগ্রন্থের কিতাবসমূহেরহাদীস সবই কি জাল হাদীস?তাহলেতো তিরমিজী শরীফও জালহাদীসের কিতাব হওয়া আবশ্যক হয়।কারণ তিরমিজীর অসংখ্যস্থানে হাদীস উল্লেখের পর ইমামতিরমিজী রহঃ মন্তব্য করেছেন এহাদীস হানাফী মাযহাবের পক্ষেরদলীল। তাহলে তিরমিজীর যতস্থানে ইমামতিরমিজী রহঃ হানাফী মাযহাবেরদলীল বলে মন্তব্য করেছেন, তা সবইকি জাল হাদীস?”চুপ হয়ে রইলেন ভাইটি।আমি আবার বলতে লাগলাম, “দেখুন,ইমাম আবূহানীফা রহঃ এবং মুহাদ্দিসীনদেরমাঝের সময়ের পার্থক্য।ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর জন্ম ৮০হিজরী। মৃত্যু-১৫০ হিজরী।মুহাদ্দিসীনদের জন্ম ও মৃত্যুমুহাম্মদ বিন ইসমাঈল বুখারী রহঃ এরজন্ম-১৯৪ হিজরী এবং মৃত্যু ২৫৬হিজরী।মুসলিম বিন হাজ্জাজ ইমাম মুসলিমরহঃ এর জন্ম ২০৪ হিজরী এবং মৃত্যু২৬১ হিজরী।মুহাম্মদ বিন ঈসা বিন সাওরা ইমামতিরমিজী জন্ম-২১০ হিজরী এবং মৃত্যু২৭৯ হিজরী।মুহাম্মদ বিন ইয়াজিদ ইমামইবনে মাজাহ এর জন্ম-২০৯হিজরী এবং মৃত্যু-২৭৩ হিজরী।সুলাইমান বিন আসআস ইমাম আবু দাউদরহঃ এর জন্ম- ২০২হিজরী এবং মৃত্যু-২৭৫ হিজরী।আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইমামনাসায়ী রহঃ এর জন্ম ২১৫হিজরী এবং মৃত্যু ৩০৩ হিজরী।এই হল সিহাহ সিত্তার জন্ম ও মৃত্যুরসন। লক্ষ্য করুনঃইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মৃত্যুর ৪৪বছর পর জন্ম লাভ করেছে ইমামবুখারী রহঃ।ইমাম মুসলিম রহঃ এর জন্ম গ্রহণকরেছেন ৫৪ বছর পর।ইমাম তিরমিজী রহঃ জন্ম গ্রহণকরেছেন ৬০ বছর পর।ইমাম আবু দাউদ রহঃ জন্ম লাভকরেছেন ৫২ বছর পর।ইমাম ইবনে মাজাহ রহঃ জন্ম গ্রহণকরেছেন ৫৯ বছর পর।ইমাম নাসায়ী রহঃ জন্ম গ্রহণকরেছেন ৬৫ বছর পর।ইলমে হাদীসের সাথে সম্পর্ক রাখেনএমন একজন সাধারণ শিক্ষার্থীওজানেন যে, হাদীস সহীহ বা জঈফ হয়মৌলিকভাবে সনদের দুর্বলতার কারণে।আরো অনেক কারণেও হয়, তবে মূল কারণসনদের দুর্বলতা। অর্থাৎ সনদেরমাঝে দুর্বল রাবী থাকারকারণে সহীহ হাদীসও জঈফ হয়ে যায়,এমনকি মুনকারও হয়ে যায়। আর সনদেরমাঝে রাবীগণ শক্তিশালী থাকারকারণে হাদীস সহীহ হয়ে থাকে।আমরা যদি ঠান্ডা মাথায়চিন্তা করি যে, ইমাম আবুহানীফা রহঃ যখন হাদীসেরআলোকে মাযহাব সংকলিত করেন, তখনযে হাদীস সনদের শক্তিশালীত্বেরকারণে সহীহ ছিল, উক্তহাদীসটি ৪০/৫০ বছর পরেও সহীহথাকা শর্ত কি না? অবশ্যই নয়। কারণ,একটি হাদীস যখন ইমাম আবুহানীফা রহঃ দেখলেন,সে হাদীসটি তার কাছে সহীহ, কারণতার মাঝে এবং সাহাবীর মাঝে একজনবা সর্বোচ্চ দুইজনের মাধ্যমবিদ্যমান। সেই একজন বা দুইজনওশ্রেষ্ঠ যুগের লোক। তাদেরমাঝে হাদীস জঈফ হওয়ার কোন কারণবিদ্যমান হওয়া প্রায় অসম্ভব।যেখানে ইমাম আবুহানীফা রহঃ নিজেই একজন জাঁদরেলমুহাদ্দিস এবং জারাহ তাদীলেরইমাম। সেখানে তিনি কোন সহীহহাদীস ছাড়া গ্রহণ করতেই পারেননা। যেমনটি আমাদেরগায়রে মুকাল্লিদরাও অকপটে স্বীকারকরে প্রচার করে বেড়ায় যে, ইমাম আবুহানীফা রহঃ বলেছেন“যখন হাদীসসহীহ হবে, তখন সেটাই আমারমাযহাব”।তাই তিনি হাদীসের ভিত্তিতে যেসবমাসআলা বলেছেন, তার সব ক’টিই ছিলসহীহ হাদীস। যেহেতু তার এবং রাসূলসাঃ এর মাঝে মাধ্যম ছিল দুইবা একজন। তাই সনদেরমাঝে দুর্বলতা আসা ছিল খুবই দূরেরকথা। কিন্তু উক্ত হাদীসটি,যেটাকে ইমাম আবু হানীফা রহঃ সনদশক্তিশালী হওয়ার কারণে সহীহহিসেবে মত দিয়ে তার মাঝে নিহিতমাসআলাকে সহীহ সাব্যস্ত করেছেন,ঠিক সেই হাদীসটিই ৪০/৫০ বছর পরসনদের দুর্বলতার মাধ্যমে পরবর্তীদেরকাছে যেতে পারে।কারণ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এরকাছে যে হাদীস সহীহহিসেবে এলো সনদ শক্তিশালী হওয়ারদ্বারা, উক্তহাদীসটি যদি পরবর্তীতে কোন দুর্বলরাবী বর্ণনা করে, তাহলে উক্তহাদীসটি উক্ত দুর্বল ব্যক্তির বর্ণনারকারণে যার কাছে বর্ণনা করল, তারকাছে হয়ে যাচ্ছে দুর্বল তথা জঈফ।কিন্তু সে হাদীস কিন্তু ইমাম আবুহানীফা রহঃ এর জমানায় সহীহইছিল। সেটি জঈফহয়েছে পরবর্তীতে এসে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File