প্রথম প্রেমের দীক্ষা

লিখেছেন লিখেছেন আধারের সাথী ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৩৮:৪৩ রাত

আমি ওই পিচ্ছি মেয়ের কাছেই প্রথম প্রেমের পাঠশালায় ভর্তি হয়েছি। আমার রঙিন মনে ওই প্রথম প্রেমের লাল গোলাপ ফুটিয়েছে।.........



এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র বেশ দুরে। বাড়ী থেকে এক্সাম দেয়া যাবেনা।

জায়গির থাকতে হবে। পরীক্ষার কয়দিন।

জীবনে প্রথম বাড়ীর বাইরের যাবো। আম্মুসহ বাড়ীর সবাই উদ্বিগ্ন। আমি এতটা চিন্তিত ছিলাম না। কেনো যেন অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিলো।

যায় হোক, আম্মুই বেশি চিন্তিত কারণ তার সহজ সরল নাবলক ছেলেটি এই প্রথম বাড়ীর বাইরে যাবে। তাই আব্বুকে পাঠালো জায়গির বাড়ীটা একটু দেখে আসতে।

আমার জন্য বাড়ীটা যথাপোযুক্ত কি না!! তো আব্বু গেল দেখতে। এসে যা বললো তাতে আমি প্রথমত চিন্তিত হলাম।

আব্বু বললো বাড়ীর সব পরিবেশই ভালো তবে একটা জায়গা কিছুটা সমস্যা!!

সেটা কি আমাকে বললো না। শুধু এটুকু বললো যতদিন তুই ওই বাড়ীতে থাকবি ততদিন তোর কোন বন্ধুকে ওই বাসায় নিবি না।

ছোটকাল থেকে আমি একটু সন্দেহপ্রবণ। ঘটনা পরিপূর্ণ না জানা পর্যন্ত কোনো সস্তি পাচ্ছিনা।

আমি বারবার প্রশ্ন করে যাচ্ছি কেনো?? কি সমস্যা??

আব্বুর একই উত্তর তোর জানা লাগবেনা। শুধু এইটুকু মনে রাখবি কোনো বন্ধু যেন ওই বাড়ী না যায়।

তবুও আমাকে জানতে হবে কারন কি? এবার আম্মুকে ধরলাম। আম্মুর কাছে যেন সবসময় নির্দিধায় বলা যায়। আম্মু যেন আমার পরাণের বন্ধু। কারণ এই বন্ধুটি আমাকে বিয়ের সময় নিজ হাতে গোসল করিয়েছে। খাইয়ে দিছে।

আমর সব দুখের সময় ছায়া হয়ে পাশে থেকেছে।

তো যায় হোক আমাকে আম্মু যা বললো আমি রীতিমতো হতবাক। বললো ওই বাড়ীতেক একটা সুন্দরী মেয়ে আছে। যদিও মেয়েটা অনেক ছোট তবুও সাবধান থাকিস। আম্মু আরো বললো ওই মেয়েটা নাকি ক্লাস ফোরে কি থ্রিতে পড়ে।

আমি আশ্চর্য হলাম। হার্টবিট তখন তুঙ্গে। এমনিতেই মেয়ে তারপর আবার সুন্দরী। একটু স্বাভাবিক হলামএই ভেবে যে ও ক্লাস থ্রিতে বা ফোরে পড়ে।

যাক বাবা আগে যায়তো তারপর দেখা যাবে।

ওই বাড়ীতে থেকেছি। পরীক্ষা দিয়েছি। এবং আব্বু আম্মুর ধারণায় অবশেষে সত্য হয়েছে।

আমি ওই পিচ্ছি মেয়ের কাছেই প্রথম প্রেমের পাঠশালায় ভর্তি হয়েছি। আমার রঙিন মনে ওই প্রথম প্রেমের লাল গোলাপ ফুটিয়েছে।

আজও আমি ওর ছোট মনের গভীরতা মাপতে পারিনি। যদিও আমি ওকে ভালবাসতে পারিনি। তবুও আজও ওকে ভূলতে পরিনি। ওর সাথে চলার সেই স্মৃতিময় ঝড়ো দিন গুলো আমাকে আবেগে ভারাক্রান্ত করে।

আজ আমার খুব জানতে ইচছা করছে ও কেমন আছে। ওকি আমাকে এখনো মনে করে। ওর কি সেই পাগলামী বুদ্ধি এখন আছে। নাকি খুব সংসারি হয়ে গেছে।

খুব জানতে ইচ্ছা করে। খুব বেশি! খুব বেশি!

বিষয়: সাহিত্য

১০৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File