প্রথম দিনের ইসলামী ব্যাংকার আবু তাহের মোহাম্মদ সালেহ এর বর্নাঢ্য জীবনালেখ্য///

লিখেছেন লিখেছেন ওসমান গনি ০৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:৫৭:৫৯ দুপুর



প্রথম দিনের ইসলামী ব্যাংকার আবু তাহের মোহাম্মদ সালেহ

এর বর্নাঢ্য জীবনালেখ্য///

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমীর প্রাক্তন মহাপরিচালক জনাব আবু তাহের মোহাম্মদ সালেহ একজন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একাধারে প্রতিথযষা ব্যাংকার,ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও লেখক হিসাবে সুপরিচিত । ১৯৫৩ সালের ১ মার্চ ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার এক স্বনামধন্য মুসলিম পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম হাফেজ মোঃ আবুল খায়ের ও মাতার নাম মরহুমা হালিমা খাতুন।

প্রাথমিক জীবনে নিজ গ্রামেই মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমে লেখা পড়ার পাঠ শুরু হয় তাঁর। পরবর্তীতে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে হাদীস শাস্ত্রে কামিল ডিগ্রি গ্রহণ করত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় অনার্সে ভর্তি হন আর একই বিভাগ থেকে বিএ অনার্স ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে তাঁর কর্ম জীবন শুরু হয়। অতপর: জীবনের বৃহত্তর পরিসরে আরও সাফল্যের লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে জনতা ব্যাংকে অফিসার হিসাবে ব্যাংকিং পেশায় যোগদান করেন। উক্ত ব্যাংকে ৫ বছর ধরে সফলতার সাথে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে বিজ্ঞজনদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের আগস্ট মাসে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক এর (আইডিবি) সনদে স্বাক্ষর করে ও আর্থিক খাতে ইসলামী পদ্ধতি অনুসরণের প্রতিজ্ঞা করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৮০ সালের নভেম্বরে বর্হিঃবিশ্বে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার কার্যকলাপ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি প্রেরণ করে। ১৯৮১ সালে ওআইসি সম্মেলনে ৭৪ সালের প্রতিজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুনরায় উত্থাপন করা হয়। তারই অনুক্রমিক ধারাবাহিকতায় ১৯৮২ সালে আইডিবির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসে ও যৌথ উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ও তার সদর দফতর জেদ্দায় অবস্থিত।

মূলত ৮০’র দশকের শুরুতেই আমাদের দেশে ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের ডামাডোল বাজতে শুরু করে। ইতোমধ্যে বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ১৯৮১ সালের ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের মুসলিম হলে সর্বপ্রথম ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের পর ঢাকায় ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা সেমিনার সিম্পোজিয়াম আয়োজন করতে থাকে ও জনমত সৃষ্টিতে বিশেষ অবদান রাখে। তরুণ ব্যাংকার জনাব সালেহ এ আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলেন। বাস্তবেও তিনি তাই করলেন ও সে সময়ের সকল সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও প্রচার অভিযানে অংশগ্রহণ করে ইসলামী ব্যাংকিং আন্দেলনে নিজের সরব অংশগ্রহণ জানান দেন।

এরই মধ্যে একদল দেশপ্রেমিক জিন্দাদিল মর্দে মুজাহিদ ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বাংলাদেশের বুকে বাস্তব রূপ দিতে বদ্ধপরিকর হলেন। সুখের কথা এই যে, ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। ঐদিন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক হিসেবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোকাল অফিসের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। জনাব সালেহ নতুন শাখার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই সুদকে প্রত্যাখান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারই আলোকে জনতা ব্যাংকের স্থায়ী চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অজানা শংকার মধ্যে থেকেও ইসলামী ব্যাংকে যোগদান করার মনস্থির করেন ও ব্যাংকের যাত্রা শুরুর প্রথম দিন সিনিয়র অফিসার এবং দ্বিতীয় কর্মকর্তা হিসাবে এই ব্যাংকের প্রথম শাখা ঢাকার লোকাল অফিসে যোগাদান করে ইতিহাস রচনা করেন। শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে তথন মরহুম আবদুল মতিন বার ভুঁইয়া সাহেব দায়িত্ব পালন করছিলেন। এভাবে নতুন ধারার ব্যাংকের অনিশ্চয়তা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা চিন্তা না করে তিনি তাঁর পরিবর্তিত গন্তব্যে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। জনাব সালেহ ঢাকায় অবস্থিত তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব,বুদ্ধিজীবি ও আলেম-ওলামাদেরকে ইসলামী ব্যাংকের সাথে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। আমানত সংগ্রহ ও গ্রাহক বৃদ্ধির মানসে তিনি ঢাকার অলিতে গলিতে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। এ জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন।

সুদবিহীন ব্যাংকিং আন্দোলনের পথ প্রদর্শক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর বন্ধুর যাত্রাপথে তিনি নিজেকে দৃঢ় প্রত্যয়ে সম্পৃক্ত করলেন। ইসলামী ব্যাংকের কন্টকাকীর্ণ এ অভিযাত্রায় তিনি সাহসী সেনানীর মত নিজেকে আবিষ্কার করলেন এবং নতুন ধারার ব্যাংকিং এর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে সুদ বর্জনের যুদ্ধে নিজেকে দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে ফেলেন। দিন নাই,রাত নাই, শিশু এ ব্যাংকটিকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্নে তিনি ছিলেন বিভোর। একদিকে নবাগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও অন্যদিকে ব্যাংকের উন্নয়নে তিনি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা পালন করেন। এভাবে হাঁটি হাঁটি পা-পা করে ইসলামী ব্যাংককে বাংলাদেশের ইতিহাসে সফল ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অবিস্মরনীয় ও অভূতপূর্ব। তাঁর দীর্ঘ ৩০ বছরের সদর্প বিচরণে তিনি আইবিবিএল এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা প্রধান , জোন প্রধান ও প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্ব পালনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা অনুকরণীয়। শত বাধা বিপত্তির পরও অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছার সাহসী পদক্ষেপ থেকে তিনি এক বিন্দু পরিমানও পিছুপা হননি। এটি তাঁর ব্যাংকিং জীবনের বড় সার্থকতা। আল কুরআনের বাণী, ‘সুদ হারাম, ব্যবসা হালাল’ এর মর্মার্থ অনুসারে তিনি ইসলামের অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং মতবাদ প্রচার প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে মনে-প্রাণে শরীক হয়েছিলেন।

তিনি ছিলেন একজন আবেগপূর্ণ সাদাসিদে ও প্রচার বিমুখ সাদা মনের মানুষ। সদালাপী ও সহাস্যময়ী ব্যবহার তাঁকে সকলের মাঝে অনন্যসাধারণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মননশীলতার দিক থেকে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। স্রষ্টা ও সৃষ্টির বন্ধনের ক্ষেত্রে তাঁর চেতনাদীপ্ত সাধনা তাঁকে স্রষ্টার সান্নিধ্য অর্জনে অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছে। মানুষের কল্যাণকামীতার দিক থেকেও তিনি অনেকের মাঝে নিজেকে বৈশিষ্ট্যময় করে তুলেছেন।

ম্যানেজারস কন্ফারেন্স ও ব্যাংকের বড়-বড় অনুষ্ঠানে তার দরাজ গলায় ও মনমুগ্ধকর কন্ঠে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের তেলাওয়াত পিনপতন নিস্তব্ধতায় এক আলোকময় স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হতো, তা কখনও ভুলবার মত নয়। যা যুগ যুগ ধরে আল্লাহ প্রেমিক মানুষের হৃদয়-মনে আলোর মশাল জ্বালিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। তাঁর অনুপম আদর্শ-সৌন্দর্যবোধ, শৃঙ্খলা, বিজ্ঞতা, অমায়িক ব্যবহার তাঁর আদর্শিক শত্র“রাও বিমোহিত হয়ে অবলোকন করতেন।

তিনি অত্যন্ত ধীশক্তি সম্পন্ন বহুভাষাবিদ পন্ডিত লোক ছিলেন। তাঁর মেধা ও মনন ছিল অসাধারণ। কুরআনের নির্যাস থেকে তিনি তাঁর সকল কর্তব্যপরায়ণতা ঠিক করে নিয়েছিলেন। কুরআনের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সুচিন্তিতভাবে দ্বীনের আলো ছড়িয়েছেন। আর এভাবে আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের তালিকায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করে রাখার প্রচেষ্টায় ভুল করেননি একটুও।

ব্যাংকের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন সর্বত্র এবং সর্ব মহলে, মতাদর্শ নির্বিশেষে তিনি সকলের নিকট গ্রহণীয় ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বস্তুতপক্ষে, তিনি ছিলেন ইসলামী ব্যাংকিং আন্দোলনের খুঁটি। তাঁর অবসর গ্রহণে আমরা ব্যথিত; কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও ব্যাংক একজন সত্যনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীকে হারাল। সময়ের পালাবদলে কেবল তা হাড়ে হাড়ে টের পাবে সকলে। বর্নাঢ্য ব্যাংকিং জীবনে তিনি আইবিবিএল এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ শাখা ও বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এসএমই ডিভিশন,ঢাকা দক্ষিণ জোন,বৈদেশিক বানিজ্য শাখা,লোকাল অফিস,চক মোগলটুলি শাখা, খুলনা শাখা,খাতুন গঞ্জ শাখা,মিরপুর শাখা ও সর্বশেষ আইবিটিআরএর মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন কর্পোরেট শাখা ও বিভাগে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন একজন কর্ম পাগল মানুষ। বাতিলের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে নিজ আদর্শে অবিচল থেকে বিরামহীনভাবে কাজ করে গেছেন। এমন লোকের সংখ্যা আমাদের সমাজে বিরল।

বর্নাঢ্য ব্যাংকিং জীবনে তিনি আইবিবিএল এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ শাখা বিভাগে সদর্প কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করেন। তিনি প্রধান কার্যালয়ের এসএমই ডিভিশন, ঢাকা দক্ষিণ জোন,বৈদেশিক বানিজ্য শাখা,লোকাল অফিস,চক মোগলটুলী শাখা,খুলনা শাখা,খাতুনগন্জ শাখা, মিরপুর শাখাসহ বিভিন্ন কর্পোরেট শাখা ও বিভাগে ও সর্বশেষ ০২-০৫-২০১১ ইং থেকে ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং এন্ড রিসার্স একাডেমীর মহা পরিচালক হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বহু গ্রন্থ প্রণেতা সব্যসাচী লেখক, দার্শনিক ও ইসলামী চিন্তাবিদ। এ পর্যন্ত ৫টি গ্রন্থ রচনা ও ১টি অনুবাদ করেন। বইগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা,মুসলমানদের নিকট আল কোরানের দাবী,মাহে রমযান ও আল কোরআন,হালাল উপার্জনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব,জুমার দিনের মর্যাদা,এসএমই ও কনজ্যুমার ব্যাংকিং। তাছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অনেকগুলো অপ্রকাশিত পান্ডুলিপিও রয়েছে। তিনি ইসলামিক ইকনোমিক্স রিসার্স ব্যুরোর একজন সম্মাানিত ফেলো এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন পরিচালিত ব্যাংকিং কোর্সের একজন সম্মানিত প্রশিক্ষক।

জনাব সালেহ তাঁর বর্ণাঢ্য ব্যাংকিং জীবনের সফলতার নিরবিচ্ছিন্ন ৩৫ বছর ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এ ৩০ বছর অতিক্রম করে গত ৩০মে ২০১৩ ইংরেজী তাঁর প্রাণ প্রিয় এ ব্যাংক থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি ৫ সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী একজন মেধাবী নারী হিসাবে সুপরিচিত। বিদায়ের প্রাক্কালে আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর দরবারে কায়মনোবাক্যে তাঁর দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও স্বাচ্ছন্দময় জীবনসহ পারিবারিক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। আমিন।

বিষয়: বিবিধ

১৭৫২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

356300
০৬ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ। উনি চট্টগ্রামে জোনাল দায়িত্বে থাকাকালে পরিচয় হয়েছিল উনার এক আত্মিয় এর মাধ্যমে।
356383
০৭ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
ওসমান গনি লিখেছেন : ব্রদার সবজ আপনি যার কথা বলছেন তিনি সেই সালেহ সাহেব নন। তিনি সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। নামের কিছুটা মিল থাকলেও ভিন্ন লোক। দুজনই আইবিবিএল এর লোক ঠিক আছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File