জাফর ইকবাল স্যার, আমাদের কিছু প্রশ্ন ছিল...

লিখেছেন লিখেছেন উকিল চাচা ম্যাট্রিক পাশ ১৪ মে, ২০১৫, ১২:৫৪:৪০ দুপুর

মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার,

আমি আপনার একজন ছাত্র।দেশে যে কয়েকজন প্রথম শ্রেনীর বুদ্ধিজীবী রয়েছে,তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম।

নিশ্চয় আপনার জ্ঞান,বুদ্ধিমত্তা এবং বিচক্ষনতা প্রশংসার দাবী রাখে।

আপনার লেখা বইগুলো যারা মন্ত্র মুগ্ধের মত গিলে,আমি তাদের একজন।আমি আপনার একজন নিয়মিত কলাম পাঠকও বটে।

আপনি আপনার কলামে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা,

কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশের কলা-কৌশল,মানবতা,দেশপ্রেম ইত্যাদি অতি নিখুতরূপে ফুটিয়ে তুলেন।

কিছুদিন আগে আপনি যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে 'কিন্তু'

শিরোনামে একটি জ্ঞানগর্ভ মূলক কলাম লিখেছিলেন। আপনি আপনার লেখায় ক্ষুব্ধ,বিক্ষুব্ধ হয়ে বাঙলা ভাষার অভিধান থেকে 'কিন্ত' শব্দটি বাতিল করার ইচ্ছা পোষন করেছেন।

যদিও ওই কলামের সাথে আমার দ্বিমত ছিল,তথাপি আপনার দেশপ্রেমের চেতনায় আঘাত না করাটাই শ্রেয় মনে করেছিলাম।

জনাব,

আপনার কি সিলেটের সেই নুরজাহান বেগমের কথা মনে আছে?

যার দাড়িওয়ালা স্বামী (আপনাদের

সুশীলীয় ভাষায় মৌলবাদী) তাকে বাইরে চলাফেরা করার সময় হিজাব পরিধান করতে বললে নুরজাহান স্বামীর গালে একদলা থুথু মেরেছিল।

সেই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন তো ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিখে ফেলেছিলেন কালজয়ী এক উপন্যাস(!)

দেখিয়েছিলেন,দাড়িওয়ালারা কত খারাপ হয়!

কতটা পাশবিক হলে একজন স্ত্রী নিজের স্বামীর মুখে থুথু ছিটাতে পারে।

রাতারাতি নুরজাহান বেগমকে টাইমলাইটে নিয়ে আসা হল।

আর নুরজাহান বেগম পেয়েছিলেন বীরঙ্গনা খেতাব।

মিলন সাহেব লিখেছিলেন- 'এরকম নুরজাহানরা যেন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে জন্ম নেয় '।

নুরজাহানরা বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে জন্ম

নেয় কিনা জানিনা,তবে ঐশীদের মত বীরঙ্গনারা জন্ম নেয় সেটা জানি, যাদের হাতে খুন হয় জন্মদাতা পিতা আর জন্মধাত্রী মা।

স্যার,

আপনার মনে আছে প্রয়াত চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদের কথা?

যিনি তার 'রানওয়ে' ছবিতে দেখিয়েছিলেন একজন

দাড়িওয়ালা হুজুর কি করে একটি ছেলেকে জঙ্গী বানায়।

নিঃসন্দেহে ওই ছবিটি আপনার প্রিয় ছবিগুলোর একটি।

স্যার,

আমি আপনাকে ভালবাসি, পছন্দ করি।আর পছন্দ করি বলেই আপনাকে নিয়ে লিখতে বসা।

আপনি প্রচলিত অসংগতি আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।

আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি, শ্রদ্ধা করি আপনার চিন্তা-চেতনাকে।

এই সমাজটাকে বদলে দিতে আপনাদের মত কয়েকজন বুদ্ধিজীবীই যথেষ্ট।

তবে আমরা খুব বেশি আশাহত হই,আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে চূর্নবিচূর্ন হয়ে যায়,

জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকা আমাদের আশার প্রদীপটা দপ করে নিভে যায়, যখন দেখি আপনি বা আপনারা কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা দলকে তুষ্ট করতেই কলম ধরেন, কথা বলেন।

কোন বিশেষ গোষ্ঠীর মন রক্ষার্থে,সম্মান রক্ষার্থে, তাদের প্রিয়ভাজন হতে,তাদের বিরাগ ভাজন না হওয়ার জন্য যখন আপনাদের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখি, তখন আমরা খুব মর্মাহত হই স্যার।

দেশে প্রতিদিন অনেক প্রীতিকর-অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

আমাদের সুশীলসমাজ এসব ঘটনার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে কথা বলেন।

কিছুদিন আগে রাজধানীতে ডা.শামারুখ মাহজাবীন নামের এক তরুণ মহিলা ডাক্তার খুন হন।মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে শামারুখ মাহজাবীন তার বাবাকে ফোন করে বলেন তাকে যেন সেখান থেকে (শ্বশুর বাড়ি) নিয়ে যায়।

নাহলে তিনি নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছিলেন।ঠিক এর কয়েক মূহুর্ত পরেই ড. শামারুখ মাহজাবীন খুন হন।

তার পরিবারের দাবি, তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়।এর আগেও শামারুখ ফোন করে বাবা-মা কে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের কথা জানাতেন।

পোষ্টমর্টেম রিপোর্টও ইঙ্গিত দিয়েছিল সেটি আত্মহত্যা নয়, খুন।

এটি নিয়ে মিডিয়ায় খুব বেশি তোলপাড় দেখা যায়নি।হয়তবা মিডিয়াকে তোলপাড় করতে দেওয়া হয়নি।

কিন্ত, এরকম একজন তরুণ ডাক্তারের অকালমৃত্যু,

যে কিনা হতে পারত একজন আদর্শ চিকিৎসক,

নারীদের জন্য হতে পারত আইডল,

তার এরকম মৃত্যু কি আপনাকে বা আপনাদের একটুও ভাবায়নি স্যার?আপনার দয়ালু,নরম আর আবেগী হৃদয় কি একটুও ব্যথা পায়নি তার জন্য?

আপনার বিবেক কি একটুও আপনাকে সাঁয় দেয়নি শামারুখ মাহজাবীনের জন্য দু'কলম লিখতে?

কিন্ত আপনি লিখেন নি।লিখেন নি, কারন শামারুখ মাহজাবীনের শ্বশুর ছিলেন একজন সাবেক সংসদ সদস্য।তিনি মুক্তিযুদ্ধের এক বিশেষ ফিল্টারিত চেতনা বুকে ধারন করেন।

যে চেতনা বুকে ধারন করলে ব্যক্তির সাতখুন মাফ হয়ে যায়।

স্যার, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমদাদুল হক মিলন কি লিখতে পারতেন না আরেকটি কালজয়ী উপন্যাস?

যেখানে দেখা যেত, শামারুখদের মত প্রতিভাবানদের যারা খুন করে,তারা যত উচ্চ পদস্থ মন্ত্রী/নেতা/কর্তাই হোক না কেন,তাদের মুখে ঘৃণা নিয়ে থুথু ছিটাচ্ছে মানুষ।

এটা নিয়ে লিখলে কি বইমেলায় উনি খুব ফ্লপ খেতেন?জনপ্রিয়তা কমে যেত?

এটা নিয়ে আপনি তো 'প্রথম আলো' তে লিখতে পারতেন কোন কলাম।কিংবা আপনার ফেইসবুক ভেরিফাইড পেইজে।

লিখলে কি আপনার ফেইসবুকে খুব বেশি লাইক খরা দেখা দিত,স্যার?

আপনি প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে খুব মাতামাতি করেন।

আপনি বলেছেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষার দরকার নেই,তবু তাদের ক্রিমিনাল বানাবেন না।

আপনার এসব মহতী আন্দোলন দেখে আমরা সত্যিই খুবই আপ্লুত হই।

তবে, আমরা আরো বেশি খুশি আর আনন্দে আপ্লুত হতাম যদি আপনার এই আন্দোলন ফেইসবুক এবং শহীদ মিনারের সীমানা ক্রস করে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবন কিংবা সংসদ ভবনের দোড়গোড়া পর্যন্ত যেতে পারত।

স্যার, যে শিক্ষাব্যবস্থার আপনি সমালোচনা করেন,

যে শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের কোমলমতি শিশুদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়ে ক্রিমিনাল বানাচ্ছে,

সেই শিক্ষা কমিশনের আপনিও একজন সদস্য। ত্রুটিপূর্ন, জালিয়াতি শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে আপনি যখন ক্যামেরার সামনে চিৎকার করে বলেন,- 'আমাদের সন্তানদের শিক্ষার দরকার নেই, দয়া করে তাদের ক্রিমিনাল বানাবেন না' ,

তখন সেটি আমাদের কাছে 'মাছের মায়ের পুত্রশোক' এর মত লাগে।

আপনি কি পারতেন না শিক্ষামন্ত্রীর হাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এরকম শিক্ষাব্যবস্থা আর শিক্ষাকমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখাতে?

আমরা অন্তত বুক ফুলিয়ে বলতে পারতাম, আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার কোন নোংরা শিক্ষাকমিশনের সাথে ছিলেন না।

কিন্ত, আমাদের আশায় গুড়েবালি।

স্যার, আপনি কিছুদিন আগে অভিজিৎ হত্যাকান্ড নিয়ে ম্যালা আপসোস করেছিলেন।

আপসোস আমরাও করেছি।

এরকম একজন প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ারের এরকম মৃত্যু কখনোই প্রত্যাশিত নয়।

তবে, অভিজিৎ ভাল করতেন যদি তিনি মুক্তমনা ব্লগে উঠতি ছেলেমেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ দিতেন।

কিন্ত, তিনি মুক্তমনা ব্লগে কেবলই কুৎসা রটিয়ে গেছেন।

দেশের ৯০% ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মনে তিনি আঘাত দিয়েছিলেন।

তিনি মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে উস্কে দিতেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কুৎসিত, অসভ্য, অশ্লিল, অশ্রাব্য, নোংরা কথাবার্তা লিখে ধর্মে উস্কানি দেওয়া কখনোই বাকস্বাধীনতা হতে পারেনা।বলতে গেলে, উনার এরকম পরিনতির জন্য উনি নিজেই অনেকাংশে দায়ী।আপনি তরুণ এবং প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ হত্যাকান্ড নিয়ে আপসোস করলেও, তরুন ডাক্তার শামারুখ মাহাজাবীন হত্যাকান্ড নিয়ে আপনার কোনরকম মাথাব্যথা ছিলনা।

যাইহোক, আপনি সেবার বলেছেন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনি খুব চিন্তিত।

স্যার, বিশ্বাস করুন, শুধু আপনি নন, আমরাও চিন্তিত।দেশের অধিকাংশ মানুষ আজ ঘর থেকে অনিশ্চয়তা নিয়ে বের হয়।

সকালে বের হলে, সন্ধ্যায় যে ফিরতে পারবে, এরকম নিশ্চয়তা নিয়ে কেউ বের হতে পারেনা।

আপনি লিখেছিলেন, যখন কোন মৌলবাদী কাউকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয়,তখন আপনি মৌলবাদীর আক্রমনের শিকার ওই ব্যক্তির জায়গায় নিজেকে কল্পনা করেন, আর ভাবেন এক বিভৎ দৃশ্যের কথা।মৌলবাদীরা আপনার মাথায় আঘাত করছে, ছুরি দিয়ে কেটে দিচ্ছে গলা।

আবার যখন কোন অবরোধকারী পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে কোন বাস,

তখন আপনি নিজেকে ওই বাসের ভিতরে কল্পনা করেন।

আপনি ভাবেন, আপনি জ্বলন্ত বাসের মধ্যে।

বাসটা জ্বলছে দাউ দাউ করে।জ্বলছেন আপনি।

স্যার, খুব জানতে ইচ্ছে করছে, যখন রাতের অন্ধকারে যার্ব আর পুলিশবাহিনী সরকারের বিপক্ষ মতের কোন ব্যক্তিকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্রস ফায়ারে হত্যা করে,তখন কি আপনি নিজেকে ওই ব্যক্তির জায়গায় কল্পনা করেন?

নাকি তখন নিজেকে যার্বের ভূমিকায় কল্পনা করতেই আপনার ভাল লাগে? নাকি আপনি বা আপনারা এসব ব্যাপারে একদম অনুভূতিহীন?

যখন বিশ্বজিৎদের রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়,

তখন কি আপনি নিজেকে বিশ্বজিৎদের জায়গায় ভাবতে পারেন?

যখন বেডরুমে ঢুকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনিদের হত্যা করা হয়, তখন আপনি নিজেকে কোন ভূমিকায় কল্পনা করতে ভালবাসেন?

হত্যাকারী? ভুক্তভোগী? নাকি নীরব দর্শক?

জনাব,

আপনারাই তো কথায় কথায় অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আওড়ান।

ব্লগার অনন্ত দাশ হত্যায় আপনি বলেছেন, - 'তোমরা যারা এইভাবে সত্যি কথা বলবে, তাদের এভাবেই মরতে হবে'।

কোনগুলো সত্যি কথা? ইসলামের নামে কুৎসা রটানো? ইসলামের নবী-রাসূলের চরিত্র নিয়ে নোংরা স্যাটায়ার লিখাই বুঝি সত্য কথা?

যে মহান পয়গম্বরের চরিত্র, সততা,সত্যবাদিতা,অনন্য সাধারন সাংগঠনিক ক্ষমতা পৃবিবীর তাবৎ বিজ্ঞ মনীষীগন এক বাক্যে স্বীকার করেন,

তার নামে ব্লগে কয়েকজন কু-মস্তিষ্ক সম্পন্ন যুবক যদি নোংরা কথা লিখে, আপনার কাছে কি তা সত্য কথা হয়ে যায়?

তারা কি এসব করলেই বিজ্ঞানমনস্ক বনে যায়?

স্যার, অনেক কিছুই আপনার কাছে জানার ছিল।

তবে, আমরা ব্যথিত যে, আমরা আপনাকে বা আপনাদেরকে যেরকম নিরপেক্ষ, সমানভাবে সমাজের সব অসংগতির বিরুদ্ধে চেয়েছিলাম,

আপনি বা আপনারা ঠিক তার বীপরিত মেরুতে চলে গেছেন।

আপনাদের লেখা, আপনাদের চিন্তা-চেতনা এখন কেবল শুধুই একটি বিশেষ মহলকে তুষ্ট করার জন্য।

সমাজ থেকে যাবতীয় অসংগতি,কুসংস্কার আর প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্যে নয়...............

বিষয়: বিবিধ

১৬২৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

319995
১৪ মে ২০১৫ দুপুর ০১:০৯
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া এতো করুন মিনতি করেন কেন ! ! আরণ্যে রোদন করে লাভ আছে ! নিজের বুদ্ধীর বিকাশের চেষ্টা করেন দেখবেন এক সময় আপনি ও বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা অর্জন করতে পারবেন ।

ধন্যবাদ ভাইয়া ।

320007
১৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:০২
উকিল চাচা ম্যাট্রিক পাশ লিখেছেন : আমি সেরকম বুদ্ধিবেশ্যা হতে চাইনা আপি......
320009
১৪ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
320019
১৪ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:২৫
উকিল চাচা ম্যাট্রিক পাশ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া..

320026
১৪ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫২
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : যে যে আদর্শে বিশ্বাস করে সে সেই আদর্শেরই গুনগান গাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অন্ধ সমর্থক হওয়া একজন শিক্ষকের অনুচিত।
320042
১৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১০
শেখের পোলা লিখেছেন : উকিল চাচা, আপনাকে সবিনয়ে নিবেদন একটু চেষ্টাকরে ইন্টারটা পাশ করুন, তার পর আরও সামনে৷ তাহলে আরও ভাল হৃদয় গ্রাহী লেখায় আরও দামী জুতা ব্যবহারের যোগ্যতা অর্জন করবেন৷আপনাকে সালাম৷
320046
১৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৮
উকিল চাচা ম্যাট্রিক পাশ লিখেছেন : সহমত ভাইয়া
320047
১৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৯
উকিল চাচা ম্যাট্রিক পাশ লিখেছেন : আমি কিন্তু কেবল ম্যাট্রিক পাশ নই..

320090
১৪ মে ২০১৫ রাত ১০:১৩
মাটিরলাঠি লিখেছেন : পাশের নীল বাঁকানো তীরে ক্লিক করে কমেন্টের উত্তর দিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File