জেরুজালেম ইজ দ্য ক্যাপিট্যাল অব প্যালেস্টাইন....

লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:১০:১৩ সন্ধ্যা



“জেরুজালেম ইজ দ্য ক্যাপিট্যাল অব প্যালেস্টাইন” শিরোনামে উল্লেখিত লেখাটি এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীগণের সর্বাধিক ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার বলে মনে হচ্ছে। আমি নিজেও ট্রাম্প ঘোষিত ইসরাইলের রাজধানী জেরুজালেম (!) স্বীকৃতির এই অনৈতিক, অযৌক্তিক এবং চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রোফাইল পরিবর্তন করে মজলুম প্যালেস্টাইনিদের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেছি। বৃটিশ সৃষ্ট ও মার্কিন লালিত বিশ্বের কৃত্রিম ও অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। বর্তমান বিশ্বের সকল অশান্তি মূলতঃ এই রাষ্ট্রটিকে টিকিয়ে রাখতেই তৈরি হচ্ছে। ট্রাম্পের এই ঘোষণা শান্তিকামী মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিক্ষোভে উত্তাল পুরো দুনিয়া। ওআইসি, সৌদি আরব, ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক, লেবানন, তিউনিশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ইন্দোশিয়ায় মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। সর্বস্তরের ফিলিস্তিনিরা রাজপথে নেমেছে। ইসরাইলী বাহিনীর দানবীয় উন্মত্তাও চলছে। হামাস, ফাতাহ, লেবাননের হিজবুল্লাহসহ ইসলামী আন্দোলনগুলো জনতাকে সাথে নিয়ে বিক্ষোভ করছে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি বলেছে, “ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র শহর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষণার মধ্য দিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে বৈধতা দেয়া যাবে না। কারণ ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী বায়তুল মুকাদ্দাস হচ্ছে ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।” উল্লেখ্য যে, প্যাালেস্টাইনে ইসরাইলী দখলদারিত্ব কায়েমের মাধ্যমে মসজিদুল আকসায় (১৯৬৯ সালে) অগ্নিসংযোগকে কেন্দ্র করে ওআইসি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। ওআইসি প্রথম দিকে শক্তিশালী ভুমিকা পালন করলেও ক্রমে প্রত্যাশিত ভুমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে জায়নিস্ট শক্তি প্যালেস্টাইনসহ পুরো বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টি করছে। সেটা যে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনে তা সবাই জানে!

এতদিন পর্যন্ত তেলআবিব শহর ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃত ছিল। আর জেরুজালেম ছিল প্যাালেস্টাইনের রাজধানী। জাতি হিসেবে ইয়াহুদীদের কোন দেশ নেই, এই ধারণাকে সামনে রেখে বৃটিশ শক্তি ইসরাইল নামক কৃত্রিম রাষ্ট্র কায়েম করেছিল। কিন্তু একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দখল করার পর ৭০ বৎসর চলছে। আবার আগ্রাসী তৎপরতা চালানোর কোন যুক্তি আছে কি? মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মুসলিমদের পবিত্রভূমি জেরুজালেমকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের একতরফা স্বীকৃতি ‘অন্যায্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সৌদি আরব বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। তিনি বলেছেন, ‘এধরনের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত মুসলিম বিশ্ব মেনে নেবে না।’ অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, “স্পষ্টতই এটা ইসরাইলের প্রতি একটি পুরস্কার। আর এই স্বীকৃতি যে ফিলিস্তিনের ভূমি ক্রমাগত দখল করতে ইসরাইলকে উৎসাহিত করবে।” বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের এ সিদ্ধান্ত চরম আগ্রাসী। এর মাধ্যমে সব শান্তি প্রক্রিয়ার মৃত্যু হলো।” তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, ট্রাম্পের ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান আরো জোরদার করবেন বলে জানান। ফিলিস্তিনের স্বাধীন আবাসভুমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ইরানের সেনা প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, “বায়তুল মোকাদ্দাস শহর ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পদ এবং এ শহর ইয়াহুদিবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিরোধ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। মুসলিম উম্মাহর অবিচ্ছেদ্য অংশ বাইতুল মোকাদ্দাসের ওপর অন্য কোনো জাতিকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অধিকার বিশ্বের মুসলমানরা দেবে না।” মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকও বিশ্বের মুসলমানদের ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখানের আহ্বান জানান।

প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস মুসলমানদের ‘কলিজা’র ন্যায়। জেরুজালেম নগরী মুসলমানদেরই, এতে কারো দ্বিমত, সন্দেহ এবং নাক গলানোর অধিকার থাকতে পারে না। ইসরাইল কোন অনৈতিক দাবি করতে পারে না। তাদের দাবি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যার বেসাতি। ইতিহাস বলছে, জেরুজালেমসহ পুরো প্যালেস্টাইনী ভুমি আরবদের এবং বিশেষত প্যালেস্টাইনীদের। ট্রাম্প কেন এই সময়টি বেছে নিলেন-তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই! এটা কলুষিত বৈশ্বিক রাজনীতির ধারা বৈকি! যা দেখে আসছি দীর্ঘকাল ধরে। কেন জানি প্রতিটি মার্কিন প্রেসিডেন্টই ইয়াহুদীদের অন্যায্য দাবি মেটাতে এক অদৃশ্য অঙ্গীকারে আবদ্ধ থাকেন। ট্রা¤প ইসরাইলকে দেয়া নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে এগিয়ে এসে ঘোষণা করলেন জেরুজালেমে মার্কিন দুতাবাস স্থানান্তর করবেন! আসলে প্রতিটি অজনপ্রিয় এবং স্বৈরাচারী শাসকই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ধূর্ত রাজনৈতিক চাল দেন। ট্রাম্পের পাগলামিতে মার্কিনীরা অতিষ্ঠ, কখন যে অভিশংসনের মুখোমুখি হন তার ঠিক নেই। ফলে ট্রাম্পের অবস্থান টলমলে! অন্যদিকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এখন দুর্নীতির তদন্ত চলছে। বিরোধী দল তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। পুলিশ এবং তদন্তকারীসংস্থা যাতে কোন তথ্য ফাঁস না করে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কোন সুযোগ না পায় তাই ট্রাম্পের মাধ্যমে দাবার চাল দিল। যাতে দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হয়। এক ঢিলে যাতে কয়েকটি পাখি শিকার করতে পারেন। তবে ইয়াহুদীদের বৃহত্তর ইসরাইল গঠনে যে গোপন পরিকল্পনা তার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে তা নির্ধিদ্বায় বলা যায়।

জেরুজালেম নগরী ঐতিহাসিক দিক থেকে বিশ্বের ৩টি ধর্মের সাথে সম্পৃক্ততা আছে এবং সবার জন্য অতি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। এরা হলেন মুসলিম, খৃষ্টান ও ইয়াহুদি ধর্মাবলম্বী। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীসহ নেতারা দাবি করে থাকেন, তিন হাজার বছর আগে ইহুদিরাই নাকি এ শহর গড়ে তুলেছে। তাই জেরুসালেম শুধুই ইহুদিদে! অথচ ইসলামের নবী ইব্রাহিম আ: ছিলেন জন্মে ছিলেন আজ থেকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এবং হেবরন নগরীতে তাঁর কবর এখনো আছে ইতিহাসের হিসেবে। এ ব্যাপারে কুরআন সাক্ষী। এরশাদ হয়েছে, ইব্রাহিম ইহুদি বা খৃষ্টান ছিলেন না, মুশরিকদের দলভুক্তও ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমান (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৬৭)। খৃষ্টীয় সপ্তম শতকে আমিরুল মোমেনীন হযরত উমরের জেরুজালেম সফরের কথা আমরা জানি। তাঁর আমলে আবার মুসলিম সাম্রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত হয়। তিনি শহরের অধিবাসীদের অভয় দেন এবং নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করেন। খৃষ্টান পাদ্রী সফ্রোনিয়াস বাইবেলের একটি ভবিষ্যতবাণী জানতেন। বাণীটি হলো, “একজন দরিদ্র এবং ন্যায়পরায়ন ও শক্তিশালী ব্যক্তি জেরুজালেমের খৃষ্টানদের রক্ষক এবং বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হবেন।” সফ্রোনিয়াস বিশ্বাস করতেন, তিনি হলেন সাদাসিধে জীবনযাপনকারী খলিফা হযরত উমর। আলেক্সান্দ্রিয়ার পেট্রিয়াক ইউটিকিয়াসের লেখা, “উমর চার্চ অব দ্য হলি সেপালচার পরিদর্শন করেন এবং উঠোনে বসেন। সালাতের সময় হলে তিনি চার্চের বাইরে গিয়ে সালাত আদায় করেন, যাতে কেউ পরবর্তীতে তার সালাতের কারণকে ব্যবহার করে চার্চকে মসজিদে রূপান্তর না করেন।” তিনি উল্লেখ করেন যে, উমর একটি আদেশ নামা লিখে তা পেট্রিয়ার্ককে হস্তান্তর করেন। এতে মুসলমানদের প্রার্থনা করতে নিষেধ করা হয় বলে উল্লেখ আছে। ১০৯৯ সালে প্রথম ক্রুসেডের সময় খৃষ্টানবাহিনী জেরুজালেম দখল করে এবং ১১৮৭ সালে ২ অক্টোবর সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী আবার জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। মধ্যখানে জেরুজালেমের উপর অনেক ঝড়-ঝাপটা বয়ে গিয়েছিল।

বিশ শতকের ১৯১৮ সালে বৃটিশ বেলফোর ডিক্লারেশনের মাধ্যমে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের আরব ইসরাইল যুদ্ধের সময় জর্ডান কর্তৃক অধিকৃত হয় জেরুজালেম। ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম আবারও দখল করে নেয়। ১৯৭৪ সালে আরব দেশগুলো পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তেল অবরোধ করে এবং মিশরের সুয়েজখাল দিয়ে পশ্চিমা জাহাজ চলাচলে বাধা প্রদান করেন। জেরুজালেম বর্তমানে ইয়াহুদীবাদী শক্তির আধিপত্য বিদ্যমান। ইসরাইলের অংশ ঘোষণা করলেও জাতিসংঘ নিরপত্তা পরিষদের ৪৭৮ নং প্রস্তাব দ্বারা বাতিল করা হয়। ফলে আন্তজার্তিক সম্প্রদায় প্যালেস্টাইনের অংশ হিসেবে জেরুজালেমকে গণ্য করে। ইতিহাস বলছে জেরুজালেম প্যালেস্টাইনের অংশ এবং তাদের সকল কেন্দ্রবিন্দু মসজিদুল আকসাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়। যেকোন বিবেচনায় জেরুজালেম প্যালেস্টাইনের রাজধানী এটা মেনে নিতে হবে সকল মহলকে এবং মানতে বাধ্য করতে জাতিসংঘকেই। ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাহার না করলে অবস্থার চরম অবনতি হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বছর পুর্তি হবে আগামী ২০শে জানুয়ারী। আমি অন্য একটি নিবন্ধে “ট্রাম্পের ভয়ংঙ্কর মধ্যপ্রাচ্য নীতি” সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়েছিলাম। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় ইসরাইল আরো আগ্রাসী হয়ের উঠবে। ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর পরই পশ্চিত তীরে আরো ইয়াহুদী বসতি স্থাপনের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। ফলে বেপরোয়া ইসরাইলের ভ্রান্ত নীতির কবলে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে আবারো সঙ্কট ঘনীভুত হলো। চীন ও রাশিয়া সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও বৃটিশরা ধূর্তরা আশ্রয় নিয়েছেন। প্রথমে তো তথাকথিত শান্তিচুক্তির মৃত্যু হবে। কারণ আর কোন আলোচনার অবকাশ নেই। হামাস ও ফাতাহ ট্রাম্পের ক্ষমতায় আরোহনের পর সম্ভাব্য বিপদ বুঝতে পেরে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আর যেহেতু জেরুজালেম যদি ইসরাইলের রাজধানীই হয় দুই রাষ্ট্রভিত্তিক যে ধারণার মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা তার অপমৃত্যু ঘটবে। সমাধানের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম। ক্রমে মিডলইস্টে আমেরিকা ও ইয়াহুদিবাদী ইসরাইল বিরোধী তৎপরতা আরো বাড়বেই। ট্রাম্প হয়ত মনে করছেন সৌদি আরব-ইয়েমেন সংকট, ইয়েমেনের উপর সৌদি জোটের অবরোধ, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ, সৌদি আরব-ইরান ¯œায়ুযুদ্ধ, কুর্দিস্তানের গণভোট এবং আইএস দানবে অতিষ্ঠতার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করা সহজ হতে পারে! মনে হচ্ছে বৈশ্বিক রাজনীতি এখন আবারও সেই ফিলিস্তিন ইসরাইলের প্রতি আবারও নিবদ্ধ হবে। ট্রাম্পের এই উদ্ভট সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে পরিণাম যে অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে তার আলামত ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে বিশ্বব্যাপী তার প্রতিক্রিয়ায়।

নিবন্ধকার : লেখক ও গবেষক-চট্টগ্রাম।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৬০৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384561
১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ রাত ০৮:১৯
হতভাগা লিখেছেন : আমেরিকা বা ইসরায়েল যা বলে তা করে দেখায় । আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া বেশী কিছু করার সামর্থ্য নেই।
384562
১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
384584
২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ সকাল ১০:২৫
সাদাচোখে লিখেছেন : আস্‌সালামুআলাইকুম!
শুধুমাত্র 'দ্যা গ্রেট প্রতারক' ও তার বাহিনী ইয়াজুজ ও মাজুজ এর শিক্ষা, ইতিহাস ও মিডিয়া র খবরাখবরের মাধ্যমে পৃথিবীর পবিত্র ও বরকতময় ভূমির হাত বদলাবদলীর বিচার বিশ্লেষন করলে - আর তার আলোকে লিখতে গেলে - এমন ধরনের মতামত, আলোচনা ও অমন অযৌক্তিক আশাবাদ ও প্রত্যাশা এবং ভবিষ্যতবানীর ই প্রকাশ হবে, যার সাথে সত্যের সম্পর্ক হবে তুলনামূলক ক্ষীন, দূর্বল, ধাঁধাঁ টাইপ কিছু একটা।

কিন্তু মাজমাউল বাহরাইন তথা দুই সাগরের মিলনস্থল কিংবা ডিভাইন ও স্যেকুলার নলেজ এর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষন করলে তা হবে তুলনামূলক সত্যের অধিকতর নিকটবর্তী, স্ট্রং এবং পরিচ্ছন্ন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File