পহেলা বৈশাখ,আসলেই কি.....? ﹏﹏﹏﹏﹏﹏﹏﹏﹏﹏﹏﹏﹏

লিখেছেন লিখেছেন অগ্নিবীণা ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:০৬:২৩ সকাল



✍✍✍বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ আবহমান কাল ধরে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে৷

বিশেষত সম্রাট আকবরের সময় বাংলা সনের প্রবর্তন এবং তখনই পহেলা বৈশাখ ও নবান্ন উৎসব পালনের আনুষ্ঠানিক রেওয়াজ শুরু হয়।

তবে আকবরের রাজপুত বংশীয় স্ত্রীদের প্রভাবে মুসলিম সংস্কৃতিতে হিন্দুয়ানী রসম-রেওয়াজ ও কুসংস্কারের অনুপ্রবেশ ঘটে!

সেই সেই সূত্রে আজো পহেলা বৈশাখ এলে অনেক বাঙ্গালী(?) তরুণ-তরুনী বাঁশি ঢোল তবলা, হাতি, ঘোড়া কুলা ও মূর্তিচিহ্নিত বিভিন্ন নকশা গায়ে এবং পোশাকে আঁকে - যা ইসলামী আদর্শের পরিপন্থি!

এছাড়া মেয়েদের লাল শাড়ী, হলুদ বা বাসন্তি রঙের শাড়ী,খোঁপায় গাঁদাফুল আর রঙিন ফিতা, মুখে জরি আর ট্যাটু,পায়ে আলতা আর নুপুর, নখে নেইল পালিশ আর কপালে লাল টিপ, এ সবাই যেনো আকবরের নৃত্যশালায় রক্ষিত নর্তকীদের কথাই স্মরণ করে দেয়!!

যাদের দেখতে আস্তহনুমান ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না!

এসব হনুমান টাইপের সাজে সজ্জিত হয়ে তরুণ তরুণীরা অংশগ্রহণ করে কনসার্ট নামের ঐ বেশ্যাখানায়!

ওরা সেথায় একসাথে নাচে গানে থাকে ব্যাকুল!

দেশের মূল শহর গুলোতে আপত্তিকর জুটির উচ্ছৃঙ্খল পদচারনা, খোলাখুলি ভাবে ক্যাম্পাস, পার্ক ও হোটেলে সস্তাদামে চলে তাদের অবাধ মেলামেশা!

সেই সাথে খাওয়া হয় পান্তা ইলিশ-যা গরীবের প্রতি উপহাস বৈকি!

এসব অসামাজিক কাজ ইসলামধর্মে একেবারেই নিষিদ্ধ!

এ জন্যই সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় "বাঙ্গালী" ও "মুসলমান" পদদু'টিকে আলাদাভাবে দেখেছেন৷

এসব বিজাতীয় কালচার থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে৷

এছাড়াও রমনার বটমূল সহ বিভিন্ন স্থানে গানটি গাওয়া হয়,

"এসো হে বৈশাখ এসো এসো! মুছে যাক গ্লানি, ঘুরে যাক জড়া, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা"

এখানে অগ্নিস্নানের দ্বারা রবীঠাকুর তার ধর্মীয় চেতনার বহিঃপ্রকাশ করেছে৷

অনুধাবন না করে কাকের মতো বকেই যাচ্ছি!

আর এই সব ভাওতাবাজি করে আমাদের ঈমান ধ্বংস করে দিচ্ছে এদেশেই বেড়ে উঠা বিনদেশিদের কিছু দালাল!

অপসংস্কৃতি রুখে দিয়ে আমরা যেনো নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা আর সংস্কৃতি কে ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে পারি।

এই হোক আমাদের আগামীদিনের প্রত্যাশা!!!

⇨আমি পিচ্চি পোলা এতো কথা বলি ক্যান?

বিষয়: বিবিধ

১০৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File