সহিংসতামুক্ত সিটি নির্বাচন হওয়ার প্রত্যাশা, উন্নয়নে জনরায়

লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:১৪:৩৭ বিকাল



অনেকের ধারণা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হবে কিন্তু আমার প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন কি সুষ্ঠু হয়নি? যদি না হয়ে থাকে তাহলে দেশের একাধিক সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয় কি করে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনে ৬ হাজারের বেশি অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অনেক বেশি এগিয়ে আছে কেন? বিএনপি সমর্থিতদের প্রলাপের শেষ নেই। তারা হরহামেশা ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। গোপনে টাকা ব্যয় করে ভোট কিনে ফেলে। আর পেশিশক্তি ব্যবহার করে জয়ী হতে চায় নির্বাচনে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে, মানুষ এখন অনেক সচেতন। তাছাড়া মিডিয়া সকল অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এজন্য কারচুপি করে নির্বাচনে জয়ের আশা কঠিন। তবে বিএনপি বোমাবাজির সংগঠন হিসেবে এখন ঘৃণিত দল। তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে এটাই স্বাভাবিক। মনে রাখা দরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যা কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এদেশে ঘটেছে, তার সবই হয়েছে বিএনপি-জামায়াত এবং স্বৈরশাসকের আমলে। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের অপব্যবহার, কালো টাকা, পেশিশক্তি, দুর্নীতি, লুটপাট এবং দুর্বৃত্তায়নকে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে পরিণত করা হয়েছিল। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও ক্ষমতাসীন বিএনপি ভূতপূর্ব স্বৈরশাসনের ধারাই অব্যাহত রাখে। এভাবেই পঁচাত্তর-পরবর্তী সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জন এবং একটি সুখী সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার সকল সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দেয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জয়ী হলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ধারণা। সেই সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের পাঁচ বছরের দুঃশাসনে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে। হত্যা, সন্ত্রাস, রক্তপাত, জঙ্গিবাদী উত্থানের ফলে বাংলাদেশ পরিণত হয় মৃত্যু উপত্যকায়। জোট আমলে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনকে কারচুপির মাধ্যমে কলুষিত করেছিল বিএনপি-জামায়াত। সেই অপ-নির্বাচনের ধারা পাল্টে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের একক প্রার্থী মনোনীত করার কৃতিত্ব তাঁর। তিনি সবসময় নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ারও পক্ষপাতী। তাছাড়া সহিংসতা ও নাশকতার মধ্যে গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করে অসাধ্য সাধন করেছে। এদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে বর্তমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে বলেই আমার মনে হয়।

বিষয়: বিবিধ

৭০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File