২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা বাংলাদেশকে প্রায় পাকিস্তানী কায়দায় তালেবানী জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল

লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:৩৪:১০ বিকাল

বিএনপি দাবি করে তারা মুক্তিযোদ্ধার দল। কিন্তু কাজ করে ঠিক উল্টো। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুস্পমাল্য অর্পণ করে, কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেয়, রাজাকারদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা দেয়, মন্ত্রী বানায়, যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আঁতাত করে তাদের বিচারকে বাধাগ্রস্থ করার চক্রান্ত করে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে, জাতির পিতাকে অস্বীকার করে। তাহলে বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল হয় কিভাবে? বিএনপি সৃষ্টি থেকে এখন পর্যন্ত যা কিছু করেছে, সব কর্মকান্ডই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। সবশেষে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যখন তারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে প্রায় পাকিস্তানী কায়দায় তালেবানী জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে ফেলেছিল। তারপরও আমরা কি বিএনপিকে মুক্তিযোদ্ধাদের দল বলবো? বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করুক, সেটা আমরা চাই। কিন্তু পাকিস্তানী আইএসআই এর সৃষ্টি বিএনপি কখনোই সেটা করবে না। তাহলে শুধু মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা, আর কাজে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপতৎপরতা, এসব চলবে কতোদিন? স্বাধীনতার ৪৪ বছর চলে যাচ্ছে। তারপরও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, বিএনপি যতোদিন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবে, ততোদিন মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হবে না। বিএনপির কাজই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, সুতরাং তারা অতীতের কর্মকান্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মেনে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমুন্নত রাখার রাজনীতি করা বিএনপির পক্ষে কখনোই সম্ভব হবে না। আর সেকারণেই আমরা বিএনপির উচ্ছেদ চাই। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাওযাকে রাজনীতি বলে না, এটা চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র। চক্রান্তকারী, ষড়যন্ত্রকারীদের এ দেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। বিএনপি-জামাতের স্বাধীনতাবিরোধী অপতৎপরতা উচ্ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

৯৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File