সফটওয়্যার রফতানি করে শত কোটি ডলার আয়ের টার্গেট

লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:২২:৩৬ বিকাল



২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রফতানি করে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার টার্গেট নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ এ্যাসো-সিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে সফটওয়্যার রফতানির কাজ করবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলরকে আইসিটি ডেস্কের দায়িত্ব দিলে তিনি একদিকে যেমন বিদেশে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন, পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি বাজার তৈরি এবং সম্প্রসারণ করতে পারবেন। এ ছাড়া বেসিসের 'বাংলাদেশ নেক্সট' ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সেক্টর বিদেশে তাদের ব্র্যান্ডিং করতে পারবে। সফটওয়্যার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এই শিল্পের বিকাশ ঘটেছে খুব দ্রুত। দেশে প্রায় ১১শ' প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার তৈরি করে। নিজেদের উদ্যোগেই তারা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বাজারজাত করছে। সফটওয়্যার খাতটি আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছে। তাছাড়া এ খাতে নতুন উদ্যোক্তা যেমন যোগ হয়েছে, তেমনি বিদেশীদের আস্থাও বেড়েছে আমাদের ওপর। সে কারণে রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। তবে আমরা এর চেয়েও অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারব বলে আশা করছি। গত অর্থবছর শেষে আয় দাঁড়িয়েছিল ১০ কোটি ১৬ লাখ ডলার। সেখানে লক্ষ্য ছিল সাড়ে আট কোটি ডলার। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিবছর এক বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বেসিস। বর্তমানে সফটওয়্যার বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন সফটওয়্যার শিল্পের মালিকরা। এই খাতে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১১শ' কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি করছে। উদ্যোক্তাদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাব থাকলেও এই শিল্প বিকাশে অনেকেই নিজ উদ্যোগে সফটওয়্যার তৈরি করে যাচ্ছে। এই শিল্প বিকাশের পাশাপাশি বেকারত্বের হারও কমছে। বর্তমানে এই শিল্পের সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ হাজার তথ্যপ্রযুক্তিবিদ কাজ করে যাচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

৮৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File