সংলাপ কেন নয়? ৭১’ এ পেরেছি, ৯০’ এ পেরেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আবারও পারব

লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:৫৩:৫২ বিকাল

এই সরকারের বর্ষপূর্তির থেকেই বিএনপি-জামাত জোট অনিদৃষ্ট কালের জন্য সারাদেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন স্থানে বিছিন্নভাবে পালিত হচ্ছে হরতাল এবং বিক্ষোভ। গত প্রায় ৪১ দিনে অবরোধ–হরতালে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সুশিল সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন সংলাপকে সমাধানের একমাত্র উপায় বলে মনে করেছেন। যদিও সরকার মোটামুটি পরিষ্কার ভাবেই বিএনপি-জামাতের মত জঙ্গি সংগঠনের সাথে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক এই সহিংসতা বন্ধের উপায় কি? সহিংসতা বন্ধের বিকল্প উপায় বের করার পূর্বে আমাদের পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন বিএনপি-জামাতের সাথে কেন সংলাপ নয়?

প্রথমতঃ আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি কন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পেট্রোল বোমা আন্দোলনের হাতিয়ার হতে পারে না।বিএনপি-জামাত কর্তৃক এহেন ধ্বংসলীলার ফসল হিসাবে সরকার সংলাপে রাজি হলে এ দেশে জঙ্গি তৎপরতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হবে।

দ্বিতীয়তঃ ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিবর্তে রাজনৈতিক এমনকি যে কোন সংগঠন সহিংস জঙ্গি আন্দোলনকেই দাবী আদায়ের একমাত্র হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিবে।

তৃতীয়তঃ কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ISIS/ISIL প্রণীত কৌশলকে সমর্থন দেয়া যাবে না।

চতুর্থতঃ চলমান গণতান্ত্রিক সরকারের পুর্ন মেয়াদ পুর্তির পুর্বে সংলাপের মাধ্যমে মধ্যবর্তী নির্বাচন মেনে নেওয়া মানেই এদেশের গণতান্ত্রিক অবকাঠামোকে ধ্বংস করা এবং দেশের সশ্রদ্ধ সর্বোচ্য আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা।

পঞ্চমতঃ সংলাপের অজুহাতে বিএনপির দাবী অনুযায়ী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিয়ে আসার আর কোন সুযোগ নেই।

ষষ্ঠতঃ এরকম শত সহস্র কারনে বিএনপি-জামায়াতের সাথে চলমান পরিস্থিতে সংলাপে বসার কোন যুক্তিকতা নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে এই সহিংসাতা বন্ধ করা যায়? এর উত্তর খুবই সহজ। সরকারের সাথে ১৬ কোটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা ৭১’ পেরেছি এবং ৯০’ পেরেছি। আম জনতা সবাইকে নিয়ে এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলন করতে হবে। আমাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে দুষ্কৃতিকারীরা ভীতু। এদের সংখ্যা নগণ্য। মুক্তি যুদ্ধের চেতনার কথা কেবল মুখে বললেই চলবে না। এই অপশক্তিকে স্তব্ধ করেই সত্যিকার চেতনাতে নাড়া দিতে হবে। হেলাল-হাফিজের সেই বিখ্যাত কবিতার ভাষায় বলতে হয়ঃ “এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার”। আক্ষরিক অর্থে এই জঙ্গি তৎপরতাকে নির্মূল করাই আমাদের বড় যুদ্ধ। আমি যুদ্ধে যেতে চাই। আমি যুদ্ধে যেতে চাই সারা বাংলাদেশকে নিয়ে।

বিষয়: বিবিধ

৮২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File