মধুর জগতে মৌমাছির একচেটিয়ার কারবার। তবে পুরোপুরি রাজত্ব নেই। আরও অনেক কীটপতঙ্গ মধু সংগ্রহ করে। তবে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় হানিপট অ্যান্ট নামের এমন এক পিঁপড়া আছে, যারা নানা ফুল ও গুল্ম থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং মৌমাছির মতোই সেটা সংরক্ষণ করে।
তবে পার্থক্য হলো, মৌমাছির মতো ওরা মধুটাকে কোনো চাকে রাখতে পারে না। নিজেরাই ছোট ছোট ‘চাক’ হয়ে ঝুলে থাকে কলোনির দেয়ালে। পিঁপড়ার পেটই মুধুর চাক।
হানিপট পিঁপড়ার মধ্যে যারা শ্রমিক শ্রেণির, তাদের কাজ হলো ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা। মধুটাকে সরাসরি গিলে ফেলে ওরা নিজের শরীরের পেছনের অংশেই জমা করতে থাকে। আর সেই মধু জমে জমে একপর্যায়ে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে পেছনটা। যখন অবস্থা এমন হয় যে, মধুর ভারে হানিপট অ্যান্ট আর নড়তেই পারছে না তখন ওরা নিজেদের কলোনিতে এসে দেয়াল বা সিলিং ধরে ঝুলে থাকে। এরপর কলোনির অন্য পিঁপড়াদের মাঝে যখন খাবারের সংকট দেখা দেয়, তখন তারা ওই ঝুলে থাকা মধুবাহী পিঁপড়ার থলে থেকেই মধু সংগ্রহ করে।
অনেকসময় আবার এই হানিপট অ্যান্ট অর্থাৎ মধুর ভাণ্ডারওয়ালা পিঁপড়াগুলোকে ‘অপহরণ’ করতে কলোনিতে হামলা চালায় অন্য কীটপতঙ্গ। কারণ স্বাদের বিচারে এই মধু খুব একটা ফেলনা নয়।
মৌচাকের মধুর মতো অত মিষ্টি না হলেও গবেষকরা দেখেছেন, হানিপট অ্যান্টের মধুতেও আছে গ্লুকোজ ও শরীরের জন্য উপকারি সব উপাদান।
সূত্র: বিবিসি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন