অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। শিক্ষাবিদ ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন ভারতের মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে যোগ দেন অধ্যাপনায়। ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে।
ঢাবির শতবর্ষপূর্তি হয়েছে এ বছরের ১ জুলাই। তবে করোনা মহামারির কারণে সেসময় শতবর্ষ উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান করা যায়নি। ওই উদযাপন শুরু হয়েছে গত বুধবার (১ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে সাবেক উপাচার্য কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক রাসেল মাহমুদ।
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান যদি মজবুত না হয় তাহলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানই খুব বেশি উন্নত হওয়ার কথা নয়, লক্ষ্যে পৌঁছানো বেশ কঠিন। প্রাথমিক শিক্ষার ভিত দুর্বল হওয়ায় গত ৫০ বছরে আমরা উচ্চশিক্ষায় অনেকটা পিছিয়ে
জাগো নিউজ: ঢাবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। শতবর্ষ পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এর অংশ হতে পেরে কেমন লাগছে আপনার?
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ সবার কাছে গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধু ঢাবির ছাত্র হিসেবে বাংলা ভাষার যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন ১৯৪৮ সালে এবং পরে ’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-র নির্বাচন ও ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ঢাবির একশ বছরের ইতিহাস এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস, পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক আমলের ২৪ বছরের ইতিহাস—এগুলো একাকার হয়ে আছে। ঢাবির এই ১০০ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, আমাদের পেছনের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে হয়। ১৯২১ সালে যখন ঢাবি প্রতিষ্ঠিত হলো তখন এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী ছিল, এখন আমরা কোন জায়গায় এসেছি, কোথায় অর্থপূর্ণ অবদান রাখতে পেরেছি, কী কারণে সেটা মূল্যায়ন করা দরকার।
জাগো নিউজ: বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাবি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে কি?
আগে যেটা দেখেছি ছাত্ররা নানা কারণে হতাশায় ভোগে, এদের জন্য ছাত্র উপদেষ্টা রাখা হয়েছে, তাদের সঙ্গে যেন শিক্ষার্থীরা উন্মুক্তভাবে যোগাযোগ রাখতে পারে সে ব্যবস্থাটা থাকা দরকার। অনেক সময় ছাত্ররা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে তাদের সমস্যার কথাটা বলতে দ্বিধাবোধ করে। শিক্ষককে বুঝতে হবে বিভাগে কোন শিক্ষার্থীটি আনমনা, একটু অমনোযোগী, হতাশাগ্রস্ত ভাব আছে। তাকে চিহ্নিত করে নিয়ে আসা, কথা বলা, প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া- এ কাজগুলো একজন শিক্ষকের দায়িত্ব
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষা পায়। এই শিক্ষার ভিত্তি গড়ে ওঠে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা থেকেই। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি মৌলিক পাঠকর্মে (কারিকুলাম) ধনী-গরিব সবার জন্য একই ধরনের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়নের আগেই তাকে ঘাতকরা হত্যা করেছে। ফলে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল নবীন প্রজন্মের মাঝে বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। আর সে কারণেই তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে সামগ্রিক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রজাতন্ত্রের সব শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক, অবৈতনিক ও একমুখী ধারার প্রবর্তন করেন। প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান যদি মজবুত না হয় তাহলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানই খুব বেশি উন্নত হওয়ার কথা নয়, লক্ষ্যে পৌঁছানো বেশ কঠিন। প্রাথমিক শিক্ষার ভিত দুর্বল হওয়ায় গত ৫০ বছরে আমরা উচ্চশিক্ষায় অনেকটা পিছিয়ে।
জাগো নিউজ: দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানও কি কমেছে?
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে। তবে উল্লেখ করতে চাই, একটি মজবুত দালান তৈরি করতে যেমন শক্ত ভিত প্রয়োজন, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বা উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্যও প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি গণ্য করা হয়। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, পরিকল্পনা, নির্মাণ ও উন্নয়ন অপরিহার্য। সেই কাজটিই বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। ৫০ বছর একটি দেশের জন্য কম সময় হলেও শিক্ষার জন্য একেবারেই কম নয়। দেশ স্বাধীনের পরই বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রবর্তন করেছিলেন তা যদি অব্যাহত রাখা যেত তাহলে দেশের সার্বিক চিত্রই পাল্টে যেত। আমরা পেতাম মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার মানুষ’। প্রকৃত অর্থেই বিশ্ববিদ্যালয় হতো তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তির উন্মেষস্থল।
জাগো নিউজ: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় ও আনুগত্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ঢাবিসহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে বাধা কতটুকু?
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: শিক্ষক হওয়ার জন্য যে ধরনের গুণাবলি দরকার সেগুলো যার আছে তাকেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। একজন ভালো ফলাফল অর্জনকারী ছাত্রই যে সবসময় ভালো শিক্ষক হবে সেটি একটি অতি সরলীকরণ চিন্তা। তার পাঠদানের সক্ষমতা, শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা ও মানুষ হিসেবে মানবিক বৈশিষ্ট্য একজন শিক্ষকের অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হিসেবে দেখা প্রয়োজন। এতে তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ফলে ওই শিক্ষক মানসম্মত জ্ঞানবিতরণ ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে নিজেকে ও শিক্ষার্থীকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারবেন।
জাগো নিউজ: শিক্ষকদের একটি বড় অংশ খণ্ডকালীন কাজ করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। ফলে গবেষণা বা পাঠদান যথাযথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিতে পারেন না। এভাবে চলা যুক্তিসঙ্গত?
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: একজন শিক্ষক হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা, শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান হিসেবে মনে করা এবং তাদের কল্যাণে নিজের সময়কে নিয়োজিত রাখতে হতে। শুধু শ্রেণিকক্ষে সময় দেওয়া নয়, তারা বেশিরভাগ সময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করবেন। কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কনসালটেন্সি কাজে নিজেকে নিয়োজিত না রেখে শিক্ষার্থীদের দিকে নজর দেবেন, এটা একটা শিক্ষকের গুরুদায়িত্ব হওয়া উচিত। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের স্বল্পতার কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খণ্ডকালীন শিক্ষকতা অনেক সময় অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন, সেই অভিজ্ঞতা থেকে শ্রেণিকক্ষের ছাত্রছাত্রীরাও বহু ক্ষেত্রে উপকৃত হয় এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষায় সংমিশ্রণের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়।
জাগো নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনিই সবচেয়ে বেশি মেয়াদে উপাচার্য ছিলেন। কোন কোন বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন?
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন তা শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জায়গা। আমি আমার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকালে যতদূর পেরেছি সরকারের সহযোগিতায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ এবং কর্মপরিবেশ অনুকূলে ছিল বলেই তা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জীবনমান বিবেচনায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন বিশেষ করে শিক্ষকদের উচ্চতর গবেষণা, ছাত্রছাত্রীদের নতুন নতুন অনুষদ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা নিরসন করা ছিল আমাদের প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিন থেকে চার বছরের যে সেশনজট ছিল তা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার তীব্র প্রচেষ্টা ছিল প্রশাসনের। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন, তা আমার জীবনে মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে।
জাগো নিউজ: সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা নানা হতাশায় ভুগছে। এমনকি আত্মহত্যাও করছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়েও এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ভূমিকা থাকতে পারে?
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা আছেন তারা হয়তো এ বিষয়ে বলতে পারবেন। এখন কী পরিস্থিতি আমি জানি না। কিন্তু আগে যেটা দেখেছি ছাত্ররা নানা কারণে হতাশায় ভোগে, এদের জন্য ছাত্র উপদেষ্টা রাখা হয়েছে, তাদের সঙ্গে যেন শিক্ষার্থীরা উন্মুক্তভাবে যোগাযোগ রাখতে পারে সে ব্যবস্থাটা থাকা দরকার। অনেক সময় ছাত্ররা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে তাদের সমস্যার কথাটা বলতে দ্বিধাবোধ করে। শিক্ষককে বুঝতে হবে বিভাগে কোন শিক্ষার্থীটি আনমনা, একটু অমনোযোগী, হতাশাগ্রস্ত ভাব আছে। তাকে চিহ্নিত করে নিয়ে আসা, কথা বলা, প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া- এ কাজগুলো একজন শিক্ষকের দায়িত্ব।
একজন শিক্ষক মূলত একজন অভিভাবক। সন্তানের কোনো অস্বাভাবিক আচরণ শিক্ষকের চোখ এড়িয়ে যেতে পারে না। কিন্তু সেখানে প্রয়োজন ছাত্র-শিক্ষক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায়; একজন ছাত্র শিক্ষককে যেমন শ্রদ্ধা করবেন ঠিক তেমনি একজন শিক্ষকও ছাত্রছাত্রীকে শ্রদ্ধা করবে। শ্রদ্ধার সম্পর্কের কথা বলে কবিগুরু সম্পর্কের যে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন সেটি কি আমরা শিক্ষক হিসেবে উপলব্ধি করি? গৌতম বুদ্ধের একটা উক্তি আছে, ‘উপলব্ধি একটি শিল্পকর্ম। তবে সবাই শিল্পী নয়।’
জাগো নিউজ: বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির অতীত গৌরব এখন আর নেই। হারিয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কী বলে মনে করেন?
ড. আরেফিন সিদ্দিক: আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতির একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিকেই নানাভাবে কলুষিত করা হয়েছে। রাজনীতি মানুষকে দেশপ্রেমের দীক্ষা দেয়। তরুণ ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি থেকে আমাদের তরুণদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। আজকাল ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা অনেককেই দেখা যায় নিজের স্বার্থে রাজনীতির অপব্যবহার করছে নানা কলাকৌশলে। ছাত্র রাজনীতিকে দেশপ্রেমের অংশ হিসেবে নিলে আমরা অতীতের ঐতিহ্য ফিরে পাবো। তারা ছাত্রদের কল্যাণে, শিক্ষার স্বার্থে দেশ ও দশের স্বার্থে রাজনীতি করবে এটাই প্রত্যাশিত।
জাগো নিউজ: সময় দেওয়ায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ড. আরেফিন সিদ্দিক: আপনাকেও ধন্যবাদ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন